ইসলাম কেন দাসপ্রথা বন্ধ করে নি?
লিখেছেন: ' Mahir' @ সোমবার, অক্টোবর ২, ২০১৭ (৭:১৫ অপরাহ্ণ)
ইসলাম দাসপ্রথার সমর্থক, বা পৃষ্ঠপোষক বা প্রবর্তক নয়। ইসলাম শুধু দাসদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে কিংবা দাসপ্রথার সাথে কিভাবে deal করতে হবে সে বিষয়ে বিধি-বিধান প্রদান করেছে। কাজেই দাসপ্রথা পৃথিবীতে টিকে থাকুক বা মুছে যাক, তা নিয়ে ইসলামের মাথা ব্যথা নেই। ইসলামের মাথাব্যথা শুধু ঐসব দাসদের নিয়ে, যারা মানুষ হিসাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ১৪০০ বছর আগে চারপাশের পরিবেশ দাসপ্রথা উচ্ছেদের অনুকূলে ছিল না। তাই ইসলাম কিভাবে দাস ও মনিবের মধ্যে দূরত্ব কমানো যায়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছে। আর ইসলামের বিধি-বিধান ঠিকমত পালন করা হলে [যদি দাসপ্রথার আজও প্রচলন থাকত]এমনিতেও দাসপ্রথার অদৌ অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহে পরে যেতে হত। আপনি বুঝতেই পারতেন না যে, আপনার পাশের মানুষটি দাস বা আপনি নিজে দাস হলেও অন্তরে দুখঃবোধ হতো না। কারন ইসলামে দাসপ্রথা এক রকমের পেশা। ব্যাপারটা ভাল করে বুঝতে – ক্রীতদাস থেকে সাহাবী বইটি পড়তে পারেন। এছাড়াও বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে ইনশাল্লাহ।
আরো পড়ুনঃ দাসপ্রথা ও ইসলাম
, ইসলাম ও দাসপ্রথা
ইসলাম কি আবার দাসপ্রথা ফিরিয়ে আনবে?
আজকের দিনে যুদ্ধাপরাধী জেলে থাকে, কিন্তু ইসলামের যুদ্ধাপরাধী দাস হয়ে থাকে। আমার জানা মতে, ইমাম মাহাদীর পরে আর দাসপ্রথা থাকবে না। যেহেতু তিনি আসার আগেই দাসপ্রথা বন্ধ হয়ে গেছে, সেহেতু আবার দাসপ্রথা ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। তবে এই হুকুম বহাল থাকবে, মানে এটা মানসূখ নয়। আল্লাহ অধিক জানেন। আগেকার লোকদের মতো আজকের যুদ্ধে কেউ বৌ-বাচ্চা নিয়ে আসে না। তাই দাসী পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর যদি পাওয়াও যায়, তাতেও কারো উপর অবিচার হবে না। [বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে ইনশাল্লাহ।] এবার দাসের কথায় আসি, আমি মনে করি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অপরাধে ধৃত আসামীকে জেলখানায় ফ্রি-তে বসিয়ে খাওয়ানোর চেয়ে দাস বানানোই উত্তম। অন্তত, কিছু productive কাজকর্ম হবে।
তাহলে কি ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক নয়?
- না। কারন ইসলামি দাসপ্রথা আর জাহেলি দাস প্রথা [যার ইতিহাস বইতে পড়ানো হয়] দুইটি ভিন্ন মেরুর জিনিস। যুদ্ধাপরাধীদের দাস বানানো শাহাবাগে রাস্তা আটকিয়ে ফাঁসির দাবি করা থেকে উত্তম। ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক হতো যদি, দাস-দাসীর শিকল বংশানুক্রমিকভাবে চলতেই থাকত। কিন্তু এখানে আসামীর মৃত্যূর সাথে সাথেই তার উপর ধার্য শাস্তি মওকুফ হয়। মানে, তার সন্তানেরা দাস বলে গণ্য হবে না। আর আসামীর আত্মীয়-স্বজন যদি তাকে জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়, তাহলেও তার মুক্ত হবার সুযোগ থাকে। যেহেতু, ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথেই তার সাজা শেষ হচ্ছে, সেহেতু এই প্রথাকে দাসপ্রথা বলাও যায় না। কারন, এটা ক্ষণস্থায়ী। ইসলাম দাসপ্রথার প্রবর্তক হলে বা পৃষ্ঠপোষক হলে, যেকোন উপায়েই দাসপ্রথাকে দীর্ঘস্থায়ী করার ফর্মুলা দিয়ে যেতো। ইসলামে শুধু এই শব্দটি [দাস-দাসী] ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এর পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থ একপদম আলাদা। আজকের জেলখানা থেকে দাসপ্রথা [ইসলামী] ভাল। কারন, দাস বিয়ে করে পরিবারের সাথে থাকতে পারে। দাস সেটাই খায়, যা সাধারণ লোকে খায় [জেলের পচা রুটি খায় না।] সারাদিন বদ্ধ ঘরে থাকতে হয় না। স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে, অপরাধীর মতো নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে হয় না। এছাড়াও আরও অনেক কারন বলা যেতে পারে।
#আরবরা বোকা ছিল, তাদের দাস বানানো হলে পালিয়ে যেতো না। তাই জেলখানা না বানিয়ে দাস বানিয়ে রাখত।
-আপনার প্রশোংসার জন্য ধন্যবাদ।আপনাকে খুশি করার জন্য আমাদের চালাক হবার দরকার নেই। আমরা সেটাই করব, যা আল্লাহ করতে বলেছেন।
#দাস পালিয়ে গেলে কি তাকে ধরে আনা হবে না?
-ধরে আনার জন্য আহেতুক সময় নষ্ট মুসলিমরা কেন করবে? তবে যদি মনিবকে হত্যা করে, বা চুরি করে ,বা রাষ্ট্রীয় তথ্য চুরি করে পালায় তবে তোছেড়ে দেয়া যায় না। আল্লাহ অধিক জানেন।
ইসলাম কেন দাসপ্রথা বন্ধ করে নি?
Processing your request, Please wait....












