কওমী মাদরাসায় কি এখনো উর্দু-ফার্সির প্রয়োজনীয়তা আছে?
লিখেছেন: ' ইবনে হাবীব(মাহমুদ)' @ সোমবার, জুন ২৮, ২০১০ (১২:১১ অপরাহ্ণ)
বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের পূর্বে তৎকালীন পাকিস্তানে উর্দুর প্রচলন ছিলো বেশি। রাষ্ট্রভাষাও ছিলো উর্দু। এর আগে ব্রিটিশ শাসিত সময়ে ও তার আগে ভারত ও দক্ষিন এশিয়াসহ আশপাশের বেশ কটি দেশে ফার্সি ছিলো রাষ্ট্রীয়ভাষা। সঙ্গত কারণেই কওমী ধারার শিক্ষাব্যবস্থা উর্দু ও ফার্সির প্রতি নির্ভরশীল ছিলো। এই প্রভাব পাকিস্তান আমলেও অব্যাহত ছিলো। কারণ তখনও এসব অঞ্চলের সংখ্যাঘরিষ্ঠ মানুষের ভাষা উর্দু না হয় ফার্সি ছিলো। তাই মূলধারার সাথে থাকতে উর্দু ও ফার্সিকেই কওমী মাদ্রাসার শিক্ষাভাষা করা হয়। সিলেবাসের প্রায় সকল বইকিতাব এ দু’ ভাষাতেই রচিত হয়।
কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আগের সেই প্রভাবমুক্ত হওয়া যায়নি । তখন কেবল বাংলাদেশী মানুষের চিন্তাচেতনা লালন করার মতো একক ভাষাশক্তি কওমী মাদ্রাসার ছিলো না। সিলেবাসে অর্ন্তভূক্ত করার মতো বাংলাভাষায় লিখিত বইকিতাবও প্রস্তুত ছিলো না এবং পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে কেউ তখন এগিয়েও আসেনি। যে কারনে এদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু ও ফার্সিকে শিক্ষাভাষা হিসাবে রাখা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা, ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক পিছনে পড়ে যায়, যার মাশুল আমরা আজও দিচ্ছি। অতিরিক্ত দু’টি ভাষা শিখতে গিয়ে প্রায় ৯০% ছাত্র আরবীটাও ভালমত শিখতে পারছেনা, আর বাংলায় তো তারা একেবারে গন্ডমূর্খ, ইংরেজির কথা না হয় বাদই দিলাম। কেউ হয়ত বলবেন এবং প্রায়ই বলেও থাকেন, আরবী থেকে ব্যাখ্যা বা অনুবাদের ক্ষেত্রে উর্দু ও ফার্সিতে যতটা সাবলীলভাবে করা যায় বাংলার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়না- আমার কাছে কথাটা হাস্যকর মনে হয়। তাহলে সম্প্রতি আমরা দেখছি পর্যাপ্ত পরিমান মৌলিক কিতাব, তাফসীর, হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিক্বহ বাংলাভাষায় লিখিত ও অনুদিত হয়েছে এবং হচ্ছে, সেটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে?
‘কালকণ্ঠ’ সম্পাদক ভাই নোমান বিন আরমান কওমী মাদরাসায় উর্দু ও ফার্সি ভাষা শিক্ষা করা কতটুকু জরুরী বা জরুরী নয় সে ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় ও ব্লগে অনেক বলেছেন, এখনো বলছেন। তিনি কওমী মাদরাসার ছাত্র আর আমি কলেজে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র। আমাদের উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গী অভিন্ন। আমি মনে করি আমরা বাংলাভাষায় লিখিত ও অনুদিত যে পরিমান কিতাব পাচ্ছি তাতে উর্দু ও ফার্সির উপর নির্ভর করা আমাদের উচিত হবেনা। হ্যা, উক্ত ভাষাদু’টিতে কেউ পান্ডিত্য অর্জন করতে চাইলে সে সুযোগও রাখা উচিত। সকলের উপর তা চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি আমি নই। বরং উর্দু ও ফার্সির পিছনে একজন ছাত্রকে যে পরিমান সময় এবং মেধা ব্যয় করতে হয় সেটাকে ইংরেজির পিছনে ব্যয় করাটাই আমার কাছে অধিক যুক্তিযুক্ত মনে হয়। আর ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করার দরকার আছে বলে মনে হয়না। আপনাদের কী মনে হয়?
এখনও পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন বাংলা মৌলিক বা অনুবাদ ইসলামি গ্রন্থের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আগে সেই অভাব পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
@সাদাত, আগে সেই অভাব পূরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
এই উদ্যোগটা কি আমরা এখন থেকেই নিতে পারিনা?
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ),
এই উদ্যোগটা কি আমরা এখন থেকেই নিতে পারিনা?
জ্বী অবশ্যই নিতে পারি এবং সেটা আমাদের দায়িত্ব । যখন প্রয়োজনীয় এবং গবেষনামুলক সব ধরনের ইসলামিক বই বাংলায় থাকবে তখন উর্দু ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে । তবে যতদিন সেটা না হয় , ততদিন এই ভাষার ওপর নির্ভর করতে হবে বৈকি ।
আর আমরা যদি বাংলা ভাষাকে শক্তিশালী ইসলামিক লিটারেচরে সমৃদ্ধ করতে পারি , তখন জোড় করে কাউকে তাড়াতে হবে না , আপনিই অন্য ভাষা নিজের পথে চলে যাবে ।
@হাফিজ,
বাংলা ভাষা যদি মৌলিক ইসলামিক রচনাসমৃদ্ধ হয়, তখন অন্যদেশে মাদ্রাসাগুলোতে বাংলা শেখানো হবে।
@সাদাত, জ্বী , ঠিক বলেছেন । থিওরী হিসেবে এটা সঠিক । তার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন , সেটা আপাতত আমাদের দেশের আলেমদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না ।
কওমী মাদ্রাসায় যারা পড়ে তারা ভালো বলতে পারবেন । তবে দুটো কারনে এগুলোর প্রয়োজনীয়তা এখনও অস্বীকার করা যায় না
১) উর্দু ভাষায় যথেষ্ট ইসলামিক কিতাব রয়েছে , যেগুলোর সমমানের বাংলা কিতাব নেই ।
২) ইসলামিক সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার ফার্সী ভাষায় রয়েছে , সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা “কোরআন , হাদিস, ফেকাহ”র সমমানের অবশ্যই নয় , তবে একদম অস্বীকার করার উপায় নেই । বিশ্ব সাহিত্য মুসলমানদের আলাদা একধরনের স্টাইল আছে , যেগুলো ফার্সী সাহিত্য পড়লে বুঝা যায় । শাদী , হাফিজ , ওমর খৈয়াম , জালালুদ্দিন রুমী (রহ:) , ফেরদৌসী , জামী এদের সাহিত্যের কথা বুঝাচ্ছি ।
@হাফিজ, উর্দু ভাষায় যথেষ্ট ইসলামিক কিতাব রয়েছে , যেগুলোর সমমানের বাংলা কিতাব নেই ।
হ্যা মানছি আপনার কথা, তবে যেগুলো আছে তাই দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি, বাংলা ভাষায় পারদর্শী না হলে তো পর্যাপ্ত বাংলা কিতাব আমরা তৈরি করতে পারব না।
ইসলামিক সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার ফার্সী ভাষায় রয়েছে ,……বিশ্ব সাহিত্য মুসলমানদের আলাদা একধরনের স্টাইল আছে….
ফার্সী ভাষায় ইসলামিক সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার থাকা সম্ভব হলে বাংলায় থাকা সম্ভব নয় কেন? আমরা এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করতে পারি না ?
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ),
হ্যা মানছি আপনার কথা, তবে যেগুলো আছে তাই দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি, বাংলা ভাষায় পারদর্শী না হলে তো পর্যাপ্ত বাংলা কিতাব আমরা তৈরি করতে পারব না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
বাংলা ভাষায় পারদর্শী হতে হবে এ ব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই । আমাদের কথা আলাদা , আমরা অনেকেই ইসলামের বেসিক জিনিসগুলো শিখতেই জীবন পার করে দেই । কিন্তু কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে যারা উচ্চতর বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চায় তাদের অনেক সময়ই উর্দু , আরবীর অনেক বই রেফারেন্স হিসেবে দরকার হয় ।
@হাফিজ, আমার মনে হয় উর্দু-ফার্সির চেয়ে আরবী কম সমৃদ্ধ ভাষা নয়, বরং বেশী। ইসলামী সাহিত্য, তাফসির, ফিক্বাহ বিষয়ক কিতাবের সংখ্যা আরবীতে পর্যাপ্ত পরিমানে বিদ্যমান। যেখানে উর্দু-ফার্সির অনেক কিতাব আরবী কিতাবকে ভিত্তি করে বা অনুদিত হয়ে এসেছে সেখানে রেফারেন্স হিসাবে উর্দু-ফার্সির চেয়ে আরবীর গ্রহনযোগ্যতা বেশী বলে আমার মনে হয়।
তবে উচ্চতর গবেষনার ক্ষেত্রে অবশ্যই উর্দু-ফার্সির প্রয়োজন আছে।
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ),
আমার মনে হয় উর্দু-ফার্সির চেয়ে আরবী কম সমৃদ্ধ ভাষা নয়, বরং বেশী।
ভাষা হিসেবে আরবী পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষা , এতে কোনো সন্দেহ নেই । ধর্মীয় কারন ছাড়াও পৃথিবীর বহু অমুসলিম ভাষাবিদ ( ড: সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায় সহ ) স্বীকার করেছেন আরবীর বিশেষত্ব ।
ভাষা হিসেবে আরবী শ্রেষ্ঠ এর অর্থ এই নয় ,সাহিত্য হিসেবেও আরবী সমৃদ্ধ । এখনও মাদ্রাসাতে “ইমরুল কায়েস” এর কবিতা পড়ানো হয় , যে ইমরুল কায়েস ছিল অসাধারন কবি , কিন্তু আইয়েমে জাহিলিয়াত যুগের। ইসলাম প্রচারের পর , মুসলিম বিশ্বে যে কয়েকজন অসাধারন সাহিত্যিকি তৈরী হয়েছেন “ফেরদৌসি” , “জালালুদ্দিন রুমি” , “হাফিজ” , “জামি” , “ওমর খৈয়াম” , “নিজামী আরুজী” তারা সকলেই ফার্সি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন , কেননা তারা ছিল ইরানি । সেই সাহিত্য সম্বন্ধে জানতে গেলে “ফার্সি” পড়া ছাড়া বিকল্প নেই । অনুবাদের মাধ্যমে ইতিহাস জানা যায় , কিন্তু সাহিত্যের রস আস্বাদন করা যায় না ।
এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে সাহিত্যের প্রয়োজন কোথায় , সেটা ভিন্ন প্রসংগ ।
@হাফিজ,
আমি যতদুর জানি, উপমহাদেশ এবং যে দেশে ফার্সি ভাষা প্রচলিত আছে সেসব দেশ ছাড়া আর কোথাও ইসলামী সাহিত্য, তাফসীর, ফিক্বাহ কে উর্দু-ফার্সি থেকে গ্রহণ করেনা। সরাসরি আরবী থেকেই গ্রহণ করে। তাদের মাতৃভাষা ও আরবীর মাঝখানে মাধ্যম হিসাবে উর্দু-ফার্সিকেও রাখছেনা। তারা শুধু উচ্চতর শ্রেণীতে গবেষনার ক্ষেত্রে উর্দু-ফার্সি সাহিত্য অধ্যয়ণ করে।
@সালাহউদ্দীন, আসলে উর্দু এই উপমহাদেশের মাদ্রাসায় প্রচলিত আছে , আমি যতদুর জানি , বাহিরে নয় ।
ফার্সি সাহিত্য শুধু উপমহাদেশে নয় , অনেক ইউরোপিও বিশ্ববিদ্যালয়েও গবেষনা করে পড়ানো হয় । আরবী ভাষা হোলো সবচেয়ে
জ্ঞানগর্ভ ভাষা , ফারসী সবচেয়ে শ্রুতিমধুর ভাষা যেটা সাহিত্যের জন্য উপযোগী ।
তারা শুধু উচ্চতর শ্রেণীতে গবেষনার ক্ষেত্রে উর্দু-ফার্সি সাহিত্য অধ্যয়ণ করে।
এ বিষয়ে একমত ।
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ),
ফার্সী ভাষায় ইসলামিক সাহিত্যের বিশাল ভান্ডার থাকা সম্ভব হলে বাংলায় থাকা সম্ভব নয় কেন? আমরা এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করতে পারি না ?
আপনার কথা খুবই যুক্তিযুক্ত । প্রতিটি মাতৃভাষায় মুসলিমদের সমৃদ্ধশালী সাহিত্য গড়ে তুলতে হবে । সাথে অন্য ভাষায় যদি Rich Islamic Literature থাকে সেটার জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে । সাহিত্যের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আজকাল হিন্দুয়ানী সাহিত্য প্রভাবে প্রভাবিত বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বেশীরভাগ সময় সেকুলার , নাস্তিক চিন্তাধারার বুদ্ধীজিবী বের হয় । পক্ষান্তরে এখানে যদি মুসলিম সাহিত্য সেটা বাংলা বা ফারসী যেটাই হোক না কেনো , সেটার চর্চা থাকত তাহলে এই সমস্যা কখনই হোত না আশা করা যায় ।
@হাফিজ, আমাদের দেশের অনেক কওমী মাদরাসায় আরবী কিতাব থেকে উর্দুতে অনুবাদ করে ছাত্রদের বোঝানো হয়, উর্দুকে মাধ্যম না করে যেটা সরাসরি বাংলায় করা যেত। এটা কি উস্তাদদের বাংলার প্রতি দুর্বলতা, উদাসীনতা নাকি উর্দুতেই তারা বেশী সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন -আমার বুঝে আসেনা।
বর্তমানে রাজধানীসহ বেশ কিছু জায়গায় দেখছি জেনারেল শিক্ষার সাথে সমন্বয় করে কিছু কওমী মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে আরবী-বাংলা, বাংলা-আরবী, আরবী-ইংরেজি, ইংরেজি-আরবী মাধ্যমে পড়ান হচ্ছে। উর্দু-ফার্সিকে তারা মাধ্যম হিসাবে নিচ্ছেনা। আউটপুট যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা কিন্তু সন্তোষজনক।
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ),
বর্তমানে রাজধানীসহ বেশ কিছু জায়গায় দেখছি জেনারেল শিক্ষার সাথে সমন্বয় করে কিছু কওমী মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে আরবী-বাংলা, বাংলা-আরবী, আরবী-ইংরেজি, ইংরেজি-আরবী মাধ্যমে পড়ান হচ্ছে। উর্দু-ফার্সিকে তারা মাধ্যম হিসাবে নিচ্ছেনা। আউটপুট যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা কিন্তু সন্তোষজনক।
যেমন বললেন তেমন হলে তো অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য , আপত্তির কিছু নেই ।
আমি কিছু কিছু ভালো আলেমদের দেখেছি ওনারা পাকিস্হান , ভারতের দেওবন্দ থেকে পড়াশুনার কারনে এবং অনেকদিন থাকার কারনে ভালো বাংলা বলতে পারেন না । ওখানে যেহেতু উর্দুতে পড়াশুনা , কথাবার্তা সব করেছিলেন তাই এই ভাষাতেই ভালো করে বলতে পারেন , সে কারনে তারা উর্দুতে পড়াতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন । এটা একটি কারন হতে পারে ।
যতদূর জানি ভাই ‘ইউসুফ সুলতান’ ও ‘বাংলা মৌলভী’ কওমী মাদরাসা শিক্ষিত। তাদের মতামত পেলে উপকৃত হতাম।
একাডেমিক্যালি উর্দু, ফার্সি কোনোটারই এখন প্রয়োজন নেই। অনেক কওমী মাদ্রাসা থেকে উঠিয়েও দেয়া হয়েছে এ দুটো ভাষা। তবে যেহেতু উর্দু ভাষায় আলেমদের অনেক গবেষণা রয়ে গেছে, তাই সেসব পড়তে ও বুঝতে কেউ উর্দু শিখতেই পারে। যেমন অনেকে প্রয়োজনে ফ্রান্স, স্পেইন ও অন্যান্য দেশের ভাষা শিখেন। ভাষা শেখা কোনো দোষ নয়। তবে শিরোনামের প্রশ্নের উত্তরে আবারো বলব, একাডেমিক্যালি এর এখন তেমন কোনো প্রয়োজন নেই।