লগইন রেজিস্ট্রেশন

তবলীগ জামাতের আক্বীদাহ্ ও মানহাজ – ২

লিখেছেন: ' মেরিনার' @ সোমবার, মে ৩, ২০১০ (৬:৫২ পূর্বাহ্ণ)

আমার জীবনে দ্বীন ইসলামের পথে সিরিয়াস যাত্রা শুরু হয়েছিল তবলীগ জামাতের একটা আয়োজন থেকে। আমি বেশ ক’বছর তাদের সাথে ওঠা বসা করেছি। তাদের বিশ্বস্ত ও ভালো মানুষের একটা সমষ্টি মনে হয়েছে। তাদের অপূর্ণতা বা সমস্যা বোঝার মত জ্ঞান আমার তখন ছিল না। আমি তাদের কথা শুনেছি, কিন্তু তাদের সকল কর্ম-কান্ডে “ঝাঁপ” দিই নি। তারপর আল্লাহর রহমতে আমি evolve করেছি। আমি জামাতকেও (জামায়েতে ইসলামী) খুব কাছে থেকে দেখেছি, কিন্তু আল হামদুলিল্লাহ্ সেখানেও “ঝাঁপ” দিই নি। এমন একটা সময় ছিল যখন জামাল বাদাবীকে বিশাল স্কলার মনে হতো – অথচ জামাল জারাবযোর নামই জানতাম না আমি। হামযা ইউসুফের লেকচারগুলো প্রায় মুখস্ত ছিল – অথচ মুহাম্মদ বিন সালিহ্ আল উসাইমিনের নামও শুনিনি তখনো। পরে দ্বীন নিয়ে পড়াশোনা করতে করতে জেনেছি যে, আমার-ভালো-লেগেছে বলেই কারো কাছে দাসখত লিখে দিই নি বলে হয়তো আল্লাহ্ আমাকে এতদূর আসার তৌফিক দিয়েছেন – না হলে আমিও হয়তো এতদিনে কোন অন্ধকার কুয়ায় বসে মনে করতাম ওটাই গোটা পৃথিবী – আর অন্যের চোখ দিয়েই, তখন অন্যের পরানো চশমা দিয়েই পৃথিবীকে দেখতাম – চক্ষু-কর্ণ দুহাতে ঢেকে রেখে।। আমার পড়া বা জানা শেষ হয়ে গেছে, আমি তাও বলছি না। আজও যে কেউ যদি আমাকে বুঝিয়ে দেন যে রাসূল (সা.) কোন কিছু ঠিক এভাবেই করতে বলেছেন – আমি ইনশা’আল্লাহ্ সাথে সাথে তাই মেনে নেব। তবে এই ধরনের নিঃশর্ত আনুগত্য আর কারো প্রাপ্য নয় – আর যে কাউকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি যা বলছেন তা কুর’আন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী বলছেন – ঠিক যেমন ৪:৫৯ আয়াতে বলা হয়েছে।

নীচে যে লিংকটি দেয়া আছে সেখানে আরো ২৫টি লিংক দেয়া আছে – যার প্রতিটি আপনাকে একটি করে উদ্ধৃতি দেখাবে, আর সেই উদ্ধৃতিটি বইয়ের যে পাতা থেকে নেয়া হয়েছে সেই পাতার ইমেজও দেখাবে:

www.ahya.org/tjonline/quotes/index.html

আপনি পড়তে না পারলেও, চাইলেই ঊর্দু পড়তে পারেন এমন যে কাউকে দিয়েই পড়িয়ে নিতে পারবেন। মোট ২৫টির ভিতর আমি এখানে ৫টি উদ্ধৃতি অনুবাদ করে দিয়েছি। আর বিস্তারিত আলোচনা করেছি মাত্র একটি নিয়ে।

১)বইয়ের নাম:Ashraf-us-Sawaneh। মূল যে বই থেকে নীচের অংশটি আমরা উদ্ধৃত করছি, সেই বইয়ের প্রচ্ছদের image এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন :

www.ahya.org/tjonline/quotes/covers/ashraf-sawaneh-cover/ashraf-sawaneh-cover.htm

১ নম্বর উদ্ধৃতি: Ashraf-us-Sawaneh(biography of Ashraf Ali Thanvi) কিতাবের vol.1, p.12 তে আশরাফ আলি থানবীর প্রপিতামহ, মুহাম্মাদ ফরিদের, ব্যাপারে এক আজব ঘটনার উল্লেখ রয়েছে:


“তিনি একটা বরযাত্রার সাথে যাচ্ছিলেন যখন একদল ডাকাত সেঠাকে আক্রমণ করে। মুহাম্মদ ফরিদ সেই বরযাত্রার দলকে বাঁচানোর চেষ্টায় প্রাণ দেন এবং তাকে পীর সামাউদ্দিনের মাজারের কাছে কবর দেয়া হয়। বহু বছর ধরে তার কবরে উরস অনুষ্ঠিত হতো। জীবনী লেখক লেখেন:“তার শাহাদাতের পর এক আজব ঘটনা ঘটে। রাতে তিনি তার বাড়ীতে ফিরে আসেন – যেন তিনি জীবিতই ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই বলে কিছু মিষ্টি দিলেন যে, ‘তোমরা যদি কাউকে (আমার আগমনের ব্যাপারে) না বল তাহলে আমি আসতেই থাকবো।’ কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা ভয় পেলেন যে, মানুষজন বাচ্চাদের মিষ্টি খেতে দেখে হয়তো অন্য কিছু সন্দেহ করবে, তাই তারা ঘটনাটা প্রকাশ করে দিলেন আর তারপরে তিনি আর ফিরে আসেন নি!”

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার image , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:
www.ahya.org/tjonline/quotes/ashraf-sawaneh-12/ashraf-sawaneh-12.htm

২) বইয়ের নাম:Al-Baraheen al-Qatiya। মূল যে বই থেকে নীচের অংশটি আমরা উদ্ধৃত করছি, সেই বইয়ের প্রচ্ছদের image এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন :
www.ahya.org/tjonline/quotes/covers/bqatia/bqatia.htm

১ নম্বর উদ্ধৃতি: Al-Baraheen al-Qatiya, কিতাবের p.30-তে রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী লেখেন:


” ….একজন বুজূর্গ নবী মুহাম্মাদ(সা.)-কে (স্বপ্নে??) দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন যখন তিনি দেখলেন যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) ঊর্দুতে কথা বলছেন। ঐ বুজূর্গ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এই ভাষা কিভাবে জানেন, আপনি তো একজন আরব?’ তিনি (সা.) বললেন, ‘যখন থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার ‘আলেমদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, তখন থেকেই আমি এই ভাষা জানি।’ ” রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী মন্তব্য করেন: , ‘এ থেকে আমরা এই মাদ্রসার বিশেষত্ব বুঝতে পারি।’

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার image , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:
www.ahya.org/tjonline/quotes/bqatia-30/bqatia-30.htm

৩) বইয়ের নাম: Imdaad al-Mushtaq। মূল যে বই থেকে নীচের অংশটি আমরা উদ্ধৃত করছি, সেই বইয়ের প্রচ্ছদের image এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন :
www.ahya.org/tjonline/quotes/covers/imdad-ul-mushtaq-cover/imdad-ul-mushtaq-cover.htm

৩ নম্বর উদ্ধৃতি: Imdad al-Mushtaq, বইয়ের p.62-তে মৌলানা আশরাফ আলী থানভী বলেন, “তিনি (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী) বলতেন যে, মানুষ বাইরে একজন ‘বান্দা’ এবং ভিতরে (Batini পর্যায়ে) আল হাক্ব (অর্থাৎ Allah).” মৌলানা আশরাফ আলী থানভী আরো ব্যাখ্যা করে বলেন, “’বাতিন (বা লুক্কায়িত)’ হচ্ছে সেই বাস্তবতা যা একজন মানুষের মাঝে রূপ লাভ করে এবং ‘বাতিন”-কে মানুষের অংশ বলে মনে করা উচিত নয়…………..”

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার image , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:
www.ahya.org/tjonline/quotes/imdad-ul-mushtaq-62/imdad-ul-mushtaq-62.htm

৪) বইয়ের নাম: Malfoozat Moulana Ilyaas। মূল যে বই থেকে নীচের অংশটি আমরা উদ্ধৃত করছি, সেই বইয়ের প্রচ্ছদের image এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন :

www.ahya.org/tjonline/quotes/covers/malfozaatmoulanailyas-cover/malfozaatmoulanailyas-cover.htm

১ নম্বর উদ্ধৃতি: Malfoozat Moulana Ilyaas, p.50-তে মৌলানা ইলিয়াস বলেন:“হযরত মৌলানা আশরাফ আলী থানভী দ্বীনের এক বিশাল খেদমত করেছেন। আমার অন্তরের একান্ত ইচ্ছা হচ্ছে শিক্ষাগুলো হবে তাঁর, আর দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়ার “মানহাজ” বা পদ্ধতি হবে আমার – যেন তাঁর দেয়া শিক্ষাগুলো সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে।”
[এজন্যই দেওবন্দী ধ্যান-ধারণা ও তবলীগ জামাতকে এক লাইনের ভাবা হয় - তাদের নামগুলো একসাথে আসে। এই ব্লগেই কেউ কেউ আমার সাথে তর্ক করেছেন যে, দেওবন্দী ধ্যান-ধারণা ও তবলীগ জামাতকে একই দৃষ্টিতে বিচার করা ঠিক নয়!]

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার image , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:
www.ahya.org/tjonline/quotes/malfozaatmoulanailyas-cover-50/malfozaatmoulanailyas-cover-50.htm

৫) বইয়ের নাম: Malfoozat Hakeem ul-Ummat । মূল যে বই থেকে নীচের অংশটি আমরা উদ্ধৃত করছি, সেই বইয়ের প্রচ্ছদের image এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন :
www.ahya.org/tjonline/quotes/covers/malfozathummat-cover/malfozathummat-cover.htm

১ নম্বর উদ্ধৃতি: Malfoozat Hakeem ul-Ummat, vol.1, p.244-তে মৌলানা আশরাফ আলী থানভী তার পীর সম্বন্ধে বলেন:

হাজী সাহেব (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী) (অস্তিত্বের) তৌহীদ দ্বারা অত্যন্ত অভিভূত হয়ে ছিলেন… আর ওয়াহদাতুল ওয়জুদের বিষয়টা এমন ছিল যে, মনে হতো তিনি যেন এর প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্মী । একবার তিনি সূরা তা’হা শুনছিলেন. এবং তিনি যখন, ‘আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ্ নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই’ – এই আয়াত শুনলেন, তখন তাঁর মনে এক ভাবনার উদয় হলো। এই আয়াতের তফসীর করতে গিয়ে তিনি বলেন: “এই আয়তের প্রথম অংশ থেকে একটা প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, ‘আল্লাহ্ ছাড়া যেহেতু কেউই নেই, তাহলে (চারিদিকের) এসব ঘটনাবলি কি ?’ এর উত্তর হচ্ছে এরকম (যেমনটা আয়াতের পরবর্তী অংশে দেখা যায়), ‘লাহুল আসমা আল-হুসনা’ অর্থাৎ ‘সবই হচ্ছে তাঁর (আল্লাহর) বহিঃপ্রকাশ বা আত্মপ্রকাশ’।” কেউ (একটা কবিতায়) বলেছেন: ‘ বাগানে আমি প্রতিটি ফুল দেখেছি. কোনটিরই তোমার (আল্লাহর) রং বা তোমার (আল্লাহর) গন্ধ নেই।’ হাজী সাহেব (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী) বলেন: “এই কবি হচ্ছেন একজন যাহিরী (কেবল বাইরে থেকে বা বহ্যিকভাবে যা দেখা যায় তা সম্বন্ধেই অবগত/সচেতন)। যদি তিনি (ঐ কবি) একজন ‘আরিফ হতেন, তবে বলতেন: ‘ বাগানে আমি প্রতিটি ফুল দেখেছি। তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) রং, তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) গন্ধ’। যাহোক, এসব কথা সবার কাছে প্রকাশ করার বা বলার জন্য নয়!”

উপরের উদ্ধৃতির মূল লেখাটার image , মূল বই থেকে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন:
www.ahya.org/tjonline/quotes/malfozathummat-1-244/malfozathummat-1-244.htm

মাননীয় পাঠক উপরের উদ্ধৃতিগুলো সবই self explanatory – সুতরাং আমার আর সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছা/দরকার নেই। আমি শুধু শেষ উদ্ধৃতিটা নিয়ে আলাপ করবো। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো সব? আমি যখন এই ব্লগে ইঙ্গিত দিয়েছিলাম যে, তবলীগ জামাতের ও দেওবন্দীদের আদি মুরুব্বীরা (বুঝেই হোক বা না বুঝেই হোক) ওয়্হদাতুল ওয়াজুদ বা সর্বেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন, তখন এই ব্লগে তাদের অন্ধ অনুসারী বা অনুগামীরা আমার উপর এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যে মনে হয়েছিল: ভুল-শুদ্ধ যাই হোক না কেন, ঐ সব বুজূর্গ বা মুরুব্বীদের নির্ভুল ও নির্দোষ প্রমাণ করাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে বড় ঈমানী দায়িত্ব। অথচ, এদের অনেকেই হয়তো প্রতিদিন ঘরে একখানা প্রথম আলো বা ডেইলি স্টার রাখেন – হুমায়ূন আহমেদ বা জাফর ইকবালের বই পড়েন। বাংলাদেশী মুক্তমনা আঁতেলরা যখন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) হেয় প্রতিপন্ন করে তখন তো এদের ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখি না। প্রথম আলো যখন মেধাবী ছাত্রদের সম্বর্ধনা দিতে গিয়ে তাদের হাতে আরজ আলি মাতুব্বরের বই তুলে দেয়, তখন তো এদের ওভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিবাদ করতে দেখি না। বরং রামায়ণ/মহাভারত পড়ানো বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রকে হয়তো এরা এক ধরনের সমীহই করে থাকেন! যাহোক শেষ উদ্ধৃতির লাইনগুলো আবার খেয়াল করুন – প্রথমে দেখুন এই লাইনটি:

“এই আয়তের প্রথম অংশ থেকে একটা প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, ‘আল্লাহ্ ছাড়া যেহেতু কেউই নেই, তাহলে (চারিদিকের) এসব ঘটনাবলি কি ?’ এর উত্তর হচ্ছে এরকম (যেমনটা আয়াতের পরবর্তী অংশে দেখা যায়), ‘লাহুল আসমা আল-হুসনা’ অর্থাৎ ‘সবই হচ্ছে তাঁর (আল্লাহর) বহিঃপ্রকাশ বা আত্মপ্রকাশ’।”

এটা যদি সর্বেশ্বরবাদ না হয় – তা হলে সর্বেশ্বরবাদ কারে কয় ? এটাতো রীতিমত রাবীন্দ্রিক সর্বেশ্বরবাদ:

“সীমার মাঝে, অসীম তুমি বাজাও আপন সূর,
আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ, তাই এত মধূর।
…………………………………………………………………..
তোমার আলোয় নাই তো ছায়া, আমার মাঝে পায় সে কায়া।…… ”

রবীন্দ্রনাথের এই কথাগুলোর সাথে কি হাজী সাহেবের (ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কীর) কথার কোন তফাৎ আছে? নাকি সূফীদের মত আমাকেও বুঝতে হবে যে, আমরা সাধারণেরা যা বুঝি সব ভুল। যুক্তরাজ্যে (বা অন্যত্রও) এমন সূফী “কাল্ট” রয়েছে, যাদের ‘পীর’-রা মদ্যপান করে – কিন্তু অভাগা মুরীদদের বোঝানো হয় যে, “তোমরা যে দেখছো মদ, আসলে সেটা মদ নয় – তাঁর জন্য এটা মদ নয় বরং বৈধ পানীয় – কারণ তিনি তো ‘খাস’ – আমাদের মত ‘আম জনতা’ নন।” আর ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী তো উপরের উদ্ধৃতিতে বলেছেনই:“এসব কথা সবার কাছে প্রকাশ করার বা বলার জন্য নয়”

এরপর আসুন আরেকটি লাইনে:

‘বাগানে আমি প্রতিটি ফুল দেখেছি। তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) রং, তাদের সবার রয়েছে তোমার (আল্লাহর) গন্ধ’।

পরিচিত লাগছে?? বাংলাদেশের সর্বেশ্বরবাদী আউল-বাউলরা গেয়ে থাকে: “তুমি ফল, তুমি ফুল, তুমি তাতে গন্ধ…”
এই একই কথা বলেন নি মৌলানা আশরাফ আলি থানভীর গুরু: হাজী সাহেব অর্থাৎ ইমদাদুলালাহ মুহাজির মক্কী??

এরপরও যদি কেউ তাদেরকে (তবলীগ জামাত ও দেওবন্দী মুরুব্বীদের) অন্ধ অনুসরণ করতে চান বা তাদের defend করাটা আল্লাহর দ্বীনকে (শিরক ও বিদ’আত মুক্ত করে) defend করার চেয়ে বেশী প্রয়োজনীয় মনে করেন, তাহলে আমার আর কিছুই বলার থাকবে না – বরং আমাকে বুঝে নিতে হবে এই ব্লগ, এই ইসলাম-ইসলাম খেলা সবই farce! “নতুন প্রজন্মে ইসলামী চেতনার বিকাশ” – এটাও একটা ফাঁকা বুলি। আসল কথা হচ্ছে বাপ-দাদারা যা করে এসেছেন আমরা তার বাইরে “ভুল-শুদ্ধ” কিছু বুঝতে চাই না – মক্কার আরবরা রাসূল(সা.)-কে তাঁর মিশনের শুরুতে ঠিক এই কথাটাই বলেছিল – সবাই এটাই বলে থাকে। আমার বাড়ী সিলেটের যে অংশে, সে অংশের মানুষ (এবং বাংলাদেশের আরো বহু অঞ্চলের মানুষ) বাবা মারা গেলে বোনকে সম্পত্তির অংশ দেয় না। আমার বোনের শ্বশুর মারা গেলে সে যখন প্রসঙ্গ উত্থাপন করলো যে, তার ননদদের সম্পত্তি আলাদা করে দেয়া উচিত, তখন তার শ্বাশুড়ি, অর্থাৎ ননদদের আপন মা বললেন যে, এসব যারা খায় [অর্থাৎ বাবার সম্পত্তি থেকে যে সব মেয়েরা ভাগ নেয়] তাদের কখনো মঙ্গল হয় না। ভেবে দেখুন তার কথার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ও তার রাসূল(সা.) কি বলেছেন তার চেয়ে তার বাপ-দাদার ধারাবহিকতা বা সিলসিলাহ্ রক্ষা করা বেশী জরুরী।

আমি আপনাদের আরো একটা তথ্য দিয়ে conclusion টানবো ইনশা’আল্লাহ্ – কে জানে আমার আর লেখার সুযোগ নাও হতে পারে, কারণ এখানকার রেসিডেন্ট ব্লগার আমার উপরে দারুন রেগে আছেন – আমার ব্যান হয়তো সমাসন্ন। আমার প্রায় সব লেখাতেই তিনি আগে বাহ্বা দিতেন, কেবল যখন আমি সত্যিকার অর্থে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলতে চাইলাম – তখনই এমন অবস্থা দাঁড়ালো যে, আমি বুঝি সাপের ল্যাজে পা দিয়েছি। আমি এখন যা বলবো – আপনারা কথাটা আল্লাহর ওয়াস্তে verify করে দেখবেন – কোন শিক্ষিত দেওবন্দি আলেমের কাছে। যদি না পারেন আমি আপনাদের এদেশের বিরল প্রজাতির একজন ‘আলেমের ফোন নাম্বার দেব, যিনি এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ১৮ বৎসর – সেখান থেকে PhD করেছেন ফিক্বের উপর। কথাটা হচ্ছে: প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দেওবন্দীরা আবু মনসুর আল-মাতুরিদী (২৩৮-৩৩৩ হি:) -র আক্বীদায় বিশ্বাসী – তারা ফিক্বে হানাফী, কিন্তু আক্বীদায় মাতুরিদী। মাতুরিদীদের আক্বীদাহ্ ইমাম আবু হানিফার আক্বীদার চেয়ে কোথায় ভিন্ন তা এখানে বিস্তারিত আলোচনার scope নেই – তবু বলছি তফাৎটা শুরু হয়েছে খোদ ঈমানের সংজ্ঞা থেকে এবং তৌহীদের concept থেকে – আল্লাহর সিফাত সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের বিশ্বাস ‘আশারীদের মতই একেবারে ভিন্ন কিছু। বিস্তারিত জানতে চাইলে দেখুন:
www.maturidis.com/maturidi/

উপসংহার: এই পর্যায়ে কেউ আমাকে বলতেই পারেন যে, আমাদের দেশের গণসাধারণ যারা এসব না জনেই জন্মগ্রহণ করছেন এবং একটা গোটা জীবন কাটিয়ে মৃত্যু বরণ করছেন, তাদের তো এসব না জেনে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। ঠিক কথা – কেবল কাটিয়ে দেবার জন্যই যদি জীবন হয়ে থাকে – তবে কোন অসুবিধা হবার কথা নয়। পৃথিবীর সাড়ে ছয় শত কোটি মানুষের জীবন ইসলামের বাইরে থেকেই কেটে যাচ্ছে – তাদের যদি অসুবিধা না হয়, তবে আমি মুসলিম হয়ে আমার আক্বীদায় যে সর্বেশ্বরবাদ বা প্রকৃতিপূজা মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে, তা না জেনেই যদি একটা জীবন পার করে কবরে চলে যাই – তাতে তো অসুবিধা হবার কথা নয়। কিন্তু ভেবে দেখেছেন যে, কেবল কাটিয়ে দেবার জন্যই মুসলিম জীবন নয়, বরং আমাকে সৃস্টিই করা হয়েছে কেবল আল্লাহর ইবাদত করার জন্য(৫১:৫৬) – জানিনা বলেই কিন্তু আমরা এমন কাজ করতে পারি যা একান্তভাবেই বিধর্মীদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। একেবারে সহজ উদাহরণ: মূর্তি মাথায় নিয়ে এই যে লক্ষ লক্ষ “মুসলিম” পহেলা বৈশাখের “মঙ্গল শোভা যাত্রা করলো – এটাকে seriously ভুল কিছু মনে না করার কারণ কিন্তু এই “না জানা”। মুসলিম জীবনে basics বা fundamentals না জানার কোন অজুহাত থাকতে পারে না – এজন্যই ঘুরে ফিরে আক্বীদাহর কথা আসে [যদিও এক সহ ব্লগার "আক্বীদাবাদী" বলে আমার মত নগন্য মানুষদের কটাক্ষ করেছেন]। বিশ্বাস হচ্ছে software-এর মত। সঠিক software ছাড়া যেমন আপনার নির্দিষ্ট কাজটা আপনি করতে পারবেন না, তেমনি সঠিক বিশ্বাস ছাড়া আপনার জীবনের “ষোল আনাই মিছে” হয়ে যেতে পারে। অজু ছাড়া মসজিদুল হারামে সালাত আদায় করার যেমন মানে নেই, তেমনি আপনার ভিতর যদি “শিরক” থাকে তবে মসজিদুল হারামে সালাত আদায় করারও অর্থ নেই – যদিও অন্যত্র সালাতের তুলনায় আপনার ১ লক্ষগুণ সওয়াব পাবার কথা ছিল! আসুন আমরা কতগুলো ব্যাপার ভেবে দেখি:

১)যারা ইতিমধ্যে পরলোকগমণ করেছেন – তাদের ব্যক্তিগত দোষ ধরে আমাদের কোন লাভ নেই। বরং আমাদের জন্য দ্বীনের “বাহন” হিসেবে কাজ করেছেন বলে আমরা আল্লাহর কাছে চাইবো যে, আল্লাহ যেন তাদের ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাত নসীব করেন। সারা পৃথিবী ইসলামে রাষ্ট্রে পরিণত হলেও আমার কোন লাভ নেই – যদি আমি ভ্রান্ত বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করি; সেখানে একজন ব্যক্তি ‘আলেমকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে আমার কি লাভ?
২)তাদের রেখে যাওয়া কাজ – অর্থাৎ কিতাব ইত্যাদিতে রাসূলের (সা.) আক্বীদাহ্ ও মানহাজের সাথে যা সঙ্গতিপূর্ণ – আমরা তা গ্রহণ করবো, ইনশা’আল্লাহ্!
৩)তাদের রেখে যাওয়া কাজে যদি আমাদের আমল বা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর কিছু থাকে, আমরা তা চিহ্নিত করবো এবং নিজেদের ও অন্যদের সেই একই ভুল করা থেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবো ইনশা’আল্লাহ্! এজন্য বিস্তর পড়াশোনা করার দরকার আছে। আল্লাহর জন্য আমাদের জীবন থেকে যে করেই হোক আমরা পড়াশোনার জন্য সময় বের করবো ইনশা’আল্লাহ্!
৪) আমাদের দায়িত্ব শুধু দাওয়াত পৌঁছে দেয়া – যার ইচ্ছা গ্রহণ করবে অথবা করবে না। অহেতুক ঝগড়া-ঝাটি বা গালি-গালাজ করে জীবনের মূল্যবান সময় নস্ট করবো কেন আমরা?

হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষ্মী থেকো, আমি message পৌঁছে দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি!

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২,১৪৮ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (১৩ভোট, গড়: ৪.৬৯)

৩৯ টি মন্তব্য

  1. আলহামদুলিল্লাহ, অসাধারণ। আপনি যে কষ্ট করে সময় বের করে এ কাজটা করেছেন। ম্যান উইথ দ্য মিশনকে ব্যন করার পর আমার মনে হচ্ছিল যে এই ব্লগে আমার দিন শেষ। আপনারা যদি থাকেন তাহলে আমরাও আছি

    রাশেদ

    @মনপবন, আমিও আছি।

    বাগেরহাট

    @মনপবন,
    সহমত।

  2. যারা ইতিমধ্যে পরলোকগমণ করেছেন – তাদের ব্যক্তিগত দোষ ধরে আমাদের কোন লাভ নেই। বরং আমাদের জন্য দ্বীনের “বাহন” হিসেবে কাজ করেছেন বলে আমরা আল্লাহর কাছে চাইবো যে, আল্লাহ যেন তাদের ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাত নসীব করেন। সারা পৃথিবী ইসলামে রাষ্ট্রে পরিণত হলেও আমার কোন লাভ নেই – যদি আমি ভ্রান্ত বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করি; সেখানে একজন ব্যক্তি ‘আলেমকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে আমার কি লাভ?

    সহমত।

  3. আমাদের দায়িত্ব শুধু দাওয়াত পৌঁছে দেয়া – যার ইচ্ছা গ্রহণ করবে অথবা করবে না। অহেতুক ঝগড়া-ঝাটি বা গালি-গালাজ করে জীবনের মূল্যবান সময় নস্ট করবো কেন আমরা?

    সহমত।

  4. ২)তাদের রেখে যাওয়া কাজ – অর্থাৎ কিতাব ইত্যাদিতে রাসূলের (সা.) আক্বীদাহ্ ও মানহাজের সাথে যা সঙ্গতিপূর্ণ – আমরা তা গ্রহণ করবো, ইনশা’আল্লাহ্!

    আশরাফ আলী থানভী রঃ এর কয়েকটি বই আমি পড়েছি আর তেমন কোন অসঙ্গতি পূর্ণ আচরণ বা কথা পাইনি।

    আমি বলতে চাইছি,
    *** আপনার মতে যদি আশরাফ আলী থানভী রঃ এর কিছু আক্বীদা অসঙ্গতি পূর্ণ হয় তখন তা আপনি তুলে দিয়েছেন। কিন্তু বাকী যে বেশীর ভাগ কথা সত্য বলেছেন বা ইসলামের কল্যানের জন্য করেছেন তার জন্য কি তিনি উপযুক্ত সম্মান পাবার অধিকারী নন? কিন্তু কখনো প্রশংসা শুনিনি আপনার মুখে।
    *** একটি কথাকে কয়েকদিক থেকে কয়েকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। হয়তোবা তিনি সে দৃষ্টি কোন থেকে বলেননি যে দৃষ্টি কোণ থেকে আপনি ব্যাখ্যা করেছেন।

    আমি শুধু আশরাফ আলী থানভী রঃ এর কথা বললাম কারণ উনার কয়েকটি বই আমি পড়েছিলাম। বাকীদের কথা বলতে পারবোনা।

  5. লেখক আপনার অবস্হা দেইখা আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই ।
    ধাপে ধাপে না বললে আপনাকে বুঝানো সম্বব না ।
    প্রথমে আসি আক্বিদা নিয়ে ।
    আক্বিদা মানে কি ? ধরে নেই আপনি মুসলমান জন্ম সুত্রে, কারণ মুসলমান পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছেন ।
    এখন মুসলামন কাকে বলে ? কলেমা তাইয়্যবের অর্থের দিকে তাকান।
    প্রথমে অস্বিকার করতে হবে আল্লাহ ছাড়া সকল উপাস্য কে , দ্বিতীয় অংশ বলে পরবর্তি অংশে স্বীকার করতে হবে একমাত্র আল্লাহ কে উপাস্য হিসাবে ।
    এখন আপনি বলেন আপনি কি মুসলমান? আপনি মুসলমান দাবী করলে নিশ্চয় আপনি আল্লাহ ছাড়া সকল উপাস্য কে অস্বীকার করেছেন/করেন ? যে জিনিষ বা বিষয় অস্বিকার করছেন নিশ্ব্য় আপনি জানেন আপনি কি কি অস্বীকার করছেন ? তা হলে নাম গুলো বলুন তো কোন কোন উপাস্য কে আপনি অস্বীকার করছেন ?
    যে উপাস্য গুলো কে আপনি অস্বীকার করলেন আপনি নিশ্চিত এর বাইরে আর কোন উপাস্যর কেও উপাসনা করে না? বা করবে না? যদি এর বাইরে কোন উপাস্য কে কেও কোথাও উপাসনা করে সেই অজানা উপাস্য কে অস্বীকার না করে আপনি মুসলমান কিভাবে মুসলমান হলেন ?
    এমতাবস্হায় কলেমার প্রথম অংশের উপর আমল করার উপায় কি ? প্রথম অংশ কে বাদ/অপুর্ন অবস্হায় কি দ্বীতিয় অংশের উপর ঈমান আনা সম্বব?

    হাফিজ

    @KOTHINLOGIC, এসব প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছে নেই । আমার কাছে মনে হয়েছে এদের কাছে “শিরক” এর অর্থই পরিস্কার না ।

    “আমি যেটা বুঝি না , সেটাই শিরক” । অনেকটা এরকম মনে হয় ।

    আমরা বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য চাই । এর অর্থ কি এই “সেটা শিরক” । যেমন চাকরীর ক্ষেত্রে আমরা কোনো অফিসের বসের কাছে সাহায্য চাই । সেটা কি শিরক ? এর উত্তর জানার আগে আমাদের জানতে হবে আমরা কি উদ্দেশ্যে চাই । সে যদি মনে করে অফিসের বস “স্বয়ংসম্পূর্নভাবে ক্ষমতার ” অধিকারী , তাহলে সেটা শিরক । আর সে যদি মনে করে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা যে শক্তি দিয়েছেন সেই শক্তিতে অফিসের বস ক্ষমতার অধিকারী , তাহলে সমস্যা কোথায় ?

    আবার দেখুন মৃত জীবিত এই ঘটনা বললেই তারা বলে শিরক । এখন এটা আমরা সবাই জানি ইসা(আ:) মৃতকে জীবিত করতেন । তাহলে সেটা শিরক ?

    মনপবন

    @হাফিজ, ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃতকে জীবিত করে দেখালেন, এটা তার মুযিজা, আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন নিজের নবিত্বের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য। আর মুহাম্মদ (সাঃ) একজন মৃত মানুষ হওয়া সত্বেও কবর থেকে হাত বাড়িয়ে খাবার দিলেন এটা প্রমাণ করতে চায় যে রসুলুল্লাহ (সাঃ) মারা যাননি। অথচ আল্লাহ বলেছেন “প্রত্যেকটি জীবই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।”। নবীর মৃত্যু নেই এ বিশ্বাস আল্লাহর অমরত্বের গুণটি নবীকে দিয়ে দেয়া হয় তাই এ ধরণের বিশ্বাস শিরকে আসমা ওয়াস সিফাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

    হাফিজ

    @মনপবন,
    আমি এই বিষয়ে লিখেছিলাম । আপনি যেটা বললেন হাত বের করার ব্যাপারে সে বিষয়ে লিখিনি :

    ১ নম্বর উদ্ধৃতি: Ashraf-us-Sawaneh(biography of Ashraf Ali Thanvi) কিতাবের vol.1, p.12 তে আশরাফ আলি থানবীর প্রপিতামহ, মুহাম্মাদ ফরিদের, ব্যাপারে এক আজব ঘটনার উল্লেখ রয়েছে:

    “তিনি একটা বরযাত্রার সাথে যাচ্ছিলেন যখন একদল ডাকাত সেঠাকে আক্রমণ করে। মুহাম্মদ ফরিদ সেই বরযাত্রার দলকে বাঁচানোর চেষ্টায় প্রাণ দেন এবং তাকে পীর সামাউদ্দিনের মাজারের কাছে কবর দেয়া হয়। বহু বছর ধরে তার কবরে উরস অনুষ্ঠিত হতো। জীবনী লেখক লেখেন:“তার শাহাদাতের পর এক আজব ঘটনা ঘটে। রাতে তিনি তার বাড়ীতে ফিরে আসেন – যেন তিনি জীবিতই ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই বলে কিছু মিষ্টি দিলেন যে, ‘তোমরা যদি কাউকে (আমার আগমনের ব্যাপারে) না বল তাহলে আমি আসতেই থাকবো।’ কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা ভয় পেলেন যে, মানুষজন বাচ্চাদের মিষ্টি খেতে দেখে হয়তো অন্য কিছু সন্দেহ করবে, তাই তারা ঘটনাটা প্রকাশ করে দিলেন আর তারপরে তিনি আর ফিরে আসেন নি!”

    তারপরেও যেহেতু উল্লেখ করলেন তাহলে শুনুন:

    শুধু নবী রসুল গন নয় , সমস্ত মানব সম্প্রদায় মারা যাবার পর তাদের জীবন ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং সেই জগতকে বলা হয় আলমে বরজখ। তারা যদি জীবিত না থাকত তাহলে মুনকার নকীরের সওয়াল জওয়াব কিভাবে দ্যায় ? তবে নবী , রসুলদের আরো বিশেষত্ব আছে ।
    হাদিস ১: আনাস ইবনে মালিক (রা:) বর্ননা করেন রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বলেন ” আম্বিয়া (আ:) কবরে জীবিত অবস্হায় আছেন , তারা নামাজ পড়ে থাকেন ” [ মাজমুয়ায-জাওয়াহিদ ]
    হাদিস ২: বুখারী এবং মুসলমি শরীফের হাদিস শরীফ দ্বারা আমরা মিরাজের ঘটনা জানতে পারি , যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) মিরাজের রাত্রিতে সমস্ত নবী, রসুলগনকে নিয়ে নামাজ পড়েছেন এবং উনি ইমামতি করেছেন ।
    হাদিস ৩: রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বলেন “কেহ আমার ওপর দরূদ পড়লে সে দরূদ শরীফ আমার কাছে নিয়ে আসা হয় ” [ নাসাঈ শরীফ ]
    আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ।

    আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আক্বীদা হোলো রসুলুল্লাহ (সা:) সহ সমস্ত নবী এখন আলমে বরজখে জীবিত অবস্হায় আছেন , তবে সেটা আমাদের মতো নয় ।

    মনপবন

    আক্বিদাহ মানে দৃঢ় বিশ্বাস যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আক্বিদা ভুল হতে পারে আবার ঠিকও হতে পারে। একজন হিন্দু শিবসেনার কর্মী বিশ্বাস করে শিব তাকে সাহায্য করবেন, বিপদে উদ্ধার করবেন। এটা ভুল আক্বিদা। আব্দুল কাদির জিলানি “গাউসুল আযম” অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ বিপদোদ্ধারকারি – এটাও ভুল আক্বিদা। যা কিছু আমরা দেখতে পাইনা – আল্লাহ, তাঁর নাম ও গুণাবলী, সমস্ত নাবি-রাসুল, আসমানি কিতাবসমূহ, কিয়ামাত, ভাগ্যের ভাল-মন্দ ইত্যাদির সম্বন্ধে ক্বুরা’আন ও সহিহ সুন্নাহ থেকে যা পাওয়া যায় তাই সঠিক আক্বিদাহ।

    “লা ইলাহা ইল্লালাহ ” – মানে আল্লাহ ছাড়া যেকোন কিছু যাকে উপাসনা করা হয় তারা আসলে প্রকৃত উপাসনা পাবার যোগ্য নয়।
    এই লিস্টে গৌতম বুদ্ধ, দুর্গা, যিশু, মুহাম্মদ (সাঃ) , সম্পদ এমনকি আমাদের নিজেদের হাওয়া/প্রবৃত্তি অন্তর্ভুক্ত। আমরা দেখিনাই এমন কোন কিছু যদি এরপর আসে, যেমন দাজ্জাল বা অন্য যা কিছু আসবে সব কিছুকেই আমরা ইলাহ হিসাবে অস্বীকার করি। অজানা যাই আসুক না কেন, আল্লাহ ছাড়া যে কোন কিছুকে আমরা উপাসনা পাবার অযোগ্য মনে করি। লা ইলাহা ইল্লালাহ – আমরা এমনভাবে বিশ্বাস করি দেখেই আমরা মুসলিম।

  6. আলাদা উত্তর দিবেন তাই আলাদা করে লিখলাম ।
    এখন আসি আক্বিদার দ্বীতিয় পর্বে ।
    ইসলাম বলে কাফের মা বাপের সন্তান মুসলিম হয়ে জন্ম নেয় তার পিতা মাতা তাকে মুশরিক বা অন্য ধর্মের বানায় ।
    হাদিস দ্বারা প্রমানীত হয় জন্ম সুত্রের ধর্মে পিতা মাতা র ধর্ম বিশ্বাষ সন্তানের ধর্ম বিশ্বাষে পরিণত হয় ।
    ধরে নিন আমার বাবা মাজার পূজক মুসলিম ছিলেন (মুশরিক) আমি জন্ম সূত্রে আমার বাবার ইসলামের সুত্রে মুসলমান কিন্তু আমি জ্বিবনে কোন মাজার বা কবর দেখি নাই, পুজার প্রশ্নই আসে না । আর আমার বাবাও উনি যে রকম ইসলাম জানতেন সে রকম ইসলামের দিক্ষাই আমাকে দিয়েছেন কিন্তু মাজার বিষয়ক কিছু কখনো ই বলেন নাই , আর আমি বাবা ছাড়া কারো কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু শিখি বা জানি নাই । নিশ্চিত আমার বাবা মুশরিক ছিলেন তা হলে আমি কি মুশরিক নাকি মুসলমান ?

    মনপবন

    আপনার বাবা যদি কবরপূজারি হন তবে নিশ্চয়ই তিনি আপনাকে নিয়ে কোন মাজারে গিয়ে কোন সাহায্য চেয়েছেন। যদি তিনি কখন তা না করে থাকেন তাহলে তিনি কিভাবে কবরপূজারি হন? লক্ষ্য করুন যদিও তিনি কবর পূজা করে শিরক করছেন তাও তাকে আমরা মুশরিক বলিনা, হতে পারে তিনি ব্যাপারটা বোঝেননি। তবে আপনার বাবা যদি আপনাকে শিক্ষা দিয়ে থাকে যে কবরবাসিকে ডাকলে তারা সাড়া দেয় এবং সাহায্য করে তবে তিনি আপনাকে শিরক শিখিয়েছেন এবং আপনার কর্তব্য সঠিক ইসলাম শিখে এই ভুল ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসা। আপনার বাবার ব্যাপারে রায় দেয়ার আমরা কেউ না, তিনি আল্লাহর কাছে হিসাব দেবেন। আর আপনাকে ভুল ধরিয়ে দেবার পরেও যদি আপনি গবেষণা করে ভুল থেকে বের না হয়ে নিজেকে ঠিক দাবি করতে থাকেন তাহলেও আমরা আপনাকে মুশরিক বলবনা, আপনার হিসাব আপনি আল্লাহকে দেবেন।

    KOTHINLOGIC

    @মনপবন,লক্ষ করূন আমি কি প্রশ্ন করেছি । আর আমার বাবাও উনি যে রকম ইসলাম জানতেন সে রকম ইসলামের দিক্ষাই আমাকে দিয়েছেন কিন্তু মাজার বিষয়ক কিছু কখনো ই বলেন নাই হতে পারে আমার জন্মের আগে উনি পূজা করতে বা আমার জন্ম এবারেস্টে যে খানে মাজার ছিল না । আমার প্রশ্নের বিশ্লেষন আশা করি না ।
    সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দিন ।
    “ধরে নিন আমার বাবা মাজার পূজক মুসলিম ছিলেন (মুশরিক) আমি জন্ম সূত্রে আমার বাবার ইসলামের সুত্রে মুসলমান কিন্তু আমি জ্বিবনে কোন মাজার বা কবর দেখি নাই, পুজার প্রশ্নই আসে না । আর আমার বাবাও উনি যে রকম ইসলাম জানতেন সে রকম ইসলামের দিক্ষাই আমাকে দিয়েছেন কিন্তু মাজার বিষয়ক কিছু কখনো ই বলেন নাই , আর আমি বাবা ছাড়া কারো কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু শিখি বা জানি নাই । নিশ্চিত আমার বাবা মুশরিক ছিলেন তা হলে আমি কি মুশরিক নাকি মুসলমান ?”

    দ্য মুসলিম

    @KOTHINLOGIC, মুসলমান।

    KOTHINLOGIC

    @দ্য মুসলিম,মনপবনের উত্তর আশা করছি।

  7. ধন্যবাদ মেরিনার আপা/ভাই (একটু কনফার্ম করলে ভাল হয়। মেরিনার চৌধুরি আমার কাছে মহিলারদের নাম বলেই মনে হয়।) আপনার সুন্দর আর্টিকেলের জন্য। বিশেষতঃ আপনার উপস্থাপনার সৌন্দর্য, ভাষার মাধুর্য, অনিন্দ্য বাচনভঙ্গী, শব্দ চয়নের দক্ষতা মাকে মুগ্ধ করেছে। সাহিত্যের মান বিচারে সত্যিই আপনি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। আপনার লেখাটি বাংলা একাডেমী পুরষ্কার পাবার যোগ্যতা রাখে। এত সুন্দর একটি লেখার প্রশংসাংনা করা সত্যিই খুব অন্যায় হবে।

    আপনার এই লেখাটি একটি ছোট গল্প হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের কোনই সন্দেহ নেই।

    এটা যদি আপনি ইসলামিক প্রবন্ধ হিসেবে লিখে থাকেন তাওবে আমি বলব আপনি যথেষ্ট মূর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। একই সাথে আপনি আপনার বক্তব্য কে চাপিয়ে দেয়ার জন্য কুরআন হাদিস থেকে দলীল না দিয়ে বিভিন্ন ছলচাতুরী ও ইমোশনাল ব্ল্যাক্মেইলিং এর আশ্রয় নিয়েছেন।

    ব্যাস্ততার কারণে বিস্তারিত লেখার সময় পেলাম না। পরবর্তী আল্লহ তায়া’লা তাওফীক দিলে কেন ছোট গল্প হিসেবে এটি আন্তর্জাতিক মানের এবং কেন ইসলামিক প্রবন্ধ হিসেবে এটা মুর্খতা এই ব্যাপারে দুটি কমেন্ট লিখব ইনশাআল্লহ

    জাযাকাল্লহ। আল্লহ তায়া’লা সবাইকে হিদায়াত দিন।

    হাসান আল বান্না

    @Anonymous,
    ভাই এনোনিমাস, এটা আপনি কি করলেন?
    আগেই মূর্খ বলে রায় দিয়ে দিলেন, তার পর কমেন্ট লিখবেন?

    Anonymous

    “@হাসান আল বান্না,সরি ভাই। আসলে খুব ব্যস্ত কয়েক দিন ধরে। দেশের যা অবস্থা। ৯টার অফিস ধরতে পৌনে আটটায় রওয়ানা করতে হয়। সেকষেত্রে রেডী হতে হয় ৭টা থেকে। ওদিকে ৫টার অফিস ছুটি হতে হতে ৬টা সাড়ে ৬টা বেজে যায়। সাড়ে ৬টায় রওয়ানা হয়ে একদিনও সাড়ে আটটার আগে পোঁছতে পারি না। নামায পড়ে আসতে আসতে সোয়া নয়টা বেজে যায়। সময় পাচ্ছি না। তাই কুইক একটা রিপ্লাই দিয়েছিলাম।
    আসলে উনাদের লেখার মধ্যে কুরআন হাদিস এবং গ্রহণযোগ্য যুক্তি কমই থাকে। থাকে কিছু নাটকীয়তা। কিছু ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইলিং। ঊনার রিপ্লাই রেডী করতে ছিলাম এর মধ্যে একজন তাবলীগ জামাতের বিরূদ্ধে এক বানোয়াট ফতওয়া হাজির করল। আর যুক্তিটা কি সুন্দর! এমন একজন গ্রান্ড মুফতি নাকি না জেনে ফতওয়া দেননা। হতে পারে উনি না জেনে ফতওয়া দেননি। কিন্তু উনাদের মূল মাকসাদ ছিল তাকলীদে শাখসী এর বিরূদ্ধে। উনি একজন গ্রান্ড মুফতি তাই উনার ফতওয়া গ্রহণযোগ্য বু এই যুক্তিতো পরিষ্কার তাকলীদে শাখসী। উনি যদি সত্যিকার আহলে হাদিস হয়ে থাকেন তাহলে তো উনি কুরআন হাদিস থেকে বলবেন। কোন কোন গ্রান্ড মুফতি থেকে নয়। উনার ঐ কথার রিপ্লাই দেয়ার জন্যই বসেছিলাম কিন্তু ঐ লেখাটি আর পেলাম না।
    দেখুন উনি শুরুটাই করেছেন নাটকীয় ভাবে। হেডিং তাবলীগ জামাতের মানহাজ অথচ পুরো পোস্টিং জুড়ে কেবল মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর ব্যাপারে কিছু মিথ্যাচার। খুব নাটকীয় ভাবে উনি উল্ল্যেখ করেছেন উনার দ্বীনের লাইনে পথ চলা শুরু তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে পাঠকদের মনজয়ের এক চেষ্টা। এটা একটা কমন টেকনিক। সবাইই এমনই বলে থাকে। বলে যে, আমি তবলীগ জামাত খুব কছ থেকে দেখেছি। এরা এই, এরা সেই। ইত্যদি ইত্যদি। সমস্ত বাতিল যেমন একজোট হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লেগেছে তেমনি ইসলামের নামে যত ফেরকা আছে সবার বন্দুকের নলও তাবলীগ জামাতের দিকে। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের এই মেহনত তো দুই একটা লেকচার বা বয়ান বা দুই একটা জোড় থেকে শেখার জিনিস না। পুরা জীবন দিয়েও এর ছিটাফোটাও যদি শেখা যায় তাহলেই তো ধন্য হয়ে যাবার কথা।
    এরপর উনি শুরু করলেন মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর ব্যাপারে কিছু মিথ্যাচার। উনি কিছু বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরছেন। আমি জানিনা ঐগুলো আদৌ মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর কোন কিতাব কিনা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর তুলনায় মাদানী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি কে বেশি পছন্দ করি। আফসোস এই সকল অতি উৎসাহী অবিবেচকের দল মাদানী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর সংগ্রামী জীবনের ফসল সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে তাঁর জীবন নাকি ছিল বন্দে মাতরম প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম। আল্লহ তায়া’লা হিদায়াত দান করেন এদের। পরে উনার সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে কিছু লেখার আশা রাখি। আমি মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর কিতাব কমই পড়েছি। তাই আমি নিশ্চিত নই এই বইগুলো আদৌ উনার লেখা কোন কিতাব কিনা। যদি হয়ে থাকেও তাহলেও বুঝার উপায় নেই এই অনুচ্ছেদ গুলো দ্বারা আদৌ উহাই বুঝাতে চেয়েছেন কিনা যেভাবে পোস্টিংএর লেখক ব্যাখ্যা করেছেন। দেখুন এইভাবে দুই একটি অনুচ্ছেদের অংশ দেখে পুরো লেখার ভাব বুঝার উপায় নেই। উনি বলেছেন এগুলো নাকি সেলফ এক্সপ্লানেটরী। আমার মনে আছে কয়েক বছর আগে আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যদি বিরোধিদলীয় নেত্রী আশ্বাস দেন যে উনি আর হরতাল করবেন না তাহলে আমরাও ঘোষণা দিলাম আমরা বিরোধীদলে গেলেও আর হরতাল করব না। কপাল খারাপ। কিছু দিনের মধ্যে বিরোধী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হলেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী হলেন। কোন কারণে বিরোধী নেত্রী হরতাল দিলেন। প্রধানমন্ত্রী সুযোগ বুঝে বিরোধী নেত্রীর আগের কথা কাটছাট করে প্রচার করলেন ঘোষণা দিলাম আমরা বিরোধীদলে গেলেও আর হরতাল করব না। হ্যাঁ কথাটা সেলফ এক্সপ্লানেটরী বটে কিন্তু কথাটা সত্য কি? তাই এই ভাবে দুএকটি অনুচ্ছেদ পড়ে কারও জীবন ও আকীদা সম্পর্কে কোন উপসংহার টানা হয়েছে। দেখুন কত বড় মুর্খতা। পুরো ভাব জানতে হলে পুরো বইটাই পড়তে হবে। এরপর যদি বুঝা না যায় সেক্ষেত্রে তাঁর অন্যান্য বইগুলোও পড়তে হবে। দেখুন মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি উনার পুরা জীবনে এক হাজারের কাছাকাছি বই লিখেছেন। কোন এক বইয়ের আধা প্যারা পড়েই উনি সর্বেশ্বরবাদের ফতওয়া দিয়ে দিলেন। মুর্খতার একটা সীমা থাকা দরকার। আমি নিশ্চিত লেখক নিজেও উনার ঐ বইটা পুরাপুরি পড়েননি। কোথাও থেকে পেয়েছেন আর চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। একটা কথা উনারা (স্বঘোষিত আহলে হাদিস, প্রকৃত পক্ষে আহলে নফস) প্রায়ই উনার বক্তব্যকে চালিয়ে দেয়ার জন্য বলে থাকেন যে, কোন মানুষই ভুলের উর্ধে নয়। হ্যাঁ কথা আমি মানি, নবী বাদে কেউই ভুলের উর্ধে নয়। কিন্তু মানুষ ভুল করে এবং ভুলের সংশোধনও করে। পক্ষান্তরে শয়তান ভুল করে কিন্তু ভুলের সংশোধন করে না। মাওলানা থানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি ও ভুলের উর্ধে নন। তিনি ভুল করেছেন কিন্তু উনার জীবদ্দশায়ই ভুলের সংশধোনও করচছেন। এমন ঘটনা উনার জীবনে বেশ কয়েকবারই ঘটেছে। এমনকি জীবনের শেষ সময়ে রাজনৈতিক দুরদর্শিতার ব্যাপারে উনি কিছু ভুল ধারণা করেছিলেন। উনি জীবদ্দশায় এর সংশোধন করার সু্যোগ পাননি। কিন্তু উনার শিষ্যরা ঠিকই স্বীকার করেছেন ওটা ভুল ছিল। (ভারত বিভাগ প্রসঙ্গ) আসলে ভুল স্বীকার করলে সম্মান কমে না বরং বাড়ে এই সব মহান ব্যক্তিত্ব এটা ভাল করেই জানতেন। ভুল স্বীকার করার ঘটনা শুধু উনার নয় বহু আলেমদের জীবনেই আছে। এমনকি বর্তমান উলামাকেরামদের মধ্যেও এই সিফাতটা বিদ্যমান। মাওলানা সা’দ সাব দামাতবারাকাতুহুম আকছিরু মিন কওলী লা-ইলাহা ইল্লালহের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমন কিছু কথা বলছিলেন যা পূর্ববর্তী ব্যাখ্যার বিপরীত। পরবর্তী উনি ভুল স্বীকার করে উনার ব্যকখ্যা প্রতাহার করে নেন। এটাই মহত্বের লক্ষন। এই গুণ সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দেরও ছিল। তাই যদি ধরেও নেয়া হয় যে উনি ঐ কিতাবে ভুল করেছেন যে ক্ষেত্রে অবশ্যই উনি ঐ ভুল ব্যাখ্যা প্রতাহার করে নিয়েছেন অন্য কোন কিতাবে। তাই উনার সকল বই পড়ার পরই কেবল বলা যাবে যে উনি সর্বেশ্বরবাদী। এই ব্লগের মাহমুদ ভাই একবার বলেছিলেন যে, কারও আকীদা জানতে হলে সবচেয়ে ভাল উপায় হল তাঁর অনুসারীদের আকীদা জানা। মাওলানতোথানভী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এর শিষ্য মাওলানা আবরাহুল হক রহমাতুল্লহ আ’লাইহি সুন্নত জিন্দা করার মেহনত দাওয়াতুল হক চালু করেন। বাংলাদেশে এই মেহনতের প্রচুর উলামাকেরাম আছেন। মাওলানা আবরাহুল হক রহমাতুল্লহ আ’লাইহি এরওঅনেক সরাসরি শিষ্যও আছেন। আমি নিজে প্রফেসর হামিদুর রহমান স্যার দামাতবারাকাতুহুম এরও অনেক মজলিসে গিয়েছি। কোন দিনও এই সব মাজলিসে সর্বেশ্বরবাদী কোন তথা শুনিনি। আমি শুনেছি সুন্নতের কথা। সুন্নত জিন্দা করার মেহনত ও ফাযায়েল। শুনেছি ঈমান ও আখেরাতের কথা। এক কথাও দ্বীন, ঈমান, তাকওয়া, নফসের রোগের চিকিৎসা, আখেরাত, সুন্নত, ইলমে নববী এর বাইরে কোন কথা আমি শুনিনি। অন্য কেউ দাওয়াতুল হকের মাজলিস থেকে অন্য কিছু শুনে থাকলে জানাবেন। আমি সিওর লেখক নিজে কখনও তটঠিক আকদাহ তজানতে চাননি।
    এই ভাবে পুরো পোসটিং এ প্রচুর মিথ্যাচার এবং ইমোশনাল ব্ল্যকমেইলিং রয়েছে। উনি লিখেছেন তাবলীগ জামাত উনি কাছ থেকে দেখেছেন কিন্তু তাদের সাথে মিশেননি। কারণটা খুবই পরিষ্কার। তাবলীগের মেহনত হল সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুমদের মেহনত। তারা পুরা দ্বীনের মেহনত করে। কিছু লোক আছে যারা পুরা দ্বীন মানতে চায় না। চায় আংশিক দ্বীন মানবে। কিন্তু সত্যি কথা হল ইসলামের মধ্যে সর্টকাট কোন রাস্তা নেই। কেউ যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর দ্বীনের উপর হাশরের ময়দানে খাড়া হতে চায় তার জন্য জরুরি হল সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের মত পুরা দ্বীনের মেহনত করা। আর আমাদের বাংলাদেশের তথাকথিত আহলে হাদিসের মেহনত হল সর্টকাটের মেহনত। বরং আমি বলব আহলে নফসের মেহনত। যারা নিজের মন মত দ্বীন মানতে চায় তাদের জন্য এই মেহনতটা ফিটেস্ট। দেখুন আমি বাংলাদেশের তথাকথিত আহলে হাদীস দের কথা বলছি। আদি এবং আসল আহলে হাদীস যেমন ইমাম বুখারী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম হাম্মাদ, ইমাম মালেক, ইমাম তাইমিয়া রহিমাহুমুল্লাহ উনারদের কথা বলছি না। উনারাতো সত্যিকার ভাবেই আহলে হাদীস ছিলেন। বাংলাদেশের আহলে নফসরা খালি ফরয আদায় করে আর কিছু ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় করে। কোন নফল আদায় করে না। কারণ ওগুলো নাকি সব বিদয়াত। আওয়ানীন বিদায়াত, ইশরাক বিদায়াত, শবে বরাতে রোযা বিদায়াত, কুরআন তেলাওয়াত বিদায়াত। আহা কি মজার ইসলাম! এমন নয়া ইসলামের সন্ধান পেলে তাবলীগের সাহাবাহ ওয়ালা পুরাতন, সেকেলে(?) ইসলাম কে মানতে যাবে। আহলে নফসরা সুন্দর ভাবে বিদয়াত ও সুন্নতের সংজ্ঞা দিয়েছে। যা কেবল মাত্র ইবাদাতের নিয়তে করা হয় কিন্তু রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায় ছিলনা তাই বিদয়াত। এই জন্য উনারা শুধু নামায রোযার মধ্যেই সুন্নত খুজেন। বিয়ে শাদী, চলাফেরা পোষাক আষাক চাকর্রী ব্যাবসা কাফেররদের তরীকায় করেন। যেহেতু ওগুলো সুন্নতের নিয়তে করেন না তাই ওগুলো বিদয়াত নয় বরং জায়েজ। মারহাবা এমন ইসলামইতো চাই। কি দরকার সাহাবাহ দের পুরাতন পচা ঘুনে ধরা ইসলামের। আহলে নফসদের আধুনিক, মর্ডাণ ইসলামের পথে বাধা হল এই সব তাবলীগ, দেওবান্দী, থানভী, মাদানী। এদেরতো তুলোধুনো করা তাই চাইই চাই। একটু খেয়াল করে দেখবেন এদের সব কয়টি পোস্টই এই টপিকস গুলোর উপরে। এইসবের পিছনে হাদিস কুরআন তো আর পায় না তাই তারা ভাষা পান্ডিত্য আর ইমোশনাল ব্ল্যকমেইলিং এর উপর জোর দিয়ে থাকেন।
    আল্লহ তায়া’লা মাফ করেন। আমার তো মনে হয়না বিন বায, আলবানী উনারা এদের মত আকিদা রাখতেন কিনা। সিওর এরা উনাদের নাম ইউজ করছে।আরও অনেক কথা বাকি ছিল। সময় বের করতে পারলাম না। মাফ করবেন। আল্লহ তায়া’লা উম্মতকে আহলে নফসদের কবল থেকে হিফাযত করেন।
     
     
     
     
     
     
     

  8. আসসালামু আলাইকুম,

    আপনার সমস্ত অভিযোগের উত্তর আমাদের জানা থাকা সত্বেও আমরা ইসলামিক গবেষনা মূলক প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তর সংগ্রহ করে ব্লগে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করতে আগ্রহী , যেটা খুব শীঘ্রই করা হবে ইনশাল্লাহ ।

    আপনার অধিকাংশ আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত পরিপন্হি বিধায় আপনার একাউন্ট ব্লক করে দেয়া হয়েছে । আমাদের নতুন একটি বিভাগ খোলা হবে “প্রশ্ন উত্তর” । সেই বিভাগের মাধ্যমে সঠিক আক্বিদা বিষয়ে আশাকরি সবাই জানতে পারবেন এবং সেটা দক্ষ আলেমদের দ্বারা পরিচলানা করা হবে ।

    এখানে একটি বিষয়ে সবাইকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি । বাকস্বাধীনতার নামে যার যার মনমতো লাগামছাড়া কথা বলার জন্য পিস ইন ইসলামে প্রতিষ্ঠা হয় নি । “আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত” পরিপন্হি কোনো আকিদা প্রমোট করা হবে না , যেটা আমাদের “Terms of Use” এ উল্লেখ করা আছে ।

    সুতরাং এই শর্ত মেনে যারা লেখা দিতে চান , শুধু তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য ।

    ওয়াসসালাম।

    মনপবন

    @কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ], ওয়ালাইকুমুস সালাম, আপনাদের আসল চেহারা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনারা কোন ব্রান্ডের আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহ তা বের হয়ে গেল। আপনাদের গঠনতন্ত্রে যদি বলা থাকতো – হাঠাজারি/দেওবন্দি ঘরানার আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহ তাহলে এখানে হয়ত লিখতামনা, এর কথা সবার কাছে প্রচার করতামনা। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নিলে ভাল হত, মেরিনারকে ব্লক করেছেন, আরেকজনকে সাময়িক ব্যান। আলাহু আকবার, রসুলুল্লাহ (সাঃ) তায়েফে পাথর খেয়েছিলেন, আমরা সত্যি বলব সবাই আমাদের বাহবা দিবে তা কি হয়? ৫৯ টা পোস্ট করার পর এখন আপনাদের ভুল আক্বিদা ধরিয়ে দেয়ায় মেরিনারকে ব্লক করা হল, কিন্তু এতদিন যা বললেন তার কি হবে? যদি ভুল আক্বিদা না ছাড়েন, এই অক্ষরগুলা পড়ার সাথে সাথে মনে রাখবেন কিয়ামাতের দিন আল্লাহকে কি জবাব দেবেন – শিরক-কুফর চিনিয়ে দেয়ায় মানুষের মুখ বন্ধ করেছিলাম। আল্লাহ সাক্ষী, এই অক্ষর সাক্ষী আপনাদের ভালর জন্য আমরা লিখেছিলাম, আমাদের বাকস্বাধীনতা চর্চার জন্য না।

    Anonymous

    @মনপবন, আমি ম্যান… এবং মেরিনার এর সব কয়টি পোস্ট দেখলাম। দখলাম বললে ভুল হবে হেিডং এবং এক নজর চোখ বুলিয়েছি প্রথম কয়েক লাইনের উপর। উনাদের লেখাগুলোতো ভাল ছিল বলেই মনে হল। হঠাৎ করে উনারা আমাদের সলফে সালেহীন দের উপর খেপে গেলেন কেন বুঝা গেল না। আমি যদিধারণা করি যে উনারাঐ সকল ভালো মানষির দ্বারা ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেিলং এর ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন তাহলে কি ভুল হবে? ঃ-/

    Anonymous

    @মনপবন,আপনারা কি দয়া করে আপনাদের মিথ্যাচার একটু বন্ধ করবেন? আপনারা যেসব আকিদা ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ও গুলো ভুল নয় বরং মিথ্যাচার তার জবাব অনেক আগেই দেয়া হয়েছে। এমন কি মাদীনা ইউনিভারসিটি থেকেই অনেক আলীম দিয়েছেন। আপনারা কখনই তা উল্লেক করেন না। আপনাদের লখা পড়লে মনে হয় মাদীনা ইউনিভারসিটি বুঝি তথা থিত আহলে হাদিস দের আড্ডা। আসলে মোটেই তা নয়। ওখানে অনেক হানাফী আলীম, শাফেয়ী আলীম অন্যান্য মাযহাবী আলীম এবং অনেক সহনশীল ও উদার লা-মাযহাবী আলীমও আছেন। তারা অনেক সময়েই গোড়া ও কট্টর লা-মাযহাবীদের বিভিন্ন অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন। এ সম্পর্কে প্রচুর আর্টিকেল পাওয়া যায়। অবেক কিতাবও আছে। আলহা’মদুলিল্লাহ কছু কিতাব বাংলায় তরজমাওর হয়েছে। মাওলানা আব্দুল মালেক দামাতবারাকাতুহুম কিছু আর্টিকেল উনার মুখপত্র আলকাওসারে লিখছেন। খন আলহা’মদুলিল্লাহ আল কাওসার অনলাইনেও এসেছে। কিন্তু আপনারা কখনই মাদীনা ইউনিভারসিটি এর অন্যান্য আলীমদের লেখাগুলো প্রচার করেন না। কারণটা বলবেন এটু প্লিজ? আপনারা ইসলামের নামে আসলে কি চান একটু পরিষ্কার করলে ভালো হয়।

    বি দ্রঃ এখানে আপনারা বলতে আমি সরাসরি আপনাকে বুঝাই নি। বরং াদের বঝিয়েছি যারা পানি ঘোলা করে সার্থ উদধার করতে চায়

    হাফিজ

    @Anonymous, সহমত , মদীনা ইউনিভার্সিটির শুধু “হাদিস” ডিপার্টমেন্টে আহলে হাদিসদের কিছু পাওয়া যায় , কিন্তু তফসীর এবং ফেকাহ ডিপার্টেমেন্টে আহলে হাদিস নেই বললেই চলে , সেটা কিন্তু এখানকার “আহলে হাদিস” গন বলেননা ।

  9. আমারতো মনে হয়। মারিনার ও manwithmission একই ব্যক্তি।মনপবন ও বাগেরহাটও সম্ভবত তাই বা সতীর্থ।
    এই হলো ওহাবি বা সলাফিদের স্বরূপ বা বাস্তব চিত্র।এদের হোতাদের মুল কাজ হচ্ছে আরব বিশ্বের রাজাদের(পশ্চিমাদের পুতুল) ধর্মীয়গুরুর(পাদ্রীর মত) দায়িত্ব পালন করা ও সারা বিশ্বের মোসলমানদের ঘৃনার হাত থেকে রাজাদের রক্ষা করা।এদের পিছনে আরব সরকাররা কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে।অপরগিকে যারাই নিঃস্বার্থ ভাবে ইসলামের কথা বলে ও রাজা বাদশাহদের সমালোচনা করে তাদেরকে বিনা বিচারে জেলে রাখা হয়। গরীব মোসলমান দেশ থেকে ছাত্র এনে আলেম তৈরী করে ওদের লেখা বই পড়িয়ে।এদের কাজ হচ্ছে মোসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ও ভাল আলেম ও ওলী আল্লাহদের বিরুদ্ধে কথা বলা।
    অথচ রসুল পাক (সাঃ) বলেন,عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
    আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
    এ ক্ষেত্রে তারা মিথ্যা ও প্রতারনার আশ্রয় নিতেও কুন্ঠাবোধ করে না।এরা নিজেদের কোন মত বা বিশ্বাসের কথা না বলে শুধু অন্যদের বিরুদ্ধে কথা বলে বড় হতে চায়।ওহাবিদের প্রচারে সাধারন মানুষ ইসলামকে কম্পিউটারেরে মত মনে করে। ১টি পাসওয়ার্ড ভুল হলে যেমন কম্পিউটার চলে না।ইসলামকেও তারা তাই ভাবে।মেরিনার সাহেবেও তার লেখার একজায়গায় বলেছেন, ”বিশ্বাস হচ্ছে software-এর মত। সঠিক software ছাড়া যেমন আপনার নির্দিষ্ট কাজটা আপনি করতে পারবেন না, তেমনি সঠিক বিশ্বাস ছাড়া আপনার জীবনের “ষোল আনাই মিছে” ” এ হচ্ছে ওহাবি আলেমদের প্রচারনার ফল।
    এরা মোসলমানদের জীবনকে ২ ভাগে ভাগ করেন। ১।Ect of life(জীবনের কাজ)২।worship(ধর্মীয় কাজ)।আপনি যখন তাদের কোন ভুল ধরতে যাবেন তখন তারা বলবে এটা হল’act of life’।আবার ওরা যখন আপনার ভুল ধরবে সেটাকে ধর্মীয় কাজ বলবে। মোটকথা এরা রাজনৈনিক ব্যক্তিদের মত বিতর্ক করে।
    ধর্মে কোন আবেগ অনুভুতি বা ভালবাসার কোন মুল্য এদের কাছে নেই।ওথচ রসুল পাক (সাঃ)বলেছেন-

    ১। (নাসিহা) আ্ন্তরিকতা বা ভালবাসাই দ্বীন।

    ২।সে ব্যক্তি প্রকৃত ইমানদার নয় যে তার নিজের জন্য যা ভালবাসে সে তার অন্যভাই এর জন্য তা ভাল না বাসে।
    ৩।যে ব্যক্তি তার পিতা মাতা ভাই বোন সকলের চাইতে আমাকে(রসুল পাক সাঃ কে)ভাল না বাসবে সে ব্যক্তি প্রকৃত ইমানদার নয় ।

    ৪।যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করতে পারে না সে তার সৃষ্টিকর্তার প্রতিও কৃতঙ্গতা প্রকাশ করতে পারে না।
    পরিশেষে আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে ইসলামের

  10. আমারতো মনে হয় ‘মারিনার’ ও manwithmission একই ব্যক্তি।মনপবন , বাগের হাট ও রাশেদ এর একই অবস্হা বা সতীর্থ হবে।এদের জন্য দুঃখ আর দোয়া করা ছারা আমাদের কি বা করার আছে।এ হচ্ছে আরব রাজাদের(পাশ্চাত্যের পুতুল) ধর্মীও গুরু ওহাবি ও সালাফি ওলামাদের ফসল। ক্ষেত্রে একটি হাদিস উল্লেখ করলাম।
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَد

    آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
    আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]

    হাফিজ

    @দেশী৪৩২, সহমত।

    রাশেদ

    @দেশী৪৩২, আপনি তো “আমারতো মনে হয় ‘” এই কথা বলে একটা অনুমান করলেন। অনুমানের
    ব্যাপারে ইসলাম কী বলে সেটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন।

    ভালো থাকবেন।

  11. ১ নম্বর উদ্ধৃতি: Ashraf-us-Sawaneh(biography of Ashraf Ali Thanvi) কিতাবের vol.1, p.12 তে আশরাফ আলি থানবীর প্রপিতামহ, মুহাম্মাদ ফরিদের, ব্যাপারে এক আজব ঘটনার উল্লেখ রয়েছে:

    “তিনি একটা বরযাত্রার সাথে যাচ্ছিলেন যখন একদল ডাকাত সেঠাকে আক্রমণ করে। মুহাম্মদ ফরিদ সেই বরযাত্রার দলকে বাঁচানোর চেষ্টায় প্রাণ দেন এবং তাকে পীর সামাউদ্দিনের মাজারের কাছে কবর দেয়া হয়। বহু বছর ধরে তার কবরে উরস অনুষ্ঠিত হতো। জীবনী লেখক লেখেন:“তার শাহাদাতের পর এক আজব ঘটনা ঘটে। রাতে তিনি তার বাড়ীতে ফিরে আসেন – যেন তিনি জীবিতই ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই বলে কিছু মিষ্টি দিলেন যে, ‘তোমরা যদি কাউকে (আমার আগমনের ব্যাপারে) না বল তাহলে আমি আসতেই থাকবো।’ কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা ভয় পেলেন যে, মানুষজন বাচ্চাদের মিষ্টি খেতে দেখে হয়তো অন্য কিছু সন্দেহ করবে, তাই তারা ঘটনাটা প্রকাশ করে দিলেন আর তারপরে তিনি আর ফিরে আসেন নি!”
    ঘটনায় বিভ্রান্তির কি পেলেন আমি বুঝলাম না, আহলে সুন্নাহ এ বিশ্বাষ পোষণ করে যে কিছু মানুষের কারামত হয়ে থাকে, ঘটনাটি দিয়ে আশরাফ (রহ:) সেই কারামতকে উল্লেখ করেছেন এর সত্য বা মিথ্যা আমরা কোনটাই বলতে যাবো না কারন ইহুদী -নাসারাদের বর্ননার ক্ষেত্রেও রসূল তাদেরকে মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন।
    এবার আসুন থানভী সাহেবকে আমরা একজন মুসলিম ষ্কলার বা সাধারণ মুসলিম ধরে নিয়েই যদি ঘটনাটিকে বিশ্বাস করি তাতেও আমাদের বিশ্বাষের পরিপন্থি – খালেছ দ্বীনে হানিফের বিশ্বাসের পরিপন্থি আমি কিছু দেখি না এই অর্থে যে,
    যে অবয়ব তাদের কাছে আসতো তা মানুষ না হয়ে জ্বীন ছিল, আর বদ ও খারাপ জ্বীন সবার পক্ষেই যে কোন আকৃতি ধারণ করা সম্ভব, এটা কোরানের একাধিক আয়াত এবং সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত। তাই এমন তো হতেই পারে যে আল্লাহ তার নাতীদের মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য কোন নেককার জ্বীনকে তাদের প্রপিতার রুপ ধারন করে তাদের নিকট পাঠিয়েছেন।
    উক্ত ঘটনাকে আপনার যুক্তি ও বিবেকের ব্যাখা মত মেনে নিয়ে থানভী সাহেবকে এক্সট্রা কারামতের দোহাই দিয়ে কুফর এ শিরকী বিশ্বাস প্রতিয়মান করা মেনে নিলেও একটি প্রশ্ন অবশিষ্ট থাকে তা হলো তাবলীগি মুজাদ্দেদ মাওলানা ইলিয়াসের এই মানহাজের সাথে সম্পৃক্ততা । মাওলানা ইলিয়াছের মালফুজাতে আপনি এটাও নিশ্চয় পাবেন যে, তিনি মেহনত ওয়ালাদের জন্য কারামত যাহের হোক তা পসন্দ করতেন না, এবং কারামতের ঘটনাগুলো সাধারন মানুষের সম্মুখে বর্ননা করা তাবলীগ জামাতে নিষেধ ব্যপারটিও নিশ্চয় আপনার জানার কথা। তারপরেও এই পয়েন্টকে আপনার হেডিং এর সাথে যুক্ত করে তাবলীগ জামাতকে এমন (আজগুবী!) কাহীনির সাথে যুক্ত করার আপনার কি উচিত হয়েছেন মনে করেন? ( একেক করে প্রতিটি পয়েন্টের খোলাসা আলোচনা করবো এবং আপনার কাছে এর জবাব আশা করবো)

    হাফিজ

    @বাংলা মৌলভী, সহমত ।

    কারামত এর ঘটনা কোরআন শরীফেও আছে , সাহাবীদের জীবনিতেও আছে । কারামত বিশ্বাস করা আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত । এর সাথে শিরক বিদআতের কি সম্পর্ক বুঝলাম না ।

    রাশেদ

    @হাফিজ,এই সহজ কথা বুঝলেন না। কারামত বিশ্বাস করা আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত , ঠিক আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যখন
    কারামত কে ভুল বুঝে বা তাদেরকে ভুল বুঝানো হ্য়, এবং পরবর্তীতে বিনা পুজির ব্যবসা শুরু হয় এটাই সম্যস্যা।
    আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।

    বাংলা মৌলভী

    @বাংলা মৌলভী, এ ধরনের মিরাকল বিষয় কোরানে হযরত ওযাইরের ব্যাপারে, আসহাবে কাহফের ব্যাপারে, এবং এ জাতিয় ঘটনাবলী কেবল আশরাফ সাহেবই নয় বরং আরো অনেক দেওবন্দী ঘরণার বাইরে প্রসিদ্ধ এবং বিতর্কিত নয় এমন স্কলাররাও লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাফেজ ( হাফেজুল হাদীস যা কিনা আলবানী (রহ:) চাইতে বেশী কস্টকর ১লক্ষের বেশী হাদিস সনদ সহ মুখস্ত করা) ইবনু আবিদ্দুনিয়া রহ, যিনি এ ” من عاش بعد الموت ” – মৃত্যুর পরেও যারা জীবিত হয়েছিলেন – নামের স্বতন্ত্র একটি কিতাব রচনা করেছেন।
    জাওযী তার ” রুহের জগত” এ রুহের বিভিন্ন ব্যাখায় এ বিষয়টিকে সম্ভব বলে স্বীকার করেন। আরো দেখুন মুফতি আব্দুর রউফ (পাকিস্তান) এর ছয়টি গুনাহ ও তার ভয়াবহ শাস্তির পুনুরুজ্জীবন নিয়ে একটি (অলৌকিক! আজগুবী!) কাহীনি ও তার বাস্তবতা নিয়ে শরয়ী ও সাইন্টিফিক বিশ্লেষণ কবর আযাব ও মৃত্যুর পরে পুনুরুজ্জীবন (কেয়ামতের পূর্বের) নিয়ে একটি সংশয় ও নিরসন অধ্যায়।
    কেবল আশরাফ সাহেবই কেন গুনাহ করবেন?!! উল্লেখিত ব্যক্তিদের নজরে আসলো না আপনাদের? ইবনু আবিদ্দুনিয়া ও জাওযীর রেফারেন্স ছাড়া তো সালাফীগুরু আলবানীও টিকতে পারেন না।
    আরেকটি কথা লক্ষ্য রাখবেন মাওলানা আশরাফ সাহেব হযরত ওমর রাযি আনহু এর বংশধর এ বিষয়ে আমার সাথে পরে রিজাল (ব্যক্তি পরিচিতি ও বংশ বিশ্লেষণ করে নিতে পারেন) তো একজন সাধারণ মুসলমানের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনার শাস্তি কি তাই ভেবে দেখুন, এই থানভী রহ এর ব্যপারটি বাদই দিলাম ।

    বাংলা মৌলভী

    @বাংলা মৌলভী,ওযাইর নবী ছিলেন না ভাল মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারটি মুফাস্সিরদের কাছে বিতর্কিত, আসহাবে কাহফ নবী নন এটা সর্বজনবিদিত। আনন্যাসেসারি বিষয়াবলির প্রকারভেদগুলো আপনার জানা থাকলে ঘটনাটিকে বিভ্রান্তিকর বলে কাকতালীয় যোগসাজষ লাগিয়ে তাবলীগ জামাতের ঘাড়ে ফেলার কথা না। আপনার অনেক লেখাই আগে ভালো লাগতো, কিন্তু এই লেখাটা পড়ে একেবারেই বোকা মনে হচ্ছে আপনাকে, আপনার সুষ্ঠ মনমানসিকতার সাথে এটা বেমানান ।

    Biplobi

    @বাংলা মৌলভী,

    ঘটনায় বিভ্রান্তির কি পেলেন আমি বুঝলাম না, আহলে সুন্নাহ এ বিশ্বাষ পোষণ করে যে কিছু মানুষের কারামত হয়ে থাকে, ঘটনাটি দিয়ে আশরাফ (রহ:) সেই কারামতকে উল্লেখ করেছেন এর সত্য বা মিথ্যা আমরা কোনটাই বলতে যাবো না কারন ইহুদী -নাসারাদের বর্ননার ক্ষেত্রেও রসূল তাদেরকে মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন।
    এবার আসুন থানভী সাহেবকে আমরা একজন মুসলিম ষ্কলার বা সাধারণ মুসলিম ধরে নিয়েই যদি ঘটনাটিকে বিশ্বাস করি তাতেও আমাদের বিশ্বাষের পরিপন্থি – খালেছ দ্বীনে হানিফের বিশ্বাসের পরিপন্থি আমি কিছু দেখি না এই অর্থে যে,
    যে অবয়ব তাদের কাছে আসতো তা মানুষ না হয়ে জ্বীন ছিল, আর বদ ও খারাপ জ্বীন সবার পক্ষেই যে কোন আকৃতি ধারণ করা সম্ভব, এটা কোরানের একাধিক আয়াত এবং সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত। তাই এমন তো হতেই পারে যে আল্লাহ তার নাতীদের মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য কোন নেককার জ্বীনকে তাদের প্রপিতার রুপ ধারন করে তাদের নিকট পাঠিয়েছেন।

    আপনাকে মোবারকবাদ। অভূতপূর্ব ব্যাখ্যা – এই না হলে মৌলভী! মৃত মানুষ আবার জীবিত হয়ে আসা যে “কারামাহ্” – তা এই প্রথম শুনলাম/জানলাম। আমি মনে করতাম পাক-ভারতে বা অন্যত্রও কেবল heathen-রাই পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে!!

    সাদাত

    @Biplobi,

    মৃত মানুষ জীবিত হবার ঘটনা প্রথম শুনলেন, এটা আপনার অজ্ঞতা।

    সাদাত

    @সাদাত,

    once a person fell ill. He became so ill that he stopped all movement. So, the people shut his eyes and prepared him – took off his clothes, etc. so as to give him Ghusl. All of a sudden, he woke up and showed signs of movement. The people said, ‘Glory be to Allah, we thought you passed away!’ He said, ‘Yes I had passed away and I was taken to my grave at which I saw a handsome young man with a sweet smelling fragrance. He put me in my grave and covered me up with leaves. Therein, an ugly evil oudored woman appeared saying, ‘You did this and that and she counted a few things of which I was put to shame. I said, ‘I swear by Allah that you should leave me alone.’ She said, ‘Lets go, we will challenge you.’ We went to a wide spacious sweet smelling house at which there was an outdoor side bench made from silver. In one corner, stood a person performing Salaat. He was reciting Surah Nahl and he got stuck repeating the same verse over and over again. The woman then corrected the man.
    Thereafter, the man then lifted up a pillow nearby under which lay a piece of paper which he removed. He looked at it but before he could say anything, the ugly woman spoke out, ‘This man did this and that’. The young handsome man said, ‘But he did this and this and this…’ enumerating all the good. The man said, ‘This is a servant who has wronged himself but Allah Ta’ala has forgiven him. His time is not yet up. He will die on Monday. This person then explained to the people around him – look – if I die on Monday, then I hope to get what I’ve seen and if I don’t die on Monday then these were just imaginary thoughts. The man passed away on Monday after Asr.
    (Man aasha ba’adal mawt of Hafiz ibn Abid-Dunyaa pg.127)

    হাফিজ

    @Biplobi,

    । অভূতপূর্ব ব্যাখ্যা – এই না হলে মৌলভী!

    কমেন্ট করার সময় আদব রক্ষা করে কমেন্ট করুন । কারো ভুল থাকলে সেটা শরীয়তের দলীল দিয়ে উত্তর দিন । তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নয়।

    বাংলা মৌলভী

    @Biplobi,


    এ ধরনের মিরাকল বিষয় কোরানে হযরত ওযাইরের ব্যাপারে, আসহাবে কাহফের ব্যাপারে, এবং এ জাতিয় ঘটনাবলী কেবল আশরাফ সাহেবই নয় বরং আরো অনেক দেওবন্দী ঘরণার বাইরে প্রসিদ্ধ এবং বিতর্কিত নয় এমন স্কলাররাও লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাফেজ ( হাফেজুল হাদীস যা কিনা আলবানী (রহ:) চাইতে বেশী কস্টকর ১লক্ষের বেশী হাদিস সনদ সহ মুখস্ত করা) ইবনু আবিদ্দুনিয়া রহ, যিনি এ ” من عاش بعد الموت ” – মৃত্যুর পরেও যারা জীবিত হয়েছিলেন – নামের স্বতন্ত্র একটি কিতাব রচনা করেছেন।
    জাওযী তার ” রুহের জগত” এ রুহের বিভিন্ন ব্যাখায় এ বিষয়টিকে সম্ভব বলে স্বীকার করেন। আরো দেখুন মুফতি আব্দুর রউফ (পাকিস্তান) এর ছয়টি গুনাহ ও তার ভয়াবহ শাস্তির পুনুরুজ্জীবন নিয়ে একটি (অলৌকিক! আজগুবী!) কাহীনি ও তার বাস্তবতা নিয়ে শরয়ী ও সাইন্টিফিক বিশ্লেষণ কবর আযাব ও মৃত্যুর পরে পুনুরুজ্জীবন (কেয়ামতের পূর্বের) নিয়ে একটি সংশয় ও নিরসন অধ্যায়।



    ইবনু আবিদ্দুনিয়ার সতন্ত্র পুস্তিকা, মুফতি আব্দুর রউফের চাপ্টার বিশ্লেষণের পরেও আমাকে আজগুবী ভাবা কেমন তা আপনিই চিন্তা করুন।

  12. আসসালামু আলাইকুম,

    “মেরিনার” এবং “Manwithamission” কে আবার অনুমোদন দেয়া হোলো । তবে ওনাদের যেকোনো লেখা মডারেশন করা হবে । আমরা চাইবো আমাদের কোনো ব্লগার ভাইরা অতীতের সলফে সালেহীনদের নিয়ে আক্রমনাত্নক লেখা না লিখে শুধুমাত্র নিজস্ব চিন্তাধারা প্রকাশ করবে , যেটা কাউকে আক্রমন না করেও করা সম্ভব ।

    আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন ।

    ওয়াসসালাম।