লগইন রেজিস্ট্রেশন

চুরির সাজা নিয়ে চোরের দুশ্চিন্তা

লিখেছেন: ' Mahir' @ বুধবার, অগাষ্ট ১৫, ২০১৮ (১০:৫৩ অপরাহ্ণ)

এক নজরে
ভূমিকা
কেন কিছু আইন আমাদের অবাক করে
আদিম আইন?
বর্বরতা
একটু কল্পনা করুন
একটি প্রশ্ন
কঠিন সাজা কঠিন শর্ত
আইনশাস্ত্রের দৃষ্টিতে
আমাদের আইনের ব্যর্থতা
উপসংহার

ভূমিকা

ইসলামে যতগুলো শাস্তির বিধান আছে(সম্ভবত মোট ৫ টি) সেগুলো নিয়ে কোন সৎ ব্যক্তির অভিযোগ, আপত্তি বা দুশ্চিন্তার কারন থাকার কথা না, তবে হ্যা, যদি কারো চুরির অভ্যাস থাকে তবে সে হাত কাটার আইন নিয়ে আপত্তি অবশ্যই তুলবে। একারনে যদি কেউ হাত কাটার আইন নিয়ে গড়িমসি করে, তখন তার সততার ব্যাপারে আমি কিছুটা সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়ি।

কেন কিছু আইন আমাদের অবাক করে?

বহুদিন ধরে হাত কেটে ফেলার আইনের প্রচলন নেই বলে, এই আইন আমাদের নিকট অপরিচিত হয়ে গেছে। আর মানুষ অপরিচিত কিছুকে পছন্দ করে না। বিশেষ করে, যখন দেশের মানুষ অন্য দেশে যায়, তখন নতুন দেশের অনেক কথা-কাজ তাকে অবাক করে; ঘাবড়িয়ে দেয়। এটাকে বলে কালচারাল শক। চোরের হাত কাটার আইনে্র বিরোধিতা করার অন্যতম কারন এটা।

আদিম আইন?

অবশ্য ইজ্জত বাঁচানোর জন্য তখন ঐসকল লোকেরা বলে থাকে যে,এটা আদিম আইন। এখনকার যুগে এসব চলবে না।মানুষ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাল-মন্দ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। এখন আমরা এসব আইন প্রয়োগ করে আবার আদিম যুগে ফিরে যেতে পারব না।

যুক্তিটা শুনতে ভালই লাগে। শয়তানের যুক্তিও কিন্তু সুন্দর ছিল। “আমি আগুনের তৈরি,আদম মাটির তৈরি”। অসাধারণ যুক্তি! যাই হোক,শয়তানের যুক্তির খন্ডন তো মুফাসসিরগণ করেছেন।আমি আর কথা বাড়াবো না। এতটুকুই বলব যে,মানুষ পোশাক আবিষ্কার করেছিল লজ্জা নিবারণ করতে।আদিম যুগে মানুষ নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করত। অথচ যেসব লোকেরা হাত কাটার আইনকে আদিম আইন বলে, আজকাল তাদের দেখা যায় nude beach উদ্বোধন করার জন্য রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে।সম্ভবত আদিম মানবজাতির ন্যায় পোশাক ত্যাগের দ্বারা আধুনিক হওয়া যায়। এই মানদণ্ড অনুসারে,আদিম মানবজাতির দ্বারা প্রবর্তিত ‘হাত কাটার’ আইন প্রয়োগ করে আমরাও আধুনিক হতে পারি। কিন্তু রহস্যজনক কারনে হাত কাটার ব্যাপারে সুশীল সমাজ ভিন্ন মানদণ্ড স্থাপন করে।এমতাবস্থায় তাদের চোর সন্দেহ করা অমূলক? আমার মতে, মোটেই না।

সত্য এটা যে, কোন কিছু পুরানো হলেই তা খারাপ- এই যুক্তি একদম নাজুক।

বর্বরতা!

আলোচনার এই পর্যায়ে এসে কোন কোন সুশীল ভবিষ্যতে যুক্তি পেশ করার আগে সতর্কতা অবলম্বনের উদ্দেশ্যে হাত কাটার আইনকে বর্বর -অমানবিক বলে অভিহিত করার পরিকল্পনা করতে পারে।ইচ্ছা করলে ২-৪ লাইন ছড়াও আওড়াতে পারে-”দন্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে। ”

এটাও খুব সুন্দর যুক্তি।সুশীল সমাজ চিহ্নিত অপরাধীর অপরাধ লাঘবে বেশ সোচ্চার, কিন্তু আবু গারিবের মত কারাগারে ‘সন্দেহভাজন’ জিম্মির উপর নির্যাতন অমানবিক কিনা প্রশ্ন করলে একজন জবাব দিয়েছিল- সরকার প্রয়োজনে কাউকে রিমান্ডে নিতেই পারে। আশ্চর্যজনকভাবে, সরকার প্রয়োজনে কারও হাত কেটে দিতে পারে এধরনের চিন্তাধারা তাদের নিকট মূর্খতা হিসাবে বিবেচিত হয়।

সত্য তো এটা যে, বর্বরতা ট্যাগ দেয়া হয় কারন, এই আইন তার পছন্দ হয় নি। আর কোন কিছু আপনার পছন্দ না হলেই সেটা খারাপ এই বিশ্বাস আসলে মুক্তমনের পরিচয় দেয় না। এসব হচ্ছে কালচারাল শক

একটু কল্পনা করুন

সাধারণত, হাত কাটার আইনকে অমানবিক মনে করা হয় কারন আমরা ভেবে থাকি, চোরের হাত কেটে দিলে চোরের বাকি জীবন কি হবে? লোকটা কিভাবে চলবে? ইত্যাদি।

স্বভাবতই,আমাদের মনুষ্যত্ব আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়। কিন্তু আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত না। একবার ভেবে দেখুন, খুনীর শাস্তি কেন মৃত্যুদণ্ড? সহজ জবাব হল- অপরাধী মজলুমের সাথে যা করেছে, অপরাধীর সাথেও সেটা-ই করতে হবে। খুনী খুন করেছে,তাকেও খুন করতে হবে।

এবার একটা পরিস্থিতির কথা ভাবুন- আপনি সামান্য কিছু বেতনের চাকুরী করেন।প্রতি মাসে সামান্য কিছু জমাতে জমাতে ভালই সঞ্চয় করেছিলেন । ইচ্ছা ছিল,বুড়ো বয়সে নিরিবিলি জায়গায় একটা ছোট বাড়ি বানাবেন, যার সবুজ উঠোনে প্রতি সকালে চা হাতে পত্রিকা পড়ে বৃদ্ধ বয়সের অবসর যাপন করবেন; যার উঠোন নাতি-নাতনির চঞ্চল পদচারণায় আনন্দ মুখরিত থাকবে। ২৫ বছরের জমানো টাকা শেষে এক চোরের হস্তগত হল।

কেমন অনুভূতি হবে?বাকি জীবন কি হবে? লোকটা কিভাবে চলবে? ২৫ বছর ধরে দুই হাতের কষ্টের উপার্জন যে এক রাতেই দখল করল তার ১ হাত কর্তন করা অমানবিক? অথচ সে যেন গত ২৫ বছর ধরে প্রতি মুহূর্তেই আপনার হাতকে কাজে লাগিয়ে নিজে উপার্জন করেছে। যেহেতু সে অন্যের হাত দ্বারা উপার্জিত টাকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে,সেহেতু তার নিজের দেহে অহেতুক ২ টা হাড়-মাংসের হাত ঝুলে থাকার কোন মানে হয় না,এমনিতেও এগুলো অন্যের স্বপ্ন ভেঙে দেয়া ব্যতীত অন্য কোন কাযে আসে না। এর চেয়ে ২৫ বছর আগে নিজের হাত দুটো কেটে ঘরে বসে থাকাই কি ভাল ছিল না? অযথা-ই পরিশ্রম হল।সুতরাং, চোরের হাত কেটে দিতে হবে,কারন সে এক অর্থে মজলুমের হাত কেটে দিয়েছে।

বহু পরিশ্রমে জর্জরিত হাতের উপার্জনকে যে মূল্যায়ন করে না, তার সাথে মেকি মানবিকতার নাটক করে কোন উপকার নেই।

একটি প্রশ্ন

সুশীল গোষ্ঠী অদ্যাবধি আলোচিত যুক্তিগুলোকে অসার দাবি করে আত্মতৃপ্তি লাভে মগ্ন হতে পারে। সত্যি সত্যি তা অসার ধরে নিলেও,যদি সুশীল গোষ্ঠীকে প্রশ্ন করা হয় যে, এদেশে চোরের সাজা ৩ বছর কারাদণ্ড না করে ৪ বছর বা ২ বছর কেন করা হল না? তবে তথাকথিত সুশীলদের জবাব কতটা যৌক্তিক হবে সেটাও কৌতুকের উদ্রেক করে।

আমার মনে হয়,তারা বলবে- সাংসদবৃন্দ ঠিক করেছে ৩ বছর তাই ৩ বছর কারাদণ্ড। একইভাবে আমরাও জবাব দিতে পারি, আল্লাহ বলেছে হাত কাটতে হবে,তাই হাত কেটে দিতে হবে।

কঠিন সাজা কঠিন শর্ত

বলা হয়ে থাকে,ইসলাম হল ফিতরাতের ধর্ম। হতে পারে এজন্যই শাস্তিদানে ইসলাম কঠোর। [এখানে ভোট দেখুন]

কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেই ইসলাম থেমে থাকে নি। প্রশ্ন কঠিন হলে পরীক্ষার খাতা কোমলভাবে দেখা হয়। এখানেও তেমনি, শাস্তির শর্তগুলো কঠিনএই পোস্টে প্রায় ১৬ টি শর্ত উল্লেখ করা আছে। এখানে তবুও কিছু শর্ত বাদ গেছে।যেমন- দুর্ভিক্ষপীড়িত চোরকে বা খাদ্যচোরকে শাস্তি না দেয়া, চোর আত্মসমর্পণ করলে বা আসল মালিক ক্ষমা করে দিলে হাত কাটা যাবে না ইত্যাদি। বিস্তারিত লিখলে ছোট-খাটো পুস্তিকা হয়ে যাবে।

নিরপেক্ষতার সাথে বিচার করলে এটা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, পেশাদার চোর আর সম্পদশালী লোভী চোর ছাড়া অন্য কারো হাত হারানোর ভয় নেই। রাসূল (সা:) এর যুগেও তিনি (সা:) ফাতিমা নামের এক ধনী মহিলার হাত কেটে দিয়েছিলেন। (এজন্য-ই বোধ হয়,রাজনীতিবিদগণ এই আইন প্রয়োগ করে না। হাত যাবার ভয় আছে বলে কথা)

আইনশাস্ত্রের দৃষ্টিতে

# ইসলামি রাষ্ট্রে জনগণকে ২ বেলা খাওয়ার খরচ প্রতি মাসে রাষ্ট্র থেকে প্রদান করা হয়,মসজিদগুলো থেকে সাপ্তাহিক সাদাকাহ-র ব্যবস্থা থাকে।এরপরেও যে লোভের বশবর্তী হয়ে চুরি করে,তার হাত না কাটলে জনগণকে তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা যাবে না।

মস্তিষ্কজাত যুক্তি এখানেই সমাপ্ত করে আলোচনা একটু তাত্ত্বিক দিকে ঘুরানো যাক। আইনের ৬ টি উৎসের প্রধান ৪ টি হল-

# সমাজে প্রচলিত নিয়মনীতিঃ অনেক দিন ধরে সমাজে কোন নিয়ম পালন করা হলে তা একসময় তা আইনে পরিনত হয়।

# ধর্মীয় অনুশাসনঃ ধর্মীয় অনুশাসন আইনের অন্যতম একটি উৎস।

# বিচারকের আদেশঃ বিচারক যদি নতুন কোন সমস্যার মুখোমুখি হয় এবং বুদ্ধি খাটিয়ে কোন রায় দেই তাহলে তা পরবর্তীতে আইনে রূপ নেই।

# আইনসভাঃ আরেকটি বড় উৎস হলো আইনসভা।

এবার ১ম টি শুরু করুন।ইসলামী রাষ্ট্র একটি ধারাবাহিক কর্মপ্রণালী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।এই প্রক্রিয়া চলাকালীন হাত কাটার আইন একটি প্রথায় পরিণত হয়। আর জনগণ চুরিকে একটি গুরুতর অপরাধ ভাবতে শুরু করে, অপরাধের প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করে। এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। alcoa তে paul O’neill সিইও হয়ে আসার পরে একজন অভিজ্ঞ পুরানো ম্যানেজারকে শুধু এজন্য বের করে দেন যে, ম্যানেজার অ্যালুমিনিয়াম বাষ্প সেবনে ২জন অসুস্থ কর্মচারীদের সংবাদ ও’নিলকে জানায় নি।অথচ ম্যানেজার তাকে দুর্ঘটনা ও পরবর্তী নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপের সব-ই জানিয়েছিল।সে শুধু ২ জনের অসুস্থতার কথা রিপোর্ট করতে ভুলে গিয়েছিল।

ম্যানেজারকে বহিষ্কার করায় কোন সহকর্মী আক্ষেপ করে নি।সবাই বলেছিল,ঠিক-ই আছে।

ছোট্ট একটা ভুলের জন্য গুরুদণ্ড কেউ তোয়াক্কা করে নি।কারন নিরাপত্তা সেই কোম্পানির একটি প্রথা ছিল,আর এর লংঘনকারীকে অপরাধী মনে করা হত। [বিস্তারিত]

২)ধর্মীয় অনুশাসন নিয়ে আর আলোচনা না করলেও হবে।

ইসলামি রাষ্ট্র শুধু আইন প্রবর্তন করেই ক্ষান্ত হয় না।জনগণের আত্মশুদ্ধির জন্যও কাজ করে।আর যার আত্মশুদ্ধি নরম কথায় হয় না,তার উপর কঠোরতা আরোপ করা-ই যৌক্তিক।

৩) বিচারক মুমিন হলে নির্দ্বিধায় হাত কেটে দিবে।

৪) ইসলামি আইনসভা হাত কাটার আইন-ই প্রবর্তন করবে।

সুতরাং কোন দিক থেকেই হাত কাটার বিধানকে অপ্রাসঙ্গিক বা অযৌক্তিক বলা যাচ্ছে না।

সবচেয়ে বড় কথা হল, কোন অপরাধকে গুরু,আর কোন অপরাধ লঘু সেটা সংজ্ঞায়িত করার অধিকার ইসলামী রাষ্ট্রের আছে।আর সেই অপরাধের সাজা কি হবে সেটাও রাষ্ট্রের এখতিয়ারভুক্ত। তাই যুক্তির দিক থেকে এই আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না। উদাহরণঃ

The Congress shall have Power To …define and punish Piracies and Felonies committed on the high Seas, and Offences against the Law of Nations….
ARTICLE I, SECTION 8, CLAUSE 10

আমাদের আইনের ব্যর্থতা

এত বছর ধরে আমরা ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়ে কি চুরি কমাতে পেরেছি? না।

তাহলে কারাদন্ড দেয়াকে অযৌক্তিক না বলে ইসলামী আইনকে অযৌক্তিক বলা কিভাবে সমীচীন হয়?

capital punishment নিয়ে ৫ টি বই রচয়িতা Torgrim Sørnes বলেন যে, সাজা যত কঠিন ও অ অবশ্যম্ভাবী হবে, অপরাধ তত কমবে। (সাজা কম তাই গাড়ি চুরি করি। – ইত্তেফাক)

বস্তুত, ইসলা্মী আইনের দর্শন হল- ১০ জন অপরাধী মুক্তি পেয়ে যাক, কিন্তু ১ জন নিষ্পাপ যেন সাজা না পায়। তাই ইসলামে শাস্তি প্রয়োগের শর্তগুলো কঠিন। কারন সকল অপরাধী ধরা সম্ভব নয়। আইনের ফাক দিয়ে অনেকেই বের হয়ে যেতে পারে। চোর পালিয়ে যেতে পারে,ধরা নাও পরতে পারে। কিন্তু ধরা পরলে শাস্তি যদি সুনিশ্চিত – অবশ্যম্ভাবী হয়,অর্থাৎ হাত কাটা যাবেই আইনের মারপ্যাঁচ দিয়ে অন্য সাজা বা জরিমানায় কাজ না হয়, তবে অপরাধ কমে যায়। আর এটাই আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্য। তাই সকল অপরাধী ধরা পরুক বা না পরুক, কয়েকটাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলেই যথেষ্ট। অপরাধ হুরহুর করে কমে যাবে। বিশ্বাস না হলে এক বছরের জন্য ইসলামী আইন প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

সৌদিআরব এই সুফল ভোগ করছে।অপরাধ হুরহুর করে কমছে । [দেখুন] আর সুশীল আমেরিকার অপরাধের হার ৭% বেড়েছে ।[দেখুন]

দেখা গেছে যে, আমেরিকার চুরির হার সৌদি আরব থেকে ৭১৪৪ গুণ বেশি। আমেরিকায় ডাকাতি সৌদি থেকে ৫০ গুণ বেশি। [লিংক]

উপসংহার

আমরা কখনওই বলি না সৌদিআরব ইসলামি রাষ্ট্র, কিন্তু সেখানে কিছু ইসলামি আইন আজও প্রয়োগ করা হয়।আর ফলাফল তো দেখলেন-ই। এরপরেও নিজের প্রবৃত্তি নির্ভর যুক্তি দিয়ে অযথা হাত কাটার আইনের বিরোধিতার কোন মানে হয় না।আমরা আইন প্রয়োগের সুফল ভোগ করতে চাই, প্রবৃত্তি নির্ভর ছদ্মবেশী যুক্তির কাল্পনিক সুফল লাভের আশায় গা ভাসাতে চাই না।
—————————
আল্লাহ অধিক জানেন।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২৫৭ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৩.০০)