লগইন রেজিস্ট্রেশন

পিডিএফ – চল্লিশজন সেরা বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব

লিখেছেন: ' Mahir' @ বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৯, ২০২০ (৪:০৯ অপরাহ্ণ)



মূল সম্পাদক –
জন ক্লোভার মোনজমা

অনুবাদক – রেদওয়ানুর রহমান

আবিষ্কার-উদ্ভাবন  আবিষ্কারক-উদ্ভাবক এর অস্তিত্বের সত্যতা বিষয়ে ধারণা দেয়, বিশ্বাস জন্মায়।  কোনো ঘটনা তার সংঘটকের-সম্পাদকের  অস্তিত্বের প্রতি নির্দেশ করে শতসিদ্ধভাবে।  সরল প্রকৃতিনির্ভর   যুক্তিবাদ বলা যেতে পারে উল্লিখিত ধরনের প্রমাণপ্রক্রিয়াকে। আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ কী? প্রাচীন আরবের  জনৈক বেদুইন এ-প্রশ্নের উত্তর খোঁজেছেন এ-ধরনের প্রকৃতিনির্ভর যুক্তিবাদের সারল্যে। তিনি বললেন, উটের বর্জ্য উটের অস্তিত্বের প্রমাণ। গাধার বর্জ্য গাধার অস্তিত্বের দলিল। পদচিহ্ন, হেঁটে যাওয়ার প্রমাণ। অতঃপর, কক্ষপথসম্পন্ন  আকাশ, পথঘাটবিশিষ্ট জমিন, তরঙ্গসর্বস্ব সাগর প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ না হওয়ার কোনো কারণ নেই । (দ্রঃ আস সায়াদাহ আল আবাদিয়াহ ফিশ শারিয়াহ আল ইসলামিয়াহ : ৪২ )

মহাবিশ্বের কোন কিছুরই সর্বশেষ প্রকৃতি সরাসরি জানা যায় না, এ-বিষয়টি এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। কোন জিনিসের প্রভাব বা ফলাফল (effects) দেখে ওই জিনিসটির অস্তিত্ব নিশ্চয়ই আছে বলে বিশ্বাস করে নেয়া, এতটুকুই শুধু মানুষের পক্ষে সম্ভব।  আর এভাবেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ  বা সরাসরি-যুক্তি-প্রক্রিয়ার যে ধারণা   ইতোপূর্বে বদ্ধমূল ছিল , চিড় ধরল তার শক্ত দেয়ালে।  বিজ্ঞানের স্বীকৃত বলয়েও মেনে নেয়া হলো,পরোক্ষ প্রমাণও একটি আইনসিদ্ধ- বৈধ-বৈজ্ঞানিক প্রমাণ।

এই নতুন বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের আলোকে উল্লিখিত আরব-বেদুইনের প্রদত্ত যুক্তি পরীক্ষা করে  দেখলে বিজ্ঞানের দাঁড়িপাল্লায় শতভাগ যুক্তিসিদ্ধ প্রমাণ বলে মনে হবে। বিজ্ঞান প্রকৌশল ও যুক্তির ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে তা উল্লিখিত ধরনের সরল-সহজ প্রমাণকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণে রূপান্তরিত করে দিয়েছে। বর্তমানে এ-দুয়ের মাঝে আর পার্থক্য থাকেনি। পুরাতন বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণার বলয়ে অসরাসরি হওয়াটাই পরোক্ষ প্রমাণের ত্রুটি হিসেবে মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে খোদ বিজ্ঞানের কাছে বৈজ্ঞানিক ধারণা পেশ করার এটাই হলো যৌক্তিক বুনিয়াদ। মূলনীতির দৃষ্টিতে আধুনিক বিজ্ঞানের সকল যুক্তি, -এ-যাবৎ যাকে ধর্মীয় যুক্তি বলে ডাকা হয়েছে – তারই অনুরূপ।

ডাউনলোড করুন [সবুজ স্থানে ক্লিক করুন]

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৮১২ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৩.০০)