কিভাবে কুরআন লিখবেন?
লিখেছেন: ' Mahir' @ শনিবার, জানুয়ারি ৫, ২০১৯ (১২:২৩ পূর্বাহ্ণ)
Table of Contents
যে কারনে কুরয়ানের অনুরূপ কিতাব লেখা সম্ভব না-
লিখতে চাইলে রচনায় কি কি উপাদান থাকা জরুরি?
জাকির নায়েক বলেছিল যে,পুরো আরবী ভাষার ব্যাকরণ কুরয়ানের উপর নির্ভরশীল। দুনিয়ার কোন কবির কবিতার উপর সেই ভাষার ব্যাকরণ নির্ভরশীল?
নাস্তিকরা যদি আরবি বুঝত তবে সূরা লিখতে যেত না। মনে আছে,কুরয়ানে ব্যাকরণ গত ভুল আছে দাবি করে, জাকির নায়েকের সামনে কিভাবে এক বুড়ো নাজেহাল হয়েছিল?
আরবের ইমরুল কায়েসের মত বাঘা বাঘা কবি যখন কুরয়ানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন নি। তখন কেন বোকা নাস্তিকরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে?
যে কারনে কুরয়ানের অনুরূপ কিতাব লেখা সম্ভব না-
১-এতে মিথ্যা গাল-গল্প নেই। (পড়ুন-নূহের মহাপ্লাবন ও নিমজ্জিত ফেরাউন-হারুন ইয়াহইয়া)
২-সাহিত্যিক মান উচ্চ (পড়ে দেখুন-আল কুরয়ানের শৈল্পিক সৌন্দর্য -সৈয়দ কুতুব)
৩- এটি বারবার পড়লেও বিরক্ত লাগে না।
৪-১৪০০ বছর পরেও অবিকৃত আছে। অথচ এর মাঝে কত কবির কবিতা মানুষ ভুলে গেছে।
৫- কবর কবিতা পড়ে কেউ কাদে নি। যে একবার কেঁদেছে সে ২ য় বার কাদে নি। কিন্তু কুরয়ান অন্তর বিগলিত করে। যতবারই পড়ুন না কেন? সালাতে হাজার হাজার মুক্তাদি কেঁদে মুখ ভিজানোর ঘটনা কি মোটেও বিরল?
৬- এর ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।
৭- উস্তাদ ছাড়াই তা মুখস্থ করা যায়।
৮-যেকোন বয়সে হিফয করা যায়। ইসলামাবাদের মাদরাসা ফারুকীয়ায় চীনের ৫ বছরের শিশু কুরয়ান হিফজ করেছে।(তাকভীর ২০ নভেম্বর ২০০২) হাফেয ইদরীস কিলানী (রাহ:) ৫৯ বছর বয়সে কুরয়ান হিফয করেন।
৯-যিনি এটি রচনা করেছেন বলে নাস্তিকদের দাবি, তিনি লিখা-পড়া জানতেন না। কিন্তু নাস্তিকরা লিখা-পড়া জানে।
১০-পূর্বের ইতিহাস এই কিতাবে আছে।
১১-ইমাম তাবারী বলেন, কাফিরদেরকে আরবী সূরা লিখে দেখাতে হবে। অথবা আরবির সমগোত্রীয় ভাষায়। আয়াতের উদ্দেশ্য এটাই।
১২-এর আয়াতের অর্থ প্রত্যেক যুগের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে
১৩-সকল সমস্যার সমাধান।
১৪-পূর্ণাংগ জীবন বিধান
১৫- ৭ হরফে নাযিলকৃত।
১৬- কোন ভুল থাকা নেই
১৭- স্ব-বিরোধী কথা নেই।
বিস্তারিত পড়ুন- কুরয়ান পড়ি কুরয়ান বুঝি- মুহাম্মাদ ইকবাল কিলানী
লিখতে চাইলে রচনায় কি কি উপাদান থাকা জরুরি?
নাস্তিকরা কখনও কুরআন রচনার লোভ ছেড়ে দিবে বলে মনে হয় না। প্রায়ই তাদের দাবি করতে দেখা যায় যে, কেন ইসলাম কোন মানদন্ড দেয় নি যে মানদন্ড দ্বারা তারা বুঝতে পারবে যে তাদের রচিত গ্রন্থ উক্ত মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা। অবশ্য, একটু খুঁজাখুঁজি করলে তারা শর্তগুলো পেয়ে যেত। আমি ইসলাম নিয়ে খুব সামান্য-ই জ্ঞান রাখি। এই জ্ঞান নিয়ে আমি কিছু শর্ত বিভিন্ন তাফসীর থেকে বের করার চেষ্টা করেছি। দেখা যাক, নাস্তিকরা শর্তগুলো পূরণ করতে পারে কিনা-
১. আরবি ভাষায় লিখতে হবে। [ইমাম তাবারী-র শর্ত অনুসারে]
২. সুদূর অতীতের ঘটনা নিখুঁতভাবে বলতে হবে, তবে বিজ্ঞান কিংবা জ্ঞানের অন্য কোন শাখা থেকে কিছু ধার না করে বর্ণনা করতে হবে।
৩. সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে হবে যা হাজার খানেক বছর পরে ঘটবে।
৪. মিথ্যা গল্প থাকা যাবে না।
৫. সাহিত্যিক মান উচ্চ হতে হবে।
৬. পুনঃ পুনঃ পঠনে যেন বিরক্তি না আসে।
৭. উস্তাদ ছাড়াই তা মুখস্থ করা যেতে হবে।
৮. যেকোন বয়সে হিফয করা যাবে, এমন হতে হবে।
৯. শত শত বছর পরেও অবিকৃত থাকতে হবে। আজকাল অবশ্য এটা সহজ।
১০. তা পাঠে যেন অন্তর বিগলিত হয়।
১১. অর্থ প্রত্যেক যুগের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে হবে। সংবিধানের মত বারবার সংশোধনী করা যাবে না।
১২. সকল সমস্যার সমাধান থাকতে হবে।
১৩. পূর্ণাংগ জীবন বিধান হতে হবে।
১৪. ৭ হরফে লিখতে হবে।
১৫. কোন ভুল থাকা যাবে না
১৬. স্ব-বিরোধী কথা থাকা যাবে না।
১৭. কুরআন থেকে চুরি করা যাবে না।
১৮. প্রচলিত কাব্যিক ছন্দ ব্যবহার করা যাবে না।