লগইন রেজিস্ট্রেশন

হাদীস শব্দটির অর্থ, হাদীসের গঠন ও প্রকারভেদ

লিখেছেন: ' মেরিনার' @ বুধবার, জানুয়ারি ১৩, ২০১০ (৭:০৮ পূর্বাহ্ণ)


হাদীস শব্দটির অর্থ

আভিধানিক ভাবে ‘হাদীস ’শব্দটির অর্থ হচেছ :
নতুন, সাম্প্রতিক, নতুন ভাবে অস্তিত্বলাভকারী, প্রথম বারের মত, আগে যা ছিল না …. তথ্য, একটা তথ্য বিশেষ, মেধা, ঘোষণা …একটা জিনিস বা ব্যাপার , যা নিয়ে কথা বলা হয় , যা বলা হয় ,অথবা বর্ণনা করা হয় …।

কুর’আন এবং হাদীস দুটোতেই, শব্দটি একটি ধর্মীয় যোগাযোগ, একটা সাধারণ কাহিনী, একটা ঐতিহাসিক কাহিনী, এবং একটা ঘটমান কাহিনী বা কথোপকথন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে ৷ পারিভাষিকভাবে একটা হাদীস হচ্ছে মূলত রাসূল (সা.)-এঁর যে কোন বর্ণনা – তার কথা কাজ এবং নীরব সম্মতি, আচরণ, শারীরিক বৈশিষ্ট অথবা জীবন বৃত্তান্ত সংক্রান্ত যে কোন বর্ণনা ৷ অন্য কথায়, হাদীসের স্কলাররা যেভাবে সুন্নাহর সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন, সেই অনুযায়ী সুন্নাহ সংক্রান্ত যে কোন বর্ণনাই হচ্ছে হাদীস ৷


যে কোন হাদীসই দুইটি উপাদান দ্বারা গঠিত:

১) ইসনাদ বা বর্ণনাকারীদের ধারা, এবং
২) মতন বা হাদীসের বক্তব্য/ভাষ্য (text) ৷ এই অংশদ্বয়ের উভয়কেই বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় – তবেই কোন একটা হাদীসকে গ্রহণ করা হয় এবং সেটাকে সত্য বলে গণ্য করা হয় ৷

সাধারণভাবে হাদীসকে পাঁচটি মৌলিক শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়:

ক) সহীহ বা শুদ্ধ
খ) হাসান বা ভাল হাদীস
গ) যয়ীফ বা দুর্বল হাদীস
ঘ) যয়ীফ জিদ্দান বা খুবই দুর্বল হাদীস

এবং
ঙ) মাওদু বা জাল হাদীস ৷

আসলে এই সবকটিকে আরো মৌলিক পর্যায়ে কেবল দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় ৷ গৃহীত বা গ্রহণযোগ্য হাদীস ( সহীহ বা হাসান ) এবং প্রত্যাখ্যাত হাদীস (যয়ীফ, যয়ীফ জিদ্দান এবং মাওদু) ৷ ইসলামিক শরীয়া আইনের সূত্র বা দলীল হতে হলে, একটা হাদীসকে, অবশ্যই সহীহ বা হাসান পর্যায়ের হতে হবে ৷ যেকোন একটি হাদীস নিজগুণে সহীহ বা হাসান বলে পরিগণিত হতে হলে তাকে নিম্মলিখিত পাঁচটি শর্ত পূরণ করতে হবে:

১) ধারাবহিকতার সূত্র বা ইসনাদ নিরবচ্ছিন্ন হতে হবে ৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, প্রত্যেক পর্যায়ের বর্ণনাকারীকে সরাসরি তার পূর্ববর্তী সূত্রের কাছ থেকে হাদীসটি লাভ করতে হবে – যার বরাত দিয়ে তিনি তা বর্ণনা করেছেন ৷ এবং এভাবে পিছনে যেতে যেতে তা রাসূল (সা.) পর্যস্ত পৌছাতে হবে ৷ এই ধারাবাহিক সূত্রের মাঝে কোথাও যদি কোন বর্ণনাকারী সূত্রের অনুপস্থিতি থাকে, তবে ধরে নিতে হবে যে সূত্রের ধারাবাহিকতা নিরবছিন্ন নয় এবং তাই তা অগ্রহণযোগ্য ৷
২) সূত্রের ধারাবাহিকতায় প্রত্যেক বর্ণনাকারীকে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য তাকওয়া, ন্যায়পরায়ণতা ও চরিত্রের অধিকারী হতে হবে, অন্য কথায় প্রত্যেক বর্ণনাকারীকে নৈতিক দিক দিয়ে অবশ্যই সুস্থ হতে হবে৷ পরহেজগার নন এমন ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নন – কেননা তারা যে পরহেজগার নন সেটা প্রতীয়মান করে যে, তারা আল্লাহকে যেভাবে ভয় করা উচিত, সেভাবে করেন না ৷ আর তাই নবী (সা.)-এঁর বক্তব্যসমূহ বর্ণনা করার ব্যাপারে তারা যে চুড়ান্ত যত্বশীল হবেনই, সে ব্যাপারে তাদের উপর আস্থা রাখা যায় না৷ সূত্রের ধারায় যদি কেবল একজন বর্ণনাকারীও এই গুণগত মানদন্ডে উত্তীর্ণ না হন, তবে সে হাদীসকে প্রত্যাখান করতে হবে ৷
৩) শুধু নৈতিক বৈশিষ্টই এখানে যথেষ্ট নয় ৷ হাদীস বর্ণনা কারীকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে এবং হুবহু বর্ণনায় সমর্থ হতে হবে ৷ যদি এমন জানা যায় যে, কেউ হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক ভুল করেন – তার স্মৃতি থেকেই হোক আর লেখা থেকে হোক -তবে তার হাদীস গ্রহণ করা হবে না ৷
৪) একটা হাদীসের ইসনাদ ও মতন দুটোই এমন হতে হবে যে, অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী সূত্র থেকে যা বর্ণনা করা হয়েছে, তার সাথে যেন তারা বিরোধপূর্ণ না হয়৷
৫) যখন নানাভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরে একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়, তখন ব্যাপারটা যেন এমন হয় যে ঐ হাদীসের ইসনাদ বা মতনে কোন ভুল ভ্রান্তি বা খুঁত দেখা না যায় ৷

উপরোক্ত শর্তগুলোর একটিও যদি পূরণ না হয় তবে হাদীসটিকে দুর্বল (যয়ীফ) অথবা অত্যন্ত দুর্বল (যয়ীফ জিদ্দান) বলে প্রত্যাখ্যান করা হবে (দুর্বলতার মাত্রার উপর নির্ভর করে) যেসব হাদীকে যয়ীফ বা র্দুবল বলে চিহ্নিত করা হয় – সেগুলোর পক্ষে পর্যাপ্ত সমর্থনকারী সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে, সেগুলোকে হাসানের পর্যায়ে উন্নতি করা যেতে পারে ৷ যেসব হাদীসকে “যয়ীফ জিদ্দান” বলে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলোর দুর্বলতার মাত্রা বা প্রকৃতি, সেগুলোকে কোন কিছু সমর্থনকারী প্রমান হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া অথবা অন্য কিছু দ্বারা সমর্থিত হওয়া থেকে বারণ করে ৷ আর তাই এগুলোকে (”যয়ীফ জিদ্দান” হাদীসসমূহকে) কখনোই হাসান পর্যায়ে উন্নতি করা উচিত নয় ৷ অবশ্য জাল হাদীস একদমই ভিন্ন একটা শ্রেণী বলে বিবেচিত হয় এবং সেগুলো কখনোই কোন অবস্থায় ইসলামী আইনের কোন সূত্র বলে বা ইসলামী আইনে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না ৷

[Page26~28, The Authority and Importance of Sunnah - Jamaal al-Din M. Zarabozo, থেকে অনুদিত।]

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৯৪৯ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

১৫ টি মন্তব্য

  1. সালাম।
    মনে কিছু করবেন না ধর্ম নিয়ে পোষ্ট করলে একটু সময় নিয়ে পোষ্ট করবেন প্লিজ। কারণ ভুল শব্দের জন্য পাঠকের কাছে আপনার আসল বক্তব্য না পৌঁছাইতে পারে।

    ২য়ত হাদিস গ্রহণ যোগ্যতার ক্ষেত্রে সিলসিলা (ইসনাদ) যদি শর্ত হয় তবে আমার হুজুর সঃ সময় পর্যন্ত যেতে হয় তবে ৩৩ বছরে এক পুরুষ ধরে নিলে ২০১০ – ৬৩৩ সমান১৩৭৭ বছর /৩৩ সমান ৪২ পুরুষ দরকার। এখন কথা হলো এক হাদিস বাছাই করতে গিয়ে ৪২ পুরুষের নতি টানা কি সম্ভব? তাহলে আমরা কোথাও না কোথায় এই সিলসিলা টানা বন্ধ করতে হবে। আর এখানে সব সমস্যা। কথা বা লিখা অনেক সহজ কিন্তু বাস্তবে তা কত দূরহ তা হাদিস যাচাইর প্রক্রিয়া বাস্তব উদাহরণ।
    আমার বুঝে আসেনা আমাদের এই যুগের মহান হাদিসবিদেরা কেন তাবে তাবেঈন যুগ পর্যায়ের থিওরী এখনও পাবলিকে খাওয়াচ্ছেন।

    আমি জানি আপনার বেহুদা টাইম নাই তারপরও প্রশ্ন করার তাই করলাম জবাব দিলে খুশী না দিলে ও রাগ করব না। ধন্যবাদ।

    হাফিজ

    @মুনিম ভাই,

    সিলসিলা বলতে “মুহাদ্দিস”রা যখন হাদিস সংকলন করেছেন তারে থেকে শুরু করে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) পর্যন্ত বুঝিয়েছেন ।

    আমার থেকে শুরু করে ১৪০০ বছর আগ পর্যন্ত ৪২ পুরুষকে বোঝানো হয় নি ।

    মুনিম

    @হাফিজ ভাই যে কোন এক হাদিসকে নিয়ে মুহাদ্দিস’রা পর্যন্ত একটি উদাহরণ দিবেন কি? আর এর পরও যে হাদিসকে টেম্পারিং করা হয় নাই তা বুঝার উপায় কি বলবেন কি? ধন্যবাদ।

    Areef

    আমরা যেন নিচের দুয়ের কোনটি না করি:
    (১) মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনী পাস করে কামেলের ক্লাসে বসে শিক্ষককে প্রশ্ন করা, অথবা
    (২) লেখাপড়ায় প্রচুর ফাকি দিয়ে দিয়ে কোনরকমে কামেল ক্লাসে উঠে শিক্ষককে প্রশ্ন করা।

    বলা হয় প্রশ্নকারীর অর্ধেক জ্ঞান থাকতে হয় এবং তার উদ্দেশ্য ভাল হতে হয়। তা না হলে প্রশ্ন সঠিক হয় না। এবং তার উত্তর দিতে যাওয়া সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

    মেরিনার ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি লিখে যান। কারোর অযথা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

    মহান আল্লাহপাক আমাদের সংক্ষিপ্ত জীন্দেগির মুল্যবান সময়ের উত্তম ব্যবহার করার সুযোগ দান করুন।

    মুনিম

    @Areef, বাহঃ আপনি তো দেখছি সত্যিকার অর্থে আরিফ!!!!!!! গায়েবী খবর ও রাখেন দেখছি! এটি ব্লগ এটি ভার্চুয়াল জগতএখানে পোষ্ট করলে যে কোন জন সে প্রশ্ন রাখতে পারেন আর তাতে কারো গায়ে জ্বলুন আসার কথা না! কারণ আল্লাহ তো ধর্যশীলদের সাথে আছেন।

    জ্ঞান পিপাষু

    @Areef,

    অযথা কথাতো আপনি বলছেন মনে হয়।

    (১) মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনী পাস করে কামেলের ক্লাসে বসে শিক্ষককে প্রশ্ন করা, অথবা
    (২)লেখাপড়ায় প্রচুর ফাকি দিয়ে দিয়ে কোনরকমে কামেল ক্লাসে উঠে শিক্ষককে প্রশ্ন করা।

    শিক্ষক কে প্রশ্ন করতে হলে কোন কেলাস ফেল মারতে হইবো, বলবেন কি? আর আপনি কোন কেলাস ফেল মারছেন?
    আমি ভাই ফেল মারিনাই কারন, আমি স্কুল মাদ্রাসার ধারের কাছেও যাই নাই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন।
    তবে আমার প্রশ্ন শুনে বহু পাবলক চোখেমুখে শরিষা ফুল দেখে।:)

    মুনিম

    @জ্ঞান পিপাষু,বাদ দেন মানুষ যখন যুক্তি রেখে আবেগে বাস করে তখন কত রকম কথা বলে।

    দ্য মুসলিম

    @মুনিম,

    হাদীস সংকলনের কাজতো সেই কবেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি ২০১০ থেকে হিসেব করলে চলবে কি করে?

    মুনিম

    @দ্য মুসলিম, ধন্যবাদ। ঠিক কবে এবং কার কাছে শেষ হয়েছে তা জানার ইচ্ছা থেকে ঐ প্রশ্ন করা। এবং যখন যার হাতে সিলসিলা শেষ হয়েছে তখন থেকে এখন পর্যন্ত কি দাড়ি কমা সেমিকলন সহ এক অবস্থায় আছে? এখানে কি মোটেই টেম্পারিং হয় নাই? আমরাতো উম্মি আমরা বাংলাদেশের শায়খুল হাদিশদের একই হাদিশের ভিন্ন তরজমা পাওয়া যায় এমন কি কোন কোন মুল আরবী হাদিশ গায়েবও করে দেওয়া হয়েছে।

    দ্য মুসলিম

    @মুনিম,তা হয়তোবা ঠিক। অনুবাদে সমস্যা হতে পারে। তবে মুল স্ক্রীপ্টতো ঠিক থাকার কথা। টেম্পারিং করার জন্য যেমন শয়তান থাকে, তেমনি রক্ষা করার জন্য তো নবীগণের উত্তরসুরী আলেমগণও ছিলেন। এতটুকু ভরসা তো করতেই হবে, তাইনা?

    আব্দুল্লাহ

    @মুনিম ভাই, ইমাম মালিক(৭১১-৭৯৫), ইমাম বুখারি(৮১০-৮৭০), ইমাম মুসলিম (৮১৭-৮৭৪) তাদের জীবনকালের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে রসুলুল্লাহ (সাঃ) পর্যন্ত হাদিসগুলোর সিলসিলা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
    মুনিম ভাই, সংশয় নিয়ে কোন কাজ করবেন না। আপনার যদি হাদিস সংরক্ষণের ব্যপারে মনে সন্দেহ থাকে তাহলে পড়াশোনা করে সংশয় কাটিয়ে নেন। ব্লগে প্রশ্ন করে কি লাভ? সন্দেহ শয়তানের একটা অস্ত্র, এটা দিয়ে সে মানুষকে বিপথগামী করে। বাংলায় “হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস” নামে একটা বই আছে, নূর মুহাম্মদ আজমী এর লেখা এমদাদিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত,কাঁটাবনে পাবেন – বইটা পড়ে নিন প্লিজ।

    দ্য মুসলিম

    @আব্দুল্লাহ,

    সন্দেহ শয়তানের একটা অস্ত্র, এটা দিয়ে সে মানুষকে বিপথগামী করে। একমত।

    মুনিম

    @আব্দুল্লাহ ভাই, সালাম, এখানে সন্দেহর কথা নয়। জানতে চাওয়ার কথা। জানতে চাওয়া কি অন্যায়। তাহলে কার কাছে জানবো? আমার শহরের সরকারি মাদ্রাসার উপাধাক্ষ্য হুজুরকে যে প্রশ্ন করেছিনা কেন উনি সাথে সাথে জবাব দেন এগুলো ১৪০০ বছর আগে দেওয়া হয়ে গেছে এখন আর দেবার প্রয়োজন নেই। আচ্ছা আপনারা যদি এভাবে উত্তর দেন তো আমরা কি করতে পারি?

  2. @মেরিনার,

    অনেকগুলো বানান ভুল আছে , একটু সংশোধন করে নিলে ভালো হয় ।

    ২) সূত্রের ধারাবাহিকতায় প্রত্যেক বর্ণনাকারীকে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য তাকওয়া, ন্যায়পরায়ণতা ও চরিত্রের অধিকারী হতে হবে, অন্য কথায় প্রত্যেক বর্ণনাকারীকে নৈতিক দিকদিয়ে অবশ্যই সুস্থ হতে হবে পরহেজগার নন এমন ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নন – কেননা তারা যে পরহেজগার নন সেটা প্রতীয়মান করে যে, তারা আলৱাহকে যেভাবে ভয় করা উচিত, সেভাবে করেন না৷ আর তাই নবী (সা.)-এঁর বক্তব্যসমূহ বর্ণনা করার ব্যাপারে তারা যে চুড়ান্ত যত্বশীল হবেনই, সে ব্যাপারে তাদের উপর আস্থা রাখা যায় না৷ সূত্রের ধারায় যদি কেবল একজন বর্ণনাকারীও এই গুণগত মানদন্ডে উত্তীর্ণ না হন, তবে সে হাদীসকে প্রত্যাখান করতে হবে ৷
    ৩) শুধু নৈতিক বৈশিষ্টই এখানে যথেষ্ট নয় ৷ হাদীস বর্ণনা কারীকে অবশ্যই দ হতে হবে এবং হুবহৃ বর্ণনায় সমর্থ হতে হবে৷ যদি এমন জানা যায় যে, কেউ হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে অনেক ভুল করেন – তার স্মৃতি থেকেই হোক আর লেখা থেকে হোক -তবে তার হাদীস গ্রহণ করা হবে না৷
    ৪) একটা হাদীসের ইসনাদ ও মতন দুটোই এমন হতে হবে যে, অপোকৃত শক্তিশালী সূত্র থেকে যা বর্ণনা করা হয়েছে, তার সাথে যেন তারা বিরোধপূর্ণ না হয়৷
    ৫) যখন নানাভাবে পর্যবেণ করার পরে একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়, তখন ব্যাপারটা যেন এমন হয় যে ঐ হাদীসের ইসনাদ বা মতনে কোন ভুল ভ্রান্তি বা খুঁত দেখা না যায়৷

    কিন্তু লেখা খুব সুন্দর হয়েছে ।

    মেরিনার

    @হাফিজ,দুঃখিত, ২/৩ দিন ঢাকার বাইরে ছিলাম – তাই আপনাদের মন্তব্যগুলো দেখা হয়নি। যে বানান গুলো ভুল দেখিয়েছন, সেগুলোর অধিকংশই ফন্ট বিভ্রাটের জন্য ওরকম হয়েছে – sutonyMJ থেকে unicode কনভার্শনে বেশ কিছু অক্ষর ওলোট-পালট হয়ে যায়, যেমন ধরুন “ক্ষ” – তবু ভুলের দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার। প্রকাশিত হবার আগেই আমার ঠিক করে দেয়া উচিত ছিল। আমি দুঃখিত। আগামীতে ইনশা’আল্লাহ্ আরো সতর্ক হবো। এই পোস্টের বানানগুলো ঠিক করে দেবো ইনশা’আল্লাহ্!