***Respond: To Anonymous ***
লিখেছেন: ' manwithamission' @ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৯, ২০১০ (৬:২১ অপরাহ্ণ)
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্যে। আল্লাহর শান্তি ও রহমত রাসূল ﷺ এর উপর, তার পরিবারের উপর ও তার সাহাবীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদেরকে যারা অনুসরণ করবে তাদের উপর অর্পিত হোক। আমিন।
আকীদাতে যদি গলদ থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে তার নিকট থেকে ভাল কথা ও কাজের পাশাপাশি গলদপূর্ণ কথা ও কাজ পাওয়া যাবে। আমি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছিলাম, তা কাউকে হেয় করার জন্যে দেইনি। সংশোধন হয়ে যেন সবাই ইখলাসের সাথে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে ইবাদত করতে পারে সে জন্যেই দিয়েছি।
যুক্তিতর্ক স্থাপন করে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু যুক্তিতর্ক ঐ পর্যন্ত করা যাবে যে পর্যন্ত না তা কুরআন ও সুন্নাহ অতিক্রম করে। কারো ভুল আকীদা থাকলে তার মধ্যে থেকে শিরক ও বিদআত পূর্ণ কথা ও কাজ পাওয়া যাবে, যা কুরআন ও সুন্নাহ’র সাথে সাংঘর্ষিক। নীচের ছবি দুটো খেয়াল করুন।
এখন কেউ যদি বলে ইয়া রাসূলাল্লাহ মেহেরবাণীপূর্বক একটু দয়া ও রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন। এটা কি শিরক নয়? আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট দয়া ও রহমত কামনা করা! নিঃসন্দেহে শিরকে আকবর।
এরপর বলা হল, আমাদের মতো দূর্ভাগা হইতে আপনি কি করিয়া গাফিল থাকিতে পারেন।
তারপর, বলা হল, আপন সৌন্দর্য ও সৌরভের দ্বারা সারা জাহানকে সঞ্জীবিত করিয়া তুলুন। আপনার চেহারার ঝলকে আমাদের দিনকে কামিয়াব করে দিন। দূর্বল ও অসহায়দের সাহায্য করুন।
এগুলো কি বাড়াবাড়ি নয়? এগুলো কি শিরক নয়?
দ্বিতীয় ছবিতে বলা হল, রাসূল ﷺ হাত বের করে দিয়েছিলেন। সাহাবাদের জন্যে কোনদিন হাত বের করে দিলেন না। আর উনার জন্যে বের করে দিলেন। এরকম জালিয়াতি কথা বলে মানুষের আকীদা নষ্ট করার মানে কি? এরকম বহু শিরকের উদাহরণ ফাযায়েল আমলে রয়েছে। আবার অনেক সহীহ কথাও রয়েছে। সহীগুলো মানতে কোনই আপত্তি নেই কিন্তু কেউ যদি ভাল কাজ মনে করে শিরক করে তাকে কি সাবধান করা উচিত নয়?
যারা এগুলো পড়বে তারপর রাসূল ﷺ এর কবরের কাছে যেয়ে যদি বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ মদদ, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি দূর্বল সাহায্য করুন। তাহলে কি সে শিরক করবে না? এগুলো থেকে মানুষকে সাবধান করা কি উচিত নয়? কাউকে ধ্বংস করা বা কারো কুৎসা রটানো এখানে উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তি যেই হোক আমরা যেন শিরককে শিরক বলতে শিখি, মানুষকে কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে আহবান করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের শিরক থেকে হিফাজত করুন, সত্য বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন।
আসসালামু আলাইকুম,
জাজাকাল্লাহু খায়রান। এইখানে সবার রোষানলের স্বীকার হওয়ার আগেই কিছু কথা বলে নেওয়া ভাল। manwithamission ভাইয়ের যা ইচ্ছা তা হল একটি বইয়ের ভুল তুলে ধরা। তার লেখক কে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়। আমরা বার বার কেন ভুলে যাই যে কোন মানুষ ই ভুলের ঊর্ধে নন।সবার অনুসরণ আমরা ততক্ষন ই করব, যতক্ষন তার কথা কুরআন ও সুন্নাহ’র সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। ২ নং পয়েন্ট দেখুন। আমরা কি জানিনা কেবল আল্লাহ ভিন্ন অন্য সবাই গাফেল। সেখানে রাসুল (সা:) কে এই গুন আরোপ করা হচ্ছে। এর পর ও কি ভুলে ভরা এই কিতাব আমরা বর্জন করবনা। ২৩ নং পয়েন্টের হাত বেরিয়ে আসার ঘটনা দলিল কি দুনিয়ার কেউ দেখাতে পারবে? নবীর প্রিয় স্ত্রী আয়েশা (রা:) তার মৃ্ত্যুর পর ত বেঁচে ছিলেন। কই, তার জন্য কখনো হাত বের হলনা! আবু বকর, ওমর (রা:) এদের জন্য কখনো হাত বের হলনা! আর দুইটা বয়াত পড়াতেই হাত বেরিয়ে এল?কি আশ্চর্য্য! তাও কুরান পাঠ শুনে নয়,বয়াত শুনে। তাবলিগ জামাআত যদি এই মিথ্যায় ভরা বইগুলো আর বিদাতের আমল বাদ দিত তাহলেই কি তাদের এই দাওয়াত, এই চেষ্টা কুরান এবং সুন্নাহের আলোকে সব চেয়ে গ্রহনযোগ্য হতনা? আল্লাহ ভাল জানেন। আমরা চাই এই বিরাট চেষ্টা বিফলে না যাক। দয়া করে সবাই উল বুঝে ঝাপিয়ে পরবেন না। একটু বুঝুন। আমরা সবাই মুসলিম ভাই।বিশ্বাস করুন কোন নতুন দল চাইনা।
ফি আমানিল্লাহ।
@আবু আয়শা,
আমরা চাই এই বিরাট চেষ্টা বিফলে না যাক। দয়া করে সবাই উল বুঝে ঝাপিয়ে পরবেন না। একটু বুঝুন। আমরা সবাই মুসলিম ভাই।বিশ্বাস করুন কোন নতুন দল চাইনা।
ফি আমানিল্লাহ।
সহমত।
@আবু আয়শা,
আমাদের নব্য আকিদাবাদিদের(!!!!!!!) মতে,
থানভী(রহ.) সর্বেশ্বরবাদী!!!!!!!!!!!
নববী(রহ.) এর আকিদা মাইনর সমস্যাযুক্ত!!!!!!!!!!!
জাকারিয়া(রহ.) এর আকিদা শিরকযুক্ত!!!!!!!!!!!!
আর এখন যে চিত্রদুটো দেওয়া হলো তার দ্বারা জামি(রহ.)[কাসিদার জন্য] এবং সুয়ুতি(রহ.)[ঘটনার জন্য]এর আকিদাও প্রশ্নবিদ্ধ!!!!!!
এই লিস্টে আর কে কে আছেন?
@সাদাত,
@সাদাত, একটি বিষয় খেয়াল করেছেন , শুধু পয়েন্ট উল্লেখ করাই সার । আগের পোস্টে যে প্রশ্নগুলো করলাম তার কোনটারই উত্তর পেলাম না ।
আর শুধু অভযোগ , কোনো দলীল দিয়ে প্রমান করা হোলো না কোনটি ভুল কোনটি ঠিক ।
আর শুরু হয় “শিরক” দিয়ে , যেকোনো ওহাবীদের যে স্বভাব ।
থানভী(রহ.) সর্বেশ্বরবাদী!!!!!!!!!!!
নববী(রহ.) এর আকিদা মাইনর সমস্যাযুক্ত!!!!!!!!!!!
জাকারিয়া(রহ.) এর আকিদা শিরকযুক্ত!!!!!!!!!!!!
আর এখন যে চিত্রদুটো দেওয়া হলো তার দ্বারা জামি(রহ.)[কাসিদার জন্য] এবং সুয়ুতি(রহ.)[ঘটনার জন্য]এর আকিদাও প্রশ্নবিদ্ধ!!!!!!
ইবনে হাজার আসকালানী (রহ:) কে বাদ দিলেন কেনো ?
আব্দুল ওহাব নজদী যেমন সে ছাড়া আর সবাইকে কাফের মনে করত , এরাও তেমনি । কোনো দলীল নেই , শুধু মুখে মুখে শিরক বলা।
@আবু আয়শা,যদিও আমি আগেই আলোচ্য পোস্টের উত্তর দিয়েছি, এর পরও এখানে একটা কথা উল্লেখ করতে চাচ্ছি। কোন ঘটনা সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের যামানায় ঘটেনি বলেই যে ভবিষ্যতে ঘটতে পারবে না এমন নয়। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের যামানায় ঘটেনি এখন ঘটছে তার মানে ঘটনাটা মিথ্যা আর এসব ঘটনা ঘটাও শিরক এই জাতীয় মন্তব্য আল্লহ তায়া’লার শানে বেয়াদবী ছাড়া আর কিছুনয়। কেননা আল্লহ তায়া’লার জন্য কোন মুমিনকে মানুষের আকলের খেলাপ, জাহেরী নজরের খেলাপ, প্রচলিত নকশার খেলাপ ঘটনা ঘটানো অসম্ভব নয়। এজন্য আল্লহ তায়া’লাকে কারও কাছে কৈফিয়তও দিতে হবে না যে, আপনি সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের সাথে এমন ঘটনা ঘটাননি এখন কেন ঘটালেন। খোদ সাহাবাহ কেরামদের যামানায়ও দেখা গেছে তাবেয়ীদের সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা সাহাবী রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের সাথে ঘটেনি। এমনকি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের জামানাতেও এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের শানে যা কিনা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের শানেও ঘটেনি। আমার ধারণা আপনি নিজেও এমন বেশ কিছু ঘটনার কথা জানেন। কিন্তু তাই বলে কেউ, এমনকি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও ওই ঘটনাগুলোকে কুফুরী বলেননি। বলেননি যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের শানেই ঘটল না। তোমার শানে ঘটল কিভাবে।
আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন। তাই যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি সম্পর্কে যদি খারাপ ধারণা করেও থাকেন আমার মনে হয় আকল থাকলে আপনি ইতি মধ্যেই এস্তেগফার করেছেন। আর আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি তাবলীগ জামাতে লম্বা সময় লাগান। ইনশাআল্লহ আপনার ভুল ধারণা কেটে যাবে।
জাযাকাল্লহ
সালামুন আ’লাইকুম
ভাই আগের পোষ্টটা কই? মুছে ফেলছেন নাকি? তার মানে কি আপনি স্বীকার করছেন যে, আপনার আগের অভিযোগটা ভুল ছিল? ঐ পোস্টে যে আপনি তিনটা শিরক করছিলেন তা আপনি বুঝতে পেরেছিলেন কিনা? এই রকম একজন মুশরিক এবং রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশের বিরোধিতা কারীর কোন কথা কি আমাদের আর নেয়া উচিত হবে? আমি দেখেছি কিছু লোক এর পরও আপনার এই পোস্টে আপনাকে সমর্থন করেছে? মানু্য এত বোকা, এত অন্ধ ও এত গোঁড়া কি করে হয় আমি বুঝি না। জেনে শুনে কেন মানুষ শিরক করবে। ভুল ধরিয়ে দেবার পরও কেন মানুষ সংশোধন হয় না। আগের পোস্টে কোন সূরাহা না করতে পেরে আবার ভিন্ন প্রসঙ্গ উঠাচ্ছেন। যাই হোক আল্লহ তায়া’লা এমন কিছু লোক পয়দা করছেন যারা যেনে বুঝেও ঈমান আনবে না। কাজেই আপনাদের উদ্দেশ্যে আর কিছু বলা বৃথা। নতুন কেউ যাতে আপনাদের বোকামীর ফাঁদে পা না দেন এই জন্যই আবার লেখা।
কয়েকটি কথা বলে রাখি। ১) ফাযায়েলে দুরুদ আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে একবারের বেশি পড়িনি। ২) ফাযায়েলে দুরুদ তাবলীগী নেসাবের অংশ নয়। (তাই ফাযায়েলে দুরুদে যদি কোন সমস্যা থাকেও সে জন্য তাবলীগ জামাত কে প্রশ্নবিদ্ধ করা অনৈতিক।) ৩) মূল উর্দু ফাযায়েলে দুরুদ আমি কখনই পড়িনি কাজেই জানিনা ওখানে কি আছে। ৪) বাংলায় এখন পর্যন্ত আমার জানা মতে মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ এর অনুবাদ ছাড়া আও কোন আনুবাদ নেই। অন্তত আমার চোখে পড়েনি। মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ এর অনুবাদ স্বীকৃত নয়। বহুদিন অন্য কোন বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে সাখাওয়াত উল্লাহ সাহেবের কিতাব চালাতে হয়েছে। এখন তাবলীগী নেসাবে সাখাওয়াত উল্লাহ সাহেবের কোন কিতাবই স্বীকৃত নয়। তিনিই বিনা অনুমতিতে ফাযালেয়ে দুরুদ ঐ কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত করেন। তিনি অনেক কিছুই ঠিক মত অনুবাদ করতে পারেন নি। এমন সব শব্দ উল্লেখ করেছেন যাতে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক যায়গায় বাদ দিয়ে গেছেন। অনেক কিছু নিজে থেকে লিখেছেন। অনেক জায়গায় আগেরটা পরে, পরেরটা আগে লিখেছেন যাতে ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়। ভবিষ্যতে তাই মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ সাহাবের কিতাব থেকে উদ্ধৃতি আর কোন অভিযোগ তুলবেন না।
এখন আসি ফাযায়েলে দুরুদ সম্পর্কিত আপনার অভিযোগ সম্পর্কে। আপনি যে ছবি দিয়েছেন তা অত্যন্ত পুরানো কোন প্রিন্ট থেকে। ঐ প্রিন্ট কতটুকু গ্রহণ যোগ্য আল্লহ তায়া’লাই ভালো জানেন। এইভাবে আংশিক কোন প্রিন্ট আসলেই বিভ্রান্তি কর। শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেললে আর বুঝা যায় না এটা কার শরীর। আপনি শেখ মুজিবের শরীরও বলতে পারেন আবার জিয়ার শরীরও বলতে পারেন। প্রমাণ করার কোন উপায় থাকবে না।
অত্যন্ত দুঃখজনক, আপনি ঠিক এই কাজটাই করেছেন। আপনি এখানে শুধু মাথা বিহীন ধড় দেখিয়ে বলছেন যে মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করে সরাসরি তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছেন। আসলে ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। এটা একটা কাসিদার অংশ। কাসিদা মানে বিশেষ একধরণের কবিতা। কবিতার ভাষা অনেক কিছুই হয়। মানুষ কখনই কবিতার ভাষার দিকে লক্ষ করে না বরং কবিতার ভাবের দিকেই লক্ষ করে। যেমন সোনার তরী কবিতা। ঐ কবিতা পড়ে কেউই এই কথা বলে নি যে রবি ঠাকুর আজগুবী গাজাখুরি কথা বলেছেন। বরং সবাই এর ভাবটাই বুঝে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে আপনি শুধু মাত্র একজন অনেক বড় মাপের আলেমের উপর কালিমা লিপ্ত করার জন্যই একটা কবিতাকে দোয়া হিসেবে উল্লেখ করে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন। একজন সাধারণ পর্যায়ের মুমিনের উপরও মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হারাম। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের পরিষ্কার কথা ঐ ব্যক্তি মুমিন নয় যে আল্লহ তায়া’লার হারাম করা জিনিস হারাম জানে নাই। আপনি গত কাল থেকে একের পর এক শিরকী কাজ করে যাচ্ছেন। আল্লহ তায়া’লা আপনার উপর রহম করেন। আপনার কি এই কথা যানা নাই যে, আল্লহ তায়া’লা বাহ্যিক সুরত দেখেন না; আল্লহ তায়া’লা দেখেন অন্তর। তাহলে কেন বাহ্যিক শব্দগুলো নিয়ে উকিল ও রাজনীতিবিদদের মত কছলা-কছলি করছেন?
রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে কবিতা বৈধ। এটা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানাতেও ছিল। বিভিন্ন কবিতায় রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে চাঁদের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বাহ্যিক অর্থের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবী হয়েছে এবং মিথ্যা বলা হয়েছে। কারণ রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম চাঁদ নন। তিনি আল্লহ তায়া’লার রসূল। চাঁদ একটা সাধারণ মাখলুক। এর সাথে রিসালাতের তুলনা হতেই পারে না। কিন্তু রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এইজন্য ঐ কবিতার লেখকের উপর কুফুরীর ফতওয়া আরোপ করেননি। কিন্তু আপনি করেছেন। আপনি কি নিজ কে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যোগ্য লোক মনে করেন নাকি? আপনি কি নতুন নবুওয়াত প্রচার করতে চান নাকি?
দ্বিতীয় কথা হল রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করে কোন কিছু চাওয়া যাবে না এই কথাটা সবসময়ে সত্য নয়। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কবরে জিন্দা তাই রওজার পাশে গিয়ে সরাসরি সালাম দেয়ারই হুকুম।
দ্বিতীয় যে অভিযোগটা আপনি করেছেন এটাতো যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর কোন বানোয়াট কথা নয়। এটা উনি ইতিহাস থেকে লিখছেন। ইতিহাসের মানদন্ড হাদিসের অনেক নিচে একথা উনি বহু বার বলেছেন ফাযায়েলে আমালের বিভিন্ন যায়গায়। উনি বার বার একথা বলেছেনও ইতিহাস থেকে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হল আমালের জযবার পয়দা, ইতিহাসের উপর আমাল করার জন্য নয়। আমাল করার জন্য তো শারিয়াত। ইতিহাসের কিতাবগুলো যাঁরা সংকলন করেছেন তাঁরা অনেক কষ্ট করে সংকলন করেছেন মানুষ হিসেবে কিছু ভুল যদি হয়েও যায় আল্লহ তায়া’লা মাফ করে দিবেন তাঁদের এখলাসের কারণে কিন্তু অযাচিত সমালোচনা ও অনধিকার চর্চার দ্বারা আপনি আল্লহ তায়া’লার কাছে ধরা খেয়ে যাবেন। ইতিহাস কে অস্বীকার করা যায়না আবার পুরাপুরি স্বীকারও করা যায় না। বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া এর অনেক ব্যাপারে সমালোচনা আছে। যা থাকবেই। তবে আমাদের পূর্ববর্তী বুজুর্গরা যে ইতিহাস সংগ্রহ করেছেন নিঃসন্দেহে তার মান ও গ্রহণযোগ্যতা কাফের ঐতিহাসিকদের চেয়ে অনেক বেশি। হ্যাঁ ইতিহাস কখনওই হাদিসের কাছাকাছিও নয়।
সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের শানেও অনেক কিছু ঘটেছে যা মানুষের আকলের খেলাপ, জাহেরী নজরের খেলাপ। জ্ঞানবুদ্ধির খেলাপ। এগুলোকে গায়েবী মদদ বলা হয়। আল্লহ তায়া’লার সাথে বান্দার যখন সম্পর্ক পয়দা হয়ে যায় তখন আল্লহ তায়া’লা তাঁর ঐ প্রিয় বান্দার সাথে জগতের প্রচলিত নকশার বিপরীতে আচরণ করেন এটাই আল্লহ তায়া’লার নিয়ম। এটা নবীদের সাথেও হয়েছে, সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের সাথেও হয়েছে পরবর্তিতে মুমিনদের সাথেও হয়েছে। হায়াতুস সাহাবাহ এর মধ্যে এমন বেশ কিছু ঘটনা উল্ল্যেখ আছে। আপনাদের মত কিছু অতি উৎসাহী লোক, যারা যা বিশ্বাস হয়না ধমাধম মিথ্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে, এই ভয়ে সবটুকু বাংলায় তরর্জমা করা হয় নি। যা করা হয়েছে আমি মোটামুটি চেষ্টা করছি অনলাইন ডিরেক্টরি করে ফেলতে।
বরং দেখা গেছে নবীদের সাথে যা ঘটেছে সাহাবাহ কেরামদের সাথে তার চেয়ে বেশি আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটেছে। যে ছেলে যত দুর্বল, ঐ ছেলের প্রতি মা তত বেশি দয়া করে থাকেন। দুনিয়াতে তো আমরা এইটাই দেখি। সেখানে আল্লহ তায়া’লার চেয়ে অধিক দয়াবান আর কে আছে। তিনিও তাই যে যত দুর্বল তার সাথে ততবেশি মদদ করে থাকেন। এই জন্যই দেখা যায় মূসা আ’লাইহিস সালাম এর সাথে আল্লহ তায়া’লা যত মদদ করেছেন রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে অতবেশি মদদ করেননি। মূসা আ’লাইহিস সালাম নবী তাঁকে আল্লহ তায়া’লা নদী শুকিয়ে পার করেছেন আর সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের চলমান নদীর উপর থেকেই পার করেছেন। এতে নবীর কদর কমেনি। তাই বুজুর্গদের শানে কোন কিছু ঘটলে তা সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের শানেও ঘটতে হবে এটা জরুরী কিছু নয়। এতে সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের মর্যাদা কমে যায় তাও না।
আল্লহ তায়া’লার কাছে অসম্ভব কিছু নয়। আল্লহ তায়া’লা কারও শানে এমন কিছু করতেই পারেন। এটা ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে। ইতিহাসে সাক্ষ্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য এ সম্পর্কেতো আগেই বললাম। ঐ ঘটনা গুলো ইতিহাস। কাজেই বিশ্বাস করা জরুরী নয়। বাড়াবাড়ি করাও উচিত নয়। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে বুযুর্গদের অনেক কাহিনীই বিশ্বাস করিনা। আমি সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের ঘটনা বেশি পড়ি এবং আমালে নিয়ে আসার চেষ্ট করি। কিন্তু বিশ্বাস করিনা বলে কারও উপর মিথ্যাচারের অভিযোগও করিনা। কেননা আসল খবর কেবলমাত্র আল্লহ তায়া’লাই জানেন। যা আমাল করার যোগ্য মনে হয় তা আমাল করি, যার উপর দিল এতমিনান হয় না আমালা করি না। এই জন্য পুরো কর্ম ও জীবনের উপর হামলা করার কি আছে? শুধু মাত্র আমার পছন্দ হয়না এই জন্য কাউকে মিথ্যাবাদী বলা হারাম।
একই ভাবে কেউ কেউ ফাযায়েলে আমালের উপর অনেক ভুলের অভি্যোগ করেছেন। আসলে আমি নিশ্চিত তারা কখনও ফাযায়েলে আমাল পড়েনই নাই। তারা যাতে ফাযায়েলে আমাল পড়েন এই জন্য তাদের কাছে সহজলভ্য করার জন্য আমি ফাযায়েলে আমালও অনলাইনে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
দয়া করে অল্প জ্ঞান নিয়ে আর কোন মিথ্যাচার করবেন না। শুধু বুখারী শরীফই পুরা দ্বীন না। তাই শুধু বুখারী শরীফ পড়ে নিজেকে বড় আলেম মনে করবেন না।
ভুল হলে সংশোধন করে দিয়েন। বেয়াদবি হলে মাফ করে দিয়েন।
@Anonymous,
মনে হয় ফন্টের সমস্যার কারণে আপনার অনলাইন ডিরেকটরি পড়াই যাচ্ছে না। অনেক অস্পষ্ট এবং ছোট।
@দ্য মুসলিম, অভ্র
@Anonymous,
অন্য ফন্ট ইনষ্টল করে দেখতে পারেন। ডিরেকটরির জন্য এত পরিশ্রম করছেন, না পড়া গেলেতো পরিশ্রম বৃথা।
@Anonymous,
এরা ইসলাম শিখে বৃটিশ স্পাই “আবদুল ওহাব নজদী” র কাছ থেকে , সুতরাং তাদের বুঝানো বৃথা।
@হাফিজ, আমি আসলে চাচ্ছি নতুন কেউ যেন তাদের বোকামীর ফাঁদে পা না দেয়। দাওয়াত ও তাবলীগ এর মত এত গুরুত্বপূর্ণ আমাল (মাওলানা সা’দ সাহেব বলেন ফরয, সমস্ত আলেমদের মতে সবচেয়ে বড় ও পয়লা সুন্নত) মিটিয়ে দেয়ার জন্য এই অপচেষ্টা আজকের নয়। এমনি ভাবে আস্তে আস্তে অন্য সব আমালও মিটিয়ে দেয়া হবে। না হলে কিয়ামাত কায়েম হবে কিভাবে? আমার এই কমেন্টটি পড়ুন
@manwithamission
আসসালামু আলাইকুম,
আপনার আগের পোস্টে সরিয়ে দেবার পর আপনাকে ইমেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল । সেটা না করে আপনি পর পর আরো একটি পোস্ট দিলেন যেটা আবার বিতর্কের সৃষ্টি করেছে । বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে দলীল পেশ করার পরিবর্তে কলমের জোড়ে অনেকে এখানে মতবাদ প্রকাশ করতে আগ্রহী ।
এসমস্যা নিরসন কল্পে আপনাকে আমাদের প্রস্তাব হোলো , বাংলাদেশের কোনো প্রথম সারির ইসলামিক গবেষনামূলক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার , বসুন্ধরা , হাটহাজারি মাদ্রাসা , পটিয়া মাদ্রাসা , দারুল ইহসান গবেষনাগার ইত্যাদি ) থেকে আপনার বক্তব্যের সপক্ষে “ফতোয়া” সংগ্রহ করার জন্য আহবান করা হোলো। সেই সীলমোহরযুক্ত ফতোয়া আমাদের কাছে পেশ করলে আমরা যাচাই করে দেখব আপনার বক্তব্য সঠিক কিনা ।
এর পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে সাময়িকভাবে ব্যান করা হোলো ।
ওয়াসসালাম।
@কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ], এই ছেলেটিকে আমি অনেকদিন থেকে ব্লগার হিসেবে চিনি। আল্লাহর কথা লেখার জন্য “সামু”-তে তাকে ব্যান করলে সে লিখেছিল:
আজ আপনারা তাকে ব্যান করলেন। কি ironical ব্যাপার তাই না? আমার জানামতে ইসলাম নিয়ে যারা ব্লগ লেখেন তাদের ভিতর সে সবচেয়ে well read এবং well behaved-দের একজন – বয়সে নবীন হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের চেয়ে অনেক সহিষ্ণু বলে আমি তাকে সব সময় সমীহ করেছি। আমাদের সনাতন ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে কেবল সত্য কথা বলাই যদি তার আপরাধ হয়ে থাকে, তবে সামুর বিরুদ্ধে সে আল্লাহর কাছে যে ফরিয়াদ করেছিল তা আপনাদের বেলায়ও প্রযোজ্য হতে পারে। উপরের উদ্ধৃতিতে সে আল্লাহকে বলেছিল:
আপনাদের ব্যাপারটা সিরিয়াসলি ভাবা উচিত!
@মেরিনার,আপনার লেখাটা ঠিক বুঝলাম না। আপনি কি লেখকের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তবে আমি নিচের কথাগুলো ভেবেছি। অন্যথায় আমি কিছু ভাবছি না।
দেখুন, লেখকের এই পোস্টটা এবং আগের পোস্টটা দুইটাই মারাত্মক শিরক যুক্ত। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। উনি আগের পোস্টে এমন সব কথা বলেছেন যাতে কিনা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর কুফুরী আরোপ হয়ে যায়। মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর উনার চাচার প্রতি সম্মান বাচক কিছু শব্দকে উনি ইবাদাত/পুজা হিসাবে চালিয়ে দিতে চেয়েছেন। উনি বলতে চেয়েছেন চাচার প্রতি এইসব সম্মান বাচক শব্দ নাকি হযরত মাওলানা পুজা করার জন্য লিখেছেন। কিন্তু উনার পুরা জীবন কর্ম বিশ্লেষণ করলে তা কখনই বুঝা যায় না। স্রেফ চাচার প্রতি সম্মান বাচক কিছু শব্দ যেটা সুন্নত (বড়দের সম্মান করা)। লেখক বলেছেন এটা নাকি শিরক। এতে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিই শিরক আরোপ হয়ে যায়। কারণ রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে বহু বার বড়দের সম্মান করেছেন এবং অন্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বড়দের সম্মান করতে। ধরে নিলাম লেখক উনার কথাটা ভুল ইন্টারপ্রিট করেছেন। তাই ভুলে এত বড় একটা অভিযোগ করেছেন। যদিও ভুলের ভাষা কখনও আক্রমনাত্মক হয় না। এর পরও ভুল হিসেবেই ধরে নিলাম।
কিন্তু দঃখ জনক! ভুল ধরিয়ে দেবার পরও উনি সংশোধন না হয়ে পাল্টা আরেকটি অভিযোগ করেছেন। অবাক করার ব্যাপার হল এক্ষেত্রে উনি সম্পূ্ণ ইচ্ছা কৃত ভাবে শুধু তার আগের কথার সত্যায়ন করার জন্য এবং মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর উপর কালিমা লেপনের জন্য একটা কবিতার আগের ও পরের কথা গুলো উল্লেখ না করে চালিয়ে দিতে চেয়েছেন যে মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি শিরক মূলক ভাবে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে সরাসরি চেয়েছেন। এর উত্তরও আমি দিয়েছি। পরবর্তীতে আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন এই ঘটনা নাকি শিরক মূলক। এই ঘটনা সত্য বা মিথ্যা আমি বলছি না। আমি বলছি উনি কোন দলীল প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন যেহেতু সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের সাথে এমন ঘটনা ঘটেনি নাই তাই এই ঘটনা মিথ্যা এবং শিরক। মিথ্যা হলে উনি বলবেন এই এই রাবী ও এই এই কারণে এটা মিথ্যা। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের শানে ঘটেনি বলেই মিথ্যা? এই সব যুক্তিই আমার কাছে গাজাখুরি ঘটনা মনে হয়। শুধু তাই নয়, এই জাতীয় যুক্তিই মারাত্মক শিরক যুক্ত। কেননা এতে আল্লহ তায়া’লার উপর আঙ্গুল উঠানো হয়। যেটা নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লহ তায়া’লা কি কোন ঘটনা ঘটানোর জন্য কারও মোহতাজ নাকি? কারও কাছে জবাবদিহী করতে হবে নাকি? এই ঘটনা উনার কাছে আশ্চর্য মনে হল? অথচ এর চেয়েও আশ্চর্য জনক ঘটনা আল্লহ তায়া’লা ঘটান। আল্লহ তায়া’লা বেনিয়াজ। তিনি যখন যা খুশি তাই করেন। তিনি কারও ধার ধারেন না। কারও পরোয়া করে না। কারও কাছে জবাবদিহী করেন না। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের মর্যাদা নাবীদের পর সবার উপরে। এজন্য কোন ঘটনা বা কারও কথা অস্বীকার করার দরকার নাই। আল্লহ তায়া’লা এবং রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই তাঁদের মর্যাদার সাক্ষ্য দিয়েছেন।
কিন্তু এমন আজব ঘটনা এর আগেও আল্লহ তায়া’লা অনেকের সাথেই করেছেন, এমনকি কাফেরদের সাথে করেছেন। আল্লহ তায়া’লা মারইয়াম (রদিয়াল্লহু আ’নহা) এর শানে মানুষের আকলের বাইরে কিয়ামাত পর্যন্ত মানুষের প্রচলিত নকশার বিপরীত ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন অথচ তিনি নবী ছিলেন না এবং সাহাবাহ (ঈসা আ’লাইহিস সালাম এর) তখনও হননি। উম্মুল মুমিনীন সুফিয়া রদিয়াল্লহু আ’নহা কাফের অবস্থায় স্বপ্ন দেখেছিলেন মদীনার চাঁদ উনার কোলে এসে পড়েছে। আব্দুল মুত্তালিব (সমস্ত আলীমদের সর্বসম্মত মত তিনি কাফের অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছেন) শুধু আল্লহ তায়া’লার কাছে দোয়া করেছিলে তোমার ঘর তুমিই শামলাও, আমি বড় দুর্বল। আল্লহ তায়া’লা এর কাফেরের কথায় কিয়ামাত পর্যন্ত দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জন্য নজীর সৃষ্ট করে দিলেন।
শুধু কাফের কেন এর চেয়েও আশ্চর্য ঘটনা আল্লহ তায়া’লা পশু পাখির জন্য ঘটানোও আল্লহ তায়া’লা নিজের নিয়ম করে নিয়েছেন। দেখুন গরু ঘাস খায়
অথচ আর দুধ দেয়। এটা কি আশ্চর্যজনক বলে মনে হয় না। জগতে কোন শক্তি আছে এমন করতে পারে? মিলনের মাধ্যমে সন্তান হয় অথচ মায়ের পেটে কলকব্জা কিছুই নেই। আল্লহ তায়া’লা বহু কুদরত ওয়ালা। তিনি কারও মোহতাজ নন। কাউকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন পড়েনা আল্লহ তায়া’লার। তিনিই সর্বেসর্বা। তিনি সার্বভৌম। এক মুরগীর ডিম। কোথাও ফাঁকা নেই। এরপরও অসীম ক্ষমতা ও পরম শক্তির আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়া’লা এক তুচ্ছ মুরগীর তায়ে ওখান থেকে জীবন্ত মুরগী পয়দা করেন। কোনদিনও কি শুনেছেন কোন সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহু এর তায়ে ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটেছে? তাই বলে কি এই কথা বলবেন যে সাহাবাহ কেরাম বাচ্চা ফুটাতে পারলেন না মুরগি পারবে কিভাবে। তাই ডিম থেকে বাচ্চা হবার কথা বিশ্বাস করলে কি শিরক হয়ে যাবে? আল্লহ তায়া’লা কে যে এইভাবে অক্ষম মনে করে সে কি আল্লহ তায়া’লার মুনকির নয়?
এই ভাবে তার দুইটি পোস্টই কঠিন কঠিন শিরকে ভরা। সত্যি বলতে কি লেখক দ্বীন মিটানোর এক মিশনে নেমেছিলন। যদি সংশোধন করতেই নামতেন তবেতো নিজের সংশোধনই আগে করা উচিত ছিল। উনাকে ভুল দেখিয়ে দেয়ার পরও উনি একই কাজ আবার করেছেন। তার মানে উনি আসলে দ্বীন মিটাতে এসেছিলেন। আমি উনার সাম্যু এর পোস্ট গুলোও দেখেছি। একের পর এক কাল্পনিক সব দোষ বানিয়ে বানিয়ে উনি তাবলীগ জামাত তুলোধুনো করেছেন ঐখানে। এই ইস্যুতে অনেক পোস্ট ঐখানে। দেখেছি ঐখানেও কিছু আল্লহ তায়া’লার মুখলিস বান্দা তার ঐ সব অপপ্রচারের আনসার দিয়ে উনার মুখ বন্ধ করেছেন। বুঝাই যায় উনি দ্বীন মিটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঐখানকার ভাষাগুলো এত নোংরা! আপনি এরপরও উনাকে সহিষ্ণু বলছেন।
এই জাতীয় লোক গুলো আরও ভয়ংকর। কারণ এরা ইসলামের নাম দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে। উনি সরাসরি বললেই পারেন যে, “আমি ইসলামী সঠিক আকীদা থেকে আপনাদের কে দূরে সরাতে চাচ্ছি”, তা না করে এমন ভাবে কৌশলে হাদীস ও কুরআনে থেকে রেফেরেন্স দিয়ে এমন সব কথা বলছেন যা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর কুফুরী আরোপ করে এবং আল্লহ তায়া’লা উপর প্রশ্ন তোলা হয়। সাধারণ মানুষ, যারা চিন্তাশীল নন তারা তার এইসব কথায় ধোঁকা খেয়ে ঈমান হারাবে। কিছুদিন আগের পোস্ট গুলো দেখেছি ফারুক নিকের এক লোক রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বেয়াদবী ও কুফুরী মূলক কথা বার্তা বলেছে কিন্তু সে এত ছলচাতুরীর আশ্র্য় নেয়নি। সরাসরিই বলেছে। আর ইনি এমন ভাবে কুরআন হদিস দিয়ে বললেন যে চাচার সম্মান করা কুফুরী (যা কিনা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামও করছেন) মানুষ ধরতেও পারবে না।
কিছু দিন পরে এরাই কুরআনের আয়াত দিয়ে হাদিস দিয়ে এ কথাও বলা শুরু করবে নামায পড়া কুফুরী, হাজ্জ করার কুফুরী ইত্যাদি ইত্যদি। আল্লহ তায়া’লা হিফাযত করেন।
এমন লোককে সরিয়ে দিয়ে অন্যদের ঈমানের হিফাযতে সাহায্য করেছেন কর্তৃপক্ষ। এতে আল্লহ তায়া’লা লানত পড়বে কেন? এই সব মুশরিকদের শিরকী নমুনা সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি আল্লহ তায়া’লার লানত পরে তাহলে তো এই লানত রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবাহ কেরাম এবং সমস্ত নবীদের উপরেও পড়বে। কারণ দুনিয়াতে শিরকী আলামত ধ্বংসে মূল হোতা এরাই ছিলেন। এই জাতীয় মুশরিক, দ্বীন ধ্বংসের মিশনকারী কে সমর্থন করা এবং এদের পক্ষ হয়ে আল্লহ তায়া’লা লানতের ভয় দেখানোও শিরক কেননা এতে আম্বিয়া আ’লাইহিমুস সালাম দের মেহনতের বিরোধিতা করা হয়।
আল্লহ তায়া’লা আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন।
@Anonymous,
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ , অনেক কষ্ট করে সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য । ১০০% সহমত ।
@হাফিজ,সাবাশ ভাই গুছিয়ে গালি দেয়াকে সাপোর্ট করার জন্য। আর আমরা নাকি মানুষকে কাফির বলি। আল্লাহু আকবার!
“স্রেফ চাচার প্রতি সম্মান বাচক কিছু শব্দ যেটা সুন্নত (বড়দের সম্মান করা)। লেখক বলেছেন এটা নাকি শিরক। এতে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিই শিরক আরোপ হয়ে যায়”
এই রকম অকাট্য যুক্তি আমি আগে কাউকে দিতে দেখিনি।
@মনপবন, ভাই এব্যাপারে আর কিছু না লিখার নিয়ত করেছি। একটু মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন। এরপর একটা ভাবুন যে কত বড় মারাত্মক কথা লেখক বলেছিলেন। এরপরও তার কথা যদি আপনার কাছে যৌক্তিক মনে হয় ্সে ক্ষেত্রে আমি অসহায়। আপনার জন্য হিদায়াতের দোয়া করা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না।
@Anonymous, আমাদের এই মেরিনার ভাই/বোন কিছুদিন আগেও এই বিতর্কিত পোষ্টের লেখককে ছি! উমর, ছি! ম্যান উইথ এ মিশন বলে ধিক্কার জানিয়েছিলেন(দেখুন এখানে)। কিন্তু আজ তিনি তার পক্ষ নিলেন কেন? রহস্যটা কী?
@মাহমুদ,উপরে (দেখুন এখানে)-তে ক্লিক করে ৪২নং কমেন্ট দেখুন অথবা উক্ত কমেন্টটি সরাসরি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
@মাহমুদ,ভাই আমি এই ব্যাপারে আর কিছু লিখতে চাই না। এই পোস্টের লেখক একই ধরনের মিথ্যাচার দেরারছে চালিয়ে যাচ্ছেন সামহোয়ার ব্লগে। আমি ওখানে একাউন্ট করে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওদের ওখানে মেম্বার হবার নিয়মনীতি বড় কঠিন অনেক টাইম লাগে কোন পোস্টের রেস্পন্স করতে। আপনার ওখানে আক্সেস থাকলে আপনি এখানে উনার দুটি পোস্টের লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারেন।
আলহা’মদু লিল্লাহ ওখানেও দেখেছি আল্লহ তায়া’লার কিছু মুখলিস বান্দা তার অপচেষ্টা রুখে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
আমার মনে হয় আমরা এই ব্যাপারে আর ডিস্কাস না করলেও পারি। কারণ উনার অভিযোগটা এখন একটা সল্ভড ইস্যু।
জাযাকাল্লহ
@Anonymous, সহমত।
@Anonymous,
আসসালামু আলাইকুম।
একটা ব্যপার জানতে চাই, রাসূল (সা:) কবর থেকে হাত বের করলেন সেখানে ৯০ হাজার মানুষ ছিলেন। এই গল্পটার আর কোন রেফারেন্স আছে কি। কারণ এটা কোন সাধারন ঘটনা নয়।
যদিও আপনি এব্যপারে কমেন্ট করতে চাইতেছেন না, তারপর ও অনুরোধ থাকলো।
ভাই আপনারে একটা কথা বলি বাস্তবতাটা অনুসন্ধান করে তারপর আমার উত্তর লিখবেন। মাওলানা জাকারিয়া হলেন তাবলীগ জামাতের গোড়ার দিকের লোক, বা গাছের মূল শিকড়ের মত, ওনাদের আক্বীদার প্রতিফলন হচ্ছে বিশ্বের শত-সহস্রা তাবলীগি মারকাজে, আপনার আশে পাশে মাওলানা জাকারিয়া কে পাবেন না তার ধারনার তবলিগ কর্মী নিশ্চয় পাবেন। আক্বীদা কী তা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেই তারপর লিখুন। কোন তাবলীগ কর্মী চিল্লা বা তিন চিল্লা লাগানো পুরানো সাথীদের কে একটু জিজ্ঞেস করে নিন যে তিনি রসূলকে গায়েব থেকে হাজের মনে করেন কিনা। আপনি তো না খেয়েই উঠে পড়ে লেগেছেন যে জাকারিয়্যা রহ: রসূলকে হাজের জানতেন বলে প্রমান করতে- নাউজু বিল্লাহ- এই আক্বীদা সাধারণ কোন তাবলিগীরও নেই ।
আপনার লেখাটা খুবসম্ভবত সালাফী কোন আলেমের লেকচার শুনে তার পরে, সালাফীরা যে মওদুদীবাদ নিয়ে লেকচার দেন সেগুলোও শুনবেন। বাস্তবতা যাচাইয়ের জন্য শিবির বা জামাত কর্মীর সাথে আলোচনা করবেন তারপরই তা তাদের উপর আরোপ করবেন।
@বাংলা মৌলভী, সুন্দর ও বাস্তব সম্মত জবাব দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
@বাংলা মৌলভী, সহমত ।
@Anonymous,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
*** লেখকের এই পোস্টটা এবং আগের পোস্টটা দুইটাই মারাত্মক শিরক যুক্ত। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। উনি আগের পোস্টে এমন সব কথা বলেছেন যাতে কিনা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর কুফুরী আরোপ হয়ে যায়।
*** সত্যি বলতে কি লেখক দ্বীন মিটানোর এক মিশনে নেমেছিলন। যদি সংশোধন করতেই নামতেন তবেতো নিজের সংশোধনই আগে করা উচিত ছিল। উনাকে ভুল দেখিয়ে দেয়ার পরও উনি একই কাজ আবার করেছেন। তার মানে উনি আসলে দ্বীন মিটাতে এসেছিলেন।
*** এই জাতীয় লোক গুলো আরও ভয়ংকর। কারণ এরা ইসলামের নাম দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে।
*** এমন লোককে সরিয়ে দিয়ে অন্যদের ঈমানের হিফাযতে সাহায্য করেছেন কর্তৃপক্ষ। এতে আল্লহ তায়া’লা লানত পড়বে কেন? এই সব মুশরিকদের শিরকী নমুনা সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি আল্লহ তায়া’লার লানত পরে তাহলে তো এই লানত রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবাহ কেরাম এবং সমস্ত নবীদের উপরেও পড়বে।
*** কারণ দুনিয়াতে শিরকী আলামত ধ্বংসে মূল হোতা এরাই ছিলেন। এই জাতীয় মুশরিক, দ্বীন ধ্বংসের মিশনকারী কে সমর্থন করা এবং এদের পক্ষ হয়ে আল্লহ তায়া’লা লানতের ভয় দেখানোও শিরক কেননা এতে আম্বিয়া আ’লাইহিমুস সালাম দের মেহনতের বিরোধিতা করা হয়।
অন্যমত, দ্বীমত, উল্টামত।
১) প্রতিবাদ করা ওয়াজীব মনে হলো তাই করলাম। পিস ইন ইসলামে গত ৪মাস ধরে ব্লগিং করছি অথচ আজ পর্যন্ত কাউকে আপনার মতো সরাসরি মুশরিক বা ইত্যাদি বলতে শুনিনি।
২) ব্লগে আসার পর থেকে লিখকের লিখা গুলো পড়ে অনেক কিছু শিখেছি। যা বর্জিত মনে হয়েছে তা বর্জন করেছি। তবে অনেক কিছু শিখেছি এটা সত্য।
৩) ব্লগে অনেক বিচক্ষণ বড় ভাইরা রয়েছেন। বড় বললাম কারণ আমার মনে হয় বয়সে আমিই সবচাইতে ছোট, জ্ঞানে এবং বয়সে। সেই বড় ভাইরা কিভাবে বসে আছেন এমন অভিযোগ শুনে? আপনারা কি অন্ধ হয়ে গেছেন?
৪) বিজ্ঞ হাফিজ ভাই, সাদাত ভাই প্রমুখ বড়ভাইদের কাছ থেকেই প্রতিবাদ আশা করেছিলাম আগে।
৫) কাউকে সরাসরি মুশরিক বলা বা কাফের বলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদার কোন অংশে কত অধ্যায়ে আছে?
৬) বিজ্ঞ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও আশা করেছিলাম কোন সতর্ক বানীর, কিন্তু পাইনি।
৭) সত্যি বলতে কি, অদ্ভুদ এক ইসলাম প্রচারে নেমেছি আমরা যেখানে যে কাউকে কাফের বলা যায় বা মুশরিক বলা যায়। এটি কি সুন্নাতের খেলাফ নয়?
শ্রদ্ধেয় Anonymous ভাই। তাবলীগে সময় লাগানোর কথা অনেক গুলো কমেন্টে বলে আসছেন আপনি। তাবলীগকে যদি আপনার প্রতিচ্ছবিতে দেখার চেষ্টা করি তাহলে এ জীবনে যে তাবলীগি জামাতের ছায়া মাড়াবো না, এটুকু কনফার্ম। তবে মনে হয়না তাবলীগী জামাতের আলেমরা আপনার মতো আক্বীদা পোষন করেন।
@দ্য মুসলিম, ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। দেখুন কুফুরের ফতওয়া সম্পর্কে আমার পরিষ্কার আইডিয়া আছে। আমি কখনই কাউকে কাফের বা মুশরিক বলে চাইনি। উনি নিজেই নিজেই মুশরিক হিসেবে প্রতিপন্ন করেছেন। উনি কথা বার্তা গুলো যা বলেছেন যা যদি উনার মনের কথা হয়ে থাকে তাহলে এটা নিশ্চিত এগুলো মুসমানদের আকীদা হইতে অনেক দূরে। বরং পরিষ্কার কুফুরি আকিদা। যখন কেউ তার কুফুরী আকীদার উপর হঠকারিতা করে তখন ধরে নিতে হয় এগুলো তার মনের কথা।
আপনি ৪ মাসে কাউকে এমন পাননি। কিন্তু দুঃখজনক আমি আমার ৪ দিনের ব্লগিংর মাথায়ই পেয়েছি। উনার আগের পোস্টটা এই ব্লগে পড়া আমার দ্বিতীয় পঠন। উনি মাওলানা যাকারিয়া রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর মত এতবড় বিজ্ঞ আলীমের উপর সরাসরি শিরক, শধু শিরক বলি কেন শিরকে আকবারের তোহ্মত লাগিয়েছেন। আমি সামহোয়ারে উনার মিথ্যাচার দেখেই নেটে খুজছি আর কোন কোন সাইটে এমন মিথ্যাচার চলছে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম ১ মাস হয়ে যাবার পরও কেউ ওইটার কোন রেস্পন্স করে নি। এর পরই একাউন্ট ক্রিয়েট করে রিপ্লাই দিলাম। যাই হোক যা লিখেছি আক্ল বুদ্ধি থাকলে মানুষের ইতিমধ্যে বুঝা উচিত কি মারাত্মক শিরক যুক্ত উনার এই দুই পোস্ট গুলো। আর যদি আকল না থেকে থাকে তাহলে শত বলেও লাভ নেই। তাই নিয়ত করেছি অন্তত এই লোকের ব্যাপারে আর কিছু লিখব না। কিন্তু কেউ পানি ঘোলা করে উম্মতকে বিপথগামী করার চেষ্টা করলে তার প্রতিবাদ করা আমি আমার দায়িত্ব মনে করি।
জাযাকাল্লহ
ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন।
@দ্য মুসলিম, আরেকটা কথা বলে এই প্রসঙ্গ থেকে চির বিদায় নিচ্ছি। সরাসরি মুশরিক বলা হয়তঃ বাড়াবাড়ি বা বেশি আবেগী হয়ে গেছে, কিন্তু যেগুলো আপনি অন্যমত প্রকাশ করেছেন ওগুলো আমি এখনও ভিন্নমত হবার কোন কারণ খুজে পাচ্ছিনা। এই প্রসঙ্গে আমার নিজের কমেন্ট গুলো কয়েকবার করে পড়লাম। কিন্তু এখনও অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে না উনি যা লিখেছেন তা চরম পর্যায়ের ধৃষ্টতা। মাজার ব্যাপার হল এই অভিযোগগুলো অনেক পুরাতন। বহু বার এর উত্তর দেয়া হয়ে গেছে। এরপরও আর কত বার এগুলো নিয়ে পানি ঘোলা করা হবে ঃ-/
@Anonymous,
প্রসঙ্গ থেকে চির বিদায় নিচ্ছেন আর সাথে করে কৃত কর্মের আমল গুলোও নিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনার অন্তরের খবরও জানেন আর লিখকের অন্তরের খবরও জানেন। তিনি যেমন আমার অন্তরের খবর জানেন তেমনি সকলের। আমরা আমাদের কর্মের নিয়ত অনুযায়ী শাস্তি পাবো।
দোয়া করি, সঠিক নিয়তে ইখলাসের সাথে দাওয়াতী কাজ যেন সম্পন্ন করতে পারেন।
@দ্য মুসলিম, এই ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য না করার নিয়ত করেছি। হ্যাঁ অন্তরের খবর আল্লহ তায়া’লাই ভাল জানেন। আমাদের জাহেরের উপর আমাল করতে বলা হয়েছে। পানি ঘোলা করতে বলা হয়নি।
সালাম।
@দ্য মুসলিম,
আসলেই নিজেকে অন্ধ আর অসহায় মনে হচ্ছে ।
কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সামুর থেকেও গোড়া সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে । আমি মনে করেছিলাম কতৃপক্ষেরই একটা নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ডআছে ।
তারা নিজেরাই সে দৃষ্টিকোন থেকেই একটা বক্তব্য দিতে পারত। হয়ত তারা নিজেরাই বিতর্কের বাইরে থাকতে চেয়েছেন । কিন্তু আমি মনে করি মত প্রকাশ না করলে অন্যরা আমার ভুলটা সংশোধন কিভাবে করবে , আমিই বা সংশোধিত কিভাবে হবো ?
আফসোস লাগছে রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী এখানেও আছে ? উনি যে একজন উচু দরের মুশরিক এতে কী কারো কোন সন্দেহ আছে ?
একজন মুশরিকের কবিতার সাথে ফাজায়েলে দরুদের কবিতার তুলনা হচ্ছে ভাবতে কেমন জানি মনে হচ্ছে।
আসলেই কী আমরা অন্ধ হয়ে গেছি ? স্পষ্টতাকেও রুপক বলে চালিয়ে দিচ্ছি?কোনটা কবিতা আর কোনটা কবিতা না এটা বোঝার কী
কোন মানদন্ড আছে ?
কতৃপক্ষের কাছে একটা প্রশ্ন রেখে শেষ করছি , আপনারা যে গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বললেন, আপনার কী নিশ্চিত তাদের ফতোয়াগুলো সাংঘর্ষিক নয় ?
@বাগেরহাট,আমি এই ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য না করার নিয়ত করেছি। আমি কারও ধারণা পরিবর্তন করার জন্য লিখিনি। আমি লিখেছি লেখকের মিথ্যাচার থেকে এবং শিরকযুক্ত কথা থেকে সাধারণ পাঠকদের সতর্ক করার জন্য। কারও বিবেক থাকলে আমার ইতমধ্যে লেখা কমেন্টগুলোই যথেষ্ট। কেউ যদি মনে করে থাকেন যা বালার বলছি পারলে ঠেকা! তাহলে আর কি করার থাকবে।