এদেশের নাস্তিকরা আসলে হিন্দু!
লিখেছেন: ' Mahir' @ রবিবার, অক্টোবর ১৫, ২০১৭ (১১:২১ অপরাহ্ণ)
আরও পড়ুনঃ মুসলমান দেশে ভিন্ন ভেক ধরে মুসলমানদের অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ার পায়তারা করছে সুপ্রীতি ধর
সনাতন ধর্মে আস্তিকতা ও নাস্তিকতা-সহ সবই আছে
নাস্তিকরা হিন্দুদের বন্ধু, কারন হিন্দু ধর্মে নাস্তিক্য ট্রাডিশন ধর্মের অংশ বলে, এই ধর্মে নাস্তিক থাকা অত কঠিন না -তবে সামান্য সমস্যা আছে শ্রাদ্ধ শান্তি ইত্যাদি লৌকিকতা না করলে। লৌকিকতাটুকু করলে, হিন্দু ধর্মে কে নাস্তিক কে আস্তিক তাই নিয়ে কেও মাথা ঘামায় না । [মুক্তমনা]
মূর্তি ভাংগার নিন্দা জানায় ধর্মকারী; কারন তারা হিন্দু ধর্ম সমর্থন করে। এতে করে তাদের প্রিয় মূর্তি বেঁচে যাবে।তবে ভারতে মসজিদে আগুন দিলে তারা কোন পোস্ট দেয় না।[আমার কথার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, মূর্তি ভেংগে ফেল। ২০১৫ সালে-ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার একটি গ্রামে মুসলমানদের ঘরবাড়ি ও মসজিদে হামলা চালিয়েছে চরমপন্থীরা। এ সময় মুসলমানদের কমপক্ষে বারটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। মঙ্গলবার দৈনিক সাহারার খবরে বলা হয়, বলবট গির এলাকার ইটালি গ্রামে একটি নির্মাণাধীন মসজিদ ঢুকে চরমপন্থীরা ভাংচুর শুরু করে। মুসলমানরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হামলার পর মুসলমা নারী শিশুরা বলবটগির থানায় আশ্রয় নিয়েছে।]
হিন্দু পেটালে তাদের গায়ে লাগে। কিন্তু মুসলিম হত্যার জন্য কোন পোস্ট দেখা যায় না।[ধর্মকারী]
হিন্দুদের পতনের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে ইস্টিশন , আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে বলা হয়েছে। [দেখুন- হিন্দু জাতির নির্বুদ্ধিতা ]
আজ পর্যন্ত ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম নিয়ে কোন কিছু তিনি লিখেছেন কিনা সন্দেহ। নীল নিমোর হিন্দু প্রীতি- আমি বলিলাম:
“হিন্দু ধর্মগ্রন্থে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্য ধর্মকে অপমান করে তেমন কিছু লিখা নাই। [আমার কথা - আগে হিন্দুদের নির্দোষ প্রমাণ করা হল।পরে বাকিদের পক্ষে কিছু সাফাই গাওয়া যাবে।]
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্য ধর্মকে অপমান করে তেমন কিছু লিখা নাই।[আমার কথা-এই জন্য রোহিংগা হত্যা!! আচ্ছা, বৌদ্ধরা তো নাস্তিক। তাহলে মুসলিম হত্যার দায় নাস্তিকদের উপরেও কি বর্তায় না?]
ইহুদি ধর্মগ্রন্থে ইহুদি ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্য ধর্মকে অপমান করে তেমন কিছু লিখা নাই। [আমার কথা- তিনি ওল্ড টেস্টামেন্টের হাফেজ কিনা!]
খ্রিষ্টান ধর্মগ্রন্থে খ্রিষ্টান ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্য ধর্মকে অপমান করে তেমন কিছু লিখা নাই।[আমার কথা- উনি কিন্তু নিউ টেস্টামেন্টেরও হাফেজ]
ইসলাম ধর্মগ্রন্থের পুরোটা জায়গা জুড়ে ইসলামের আলোচনা করা হয় নাই। বিরাট একটা জায়গা জুড়ে হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি ধর্মকে অপমান করা হয়েছে।
আর নাস্তিকরা তাদের পুরাটা সময় জুড়েই হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি ধর্ম সহ পৃথিবীর সব ধর্মকে অপমান করে। [আমার কথা-এই পোস্টে দেখাই যাচ্ছে যে, আসলে নাস্তিকরা কাদের অপমান করে] [লিংক]
কিন্তু নাস্তিকতা ছড়িয়ে হিন্দুদের কি লাভ?
এটা বলা মুশকিল। তবে যেহেতু নাস্তিকতা হিন্দু ধর্মে সমর্থিত, সেহেতু কেউ মুসলিম থেকে হিন্দু হোক অথবা মুরাতাদ হোক উভয় ঘটনায় হিন্দুরা লাভবান।আর হিন্দুরা নাস্তিকতাকে ট্রিগার করছে। এভাবে দ্রুত হিন্দুদের দল ভারী হয়।
মানুষ খুব সহজেই প্রভাবিত হয়। ড:মো: তাজুল ইসলাম রচিত ‘মন ও মানুষ’ বই থেকে ২ টি মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করছি।
১)একটি মঠে এক সন্ন্যাসিনী হঠাৎ একদিন বিড়ালের মতো মিউ মিউ করে ডাকা শুরু করে। পরবর্তীতে মঠের সবাই মিউ মিউ করা শুরু করে। বাধ্য হয়ে, রাজা মঠটি বন্ধ করে দেয়।
২)ভারতের এক এতিমখানায় এক বাচ্চা দুপুরে খাবার সময় পেট ব্যথায় আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। গুজব রটে যায় খাবারে বিষ আছে। এরপরে প্রত্যেক বাচ্চা পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়।কিন্তু আসলে খাবারে কোন বিষ ছিল না।
দুটো রিপোর্ট পড়েই আশা করি বুঝে গেছেন যে,মানুষ কতো সহজেই প্রভাবিত হয়।আরেকটা ব্যাপার হল,উভয় ঘটনায়,প্রথমে একজন সূত্রপাত করেছে।আর তাকে অকুস্থল থেকে শুরুতে সরিয়ে ফেলা হয় নি বলেই অন্যরা প্রভাবিত হয়েছে। কাজেই,যে কেউ ইরতিদাদ করলে খুব সহজেই আরো লোক মুরতাদ হবে, যদি না তাকে অকুস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। যারা শুনে মুসলিম হয়েছে,তারা(ইরতিদাদের খবর) শুনে নাস্তিক হবে। এটা হিন্দুর জন্য শুভসংবাদ, কারন কেউ হিন্দু হোক বা নাস্তিক, উভয় ক্ষেত্রেই তাদের দল ভারী হচ্ছে।
এই হল,প্রথম পর্যায়ে মুরতাদ তৈরির প্রক্রিয়া। ২য় ধাপ অন্য প্রক্রিয়ায় হবে।এই প্রক্রিয়া national geography তে brain games অনুষ্ঠানে দেখানো হয়েছিল। ঘটনা হল-
কিছু লোককে বলা হল যে,ছেলেবেলায় তারা মেলায় হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের কেউ বিশ্বাস করল না। পরে,তাদের বাবা-মা,বন্ধুরা একই কথা বলল।একদিন তারা বিশ্বাস করল যে,তারা মেলায় হারিয়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ এটাও দাবি করল যে,হারিয়ে যাবার স্মৃতিও ফিরে এসেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে,সকলেই এমনটা বিশ্বাস করা শুরু করেছিল, আর এখানে প্রধান প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে ঐসব লোক, যারা ব্যক্তির মনের উপর প্রভাব রাখতে পারে। তো ২য় ধাপে,যারা নাস্তিক হবে, তারা ১ম ধাপের লোকদের দ্বারা প্রভাবিত। কারন ১ম ধাপে ইসলাম সম্পর্কে কম জানে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি (যেমন-ডাক্তার,বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি)।
আর হিন্দুদের দল ভারীও হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড: মো: মঈনুল ইসলাম বলেন, মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের ক্ষেত্রে জন্মহার কম। সেজন্য হঠাৎ করে যদি হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসে তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে বলে মন্তব্য করেন ড: ইসলাম। [দেখুন]
দলভারী করে হিন্দুদের কি লাভ?
কারন সামনে তাদের বিশাল প্ল্যান আছে। এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। পড়ুন- ইহুদী-হিন্দু যৌথ ষড়যন্ত্র বনাম লীগের হিন্দুপ্রীতি । ফেনী নদী পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করছে আমেরিকা। এবং এও বলেছিলাম, এই দুটো কাজ করা হবে বৌদ্ধ উপজাতি এবং হিন্দুদের মাধ্যমে। এজন্য বৌদ্ধ ও হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে একজোট করা হচ্ছে। ()
এছাড়া দেখুন- হিন্দু বৌদ্ধ ভাই ভাই, “রোহিঙ্গা মুসলমানের রক্ষা নাই
এবং বাংলাদেশের মুসলিম নারীরা হিন্দুদের গনিমতের মালে পরিণত হয়েছে !
অনেকে মনে করে এদেশে অনেক নাস্তিক। আসলে তেমন নয়। অধিকাংশ হিন্দু, যারা নাস্তিকদের দলভারী করার কাজে ব্যস্ত। সদালাপে এস,এম রায়হান ভাই অনেক আগে থেকে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করে আসছেন। একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া-
মুমীনদের আইডি নষ্ট করার জন্য নাস্তিকরা তৈরি করেছে মুমীন দমন কমিশন।এরা নিজেরাই স্বীকার করছে এরা সবাই হিন্দু, নাস্তিক সেজে আছে।এতোদিন কথা বাত্রায় বুঝতাম, এখন তো হাতে প্রমাণ ও আছে।আর মাথায় রাখবেন ফেরাউন ইসলাম হচ্ছে পার্থ সারথি রায়।একজন মাস্টার মাইন্ড ক্রিমিনাল।দাংগা, ফাসাদ লাগানোর ওস্তাদ
ছি ছি ছি।নাস্তিক পরিচয় ধারীদের লজ্জা হওয়া উচিত।ছি ছি ছি ছি।সব নাস্তিক গুলান কাপুরুষ আর মুনাফেক।
আমরা আমাদের হিন্দু ভাইদের ভালোবাসি,কিন্তু এইরকম বেইমানরা হিন্দু ধর্মের জন্যও লজ্জার।
বাহ!