আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী [রাহঃ] এর কর্মজীবন
লিখেছেন: ' Mahir' @ শনিবার, মে ৬, ২০১৭ (১:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
যাই হোক, আগের পর্বে, আমি অন্যান্য আলিমের রেফারেন্স দিয়েছি, তবে তাদের উদ্ধৃতি প্রথম পর্বে দিয়েছি। আর অধিকাংশ উদ্ধৃতি সৌদি গ্যাজেট পত্রিকা থেকে নেওয়া। যার লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে।
এবার আমরা দেখব কোন কোন আলিম ইমাম আলবানীর সাথে গবেষণার কাজ করেছেন-
‘আল-মক্তবা আয-যাহিরিয়া’ হল দামাস্কাসের বিখ্যাত লাইব্রেরি। যা হাদিসের কলমি নুসখা নামেও পরিচিত। ইমাম ইবন তাইমিয়া, হাফিয ইবন কাসীর, হাফিয ইবন আল-সালাহ, হাফিয আল মিজ্জি, হাফিয যাহাবী এর মত মুহাদ্দিসগণ এখানে বই দিয়েছেন। আর দারুল কুতুব আয-যাহিরিয়া এর ইন্ডেক্স লিখেছেন ইমাম আলবানী, আর আপনি বলছেন তার শাইখ নেই?
শাইখ আলবানী ঐসব বই খুঁজে বের করেছেন, যা নিয়ে লাইব্রেরির কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত জানত না।
শাইখ আহমাদ শাকীর [রাহঃ] ইমাম আলবানীর সাথে ইলমি আলোচনা করেছেন।
শাইখ আব্দুছ ছামাদ শারাফুদ্দীন যখন ইমাম নাসাঈ-এর সুনানুল কুবরা-এর প্রথম খন্ডে হাত দেন, তখন ইমাম আলবানীর নাম উল্লেখ করেছেন বহুবার। মুহাম্মাদ মুস্তফা আল-আজামি তার the introduction to Studies in Early Hadith Literature তে লিখেন, “আমি নাসির উদ্দীন আলবানীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারন সে তার বিরল পান্ডুলিপির ব্যাপক জ্ঞান আমার আয়ত্তে দিয়েছে”। তিনি ‘সহিহ ইবন খুজাইমাহ’ সম্পাদনার জন্য ইমাম আলবানীর শরণাপন্ন হন।
আল মিজ্জি তার তুহফাতুল আশরাফ লিখতে ইমাম আলবানীর সাহায্য নিয়েছেন।
মরক্কোর শাইখ মুহাম্মাদ আল-যামযামি এবং শাইখ উবাইদুল্লাহ রহমানি তার সাহায্য নিতেন।
ড.আমিন আল-মিসরি নিজেকে শাইখ আলবানীর ছাত্র বিবেচনা করতেন।
মক্তবা আল ইসলামী যখন ‘মিশকাতুল মাসাবীহ’ তখন তা সম্পাদনার জন্য ইমাম আলবানীকে অনুরোধ করা হয়। প্রকাশক এই নিয়ে ভূমিকায় লিখেনঃ ‘We requested that the great Hadith scholar, Shaykh Muhammad Nasir ad-Deen al-Albani, should help us in the checking of Mishkat and take responsibility for adding footnotes for any ahadith needing them, and researching and reproducing their sources and authenticity where needed, and correcting any deficiencies…’
ভাবানুবাদঃ- আমরা মহান মুহাদ্দিস শাইখ নাসির উদ্দীন আল-আলবানী কে অনুরোধ করেছি, মিশকাত নিরীক্ষাতে আমাদের সাহায্য করতে এবং দরকার হলে হাদিসের টীকা সংযোজনের দায়িত্ব নিতে, এবং গবেষণা এবং তাখরীজ এবং তাহকীক দরকার হলে, এবং কোন দুর্বলতা ঠিক করে দিতে…”
ইমাম আলবানী মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিস পড়াতেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডের সদস্যও ছিলেন [১৩৮১-১৩৮৩]। এরপর তিনি আবার দামাস্কাসে চলে যান, আর নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে যান।
দামাস্কাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়া বিভাগ তাকে ১৯৫৫ সালে তার গবেষণা চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়।