জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করা মুসলমানের জন্য জায়েয হইবে না। তাহাদিগকে ইমাম বানাইয়া পিছনে নামায পড়া কিছুতেই জায়েয হইবে না। -মুজাহিদে আযম শামসুল হক ফরিদপুরী রহ.
লিখেছেন: ' ইবনে হাবীব(মাহমুদ)' @ বৃহস্পতিবার, জুন ১৭, ২০১০ (৮:০০ পূর্বাহ্ণ)
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলিম মুজাহিদে আযম শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. -এর রচিত “ভুল সংশোধন” নামক বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা তুলে দেওয়া হল।
সম্পূর্ন বইটি এখানে
মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন ও ঈমানের হেফাজত করুন। আমিন।
পোষ্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় সামহয়্যার ইন ব্লগে।
৩৪৮ বার পঠিত
কোনো বইতে পড়েছিলাম , শামসুল হক ফরীদপুরী (রহ:) মওদুদীকে চ্যালেন্জ করেছিল , তার ভুলগুলো সম্বন্ধে । মওদুদী প্রথমে বলেছিলেন আলোচনা করবে , পড়ে বলেছিলেন “মওদুদীর কলম থেকে যা বের হয় , ঠিকই বের হয়” ।
@ম্যালকম এক্স, হ্যা, আমি যতদূর জানি, মাওলানা মওদুদী এরকমই বলেছিলেন। এবং এর দ্বারা তার অহংকারী মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। তিনি হয়ত নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করতেন।
বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর কর্ণধারগণ জিদের বশবর্তী না হয়ে মওদুদী সহেবের ভুলগুলো সম্পুর্ণ বর্জন করুন, এতেই রয়েছে আপনাদের জন্য সম্মান ও গৌরব, তদুপরি আল্লাহ তা’আলার সাহায্য।
প্রসংঙ্গক্রমে বলতে হয়, জামাত ইসলামী বাংলাদশের সনিয়ররাও মাওদুদী সাহবের মতই নিজেদের দলীয় সিদ্ধান্তে পূর্ণ আস্থা রাখেন। এবং জামাত ইসলামীর মূল নীতি ণির্ধারক হিসেবে মওদুদী সাহেব ব্যতিত অন্য কেওকে মেনে নিতে রাজী নন। বিষয়টি সাঈদী সাহেবের বক্তৃতায় এভাবেই প্রকাশ পায় ” মনে রাখবেন সবকিছুতেই একমত হ্ওয়া সম্ভব নয়” ১৯৯৫সালের নির্বাচনী পর্যালোচনায় বিষয়টি সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দল ও ইসলাম মনষ্ক অন্যান্য দল ও ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে বলনে। বিস্তারতি ওনার ওয়াজেই শুনতে পারেন। সাইমুম.নেট/ইসলামী আলোচনা/মাওলানা সাঈদী-৯৮নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর্যালোচনা ।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম মাওলানা মওদুদী ও জামায়াত প্রসঙ্গে ১৯৯১ সালে পন্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষন দিতে গিয়ে বলেন- জামায়াতে ইসলামী ও মাওলানা মওদুদী এক ও অভিন্ন। মাওলানা মওদুদী ও জামায়াতে ইসলামীকে একটা হতে আরেকটা ভিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই। —দৈনিক ইনকিলাব, ৪ অক্টোবর, ১৯৯১ইং।