রাসূল [সাঃ] কি উম্মী বা নিরক্ষর ছিলেন? [ইতিহাস কি বলে?]
লিখেছেন: ' Mahir' @ সোমবার, অক্টোবর ২, ২০১৭ (৯:৩৭ অপরাহ্ণ)
শুরুতেই বলা রাখি, মুসলিমদের ইতিহাস মুসলিমরা-ই লিখেছে। পাশ্চাত্যের গবেষকরা পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাস লিখার সময় মুসলিম ইতিহাসবেত্তাদের বই ছাড়া কোন রেফারেন্স দিতে পারে না। এই লেখাটিতে ফুতূহুল বুলদান বই ব্যবহার করা হয়েছে। শুরুতেই তাই এই বইটি নিয়ে পাশ্চাত্যের গবেষকদের মতামত তুলে দিচ্ছি।[যদিও অমুসলিমদের স্বীকারোক্তি জরুরি নয়। কিন্তু নাস্তিকরা তো মানতে চায় না। তাই দিলাম।] এই মতামতগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত ফুতূহুল বুলদানের ভূমিকাতে [পৃ.১২-১৩] উল্লেখ করা আছে।
ব্যক্তিকে আরবী লেখা শিক্ষা দেয়। অতঃপর যখন আরবে ইসলাম প্রচার শুরু হয়,
সুতরাং, জানা গেল যে, মাত্র ১৭ জন পড়তে ও লিখতে জানত। রাসূল [সাঃ] যদি পড়ালেখা জানতেনই তাহলে মাক্কী সূরাগুলোতে রাসূল উম্মী ঘোষণা করার সাথে সাথে সকলে ইসলাম ছেড়ে দিতেন। আর কুরাইশরা ইসলামকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যেত। রাসূলুল্লাহ [সাঃ] যদি লেখা-পড়া জানতেন আর তিনি যদি মিথ্যুক হতেন, তাহলে কোনদিনই কুরআনে নিজেকে উম্মী ঘোষণা করতেন না।
কুরআনে স্পষ্ট রাসূলকে উম্মী বলা হয়েছে।
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৪৮ ]
আরো পড়ুনঃ নবীর(সঃ) নিরক্ষরতাই মুজাজা – আনকাবুত টীকা -৯১
উম্মী নবী(সাঃ) এর বিরোদ্ধে মুফাসসিলের অপপ্রচারের জবাবঃ