যাহারা হযরত উমার (রযি.) কে বিদ’আতী বলিতে পারে, তাহারা হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভীকে সর্বেশ্বরবাদী বলিবে, যাকারিয়া রহ. কে মুশরিক বলিবে, ইহা আর এমন কী?
লিখেছেন: ' ইবনে হাবীব(মাহমুদ)' @ মঙ্গলবার, মে ৪, ২০১০ (১১:২১ অপরাহ্ণ)
হযরত উমার (রযি.) নাকি আট রাকাত তারাবীহ কে বাড়াইয়া বিশ রাকাত করিয়াছিলেন। এজন্য বেচারাকে ‘বিদ’আতী’ অপবাদটিও ঘাড়ে লইতে হইয়াছে। সেইখানে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভী, যাকারিয়া রহ. ইলিয়াস রহ. তো কোন ছার!
ইদানিং দেখা যাইতেছে ‘পিস-ইন-ইসলাম’-এ কতিপয়(নাকি একই ব্যাক্তি বিভিন্ন নামে) তথাকথিত ‘আহলে হাদীস’ বা সালাফী বন্ধু উপমহাদেশের আকাবিরগণের চরিত্র হনন কার্যের মত মহান(!) কার্যে নিয়োজিত রহিয়াছেন। এই বন্ধুগণ আবার বেজায় নাখোশ হইয়া থাকেন যদি তাহাদের ব্লগে ‘নাসিরউদ্দিন আলবানী’-কে লইয়া কিছু বলা হয়; কষ্ট করিয়া লেখা কমেন্টগুলি মুহুর্তেই গায়েব করিয়া দেওয়া হয়। এঁনারা আবার নিজমতাদর্শের ছাড়া বাকি সকলকে ‘কুপের বাসিন্দা’ বলিয়া থাকেন এবং নিজেদেরকে জ্ঞানের অসীম সাগর মনে করিয়া থাকেন।
তাহাদিগের নিজ মতকে ‘সহীহ’ প্রমান করিবার ব্যর্থ চেষ্টা দেখিয়া হাসিও পায় আবার করুণাও হয়।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের অন্তর হইতে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করুন এবং আমাদিগকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের অন্তর হইতে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করুন এবং আমাদিগকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
সহমত!
আমিন। আমিন। আমিন।
আপনার হেডিং এর সত্যতা দিন, আমাদের লেখা থেকে, প্লিজ। নাহলে আল্লাহর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়ে রাখলাম এই মিথ্যাচারের ব্যাপারে।
@মনপবন, আমি আমার লেখায় কারও নাম উল্লেখ করিনি। “কতিপয়‘আহলে হাদীস’ বা সালাফী বন্ধু” -বলে উল্লেখ করেছি। তারপরও আপনি নীচে pathkhuji -এর জবাব দেখতে পারেন।
আসসালামু আলাইকুম,
ব্লগার হিসেবে এই সাইটে একদমই নতুন।
লেখা গুলি আস্তে আস্তে পড়ছি।
তারপরও জানতে ইচ্ছা করে উমর (রা:) কে বিদআতী বলেছে?
@Abu_Aasiyah, কতিপয়‘আহলে হাদীস’ বা সালাফী বন্ধু তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন।
আসসালামু আলাইকুম
ভাই মাহমুদ, আপনি কি আপনার হেডিং এর কোন উদাহরণ দিতে পারবেন। যদি দিতে না পারেন তবে অনুরোধ থাকলো পোস্ট মুছে দিয়েন। আমি এই ব্লগের নিয়মিত পাঠক কোথাও এ রকম কিছু পড়িনাই।
আপনারা বারবার বলছেন কিছু মানুষ কোনো কোনও আলেমকে কাফির ফতোয়আ দিয়েছেন। এরকম উদাহরণ মনে হয় দিতে পারবেন্না যত দূর মনে হয়। তারা দেখানোর চেষ্টা করেছেন কোন আক্বিদা শুদ্ধ আর কোনটা ভুল, এটা আমি যা বুঝেছি তাই বল্লাম।
আমি আপনাকে অনুরোধ করবো আপনি কোথায় এটা পেয়েছেন আমাদের জানাবেন।
আল্লাহ আমাদের সকলকে অন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
@pathkhuji, ওয়ালাইকুম আসসালাম
আপনাকে আজ প্রথম দেখলাম, এই নিকে আপনার কোন লেখাও পড়িনি হয়ত আপনি অন্য নিকে লিখেন। আমারও একাধিক নিক রয়েছে, কারন কখনও একটি ব্যান হলে অন্যটি তখন কাজে দেবে। যাহোক, প্রসঙ্গে আসি- আমি কতিপয় আহলে হাদীস ভাইয়ের সাথে আলাপ করে এবং তাদের দেয়া কিছু বই পড়ে জানতে পারলাম, এই ব্লগে মেরিনার সাহেবের হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভীকে সর্বেশ্বরবাদী বলা এবং ‘ম্যান উইথ এ মিশন’ -এর যাকারিয়া রহ. কে মুশরিক বলা তাদের নিজস্ব গবেষনা নয়। বরং অধিকাংশ আহলে হাদীস ভাইকে দেখেছি দেওবন্দি আলেমদের এবং তাবলিগ জামাতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষন করেন। আমিও দেওবন্দি আলেমদের মাসুম মনে করিনা এবং তাবলিগ জামাতের সবকিছুকে ১০০% শুদ্ধ,তাদের কোন ভুল নেই- এটাও বলিনা।
আমি অন্তত কোথাও বলিনি, “কিছু মানুষ কোনো কোনও আলেমকে কাফির ফতোয়া দিয়েছেন”। আমি বলেছি- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভীকে সর্বেশ্বরবাদী বলা হয়েছে, যাকারিয়া রহ. শিরকে আকবার করেছেন- তারা এটা বলেছেন।
এই লিংকে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভীকে সর্বেশ্বরবাদী বলা হয়েছে।
এই লিংকে যাকারিয়া রহ. শিরকে আকবার করেছেন-এটা বলা হয়েছে।
আর ‘কোরআন-হাদীসের কষ্টিপাথরে আহলে হাদীস সম্প্রদায়’, প্রকাশনায় দারুল মা’আরিফ, বাংলাবাজার- বইটি পড়ে দেখুন, আহলে হাদীসগণ (সকলের কথা বলছিনা) তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন। কারন হযরত উমার রযি. বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পড়ার নির্দেশ দেন- এটি অকাট্যভাবে প্রমানিত। এবং তখন থেকে অদ্যাবধি হারাম শরীফসহ মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পঠিত হয়ে আসছে।
আমিও আপনার মতোই আল্লাহ তা’আলার কাছে কামনা করি- তিনি যেন আমাদের সকলকে অন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
@মাহমুদ,আমি আসলে peaceinislam এর নিয়মিত পাঠক কখনো লেখি নাই, কমেন্ট করছি। আমার একাধিক নিকও নাই।
আপনারা যেমন তাবলিগের কোন সাথিকে দিয়ে পুরো দলকে বিচার করতে চাননা। তেমনি কোন আহলে হাদিস ভাইয়ের কথায় peaceinislam এর ভাইদের কেন বিবেচনা করছেন। আর তারাতো কোথাও দাবি করেননি তারা আহলে হাদিস।
আপনি কি আমাদের জানাবেন আপনার জানামতে দেওবন্দি এবং তাবলিগের ভুলগুলো কি কি।
@pathkhuji, আমি আমার লেখায় কোথাও কারও নাম উল্লেখ করেছি? কিন্তু মনপবন ভাইয়ের কমেন্ট দেখেন-
“আপনার হেডিং এর সত্যতা দিন, আমাদের লেখা থেকে, প্লিজ।”
-এ যেন চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
@মাহমুদ,চোরের মন পুলিশ পুলিশ ভালো বলছেন।
ভাই উকিলের মত কথা বল্লেন, এই ব্লগের যে কেউ জানে কাদের কথা আপনি বলছেন। আমি কারো মনের কথা জানিনা। কারো নাম উল্লেখ না করলেও আমার লজিক বলে আপনি মেরিনার, manwiththemission, মনপবণ ভাইদের কথাই বুঝিয়েছেন। আপনার মনে কি আছে তা শুথু আল্লাহ ভালো জানেন। কাজেই এটা আমি আল্লহর কাছেই সোপদ করলাম।
আমি আল্লাহকে ভয় করি এবং তার কাছে মাফ চাই।
আরেকটি question “আপনি কি আমাদের জানাবেন আপনার জানামতে দেওবন্দি এবং তাবলিগের ভুলগুলো কি কি।”
@pathkhuji, হ্যা এটা ঠিক যে আমি মেরিনার, manwithamission কে ইংগিত করেছি, তবে মনপবন ভাইয়ের লেখায় ঐ ধরনের কোন আপত্তিকর লেখা আমার চোখে পড়েনি। তিনি এখানে নিজের ঘাড়ে নিলেন কেন বুঝলাম না।
@মাহমুদ,
আচ্ছা ভাই মেরিনার, manwithamission উনারা কি উমর (রাযি:) কে বিদআতি বলেছেন। যদি বলে থাকেন তবে কথা নাই, কিন্তু যদি না বলে থাকেন তবে আপনাকে এই post মুছে ফেলতে আনুরোথ করব। কারণ এখানে আপনি মণগড়া লজিক দিয়েছেন।
@pathkhuji, আমি কখনোই বলি নাই মেরিনার, manwithamission উনারা উমর (রাযি:) কে বিদআতি বলেছেন। তবে মেরিনার ভাইয়ের লেখা পড়ে এবং বিভিন্ন কমেন্টে তাকে সালাফি বললেও তিনি তার প্রতিবাদ না করায় ধরেই নেয়া যায় তিনি সালাফি। আর আমি আবারও বলছি- “এই ব্লগে মেরিনার সাহেবের হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী, আশরাফ আলী থানভীকে সর্বেশ্বরবাদী বলা এবং ‘ম্যান উইথ এ মিশন’ -এর যাকারিয়া রহ. কে মুশরিক বলা তাদের নিজস্ব গবেষনা নয়। বরং অধিকাংশ আহলে হাদীস ভাইকে দেখেছি দেওবন্দি আলেমদের এবং তাবলিগ জামাতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষন করেন।” মাযহাবের ইমামগণকেও তারা কম অপদস্ত করেন নাই।
আহলে হাদীসগণ (সকলের কথা বলছিনা) তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন। কারন হযরত উমার রযি. বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পড়ার নির্দেশ দেন- এটি অকাট্যভাবে প্রমানিত। এবং তখন থেকে অদ্যাবধি হারাম শরীফসহ মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পঠিত হয়ে আসছে।
আমার পোষ্টটি মুলত: ‘আহলে হাদীস’ বা সালাফী বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে লেখা, তাই মুছে দেওয়ার কোন কারন দেখি না।
@মাহমুদ,
ভাই আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম “আপনার জানামতে দেওবন্দি এবং তাবলিগের ভুলগুলো কি কি।”
যদি আলাদা পোষ্ট আকারে দেন তো ভাল হয়।
আপনাকে আবার বলছি যদি মেরিনার, manwiththemission ভাইরা উমর (রাযি:) কে বিদআতি না বলে থাকে তবে পোষ্ট মুছে দেন।
@pathkhuji, “আপনার জানামতে দেওবন্দি এবং তাবলিগের ভুলগুলো কি কি।”
ভাই আপনাকে এ ব্যাপারে অধিক ইন্টারেস্টেড মনে হচ্ছে। কোন বিষয়ে ‘অধিক ইন্টারেস্টেড’ হওয়া আমার কাছে কেমন যেন মনে হয়। আপনিই বলুন, নবী-রাসুলগণ ছাড়া কার না ভুল আছে?
@মাহমুদ, সহমত ।
@মাহমুদ,
এই পোস্টে হযরত উমার (রা:) কে জড়ানো হয়েছে। কাজেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করেন।
@রাশেদ, আহলে হাদীসগণ (সকলের কথা বলছিনা) তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন। কারন হযরত উমার রযি. বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পড়ার নির্দেশ দেন- এটি অকাট্যভাবে প্রমানিত। এবং তখন থেকে অদ্যাবধি হারাম শরীফসহ মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পঠিত হয়ে আসছে।
@মাহমুদ, সহমত।
@মাহমুদ,
আহলে হাদীসগণ (সকলের কথা বলছিনা) তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন। কারন হযরত উমার রযি. বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পড়ার নির্দেশ দেন- এটি অকাট্যভাবে প্রমানিত। এবং তখন থেকে অদ্যাবধি হারাম শরীফসহ মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পঠিত হয়ে আসছে।
সহমত ।
@মাহমুদ, আট রাকাতকে বিশ রাকাত করার কথা তো জানি, কিন্তু হযরত উমার (রা:) কে বিদয়াতী কে বলছে?
@রাশেদ, কতিপয়‘আহলে হাদীস’ বা সালাফী বন্ধু তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন।
@মাহমুদ
আসসালামু আলাইকুম,
ভাই আমি নতুন এই ব্লগে।
আহলে হাদীসগণ (সকলের কথা বলছিনা) তারাবীর ব্যাপারে হযরত উমার রযি.’ আট রাকাতকে বিশ রাকাতে বর্ধিত করেছেন’ বলে থাকেন। কারন হযরত উমার রযি. বিশ রাকাত তারাবীহ জামাতের সাথে পড়ার নির্দেশ দেন- এটি অকাট্যভাবে প্রমানিত।
দয়া করে তারাবীর আট রাকাত বিষয়ে উমর (রা:) থেকে বর্ণিত দলীলটা পুরোপুরি প্রকাশ করবেন?