তারাবীহ নামাজে দ্রুত ক্বিরাআত পড়া প্রসঙ্গে।
লিখেছেন: ' ইবনে হাবীব(মাহমুদ)' @ শুক্রবার, অগাষ্ট ৬, ২০১০ (১১:০৩ পূর্বাহ্ণ)
তারাবীহ নামাজে ক্বিরাআত দ্রুত পড়তে হবে- এমন কোন বিধান নেই। অন্যান্য নামাজের ন্যায় তারাবীহ নামাজেও মাদ, গুন্নাহ, মাখরাজ ঠিক রেখে তারতীলের সাথে ক্বিরআত পড়তে হবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়- আমাদের দেশে অধিকাংশ মসজিদে এই নিয়ম মেনে চলা হয়না। হাফেজে কোরআনগণ এমনভাবে তেলাওয়াত করেন যে, কোরআনের আয়াতসমুহ স্পষ্ট বোঝা যায়না। এমনকি যে যত দ্রুত পড়তে পারে, তাকে তত কৃতিত্ব বা বাহবা দেওয়া হয়। এটি এক ধরনের কোরআন অবমাননা বৈ কিছু নয়। আমাদের আলেম সমাজের একটি বড় অংশকে এ ব্যাপারে উদাসীন মনে হয়।
২,৬১৬ বার পঠিত
দ্রুত কুরআন না পড়লে তো আর খতম তারাবী শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। উদ্দেশ্য কুরআন খতম করা-সেটা কেউ বুজুক আর না বুজুক,কবুল হউক আর না হউক, তাতে কোন যায় আসে না।এইভাবে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে কিনা আল্লাহ পাকই জানেন।খতম তারাবী পড়লে তা সঠিকভাবে পড়া উচিত-এবং এতে দৈনিক ৩ ঘন্টা সময় লাগার কথা। সৌদি আরবে- ফজিলত বেশী কারণে খতম সহ ২০ রাকাত নামাজ শুধূ পবিত্র কাবা শরীফ ও মসজিদ নবুবীতে পড়ানো হয়। সেদেশে আর কোথাও ২০ রাকাত নামাজ বা খতমে তারাবী হয় না। আমরা যতটুকুই পড়ি মনদিয়ে ও ধীর স্থিরভাবে যেন নামাজ পড়ি।কখন ও সময়ের কথা চিন্তা করে তাড়াহুড়া যাবে না।সময় না হলে ‘কুরআন খতম ‘নামে শোবিজের কোন মুল্য থাকার কথা না। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে ইবাদত করার তৌফিক দিন- আমীন।
@মুজিব৭, আমরা একবার পরীক্ষা করার জন্য আস্তে এবং তাড়াতাড়ি দুভাবেই কোরআন তেলাওয়াত টেস্ট করেছিলাম । সময় গননা করে দেখা গেছে আসলে তাড়াতাড়ি পড়ার কারনে খুব একটা সময় সাশ্রয় করা যায় না , বড় জোড় ১৫/২০ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয় ।
আপনারাও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।
@ম্যালকম এক্স,
হ্যা, আমি মক্কার হারাম শরীফের তারাবীর নামাজের সময় হিসেব করে দেখেছি, ২ ঘন্টারও কম সময় লাগে! অথচ কত ধীর, তারতীলের সহিত, স্পষ্ট সুরে ক্বিরআত পড়া হয়।
তারাবী কি আট রাকাআত ভালো করে, কোরআন তারতীল সহকারে পড়া যায় না?
@Abu_Aasiyah,
না, যায়না। কারন তারাবী আট রাকাআতের কোন মজবুত দলীল নাই।
@ইবনে হাবীব(মাহমুদ), সহমত। আট রাকাআতের মজবুত তো দুরের কথা , দুর্বল দলীলও নেই ।
@ম্যালকম এক্স, বিশ রাকাআতের সঠিক দলীলটি জানাবেন কি?
@Abu_Aasiyah,
প্রথম ১২০০ বছরে এ বিষয়ে কোনো সময় প্রশ্ন করা হয়নি , তারাবি ২০ রাকাআত নাকি ৮ রাকাআত । এটা গত ২০০ বছরের মধ্যে উত্থাপিত প্রশ্ন , যেটা নির্দিষ্ট কিছু দল-মতে বিশ্বাসীগন করে থাকেন । এইজন্য দেখবেন আহলে হাদিসগন সবসময় সৌদি আরবের রেফারেন্স দেয়া সত্বেও সৌদি আরবেও ৮ রাকাআত পড়া হয় না । তবে কারা পড়ে কারা পড়ে না , সেটা বিবেচ্য নয় , তাই বিস্তারিত জানতে গেলে দেখুন :
http://www.al-inaam.com/fataawa/tarawih.htm
আবার ক্যাচাল শুরু হলো। সালাত আত-তারাউইহ তো ফরয নয়। যেটা ফরয নয় সেটা নিয়ে অতো ক্যাচালের দরকার কী ?
যার মনে হয় আটের দলিল বেশী জোরালো তিনি আট পড়ুন, যার মনে হয় বিশ তিনি বিশ পড়ুন। সাম্প্রদায়িক খোঁচাখুঁচি আমরা অন্ততঃ আসন্ন রমাদানে বাদ দেই।
আমাদের দেশে একশ্রেণীর হাফেজে কোরআনদের দ্বারাই কোরআনের অবমাননা বেশী হচ্ছে। কোরআনকে এরা ব্যবসার মূলধন বানিয়ে নিয়েছে।