লগইন রেজিস্ট্রেশন

পাহাড় জমিনকে স্থির রাখে।

লিখেছেন: ' Mahir' @ বৃহস্পতিবার, অগাষ্ট ১৬, ২০১৮ (১:১৩ পূর্বাহ্ণ)

লেখা শুরুর আগে নাস্তিকদের একটা ব্লগ পড়ে নিলামকিছু বিনোদন হল। নাস্তিককুল অনেক বিশাল ব্লগে শুধু পাহাড়ের উৎপত্তি কিভাবে হয় সেটা আলোচনা করেছে [মনে হয় ৮ম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের কপি], কিন্তু পুরো আলোচনায় কিছুই নাই। তাদের দাবিকুরআন বলেছেপাহাড় ভূমিকম্প থামায়। অথচ কুরআন একথা বলে না। এই পৃথিবী হেলে পরা নিয়ে অনেকেই লিখেছেকিন্তু আমার মন মত হয় নি। তাই আমি নিজেই লিখা শুরু করে দিলাম।

মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমি কি করিনি যমীনকে বিছানাএবং পর্বতমালাকে পেরেক?”[৭৮:-৭]

এখানে ব্যবহৃত আরবি শব্দ “অওতাদা” অর্থ হচ্ছে পেরেক বা খুঁটিতাবু খাটাতে মাটির উপর যেমন কাঠের থাম পোঁতা হয় সেরকম। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর উপর পাহাড় কাঠের গোঁজের মত জমিনের চিনে গেঁড়ে দেয়া হয়েছে যা জমিনকে কম্পন থেকে দূরে রাখেসঠিকভাবে পোঁতা পেরেকগুলো জমিনের ঠিক নিচ পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেঅনেকটা পাহাড়ের শিকরের ন্যায়। ভূতত্ত্বের পরিভাষায়ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচেই পাহাড়ের শিকড় রয়েছে এবং পৃথিবী জুড়ে ভূপৃষ্ঠকে স্থির রাখতে কাজ করে এবং মহাদেশীয় প্লেটগুলোকে দৃঢ় রাখে। সম্ভবত পাহাড়ের ওজনও ভূমিকা রাখে।

এই শিকড়ের গভীরতা পাহাড়ের ক্ষেত্রে কয়েক কিঃমিঃ থেকে ১০ কিঃমিঃ হতে পারেপর্বতের ক্ষেত্রে ৫০-১০০ কিঃমিঃ হতে পারেযেখানে ভূপৃষ্ঠের গভীরতা মাত্র ৫-৭০ কিঃমিঃ হয়ে থাকে।

 

মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, “এবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যেকখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও”। [১৬ঃ১৫]

কপাল ভাল এখন ২০২৩ সাল। এর আগে নাস্তিকরা যখন কুরয়ানের ভুল ধরত তখন মুমিনরা কি বলত কে জানে?

আসলে ভূপৃষ্ঠে পাহাড়ের প্রভাব বহুমুখী, যার সবগুলো মানুষ এখনো জানে না। কারণ সূক্ষ্ম হবার কারণে সকল প্রভাব মানুষের দৃষ্টিগোচর হয় না। যাই হোক, চারটি প্রভাব আমি আলোচনায় আনব।

 

১.

 

কোন একটি বদ্ধ সিস্টেমের মোট কৌণিক ভরবেগ ধ্রুবক। ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর কৌণিক ভরবেগ সর্বদা সমান। যদি এর কোন অংশে কৌণিক ভরবেগের সামান্য পরিবর্তন হয়,তবে পৃথিবীর ঘূর্ণন কিছুটা এদিকওদিক হবে। কেন্দ্র থেকে বল প্রয়োগের স্থানের দূরত্ব যত বেশি, মোট কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তন তত বেশি। এই প্রভাব বাতাসের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়,কারন বাতাস পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে সবচেয়ে দূরে। বিশেষ করে,বাতাসের চাপ ও গতি যদি পাহাড়ের নিকটবর্তী অঞ্চলে হয়ে থাকে,তবে আহ্নিকগতিতে প্রভাব বেশি হবে। নাসা জানিয়েছে,

To understand the concept of angular momentum, visualize the Earth spinning in space. Given Earth’s overall mass and its rotation, it contains a certain amount of angular momentum. When an additional force acting at a distance from the Earth's rotational axis occurs, referred to as a torque, such as changes in surface winds, or the distribution of high and low pressure patterns, especially near mountains, it can act to change the rate of the Earth’s rotation or even the direction of the rotational axis".[i]

ভূভাগের ২৪পার্বত্যভূমি,যা সারা পৃথিবীর ৭প্রায়। সমস্ত জলভাগ ও ভূভাগ দিয়েই বায়ুপ্রবাহ হয়।আর ৯৩অঞ্চলের সর্বত্র কৌণিক ভরবেগ বদলে যাচ্ছে। আমার ধারণা, ৭% পার্বত্যভূমি বাকি ৯৩% এর জন্য সৃষ্ট অসংগতি দূর করে। মানে, একস্থানে ধনাত্মক ও অন্যত্র ঋণাত্মক টর্ক পরস্পরকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে।

এতক্ষণ যা বললাম,তা কি অপব্যাখ্যা?

 - আমার মতে, না। আমি তাফসীরে আবু বকর জাকারিয়া দেখেছি, সেখানে আয়াতের অর্থ দ্বারা পৃথিবীর গতির উপর প্রভাব আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। (দেখুন,তাফসীর ১৬:১৫)

 

২.

 

কিছু প্রাথমিক ধারনা দিই-

একটি ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি অপেক্ষা ৫ তলা বিল্ডিং এর ছাদে দাঁড়ানো ব্যক্তি বা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ানো ব্যক্তি কর্তৃক অনুভূত ঝাঁকুনি বেশি হবে,যদিও উভয়ে একই মাত্রার ভূমিকম্প অনুভব করছে,কিন্তু তাদের উভয়ের জন্য ভূমির গতি (Land motion) আলাদা।

ভূমিকম্প তরংগের ন্যায় চলে,পানিতে ঢিল ছুড়লে যেমন ঢেউ দেখা যায়, প্লেনে বসে ভূমিকম্প দেখলে তেমনি মনে হবে।

এবার আসল কথায় আসি২০০৭ সালে ডশু ও তার সহযোগীবৃন্দ স্যান অ্যান্ড্রেস ফাটলের mojave (উচ্চারণমহাভি সম্ভবতঅংশে ঘেরা স্যান গ্যাব্রিয়েল পর্বতমালার উপর ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে কেমন প্রভাব হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। কম্পিউটার সিমুলেশন করে দেখা গেছে,মহাভি-তে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি হলে স্যান গ্যাব্রিয়েল পর্বতমালা মহানগর লস অ্যাঞ্জেলসের জন্য প্রাকৃতিক ভূকম্প প্রতিরোধ করে। দেখা গেছেপর্বতমালা ভূমির গতির শীর্ষ বিস্তার ৫০কমিয়ে দিয়েছেআর কম্পাংক ০.৫ হার্জ কমিয়েছে।[ii]


সহজ ভাষায়, 'কখগ' সরলরেখার 'ক' বিন্দুতে ভূমিকম্প সৃষ্টি হলে,আর 'খ' বিন্দুতে পাহাড় থাকলে এবং 'গ' বিন্দুতে আপনি থাকলে, আপনি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন। 

কল্পনা করুন, আপনি সাতার কাটার সময় পানিতে বিশাল এক ঢেউ উঠেছে।ঢেউ আপনার দিকেই এগিয়ে আসত,কিন্তু মাঝে একটা বরফ খন্ড ভেসে এল।আপনি কিন্তু ঢেউ এর প্রবল ধাক্কা পুরোপুরি টের পাবেন না।

আমি যে পেপারের কথা বলেছিতার একটা ছোট্ট দুর্বলতা আছে। আর সেটা হলশু যে কাজটা করেছিলেনসেটা মূলত একটা সিমুলেশনবাস্তব না। কম্পিউটার সিমুলেশন আর বাস্তবতা সর্বদা এক হয় না। তবে আমার কথা হলপেপারটিতে শুধু পাহাড়ের প্রভাব আলোচনায় আনা হয়েছে, বাদ বাকি উপাত্যকা, নদী ইত্যাদি আলোচনায় আনা হয় নি। আর আল্লাহ তা’আলা কুরআনে শুধু পাহাড়ের প্রভাব নিয়ে আয়াত নাযিল করেছেন, অন্যান্য পৃষ্ঠীয় বস্তুর আলোচনা আয়াতে আনেন নি। সুতরাং, অন্যান্য অবয়বের প্রভাব ব্যতীত ভূকম্পীয় তরঙ্গ কিভাবে অগ্রসর হয় সেটা-ই কুরআনের আলোচ্য বিষয় ছিল, আর উক্ত পেপারে একই জিনিস প্রতিপাদন করা হয়েছে

 

৩.

 

একই জিনিস জং লি প্রমাণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যেআই-ল্যান অঞ্চলে সাধারণ মাত্রার ভূমিকম্পীয় তরঙ্গের বিস্তার কেন্দ্রীয় পর্বতমালা দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে কমে যাওয়ায়টাইপেই বেসিনে ভূমির গতি কমে যায়।

তবে সেই সাথে তিনি দেখিয়েছেন যেভূকম্পনের কেন্দ্রের গভীরতা বেড়ে গেলে ভূসংস্থানের কারনে টাইপেই বেসিনে ভূকম্পীয় তরঙ্গ পৌছে যায়। অর্থাৎ পাহাড় তখন আর বেসিনকে রক্ষা করতে পারে না।[iii]

এখানেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যেঅন্যান্য ভূসংস্থান আলোচনায় আনলে পাহাড়ের ভূমিকা উপলব্ধির অযোগ্য হয়ে পড়ে। সে যাই হোককম্পিউটারের মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারনে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যেঅন্যান্য ভূসংস্থানের কথা বাদ দিলেপাহাড় সত্যিকার অর্থেই ভূকম্পের প্রভাব কমিয়ে আনে। আর ১৪০০ বছর আগে কম্পিউটার ছিল না। আশা করিসত্য আমাদের সামনে এসে গেছেআর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে।

.

তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন এবং মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন তার বুরহানুল কুরআন গ্রন্থে সূরা আম্বিয়ার ৩১ তম আয়াতের তাফসীরে বলেছেন যে, আলোচ্য আয়াতে পাহাড় দ্বারা পৃথিবীর ভরের ভারসম্য রক্ষা করে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আল্লাহ অধিক জানেন।

বলে রাখা ভালপর্বতের নিকটবর্তী এলাকায় অভিকর্ষ শক্তি কিছুটা বেশি হয়কারণ সেখানে ভরের পরিমাণ বেশি। [পড়ুন] পাশাপাশি চাঁদের আকর্ষণের কারণে স্থলভাগে জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এতে ভূমি কয়েক সেঃমিঃ স্ফীত হয়ে যায়। পৃথিবীর উপর পাহাড়ের মত ভারী বোঝা থাকার কারণে এই স্ফীতি নিঃসন্দেহে স্থানভেদে ভিন্ন হয়।

অভিকর্ষ শক্তির এই ভিন্নতা ভরের বণ্টন পরিবর্তন করতেই পারে। তাছাড়া পাহাড় সৃষ্টির সময়েই ভরের বণ্টন হয়েছে।

 

 

রিচার্ড লেভিটনের বক্তব্য

 

অনেক মুফাসসির আয়াতের বাহ্যিক অর্থ নিয়ে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের ধীর নড়াচড়া বুঝেছেন। মূলত পাহাড়ের ভর এস্থেনোস্ফিয়ারে কুঞ্চনের সৃষ্টি করে। আবার মহাদেশীয় পৃষ্ঠের ভরকেন্দ্র সামান্য পরিবর্তনের দ্বারা টেক্টনিক প্লেটের গতির দিকের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি বলতে পারেনকরলেও খুব সামান্য। কিন্তু প্লেটের গতি কি সামান্য নাস্থলভাগ বহনাকারী প্লেটের বেগ তুলনামূলক কম। যেমনঃ এন্টার্কটিকার বেগ বছরে ২ সেঃমিঃ।

লেভিটন লিখেন টেক্টনিক তত্ত্ব অনুযায়ীভূপৃষ্ঠ খুবই ধীরে সঞ্চারণশীল ১৭ টি টেক্টনিক প্লেটের [বাংলায় ভূত্বকীয় পাত বলা হয়উপর বসে আছে। ১-৩০ মাইল গভীরতার ভূপৃষ্ঠ-সহ টেক্টোনিক প্লেটের পুরুত্ব প্রায় ৫০ মাইল হয়। [মহাসাগরের নিচে গভীরতা কমহিমালয়ের মত পর্বতমালার নিচে পুরুত্ব বেশিএই সমস্ত কিছু নিয়েই লিথোস্ফিয়ার সবচেয়ে উপরের কঠিন স্তর]। ২২৫ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর বহিঃস্থ স্তর ছিল একটি মাত্র মহাদেশযার নাম প্যানগায়া [pangaea], পরবর্তীতে এটি ৭ টি বড় ও ১০ টি ছোট খন্ডে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

প্লেটগুলো আরও গভীরতরউত্তপ্ত [প্রায় ২৬৪০ ডিগ্রী ফাঃও ধীরে সঞ্চারণশীল স্তরের উপর ভেসে চলে। প্লেটের নিচের এই স্তর সঞ্চালিত হওয়ার শক্তির উৎস হল ভূগর্ভ থেকে বিকিরিত তাপ ও পরিচলন প্রক্রিয়া। [পরিচলন হল এক ধরনের mass transfer। সহজে উদাহরণ হলচুলায় পানির ফুটন্ত অবস্থায় নিচের গরম পানি উপরে উঠে আসাপ্লেটের নিচের স্তরটি [প্রায় ১২৪ মাইল গভীরগলিত নয় বরং প্লাস্টিকইলাস্টিক ও নমনীয়। [যে সীমা পর্যন্ত বস্তু হুকের স্থিতিস্থাপকতার সূত্র [পীড়ন সমানুপাতিক বিকৃতিমেনে চলে তা হল ইলাস্টিক বা স্থিতিস্থাপকসীমা অতিক্রম করলে বস্তু আগের আকৃতিতে ফিরে আসে না ও নতুন স্থায়ী আকৃতি পেয়ে যায়এটাকে প্লাস্টিক বলেএই স্তরের সান্দ্রতা অনেক বেশিআর উচ্চচাপে বিকৃতি ঘটে। [অন্য ভাষায়আঠালো বলা যায়।এই স্তরকে অ্যাস্থেনস্ফিয়ার বলেকারন এটা পৃথিবীর উপরের স্তরের মধ্যে কম দৃঢ়। তো আমরা এখন পর্যন্ত জানলামঃ পর্বতমহাদেশীয় ভূখন্ডটেক্টোনিক প্লেটলিথোস্ফিয়ারঅ্যাস্থেনোস্ফিয়ার।

আপনি একটু ভাবলেই সহজাত অস্থিতিশীলতা কল্পনা করতে পারবেনঃ ভঙ্গুরদৃঢ় ভূখন্ড [লিথোস্ফিয়ারযার উপর সমস্ত জীব আছেসেটা গতিশীলপ্লাস্টিকঘাতসহ নরম বহমান পাথরের সাগরের উপর ভেসে আছে। অথবা আমরা বলতে পারিঅ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বহমান কিন্তু সম্পূর্ণ গলিত পাথর নাঅথচ লিথোস্ফিয়ারকে সে বহন করছে। [আমার কাছে জেলি বা জ্যামের মত মনে হয়তবে আরেকটু পাতলা। কারন জেলি নিশ্চয়ই প্রবাহিত হয় নাতবে একটু পাতলা হলে প্রবাহিত হত]

যে স্থানে টেক্টোনিক প্লেটগুলো পরস্পরের বিপরীতে ধাবিত হয় [যাকে অভিসারী সীমা বা convergent boundary বলেসে স্থাওনগুলোতে ভূতাত্ত্বিক ক্রিয়া খুবই সক্রিয় থাকে। হিমালয় পর্বতমালা এভাবেই সৃষ্টি হয়েছেযখন এশিয়া ও ভারত পরস্পর সংঘর্ষ হয়েছিল ৪৫-৫০ মিলিয়ন বছর আগে।

 

যেহেতু ভূপৃষ্ঠের অধিকাংশ অঞ্চল পাতলা ও অস্থিতিশীলবহমান ও উত্তপ্ত সাগরের উপরে ভাসছেসেহেতু ভূপৃষ্ঠ কম্পন প্রতিরোধে অক্ষমতাছাড়া পৃথিবী এর নিজ অক্ষ বরাবর ঘোরার ফলে স্রোতের শক্তির কারনে প্লেটগুলোর সরণ বা বিচ্যুতি খুব বেশি হয়ে যেতে পারে। [iv]

পর্বত ভূপৃষ্ঠের উপর পেরেকের মত গেঁথে থেকে ভূপৃষ্ঠকে স্থির ও স্থিতিশীল করে। এই অনুসারে পর্বত হল প্রাকৃতিক পেরেক যা আকাশের অদৃশ্য দড়ির সাথে বাঁধা।

 

নিচের ছবিটি Richard Leviton রচিত Stars on the Earth: Domes and Stargates, and How To Interact with Them বইয়ের পৃষ্ঠা ১০০ থেকে নেয়া।
 

সম্ভাব্য অপযুক্তিঃ

রিচার্ড লেভিটন মূর্খ

জবাবঃ

লেখক ১৯৮৪ সাল থেকে ভূশক্তিজিওম্যান্সি ও ভিশনারি জিওগ্রাফি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বইটি লিখেছেন ২০০৬ সালে। মানে বইটি প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে লিখা। For more information about the author

 [i] Nasa.gov. (2018). NASA – Top Story – CHANGES IN THE EARTH'S ROTATION ARE IN THE WIND – March 4, 2003. [online] Available at: https://www.nasa.gov/centers/goddard/news/topstory/2003/0210rotation.html [Accessed 1 Oct. 2018].

[ii] Ma, S., Archuleta, R. and Page, M. (2007). Effects of Large-Scale Surface Topography on Ground Motions, as Demonstrated by a Study of the San Gabriel Mountains, Los Angeles, California. Bulletin of the Seismological Society of America, 97(6), pp.2066-2079.

[iii] Lee, S., Komatitsch, D., Huang, B. and Tromp, J. (2009). Effects of Topography on Seismic-Wave Propagation: An Example from Northern Taiwan. Bulletin of the Seismological Society of America, 99(1), pp.314-325.

[iv]  ক্ষীণ কিন্তু প্রলম্বিত পীড়নের প্রভাবে [যেমন পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও ভূগর্ভস্থ বিকিরিত তাপ], অন্যান্য শক্তি যা টেক্টোনিক প্লেটকে পরিচালিত করে, “লিথোস্ফিয়ার দৃঢ় খোলসের ন্যায় আচরণ করে আর তাই এটা ভঙ্গুর [brittle failure হল প্লাস্টিক বিকৃতির আগেই ভেঙে যাওয়া। মানে তা সরাসরি ভেঙে যাবেদুমড়ে-মুচড়ে যাবে না।], অথচ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে প্লাস্টিক বিকৃতির ফলে পীড়ন [পীড়নকে চাপ বলা যেতে পারে।জমা হয়” https://en.wikipedia.org/wiki/Lithosphere

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২৯০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৪.০০)