লগইন রেজিস্ট্রেশন

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদী যে কারনে আলেম সমাজের নিকট প্রত্যাখ্যাত হলেন (২য় পর্ব): নবী-রাসুলগণের প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি-২

লিখেছেন: ' ইবনে হাবীব(মাহমুদ)' @ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৯, ২০১০ (১১:১০ পূর্বাহ্ণ)

(কৈফিয়ত: আমি জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের ভাইদের কোনরুপ হেয় বা খাটো করার উদ্দেশে মাওলানা মওদুদীর উক্তিগুলো এখানে তুলে ধরিনি। আমি জানি, তারা এগুলো সম্পর্কে কমই জানেন অথবা তাদের জানতে দেওয়া হয়না। কেউ যদি জেনেও ফেলেন এবং বড়দের নিকট প্রকাশ করেন, তাদের এমন বোঝান হয় যে এগুলো সব শত্রুদের ষড়যন্ত্র। আবার এমনটিও বলা হয়- আমরা তো আর মাওলানা মওদুদীকে অনুসরন করিনা বা তার সব কথা মানিও না। কিন্তু একথা গ্রহনযোগ্য নয়, কারন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের পাঠ্যসূচিতে মাওলানা মওদুদী লিখিত প্রায় সব পুস্তকই রয়েছে। উত্তম খাবারের সাথে যেমন সুক্ষ পরিমাণ বিষাক্ত খাবার গ্রহন করলে বাহ্যিকভাবে তার প্রভাব তেমন অনুভূত হয়না এবং ধীরে ধীরে ঐ বিষাক্ত খাবার সহনীয় হয়ে যায় তেমনি মাওলানা মওদুদীর ত্রুটিযুক্ত কথা ও কাজগুলোকেও জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের ভাইয়েরা একসময় তাদের আক্বীদায় পরিনত করেন।
‘তাফহিমুল কোরআন’কে আলেম সমাজ নিষিদ্ধের দাবী করায় বর্তমান সংস্করনগুলো থেকে কিছু আপত্তিকর কথা বাদ দেওয়া হয়েছে যদিও এতটুকুই যথেষ্ট নয়। তাছাড়া মাওলানা মওদুদী জীবিত থাকাকালীন বা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোন ভুল স্বীকার করে তওবা করা হয়নি। তাই মুসলিম ভাইদের ঈমানের হেফাজতের জন্য এগুলো তুলে ধরা আমার জন্য অপরিহার্য ছিল।)

নবী-রাসুলগণ সকলেই মাসুম, তারা সকলেই নিষ্পাপ-এই হলো ইসলামী আকীদা। তবে জনাব আবুল আলা মওদুদী ইসলামের বদ্ধমূল এ আকীদার উপর কুঠারাঘাত করে এবং কুরআন ও সুন্নাহর চিরন্তন শিক্ষাকে পদদলিত করে আম্বিয়ায়ে কেরামের এ পূত পবিত্র জামাতের প্রতি কলংক লেপন করার উদ্দেশ্যে এমন ধৃষ্টতাপূর্ন কথা বলেছেন, যা কোন মুসলমানের পক্ষে বরদাশত করা সম্ভব নয়।

১ম পর্ব: নবী-রাসুলগণের প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি-১
এর পর থেকে-

হযরত মুছা (আ.) সম্পর্কে:

“নবী হওয়ার পূর্বে মুছা(আ.) দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খন্ড, ৩১ পৃ.]
“মুছা(আ.) এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ অধৈর্য্যশীল বিজয়ীর মত যে তার শাসন ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত না করেই মার্চ করে সম্মুখে চলে যায় আর পিছনে ফেলে যাওয়া এলাকায় বিদ্রোহের দাবানল দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে।” [তরজমানুল কোরআন ২৯/৪-৫]

হযরত ইব্রাহীম (আ.) সম্পর্কে:

“এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে অবহিত করেন, তখন সাময়িক ভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড, ৫৫৮ পৃ.]

হযরত ইসা (আ.) সম্পর্কে:

“হযরত ইসা (আ.) মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” [তাফহিমুল কোরআন ১মখন্ড(সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.]

হযরত ইউসুফ (আ.) সম্পর্কে:

“হযরত ইউসুফ (আ.)- ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং]

সকল নবী-রাসুল সম্পর্কে:

“ইসমত বা নিষ্পাপ হওয়াটা মুলত: নবীদের প্রকৃতিগত গুণ নয়।এখানে একটি সুক্ষ বিষয় এই যে, আল্লাহ তা’য়ালা ইচ্ছা করেই প্রত্যেক নবীর উপর থেকে কোন না কোন সময় তার হেফাজত উঠিয়ে নেন এবং তাদেরকে দু’একটি গুনাহে লিপ্ত হতে দেন। যাতে করে মানুষ যেন খোদা বলে ধারনা না করে এবং জেনে রাখে এরাও মানুষ।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ৪র্থ সংস্করন ৫৬/৫৭ পৃ. এবং নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ৭৪ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন অক্টোবর ১৯৯১ইং]
“বস্তুত: নবীগণ মানুষ হয়ে থাকেন এবং কোন মানুষই মু’মিনের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ মাপকাঠিতে সর্বদা অটল থাকতে সক্ষম হতে পারেনা। প্রায়শ:ই মানভীয় নাজুক মুহুর্তে নবীর ন্যায় শ্রেষ্ঠ মানুষও কিছুক্ষনের জন্য মানবিক দুর্বলতার সামনে পরাভূত হয়ে যান।” [তাফহিমুল কোরআন ২য় খন্ড, ৩৪৩-৩৪৪ পৃ. সংস্করন ১৯৯০ইং]
“কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর স্থির থাকতে পারেন নি। বরং তারা আপন মানবীয় দুর্বলতার কাছে হার মেনেছেন।” [তরজমানুল কোরআন, ৩৫ তম সংখ্যা : ৩২৭ পৃ.]
” অন্যদের কথা তো স্বতন্ত্র, প্রায়শ:ই পয়গম্বরগণও তাদের কু-প্রবৃত্তির মারাত্মক আক্রমনের সম্মুখিন হয়েছেন।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ৫ম সংস্করন ১৯৫ পৃ. এবং নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ২৮ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং]

চলবে…………ইনশাআল্লাহ
আগামী পর্বে থাকছে সাহাবাগণের (রা.) প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি-১

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩,১২৭ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ২.৮৩)

৬৭ টি মন্তব্য

  1. আসসলামু আলাইকুম ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ সত্য তুলে ধরার জন্যে। আজ সত্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বড়ই বাধা, খড়গ হস্তে কিছু লোক বসে থাকে আর বলে বেড়ায় কোন ব্যাপার না ঠিক হয়ে যাবে। আমার এই বিষয়ে একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, ‍”তাফহীমুল কোরআনে আশ’আরী মতবাদ” কিন্তু দিব কিনা বুঝতে পারছি না, কারণ গতকাল রাতে শিরক নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম যা পিস ইন ইসলাম কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছেন।

    @কর্তৃপক্ষ সত্য প্রকাশে বাধা দিয়ে কাজটি কি ভাল হল? লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ শিরকে লিপ্ত, আমরা যতই ভাল কাজ করিনা কেন আমাদের আমলে যদি শিরক থেকে যায় তাহলে সকল আমল ব্যর্থ হয়ে যাবে তাতে কোনই সন্দেহ নেই। আল্লাহ তাআলা আপনাদের এবং আমাদের হিদায়াত দান করুন, সত্য বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

    আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
    “অথচ (হে নবী), তোমার কাছে এবং সেসব (নবীদের) কাছেও যারা তোমার আগে অতিবাহিত হয়ে গেছে, এ (মর্মে) ওহী পাঠানো হয়েছে, যদি তুমি আল্লাহ তাআলার সাথে (অন্যদের) শরীক কর তাহলে অবশ্যই তোমার (সব) আমল নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থদের দলে শামিল হয়ে যাবে।” (সূরা ঝুমারঃ ৬৫)

    কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ]

    @manwithamission,

    আসসালামু আলাইকুম,

    আপনার কোনো অভিযোগ থাকলে ইমেইলের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । এ বিষয়ে আমাদের পূর্ব থেকেই শর্তাবলী আরোপ করা আছে :

    http://www.peaceinislam.com/termsofuse/

    ২.১২ পিস ইন ইসলাম কর্তৃপক্ষ সম্বন্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা মেইল করে জানাতে হবে । এ সম্বন্ধে কোনো পোস্ট দেয়া যাবে না । আপনাদের যেকোন গঠনমুলক সমালোচনা অভিনন্দনযোগ্য । কোনো অভিযোগ থাকলে মেইলে সেটার সপক্ষে দলীল পেশ করুন ।

    ওয়াস সালাম।

    তামীম

    @manwithamission,আপনাকে কঠিনলজিক তো কঠিন একটা কথা কইছে সেখানে!

    দেশী৪৩২

    @manwithamission,

    মাহমুদ

    @manwithamission, আপনি কিন্তু ‘সামহয়্যারে’ দেয়া আপনার পোষ্ট এবং যেটি ‘পিস ইন ইসলামে’ ও পোষ্ট করেছিলেন পরে তা কতৃপক্ষ কতৃক মুছে দেওয়া হয়(***একটি বড় শিরক বা শিরকে আকবরের সচিত্র প্রতিবেদন***)এর যৌক্তিক কোন জবাব দিতে পারেন নাই। মনে হয় আপনি একটু বেশী বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। মুসলিমদের যখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি, তখন কত সুন্দরভাবে আপনি একটা নন-ইস্যু বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে ফেললেন!

    দ্য মুসলিম

    @মাহমুদ,

    উনি জবাব দিবেন কি করে? উনাকে তো সাময়িক ভাবে ব্যান করা হয়েছে।

    মাহমুদ

    @দ্য মুসলিম, উনার কাছ থেকে ‘সামহয়্যারে’ দেয়া পোষ্টটিরই যৌক্তিক জবাব আশা করছি।

    হাফিজ

    @মাহমুদ, ওনারা যৌক্তিক জবাব দেন না । শুধু পোস্টে উল্লেখ করে সমস্যা তৈরী করে গায়েব হয়ে যান । এই ব্লগে আরো পোস্টে তাদের এই আচরন খেয়াল করলাম । মাজহাব নিয়ে সন্দেহ তৈরী করার পর , যখন তাদের প্রশ্ন করা হয় , দুএকটি উত্তর দেবার পর আর তাদের খোজ পাওয়া যায় না । এতেই বোঝা যায় তাদের কনসেপ্ত পরিস্কার না ।

    হাফিজ

    @মাহমুদ, এদের থেকে আমাদের সবার এখন “শিরকের” সংজ্ঞা শিখতে হবে । আব্দুল ওহাব নজদী যেমন সে ছাড়া আর সবাইকে “কাফের” মনে করত , এরাও তার বই পড়ে মাথাটা বিগড়িয়ে ফেলেছে ।

    কতসহজে বড় বড় স্কলারদের কাফের বলে ফেলে !!!

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রঃ যেমন আমাদের নিকট স্বলার এবং প্রিয় আলেম তেমন আবদুল ওহাব নজদী তাদের নিকট প্রিয় এবং হয়তোবা অনুসরনীয়। কেন শুধু শুধু তাদেরকে কষ্ট দিচ্ছেন? এমন একটা পরিস্হিতি যে, আমাদের স্বলারকে কিছু বলা হলে সরাসরি ব্যন করা হচ্ছে আর তাদের স্কলারকে কিছু বললে তারা প্রতিবাদও করতে পারবেন না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমিন।

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম,

    আপনি দেখান তো মাজহাবপন্হি কেউ “নাসিরুদ্দিন আলবানী” , “ইমাম তাইয়িমা” , “ইবনুল কাইয়্যুম” কাউকে তারা শিরক করেছে , কাফের বলেছে এই ব্লগে । কিন্তু তারা দেওবন্দি আলম “সর্বেশ্বরবাদী” , আসকালানীর আকীদার সমস্যা আছে , যাকারিয়া (রহ:) শিরক করেছে , এমন কমেন্ট কিন্তু ঠিকই করেছে .. শুরুটা করেছে কারা ?

    তখন কি আপনি প্রতিবাদ করেছিলেন ?

    Anonymous

    @হাফিজ, ভাই একটা তথ্য দিয়ে রাখি। “ইমাম তাইয়িমা” , “ইবনুল কাইয়্যুম” উনারা কিন্তু আমাদের আকাবিরদের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় আলীম। তাই উনাদের ব্যাপারে আকীদা সাফ রাখা চাই। কিছু কিছু লোক উনাদের ইউজ করছে। তাই বলে আমরা আবার তাঁদের সম্পর্কে কোন খারাপ ধারণা না করে বসি। আর আব্দুল ওয়াহাব নজদী উনার ব্যাপারেও আলীমরা একমত হতে পারেননি। উনিও বড় আলীম ও সংস্কারক ছিলেন। হ্যাঁ কিছু কিছু ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছেন। তাই বলে ধালাও ভাবে আলীমরা উনার ব্যাপারে কিছু বলেননি। আমার মনে হয় উনার ব্যাপারে চুপ থাকাটাই ভাল হবে।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, তারপরও বলছি কারণ এ ব্যপারে আমার দিল সাফ।
    প্রথমত, আশরাফ আলী থানভী রহঃ কে সর্বেশ্বরবাদী বলেছেন কেউ এটা আমি জানতামই না। পরে যখন সাদাত ভাইয়ের পোষ্টে দেখেছিলাম তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম আর মালেক০০১ ভাই বলেছিলেন কোথায় বলা হয়েছে। তাছাড়া সত্যি বলতে কি, সর্বেশ্বরবাদ বলতে কি বুঝায় আমি তাও জানতাম না।
    দ্বীতিয়ত, আসকালানীর আকীদার সমস্যা আছে এটাও আমি আজ আপনার কাছে শুনলাম।
    তৃতীয়ত, যাকারিয়া (রহ:) শিরক করেছে এর প্রতিবাদ আমি ঠিকই করেছি।

    এমন কমেন্ট কিন্তু ঠিকই করেছে .. শুরুটা করেছে কারা ?
    শুরু হয়তোবা ওরা করেছে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে এই বলে কি আমরা পার পাবো যে, ওরা শুরু করেছে! ইসলাম কি ভাই আমাদেরকে এতটুকু সহনশীলতা শিক্ষা দেয় না?

    মনপবন

    @হাফিজ ভাই, খুব চেষ্টা করছি মাথা ঠিক-ঠান্ডা রাখতে।
    কারো আক্বিদায় সমস্যার কথা বলা আর তাকে কাফির বলা এক?
    “কতসহজে বড় বড় স্কলারদের কাফের বলে ফেলে” – এর একটা প্রমাণ আনতে পারবেন? প্লিজ।

    Anonymous

    @মনপবন,দেখুন ভাই অন্যদের আকীদার সমস্যার কথা বলতে পারেন তার চেয়ে যদি কেউ বড় আলেম হয়। কিন্তু আমু দেখেছি বুখারী শরীফের কয়েকটি পাতা পড়েই কিছু কিছু মুর্খ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারদের আকীদারও প্রশ্ন তুলেছেন। এসব প্রশ্নের উত্তর অনেক আগেই অনেক দিয়েছেন। ওগুলোর কোন উত্তর না দিয়ে একই অভিযোগ বারবার করে তুলছেন।

    আকিদার প্রশ্ন তোলা আর কাফের বলা কাছাকাছি। আর কিছু কিছু অতি উৎসাহী মুর্খ কাফের বলেও ফেলে। যেমন এই ব্লগেই অনেক পোস্টে মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি কে কোন দলীল প্রমাণ ছাড়াই শিরকে আকবার এ অভ্যস্ত বলা হয়েছে। শিরকে আকবারে আক্রান্ত আর মুশরিক একই কথা।

    মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারার রোগ আপনাদের (আপনাদের মানে আবার সরাসরি আপনাকে বুঝাচ্ছি না। ভুল বুঝবেন না যেন। যারা আমাদের আকাবিরদের মুশরিক বলে তাদের বুঝাচ্ছি) আজকের নয়। যেখানেই আপনাদের মত মিলেনা ওখানেই আপনারা বিভিন্ন কাল্পনিক দোষ বানিয়ে বানিয়ে, বিভিন্ন জিনিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে, বিভিন্ন হাদীস কে অস্বীকার করে, বিভিন্ন হাদীসের অপব্যাখ্যা দিয়ে, বিভিন্ন আঙ্গিকে মনের মধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে একের পর এক আমাদের পূর্ব্বর্তী আকাবিরদের মুশরিক, কুফুরী আকিদাগ্রস্থ, বিদয়াতি ইত্যাদি ইত্যাদি বলেছেন। এমন কি কয়েক জন অত্যন্ত মূর্খকে দেখেছি তারা ইবনে মাসঊদ রদিয়াল্লহু আ’নহু কে ছাড় দেয় নি। আমি নিজে এক ছাগলকে ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লহ আ’লাইহি কে কাফের বলতে শুনেছিলাম। ঐ ছাগল বলেছিল ইমাম আবু হানিফা রহমল্লহ আ’লাইহি নাকি মুহাম্মাদী দ্বীন বিকৃত করেছে তাই সে কাফের। এই সব লোককে ছাগল বললে ছাগলেরও অপমান হয়।

    আল্লহ তায়া’লা আমাদের এই সব মুর্খদের মুর্খতাোথেকে হেফাযত ফরমান।

  2. “নবী হওয়ার পূর্বে মুছা(আ.) দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।”

    কয়েকদিন আগে মারিফুল কোরআনে এর প্রসঙ্গে পড়েছিলাম। সেখানেও প্রায় এমনই বলা হয়েছিলো। যে লোকটি কতল হয়েছিলো তার দোষ ছিলোনা বরং হযরত মুসা আঃ অপর ব্যক্তির প্ররোচনায় রেগে আঘাত করলে লোকটি মৃত্যুবরন করেন। পরে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আঃ কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
    মাওলানা মওদুদীর এই উক্তিকে ধৃষ্টতা বলা যায় কিনা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করবেন কারণ এটাকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা যায়। সবচাইতে বড় কথা হলো আমরা এমন একজন ব্যক্তির ব্যপারে আলাপ করছি যিনি এই দুনিয়াতে নেই এবং যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। আমিন।

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম,

    আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদা হোলো , সমস্ত নবীগন নিস্পাপ । আপনি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন সেক্ষেত্রে আশা ছিল আপনি এটা জানবেন ।
    আর মুসা( আ:) এর ঘটনাটা হোলো । কিছু কিছু নবীকে খেলাফত দেয়া হয়েছিল যাদের শাসন কার্য পরিচালনা করার অনুমতি ছিল । যেমন মুসা (আ:) , দাউদ (আ:) , সুলায়মান (আ:) , রসুলুল্লাহ (সা:) । ওনাদের সবারই বিচার করার ক্ষমতা ছিল । সেই কিবতী ছিল দোষী এবং মুসা(আ) তার বিচার করেছিলেন । সেই বিচারে সে মারা গেলে তার জন্য মুসা(আ:) গোনাহগার হবেন না । আর কোরআন শরীফে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা অনেক নবীকে মৃদু তিরস্কার করেছেন । আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের স্কলারদের আকীদা হোলো এই তিরস্কার আল্লাহ তাআলা করতে পারেন , কিন্তু আমরা সেই ভাবে বলতে পারি না ।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    ঘটনাটা কোন সুরায় বর্ণিত রয়েছে ঠিক মনে করতে পারছি না। সুরার নাম এবং আয়াতের নম্বর বলতে পারবেন?

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদা হোলো , সমস্ত নবীগন নিস্পাপ । আপনি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন সেক্ষেত্রে আশা ছিল আপনি এটা জানবেন ।

    মাদ্রাসায় আমি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আক্বীদা সম্পর্কে কিছুই পড়িনি। এমনকি “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ” শব্দটিও সে সময় শুনিনি। আমি কওমী মাদ্রাসায় পড়িনি, পড়েছিলাম আলীয়া মাদ্রাসায়। ফেনীতে অবস্হিত মাদ্রাসাটি জামাত-শিবিরের ঘাটি বললেও কম বলা হবে। শিবির করে অথচ ঐ মাদ্রাসার নাম শুনেনি এমন লোক খুব কমই আছে। সৌভাগ্য বলেন আর দুর্ভাগ্য বলেন, আমি তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। সক্রিয়ভাবে কখনো শিবির না করলেও সেখানকার বড় ভাইদের সুবাদে মাওলানা মওদুদীর অনেক বই পড়া হয়েছে।
    আজ যেভাবে উনাকে পেশ করা হয়েছে সেভাবে আর কেউ পেশ করেনিতো তাই একটু থমকে গিয়েছিলাম। যাই হোক তিনি যদি এমন গর্হিত কোন কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই উনি তার শাস্তি পাবেন আর যদি ব্যাখ্যাকে ডাইভার্ট করে ভুল ভাবে পেশ করে থাকেন তাহলে আপনারা শাস্তি পাবেন। মাওলানা মওদুদীর মতো আলিমকে যাচাই করার বা সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার নেই তাই গ্যালারীতে ফিরে গেলাম।

    আল্লাহ তায়ালাই সর্বজ্ঞাতা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমিন।

    রাশেদ

    @হাফিজ,

    Surah Qasas (28)

    Verse No : 14
    وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَاسْتَوَىٰ آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا ۚ وَكَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

    যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়স্ক হয়ে গেলেন, তখন আমি তাঁকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানদান করলাম। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

    When he reached full age, and was firmly established (in life), We bestowed on him wisdom and knowledge: for thus do We reward those who do good.

    Verse No : 15
    وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَىٰ حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَٰذَا مِنْ شِيعَتِهِ وَهَٰذَا مِنْ عَدُوِّهِ ۖ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَىٰ فَقَضَىٰ عَلَيْهِ ۖ قَالَ هَٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ

    তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী।

    And he entered the city at a time when its people were not watching: and he found there two men fighting,- one of his own religion, and the other, of his foes. Now the man of his own religion appealed to him against his foe, and Moses struck him with his fist and made an end of him. He said: “This is a work of Evil (Satan): for he is an enemy that manifestly misleads!”

    Verse No : 16
    قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

    তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।

    He prayed: “O my Lord! I have indeed wronged my soul! Do Thou then forgive me!” So (Allah) forgave him: for He is the Oft-Forgiving, Most Merciful.

    Verse No : 17
    قَالَ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ

    তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, এরপর আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।

    He said: “O my Lord! For that Thou hast bestowed Thy Grace on me, never shall I be a help to those who sin!”

    Verse No : 18
    فَأَصْبَحَ فِي الْمَدِينَةِ خَائِفًا يَتَرَقَّبُ فَإِذَا الَّذِي اسْتَنْصَرَهُ بِالْأَمْسِ يَسْتَصْرِخُهُ ۚ قَالَ لَهُ مُوسَىٰ إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ

    অতঃপর তিনি প্রভাতে উঠলেন সে শহরে ভীত-শংকিত অবস্থায়। হঠাৎ তিনি দেখলেন, গতকল্য যে ব্যক্তি তাঁর সাহায্য চেয়েছিল, সে চিৎকার করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করছে। মূসা তাকে বললেন, তুমি তো একজন প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট ব্যক্তি।

    So he saw the morning in the city, looking about, in a state of fear, when behold, the man who had, the day before, sought his help called aloud for his help (again). Moses said to him: “Thou art truly, it is clear, a quarrelsome fellow!”

    Verse No : 19
    فَلَمَّا أَنْ أَرَادَ أَنْ يَبْطِشَ بِالَّذِي هُوَ عَدُوٌّ لَهُمَا قَالَ يَا مُوسَىٰ أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ ۖ إِنْ تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ جَبَّارًا فِي الْأَرْضِ وَمَا تُرِيدُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْمُصْلِحِينَ

    অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রুকে শায়েস্তা করতে চাইলেন, তখন সে বলল, গতকল্য তুমি যেমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, সে রকম আমাকেও কি হত্যা করতে চাও? তুমি তো পৃথিবীতে স্বৈরাচারী হতে চাচ্ছ এবং সন্ধি স্থাপনকারী হতে চাও না।

    Then, when he decided to lay hold of the man who was an enemy to both of them, that man said: “O Moses! Is it thy intention to slay me as thou slewest a man yesterday? Thy intention is none other than to become a powerful violent man in the land, and not to be one who sets things right!”

    Verse No : 20
    وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَسْعَىٰ قَالَ يَا مُوسَىٰ إِنَّ الْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَاخْرُجْ إِنِّي لَكَ مِنَ النَّاصِحِينَ

    এসময় শহরের প্রান্ত থেকে একব্যক্তি ছুটে আসল এবং বলল, হে মূসা, রাজ্যের পরিষদবর্গ তোমাকে হত্যা করার পরমর্শ করছে। অতএব, তুমি বের হয়ে যাও। আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী।

    And there came a man, running, from the furthest end of the City. He said: “O Moses! the Chiefs are taking counsel together about thee, to slay thee: so get thee away, for I do give thee sincere advice.”

    Verse No : 21
    فَخَرَجَ مِنْهَا خَائِفًا يَتَرَقَّبُ ۖ قَالَ رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

    অতঃপর তিনি সেখান থেকে ভীত অবস্থায় বের হয়ে পড়লেন পথ দেখতে দেখতে। তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা কর।

    He therefore got away therefrom, looking about, in a state of fear. He prayed “O my Lord! save me from people given to wrong-doing.”

    ====

    এই ঘটনার সময় কি মুসা (আ:) এর বিচার করার ক্ষমতা ছিল? ব্যাখ্যা করলে ভাল হয়।

  3. মওদুদীর সবচে’ বিতর্কিত গ্রন্থ “খেলাফত ও রাজতন্ত্র” পড়েছিলাম । এই বই এর সমালোচনার জবাবে মওদুদী আরো একটা বই লিখেছিলেন, সেটাও পড়েছি। তো মওদুদীর যুক্তিগুলোও অগ্রাহ্য করা যায় না।

    দেশী৪৩২

    @তালহা তিতুমির,কাদিয়ানি ও খারিজিদের অনেক যুক্তিও আমাদের কাছে অগ্রাহ্য বলে মনে হবে না।দেখতে হবে কথা গুলি সাহাবা(রাঃ)গন, তাবেইন বা তাবেতাবেইন কেউ বলেছেন কিনা ? তা না হলে আমরা ”সিরাতুল মুসতাকিম” পাবো কোথ্যেকে ? আমি এক ওয়েব সাইট এ পেলাম-”mawdudi is the importer of wahabism in our subcontinental”

    হাফিজ

    @দেশী৪৩২ , সহমত ।

    মওদুদী ও ওহাবী একসুত্রে গাথা । দেখুন “দেওবন্দীদের” যখন সর্বেশ্বরবাদী বলা হোলো তখন সেটা গীবত হয় না , তখন ইসলামে তাদের অবদান স্বীকার করা হয় না , কিন্তু মওদূদী সম্বন্ধে বলা হলে সেটা হয় গীবত , তার ইসলামিক অবদানকে খাটো করা । কেননা ওহাবী ঘরানার ব্লগারদের নিকট বৃটিশ স্পাই আব্দুল ওহাব নজদী ও মাওলানা মওদুদী দুইমাত্র মোজাদ্দেদ।

    এবার মওদুদীর কিছু আকীদা দেখুন:

    হযরত ওসমান (রা:) স্বজনপ্রীতি করেছে , রসুলুল্লাহ (সা:) ভুলত্রুটি করেছেন (নাউজুবিল্লাহ) , মোআবিয়া (রা:) অযোগ্য শাসক , আমি নিজে কোরআন যা বুঝেছি সেই অনুযায়ী তফসীর করেছি , কিছু কিছু বিষয় আমার আগে এই পৃথিবীতে কেউ বোঝে নি …. এই উক্তিগুলো কার ? সব মওদুদীর লেখা !!!

    যে রসুলের (সা:) জীবনের সাথী সাহাবীদের সমালোচনা করল , সেটা গীবত হোলো না আর সেই মওদুদীর সমালোচনা করলে সেটা হয় গীবত ।

    নিজের দল প্রতিষ্ঠার পর বহু বছর লেগেছে মওদুদীর শুধু দাড়ি রাখতে । মহিলা নেতৃত্ব হারাম ফতোয়া দেয়ার পর সে মহিলা নেত্রী ফাতেমা জিন্নাহর সাথে রাজনীতি করেছে , সেটা নিশ্চয়ই ইতিহাস ভুলে যায় নি ।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    মওদুদী ও ওহাবী একসুত্রে গাথা । দেখুন “দেওবন্দীদের” যখন সর্বেশ্বরবাদী বলা হোলো তখন সেটা গীবত হয় না , তখন ইসলামে তাদের অবদান স্বীকার করা হয় না , কিন্তু মওদূদী সম্বন্ধে বলা হলে সেটা হয় গীবত , তার ইসলামিক অবদানকে খাটো করা ।

    গীবত কোন কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে না। যদি গীবত হয় তো দুটোই গীবত! ওরা গীবত করেছে তাই কি আমরাও গীবত করবো? আমাদের এই গীবত কি হালাল?

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম,

    যখন কোনো একজনের দ্বারা অন্যরা পথভ্রষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে তখন তার সে আকীদা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেয়া গীবত হবে না । আপনি যদি দেখেন কেউ ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা অনেকেই সরল মনে বিশ্বাস করছে তখন কি সেটা প্রকাশ করে দেয়া আলেমদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না ? আলমেরা সেটাই করেছে এবং আমরা তাদেরটাই আলোচনা করছি ।

    “সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ” এর এটাও একটি অংশ ।

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম,
    গীবত কোন কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে না। যদি গীবত হয় তো দুটোই গীবত!

    ইমাম নববীর(রহ:) এর রিয়াদুস সালেহীন পড়ে দেখতে পারেন , উনি খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন ৬ টি কারনে অপরের গীবত করা যায় ।

    তার মধ্যে একটি হোলো যাদের আকীদায় বা কর্মকান্ড অপরকে বিভ্রান্ত করে সেটা মানুষের মাঝে কেউ যদি প্রকাশ করে দেয় সেটা গীবত হবে না ।

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম, আপনাকে একটি ছোট প্রশ্ন ?

    আপনি কি মওদুদীর “খেলাফত ও রাজতন্ত্র” বইটি পড়েছেন ?

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম,

    আপনার গীবতের কথায় এই লাইনটি তুলে ধরলাম :

    যে রসুলের (সা:) জীবনের সাথী সাহাবীদের সমালোচনা করল , সেটা গীবত হোলো না আর সেই মওদুদীর সমালোচনা করলে সেটা হয় গীবত ।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    ভাই, সবই গীবত। ওরা করলে করুক না! আমাদের করার দরকার কি? শুধু শুধু গুনাহের কাজ করে লাভ কি?

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম, ভাই আপনাকে একটি অনুরোধ , আপনি “খেলাফত ও মুলুকিয়ত” বইটি এবং এ বই এর উত্তর দুটি পড়বেন । আশাকরি আপনার ধারনা পাল্টে যাবে ।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    যদি সময় পাই, পড়বো।
    খুশির খবর! আগামী কাল চাকরীর একটা অফার এসেছে একটি আইটি ফার্ম থেকে।
    দোয়া করবেন যদি কোন ঈমানী পরীক্ষা আসে তাতে যেন পাশ করতে পারি। :)

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম, চাকরীর খবর কি জানাবেন ।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    এখনো পেন্ডিং হয়ে আছে। ২দিন পর জানাবে বলেছে। ইনশাআল্লাহ, সব ঠিক হয়ে যাবে আশা রাখি।

    Anonymous

    @হাফিজ, দেখুন “দেওবন্দীদের” যখন সর্বেশ্বরবাদী বলা হোলো তখন সেটা গীবত হয় না ,
    আসলেই হয় না। বরং মিথ্যা অপবাদ হয় :)

    হাফিজ

    @তালহা তিতুমির, মওদুদীর যুক্তিগুলো আপনি অস্বীকার করতে পারেবেন না , এর জন্য আপনার সেই সব ইসলামিক স্কলারদের লেখা পড়তে হবে যারা এর জবাব দিয়েছেন । আপনি কি মাওলানা তকী ওসমানীর “ইতিহাসের কাঠগড়ায় আমীর মোয়াবিয়া” আর শামসুল হক ফরীদপুরী (রহ:) এর “ভুল সংশোধন” পড়েছেন ? তাহলে আপনি মওদুদীর যুক্তিগুলোর সব উত্তর পাবেন ।

    মাহমুদ

    @তালহা তিতুমির, মওদুদীর সবচে’ বিতর্কিত গ্রন্থ “খেলাফত ও রাজতন্ত্র” পড়েছিলাম । এই বই এর সমালোচনার জবাবে মওদুদী আরো একটা বই লিখেছিলেন, সেটাও পড়েছি। তো মওদুদীর যুক্তিগুলোও অগ্রাহ্য করা যায় না।

    সমালোচনার জবাবে লিখিত বইটি মাওলানা মওদুদীর নয়, সেটি ছিল মাওলানা মওদুদীর একান্ত সহকারী জাষ্টিস মালিক গোলাম আলীর। কিন্তু তার যুক্তিগুলোও শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি।

  4. দক্ষিণ এশিয়ায় বিতর্কিত হলেও আধুনিক বিশ্বের অনেক মুসলিম নেতাই মওদুদীর চিন্তা-ভাবনাকে গ্রহণ করেছেন। উইকিপিডিয়ায় মওদুদী সম্পর্কে পড়তে গিয়ে নিচের তথ্যগুলো পেলাম—-
    Mawdudi’s influence was widespread. According to historian Philip Jenkins, Egyptians Hassan al-Banna and Sayyid Qutb read him. Qutb “borrowed and expanded” Mawdudi’s concept for being a modern as well as pre-Muhammadan phenomenon, and of the need for an Islamist revolutionary vanguard movement. His ideas influenced Abdullah Azzam, the Palestinian Islamist jurist. The South Asian diaspora, including “significant numbers” in Britain, were “hugely influenced” by Mawdudi’s work. Mawdudi even had a major impact on Shia Iran, where Ayatollah Ruhollah Khomeini is reputed to have met Mawdudi as early as 1963 and later translated his works into Farsi. “To the present day, Iran’s revolutionary rhetoric often draws on his themes.” [44]After Imam Ibn Taymiyyah He is the second thinker who influenced the Muslim Political thinking in The Modern day world.”[45]

    Mostly, however, Mawdudi influenced South Asia. In Pakistan, Jamaati party members joined Pakistan’s military and intelligence establishments in large numbers, which were “rife with hard-line Islamist views” by the 1970s.[44]

    হাফিজ

    @তালহা তিতুমির,

    দক্ষিণ এশিয়ায় বিতর্কিত হলেও আধুনিক বিশ্বের অনেক মুসলিম নেতাই মওদুদীর চিন্তা-ভাবনাকে গ্রহণ করেছেন।

    ওহাবী ঘরানার সিডো সালাফী, আহলে হাদিস এর আলেমরা গ্রহন করেছে । আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আলেমরা গ্রহন করেনি ।

    তুরস্ক থেকে প্রকাশিত “ওয়াকফ এখলাস” প্রকাশনী প্রমান করে দিয়েছে মওদুদী হোলো বিংশ শতাব্দিএর রিফর্মিস্ট ।

    মাহমুদ

    @তালহা তিতুমির, ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামী গঠনের সময়তো আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ), মনজুর নোমানী (রহঃ) এদের মত অনেক যুগশ্রেষ্ঠ স্কলার সংশ্লিষ্ট থাকলেও জামায়াতে ইসলামী-ই পৃথিবীতে একমাত্র সংগঠন যার প্রতিষ্ঠাকালীন সকল সদস্যই পরবর্তীতে উক্ত সংগঠন ত্যাগ করেছিলেন।

    হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী (রহঃ), হুসাইন আহমাদ মাদানী (রহঃ), শাব্বীর আহমাদ উসমানী (রহঃ), মুফতী শফী (রহঃ), জাকারিয়া (রহঃ), ক্বারী তৈয়ব (রহঃ) সহ সমসাময়িক প্রায় সকল স্কলারই জামায়াতে ইসলামীকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

  5. সুজনে সুযশ গায়, কুযশ ঢাকিয়া
    কুজনে কুরব করে, সুরব নাশিয়া ।।

    এই ব্লগে দেওবন্দি কিংবা তাবলিগীদের সমালোচনা করলে খবর আছে, পোস্ট পর্যন্ত মুছে দেওয়া হতে পারে। সালাফিরাও দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বেচারা মওদুদীর রক্ষা নাই। রীতিমতো সিরিজ আকারে গীবত চলছে, আউট অফ কনটেক্সট (প্রসঙ্গবহির্ভুতভাবে) এখান থেকে এক লাইন ওখান থেকে এক লাইন তুলে এনে।

    বিদেশে পড়তে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্র সমিতির অফিসে প্রথম যখন গেলাম, দেখলাম সেখানকার মুসলিম বন্ধুরা যে বইখানা নতুন ছাত্রদের হাতে তুলে দিচ্ছেন তা সাইয়েদ মওদুদীর লেখা। মনে মনে বেশ একটু হাসি পেয়েছিলো – ভাবা যায় বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ধারার নবীনবরণ ?

    মাহমুদ ভাই কি সামহোয়্যারইন-এর ইবনে হাবীব? একই লেখা ওখানেও দেখিতো,তাই বললাম। আবার ঐ লোকেরও পুরো নাম ‘মাহমুদ বিন হাবীব’। তাই যদি হয়, আপনি বরং আপনার মহান চরমোনাইয়ের পীর নিয়ে সিরিজ লিখুন, আমরা পড়ে ধন্য হই।

    মেরিনার

    @মুসলিম, সহমত! (F)

    আমার জীবনে ইসলামের উপর পড়া, সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ একটি বই হচ্ছে Let us be Muslims – যার লেখক মৌলানা মৌদুদী। আমি এই পোস্টে মন্তব্য করতে চাইনি – তবে আপনার মন্তব্যটা দেখে ইচ্ছা করলো আপনাকে “সহমত” জানাই। মৌদুদীর অনেক ত্রুটি ছিল – মানুষ হলে থাকতেই পারে। তবে বিশ্বের মানচিত্রে ইসলামের জন্য তার অবদান কতটা সমাদৃত, তা “কুয়ার ভিতরে” থেকে না জানারই কথা! উদাহরণস্বরূপ তাফহীমুল ক্বুর’আনের যে ভূমিকা তাতে, “কুর’আন কি”? – সে ব্যাপারে যে বক্তব্য রয়েছে, এর চেয়ে সুন্দর কোন ব্যাখ্যা এখনো দেখিনি। অবিশ্বাসীরা, ইসলাম কেন slavery banned করেনি – এ নিয়ে সব সময় মুসলিমদের বেকায়দায় ফেলতে চায়। এ বিষয়ে মৌদুদীর ব্যাখ্যা পৃথবী সেরা। “মালফুজাত” পড়া ‘আলেমদের দ্বারা এরকম কিছু produce করা এখনো সম্ভব হয়নি। আমি জামাত-শিবির করি নি বা করি না – বরং তাদের একরকম ভ্রান্তই মনে করি – তথাপি মৌদুদীর অবদান বা এমন কি এদেশের মানুষকে ইসলামী চেতনায় উদ্ধুদ্ব করার ব্যাপারে তাদের অবদানও অনস্বীকার্য ।

    মুসলিম

    @মেরিনার,

    ধন্যবাদ। (F) নিঃসন্দেহে সাইয়েদ মওদুদী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর তেজস্বী লেখনী দিয়ে বিপুলসংখ্যক মুসলিম তরুণকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করে তুলেছেন। তিনি দিয়েছেন এমন অনেক যুগজিজ্ঞাসার জবাব – যা বহু শেকড়সন্ধানী মুসলিমকে অনুপ্রাণিত করেছে, আর ইসলামবিদ্বেষীদের হতাশ করে ছেড়েছে। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর মুসলিম দেশগুলোতে বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের সূচনাতে উসতাদ মওদুদীর অবদান কেউ কোনদিন অস্বীকার করতে পারবেনা।

    নোট: আমাকেও পাছে কেউ জামাত/শিবির বলে বসেন, তাই বলি – আমি তাদের সাথে যুক্ত নই। তবে আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি, বিশেষ করে মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই।

    আর একটা কথা: এই ব্লগেই একবার জামাতিদের “শিয়াদের দালাল” বলে গালি দেয়া হয়েছিল, এবার বলা হচ্ছে “ওয়াহাবী”। শুনে হাসি পেল। হানিফ সংকেতের একটা কৌতুক আছেনা — “এই তুই আবুলকে চিনিস ? কোন আবুল ? আরে ঐ যে লম্বা করে, বেঁটে মতন লোকটা..” হ্যাঁ ভাই, আবুল যেমন একই সঙ্গে লম্বা এবং বেঁটে, মওদুদীও তেমনি একই সঙ্গে ডায়ামেট্রিক্যালি অপোজিট শিয়া এবং ওহাবী !!! সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ।

    দ্য মুসলিম

    @মুসলিম,

    তবে আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি, বিশেষ করে মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই।
    সহমত।
    তাদের প্রচুর ভুল রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তারা প্রয়োজনীয় আমল ছেড়ে দিয়েছে এটা সত্য কথা। জানিনা, হয়তো এই গর্হিত কাজের কারণে আজ তাদের এই অবস্হা।
    কিন্তু তারা এমন কিছু সম্ভব করে দেখিয়েছে যা অস্বীকার করা যায় না। যদি মুল ট্র্যাকে ফিরে আসে হয়তো তাদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু আশা করা যেতে পারে।

    মুসলিম

    @দ্য মুসলিম,

    >>ধীরে ধীরে তারা প্রয়োজনীয় আমল ছেড়ে দিয়েছে এটা সত্য কথা। জানিনা, হয়তো এই গর্হিত কাজের কারণে আজ তাদের এই অবস্হা।
    <<

    একমত হতে পারলামনা। "আজ তাদের এই অবস্থা" কারণ সেকুলার শক্তি তাদেরকেই সবচেয়ে বড় বাধা মনে করে, এবং তাদেরকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে, এবং তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে আছে। কিন্ত তাদের নেতারা প্রয়োজনীয় আমল ছেড়ে দিয়েছেন বলে শুনিনি। এছাড়া পত্রিকায় যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে জামায়াত-বহির্ভূত আলেমরাও কিছুটা যেন জামায়াতের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে পড়ছেন (যেমন মওলানা মুহিউদ্দিন খান)। ঐক্য মুসলিমদের জন্য ভাল। অবশ্য আমিতো বিদেশে থাকি, আপনি হয়তো আমার চেয়ে ভাল জানবেন।

    দ্য মুসলিম

    @মুসলিম,

    ১৯৯৭ সাল থেকে জামাত-শিবিরের মধ্যেই বড় হয়েছি। তখন থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করা হলে ওদের যে অধঃপতন হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে বলে দেয়া যায়। আগে শিবিরের সাথী হতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো এবং তা আমার নিজের চোখে দেখা। কিন্তু এখন সাথী হতে গেলে না আমল দরকার আর না এলেম দরকার। এমন সব ছেলে শিবিরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে যে একটি ইসলামী দলের মধ্যে এধরণের কর্মী মোটেই কাম্য নয়।

    “আজ তাদের এই অবস্থা” কারণ সেকুলার শক্তি তাদেরকেই সবচেয়ে বড় বাধা মনে করে, এবং তাদেরকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে, এবং তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে আছে।
    এক্ষেত্রে আমি পুরোপুরি একমত। তবে এটি দ্বিতীয় কারণ। সরাসরি কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করার কারণে আমি প্রার্থক্য বুঝতে পারি।

    মেরিনার

    @দ্য মুসলিম,

    তাদের প্রচুর ভুল রয়েছে এবং ধীরে ধীরে তারা প্রয়োজনীয় আমল ছেড়ে দিয়েছে এটা সত্য কথা।

    একমত ও সহমত! (F)
    কিন্তু জামাতের জন্মলগ্নে (১৯৩৮ বা তার আশ পাশের সময়গুলোতে) পাক-ভারত উপমহাদেশের সনাতন আলেমরা যে মৌলানা মৌদুদীর বিরোধিতা করেছিলেন তা মূলত ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে – কোন সুচিন্তিত বিচার বিবেচনার ভিত্তিতে নয়। এখনো অবস্থটা তাই রয়ে গেছে। তবে এখন জামাতকে ইসলামপন্থী না বলে “তিজারাহপন্থী” দল বললেই হয়তো বর্ণনাটা সঠিক হবে! যাদের “টাকা-পয়সা” ও “সম্পদে” “ইয়াক্বিন”/ভরসা, জামাতের “তিজারায়” সাফল্য দেখে তাদেরই গা জ্বলে যাচ্ছে – মনে হচ্ছে জামাত কি জানি কি করে ফেলবে। অথচ, যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুত বিজয়ের শর্ত জানেন – তারা এক নজরেই বুঝবেন যে, জামাতকে দিয়ে আর যাই হোক “ইসলাম হবার নয়।” সেদিক থেকে ইসলামের শত্রুরা জামাত নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারতো। কিন্তু তারা যেহেতু “বস্তুবাদী” – সেহেতু জামাতের বস্তু প্রাপ্তিকেই তারা সাংঘাতিক কিছু মনে করছে!

    মেরিনার

    দুঃখিত, উপরে আমার মন্তব্যে: “সেদিক থেকে ইসলামের শত্রুরা জামাত নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারতো।” -এই বাক্যে, শব্দটা “নিশ্চিন্ত” হবে, “নিশ্চিত” নয়!

    মাহমুদ

    ভাই, মেরিনার, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ…..
    আহলান ওয়া সাহলান, আমার পোষ্টে কমেন্ট করার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। হ্যা, মাওলানা মওদুদীর কিছু অবদানকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, সেটা যেমন ঠিক তেমনি এটাও ঠিক যে এক বালতি দুধকে নাপাক করার জন্য এক ফোটা নাপাকীই যথেষ্ট। হাজ্জাজ বিন ইউসুফও কিন্তু ইসলামের জন্য কম করেননি, আবার রাসুলের প্রিয় সাহাবাদের নির্দয়ভাবে হত্যাও করেছেন।

    দ্য মুসলিম

    @মেরিনার,

    ১৯৯৭ সালের জামাত এবং বর্তমানের জামাতের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ভাবলেই খারাপ লাগে। একসময় তাদের নাম শুনে যে কোন রাজনীতিক দল বা দলের কর্মী থরথর করে কাঁপতো। তাদের মধ্যে দলের জন্য যে ভালোবাসা দেখেছিলাম তার চিহ্নমাত্র ও আজকাল দেখা যায় না। ঠিক বলেছেন আপনি, বর্তমানে যেভাবে চলছে এভাবে চললে তাদের দ্বারা আর যাই হোক অন্তত ইসলাম হবার নয়। তবে বর্তমানে মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ জানাবে এমন দল আর অবশিষ্ট নেই। ইসলামী শাসন তন্ত্র অবশ্য আজকাল কিছুটা সক্রিয়। জামাত-শিবির যদি আগের মতো থাকতো তাহলে ইসলামের উপর সরাসরি আক্রমণ করার সাহস কেউ পেত না।

    Anonymous

    @মেরিনার, কিন্তু জামাতের জন্মলগ্নে (১৯৩৮ বা তার আশ পাশের সময়গুলোতে) পাক-ভারত উপমহাদেশের সনাতন আলেমরা যে মৌলানা মৌদুদীর বিরোধিতা করেছিলেন তা মূলত ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে – কোন সুচিন্তিত বিচার বিবেচনার ভিত্তিতে নয়। এখনো অবস্থটা তাই রয়ে গেছে।
    কথাটা শতভাগ ভুল। বরং ইতিহাস বলে, তখন কার আলীম সমাজ আল-ফুরকানে মাওলানা (?) মওদুদীর প্রবন্ধগুলো দেখে আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। ইদবেলিত হয়েছিলেন। বাহবা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভুলগুলো যখন বের হতে লাগল উলামা কেরাম সংশোধনের অন্য অনেক বই পুস্তক লিখেছেন। কিন্তু এরপরও উনি সংশোধন হননি। বরং একের পর এক আরও ভুল করতেই থাকলেন। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু মানুষের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল মানুষ ভুল সংশোধনও করে। অপর দিকে শয়তানের বৈশিষ্ট হল ভুল করে কিন্তু ভুল সংশোধন করে না। তখনকার উলামা কেরাম সুচিন্তিত ভাবে করেছেন বলেই মওদুদীর অনেক কাছের লোক এমন কি জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রায় ৭০ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জামাতে ইসলামী ত্যাগ করেন।

    জাযাকাল্লহ

    হাফিজ

    @Anonymous,

    
কথাটা শতভাগ ভুল। বরং ইতিহাস বলে, তখন কার আলীম সমাজ আল-ফুরকানে মাওলানা (?) মওদুদীর প্রবন্ধগুলো দেখে আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। ইদবেলিত হয়েছিলেন। বাহবা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভুলগুলো যখন বের হতে লাগল উলামা কেরাম সংশোধনের অন্য অনেক বই পুস্তক লিখেছেন। কিন্তু এরপরও উনি সংশোধন হননি। বরং একের পর এক আরও ভুল করতেই থাকলেন। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু মানুষের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল মানুষ ভুল সংশোধনও করে। অপর দিকে শয়তানের বৈশিষ্ট হল ভুল করে কিন্তু ভুল সংশোধন করে না। তখনকার উলামা কেরাম সুচিন্তিত ভাবে করেছেন বলেই মওদুদীর অনেক কাছের লোক এমন কি জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রায় ৭০ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জামাতে ইসলামী ত্যাগ করেন।

    আপনার বক্তব্যের সাথে ১০০% সহমত। মাওলানা মনজুর নোমানী ছিলেন মাওলানা মওদুদীর প্রথম দিককার সাথী এবং জামাতের প্রতিষ্ঠালগ্নের সহকারী । তিনি অনেকে চেষ্টা করেছিলেন মওদুদীর আমল ঠিক করার জন্য । পরবর্তিকালে জামাত এবং মওদুদী কোনো সংশোধনের চেষ্টা না করাতে উনি দল ত্যাগ করেন এবং বই লেখেন “মাওলানা মওদুদীর সাথে সাহচর্যের ইতিবৃত্ত” ।
    শামসুল হক ফরীদপুরী (রহ:) মওদুদীর ভুলগুলো নিয়ে তাকে চ্যালেন্জ করে এবং মওদুদী কথা দেন বাংলাদেশে এসে তার সাথে দেখা করবেন । পরবর্তিতে মওদুদী বলে দেন “মওদুদীর কলম থেকে যা বের হয় , তা ঠিকই বের হয়” ।
    মওদুদীকে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের অনেকে আলেমে চ্যালেন্জ করেছিল তার বক্তব্য নিয়ে । কিন্তু কোনোদিনই তিনি সে আহবানে সাড়া দেননি ।

    মেরিনার

    @Anonymous,

    তখন কার আলীম সমাজ আল-ফুরকানে মাওলানা (?) মওদুদীর প্রবন্ধগুলো দেখে আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। ইদবেলিত হয়েছিলেন। বাহবা দিয়েছিলেন।

    তখনকার উলামা কেরাম সুচিন্তিত ভাবে করেছেন

    আপনার এই দু’টো লাইন একত্রে সত্য হতে পারে না!

    বাংলা মৌলভী

    @মেরিনার ভাই আপনাকে তো আমি সালাফীদের খালেস ভক্ত মনে করতাম। যাই হোক আপনি মতিউর রহমান সাহেবের বয়ান কোড করে তাবলিগী ও দেওবন্দী বিভ্রান্তির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু আশ্চার্য লাগে উনিযে মওদুদীবাদের ব্যাপারে আরো বেশী সমালোচনা করেছেন তা যখান আপনার দৃষ্টির বাইরে রয়ে গেল তা দেখে।
    মতিউর রহমান সালাফী সাহেবের লেকচার দেখুন জামাতের ব্যপারে ।
    আমি কিন্তু আমার নিজের ব্যপারেও স্বাক্ষীদিতে ভুল করবো না, আমি যদি গলত করি তা আমাকে স্বীকার করতে হবে এই নীতিতে চলা উচিত।

    Anonymous

    @মেরিনার,হ্যাঁ ভাই/বোন আপনি ঠিকই বলেছেন। দুটো কথা একত্রে সত্য ছিল না। মাওলানা (?) মওদুদীর প্রথম দিককার প্রবন্ধগুলো ছিল ইসলামী জযবার উপরে। মওদুদীকে আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়া’লা লেখার গুণও দিয়েছিলেন অনেক। আমি তাঁর মেধাকে অস্বীকার করছি না। তাঁর লেখার সাহিত্যিক মান এবং দৃষ্টিভঙ্গী তৎকালীন উলামাকেরামদের মাঝে আলোরন সৃষ্টি করেছিল। মাওলানা মানযুর নোমানী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর কিতাবটা পড়লেই আপনি বুঝবেন। আমার ধারণা বাংলা কিতাব সাইটে কিতাবটার সফট কপি পাওয়া যাবে। তখনও তিনি আকীদা ও তরীকার উপরে লেখা শুরু করেননি। বরং তখনকার লেখা গুলো ছিল ইসলামী জযবা, শাসনতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা, উম্মতের ঐক্যমতের উপরে এবং সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজনীয়তার উপরে।

    কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্রের এবং সংগঠনের পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক মনগড়া কথা বলে ফেলেছেন। আমাদের দ্বীনের মূল ভিত্তি সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের ব্যাপারে ভুল আকীদা পোষণ করেছেন। কুরআনের তাফসীর করতে গিয়ে অনেক আপত্তিকর কথা ও কাজ করে ফেলেছেন। উলামা কেরাম সংশোধন করে দেয়া সত্ত্বেও উনি সংশোধন হননি। বরং উনার নিজ কথার সমর্থনে আরো ভয়াবহ কাজ করে ফেলেছেন। এবার তিনি নবী ও রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম দের শানেও বেয়াদবী মূলক কথা বলে ফেলেছেন। পুর্ব্বর্তী বুজুর্গদের তো তুলোধুনো করেছেনই।

    উনার প্রত্যেক কাজ ও কথা আমি বিরোধিতা করছিনা। কিছু কিছু ব্যাপারে উনি অনন্য ছিলেন কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আল্লহ তায়া’লা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম শানে বেয়াদবী করা মানুষ কে দ্বীন থেকে খারিজ করে দেয়। ইমাম মালেক রহমাতুল্লহ আ’লাইহি সাহাবাহ দের শানে খারাপ আকিদাহ পোষণ কারীর উপর কুফুরীর ফতওয়া দিয়েছেন। আমি আগেই বলেছি মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু মানুষের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল মানুষ ভুল সংশোধনও করে। যেমন আদাম আ’লাইহিস সালাম প্রথম ভুলকরনেওয়ালা আবার প্রথম ভুল সংশোধনকরনেওয়ালাও বটেন। অপর দিকে শয়তানের বৈশিষ্ট্য হল ভুল করে কিন্তু ভুল সংশোধন করে না। মওদুদী ঠিক এই কাজটাই করেছেন। তাই উনার কোন জিনিসই আর গ্রহণযোগ্য নয়।

    আমার মনে হয় আমি এবার ঠিকমত বলতে পেরেছি।

    ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন আশাকরি।

    মাহমুদ

    @মুসলিম,
    রীতিমতো সিরিজ আকারে গীবত চলছে

    এর জবাবে হাফিজ ভাইয়ের উক্তিটিই তুলে দিলাম-
    যে রসুলের (সা:) জীবনের সাথী সাহাবীদের সমালোচনা করল , সেটা গীবত হোলো না আর সেই মওদুদীর সমালোচনা করলে সেটা হয় গীবত ।

    মাহমুদ

    @মুসলিম, সামহোয়্যারইন-এর ইবনে হাবীব আর পিস-ইন-ইসলামের মাহমুদ একই ব্যাক্তি হলেই বা কী আর না হলেই বা কী? এটা অপ্রাসাঙ্গিক। আপনি পারলে মাওলানা মওদুদি যে ভুল করেননি তা প্রমান করুন।

  6. সুন্দর ও তথ্যবহূল লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আশা করি লেখাগুলি পড়ে নব্য খারিজিদের সম্পর্কে সবাই সচেতন হতে পারবো ইনশাআল্লহ।

    হাফিজ

    @দেশী৪৩২, সহমত ।

    মাহমুদ

    @দেশী৪৩২, ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য নয়, মুসলিম ভাইদের ঈমানের হেফাজতের জন্য এগুলো তুলে ধরা আমার জন্য অপরিহার্য ছিল।

  7. ইসলামের ইতিহাসে অনেক বড়বড় ব্যক্তিত্বকে ছাড় দেয়া হয়নি, যমখশরীর কাশ্শাফ দরসে নিজামীতে পড়ানো হয়, এর অর্থ এই নয় যে তার সকল আক্বীদাকে আহলে সুন্নাহের আলোকে বলা হলো, হিট্টি আর মাইকেলদের ইতিহাস পড়া ব্যক্তিত্বদের ইসলামজ্ঞান যে তাদের বিদ্বেষভাবাপন্ন হবে তাই স্বাভাবিক। মাওলানা মওদুদীর স্ববিরোধীতা তার জীবনে একবার দুবারই নয় বহুবার, যাকারিয়্যা রহ: বা দেওবন্দীদের যে সমালোচনা ধরা যায় তা হলো তারা “অন্ধকার কুয়ার জীবন” ধারণ করেছেন অথচ ইতিহাসের কোন ব্যক্তিই কওমী মাদ্রাসার গোড়াপত্তনকারী ওয়ালীউল্লাহ দেহলভীদের বাদ দিয়ে উপমহাদেশের ইসলামকে ভাবতে পারে না। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের সময় জামাতের অস্তিত্বও ছিল না, ছিলনা লা মাযহাব আর বা মাযহাবের ইতিহাসও আজ সুবেলায় সুখকর বাতাস বহে !! সরকারের বাতিলমনস্কতার সাথে ঐক্যমত না হওয়ায় বাংলাদেশের জমীনে আজো যারা সরকারের দরবারে অবহেলীত, “কুয়ায়” বাস করে তাদের বাস্তবতা কখনোই ইহুদী-খৃষ্টান কল্পিত ইতিহাস ও ইসলাম পাঠকরা বুঝতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। ইংরেজের প্রনীত ইসলাম শিক্ষা, হিট্টি প্রনীত ইসলাম শিক্ষা করে কতটুকো দ্বীনে হানীফ বিস্তার ও বাস্তবায়ন করা যাবে তার জলজ্যান্ত ইতিহাস হলেন এই মওদুদী ও তার প্রতিষ্ঠিত জামাত ই ইসলামী।

    মেরিনার

    @বাংলা মৌলভী, তা ঠিক, তারা, অর্থাৎ আসাদ মাদানীর পূর্ব পুরুষরা তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সহ তখনকার সনাতন আলেমরা (আপনি যাদের কথা বলেছেন) “জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্যবিধাতা” গাইতে চেয়েছিলেন – চেয়েছিলেন ভারতমাতার ছত্রছায়ায় থাকতে। আমরাও বেঁচে যেতাম – বলতে পারতাম যে আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের নাগরিক; হোক না তা হরিজনের স্ট্যাটাস নিয়ে! বলতে পারতাম আমাদের হিমালয়, আমাদের গঙ্গা, আমাদের দার্জিলিং আরো কত কি? এভাবে তিলে তিলে মরতে হতো না। আমরা অবশ্য সেদিকেই যাচ্ছি – আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে আপনি হয়তো সে সব আলেমদের দূরদর্শিতার তারিফ করে যেতে পারবেন!

    বাংলা মৌলভী

    @মেরিনার, ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন ও দেওবন্দ চাপ্টার বাদ দিয়ে কেবল ভারত বিভাজন ই কি ইংঙ্গিত করেছি?
    পাকিস্তান আর বাংলাদেশে জামাত কতটা ইসলামী গেজেট পাশ করিয়েছে? গনতান্ত্রিক হেকমাতের কারনে তা সম্ভবো না তা বলবেন কিন্তু এই গনতন্ত্রকেই জামাত মৌখ্য এবং ইসলামী মনে করে । এ ব্যপারে শেখ মতিউর রহমান সালফীর দীর্ঘ ব্যাখা আছে । আপনি আহলে হাদীস দাবী করলে ওনার লেকচার টা শোনা উচিত।

    বাংলা মৌলভী

    @বাংলা মৌলভী, মাওলানা হোসাইন আহমদ দেওবন্দীর ওস্তাদ বা রাজনৈতিক শিক্ষক মাহমুদুল হাসান এর সময় তো “ভারত” ক্যাচাল ছিলনা, কিন্তু তিনি কেন ইংরেজের রোষানলে ছিলেন? তখন কি মওদুদী সাহেবদের অস্তীত্ব ছীল?

    মেরিনার

    @বাংলা মৌলভী, এতদিনে আপনার জানবার কথা যে আমি জামাতের সমর্থক না – আমি শুধু সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চেয়েছি! মৌদুদীর বহু দোষত্রুটি সত্ত্বেও – আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার লেখা-লেখি বা চিন্তাধারার প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। তাকে এবং সৈয়দ কুতুবকে গত শতাব্দীর সবচেয়ে influential মুসলিম স্কলার ধরা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা সঠিক ছিলেন – এমনকি সত্যিকার অর্থে তারা আদৌ স্কলার ছিলেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে! দেওবন্দের দারুল উলুম আর স্যার সৈয়দ আহমাদের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় – এই দু’টির ভিতর কোন পদক্ষেপটা সঠিক ছিল জানতে চাইলে আমি সব সময় বলবো দেওবন্দের পদক্ষেপ সঠিক ছিল – কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের ত্রুটিগুলো আমাকে বংশ পরম্পরায়ে বহন করে বেড়াতে হবে। তারা দ্বীনের carrier ছিলেন – ভুল-শুদ্ধ যাই হোক, আমাদের কাছে দ্বীনের যতটুকু এসে পৌঁছেছে, তাতে তাদের যে অবদান রয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আজ যদি আমরা বুঝি যে তাদের “আক্বীদাহ্” বা “মানহাজ” কোনটা রাসূলের(সা.) “আক্বীদাহ্” বা “মানহাজ” থেকে ভিন্ন – আমাদের তা সাথে সাথে শুধরে নেয়া উচিত।

    দ্য মুসলিম

    @মেরিনার,

    আমি শুধু সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চেয়েছি! মৌদুদীর বহু দোষত্রুটি সত্ত্বেও – আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার লেখা-লেখি বা চিন্তাধারার প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। তাকে এবং সৈয়দ কুতুবকে গত শতাব্দীর সবচেয়ে influential মুসলিম স্কলার ধরা হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা সঠিক ছিলেন

    সহমত!
    কয়েকদিন আগে মুসলিম শরীফের একটি হাদীসের শেষের অংশে পড়েছিলাম, আল্লাহ তায়ালা অনেক পাপাচারী আলেমের দ্বারাও মানুষকে হিদায়াত দিয়ে থাকেন। সেই প্রথম থেকে আমি ঢালাও ভাবে কারো বিরুদ্ধে কিছু বলার বিরোধী আমি। মৃত একজন মানুষ- তাকে নিয়ে টানাটানি করে কোন ধরণের ইসলাম প্রচার করছি আমরা আল্লাহ তায়ালাই জানেন।

    বাংলা মৌলভী

    @দ্য মুসলিম, কারো আক্বীদাগত সমালোচনা করলে এর দুটি দিক হবে তা হলো তার আক্বীদায় এমন সমস্যা আছে কিংবা নেই। ধরে নেয়া গেল মওদুদী সাহেবের ব্যাপারে কথা এসেছে তিনি সাহাবাদের ইসলামের মাপকাঠি মানতেন না । এর ফলাফলে দুটি কথা আসবে প্রাথমিক পর্যায়ে তার একটি হল কথাটি মিথ্যা আরেকটি হল সত্য, এবার তাবলীগিদের রসূলের হাজের নাজেরের মত ব্যাপারটিকে বিশ্লেষণ করা গেলে দেখা যাবে তাবলীগিরা বহু যায়গায় বহু ব্যক্তিমিলে এই ধারনা ব্যাক্ত করেন নি বরং কিছুটা অনুমেয় ভাবে তাদের একজনের একটি লাইনে এ কথা প্রমান করা যায় যে তারা রসূলকে হাজের নাজের জানতেন। কিন্তু মওদুদীবাদ নিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তারা ইসলামকে “নব্য গনতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিষ্ঠা করতে খড়গ হস্ত” ইরান হলো তাদের কাছে আইডল ইসলামী রাস্ট্র, সাহাবাদের ওল্ড ইসলাম নিউ ওয়ার্ল্ডের সিচুয়েশন ম্যাচ করেনা, তালেবনদের অনাধুনিক ইসলাম তাদের পসন্দ নয়। ইত্যাদি ব্যাপারে জামাত-ই ইসলামে মওদুদীদের এক নয় বরং একাধিক ব্যক্তির লেখা-বয়ান ইত্যাদি প্রমান করা যাবে।
    ছাত্রবস্থায় ওস্তাদরা ” আলফিরাক ওয়াল মাযাহিব” এর দরসে যখন শিয়াইজম নিয়ে তথ্য দিতেন তখন আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে সেগুলো শিয়াদের ব্যাপারে অত্যুক্তি বা অপবাদ মনে হতো, কিন্তু বাস্তব দুনিয়াতে পদচারণা করার পরে , অনেক শিয়া আলেম ও সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনার পরে যা দেখতে পাচ্ছি যে ওস্তাদরা খুব সামান্যই বলেছিলেন।
    একটি বইয়ের কথা মনে আসছে ” খোমেনী ও মওদুদী” এক আয়নায় দুই চেহারা কথাটি মিথ্যা মনে হয় না, যখন ইরানী কালচার চর্চা ও জামাতপন্থীদের ইরানপ্রীতি লক্ষ্য করি।

    হাফিজ

    @বাংলা মৌলভী, সহমত।

    মওদুদীর মতো সাহাবাদের সমালোচনা শুধু শিয়াদের বইতে লক্ষ্য করা যায় ।
    যে ওসমান (রা:) এর খেলাফতকে রসুলুল্লাহ (সা) নবুওতী খেলাফত বলেছেন সেই ওসমান (রা:) এর খেলাফত নিয়েও মওদুদী সমালোচনা করেছেন।
    আমার মনে হয় দি মুসলিম ভাই মওদুদীর বই পড়লে অবশ্যই ওনার ধারনা পাল্টে যাবে ।