আসুন কূপ থেকে বেরিয়ে পৃথিবীটা দেখি – ২
লিখেছেন: ' মেরিনার' @ মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৩, ২০১০ (১২:১৫ পূর্বাহ্ণ)
গল্পটা এরকম: একটা কলসী ভিতরে এক ব্যাঙের বসবাস ছিল – একদিন কলসীটাকে কুয়ার ভিতর নামানো হলে, ব্যাঙ কলসীর মুখ দিয়ে লাফ দিয়ে বেরিয়ে কুয়ার পানিতে পড়লো – আগে কলসীটাই ছিল তার পৃথিবী, সে কলসীর মুখ দিয় উপরে “আকাশ” দেখতো । এখন সেই তুলনায় বি—শা—ল কুয়াটাকে সে নিশ্চিতই গোটা পৃথিবী বলে জ্ঞান করলো। আর কুয়ার উন্মুক্ত বৃত্তাকার খোলা মুখ দিয়ে আকাশ দেখে, সে মনে করলো যে, সে উপরে গোটা আকাশটাই দেখতে পাচ্ছে – কত বড় আকাশ! আমরা যারা কোন সুনির্দিস্ট পদ্ধতিতে দ্বীন শিক্ষা না করে বড় হয়েছি, তারা বড় হয়ে হঠাৎ যখন মনে করি যে কেবল নামাজ-রোজা আর সেই সাথে না বুঝে কুর’আন পড়া মানে দ্বীন নয় – তখন আমরা “অবসর মত” দ্বীন শিক্ষার উৎস খুজতে শুরু করি – কলসি থেকে লাফ দিয়ে বের হেয় কুয়াটা দেখে, সেই কুয়াটাকেই পৃথিবী জ্ঞান করে, সেই পৃথিবীর পরিবেশ-প্রতিবেশে দ্বীন খুজতে শুরু করি।
আমাদের খুব গভীরভাবে ভেবে দেখা উচিত:
১) যে দেশের জাতীয় মসজিদের খতিব মাজারপূজারী
২)যে দেশে জনৈক “পীরের” নামানুসারে মসজিদের নাম “গাউসুল আজম” [কোন মানুষকে "গাউসুল আজম" বলাটাই blatant shirk] হয়
৩)যে দেশে মুসল্লিরা “খতিব” ইস্যুতে জুম্মার সময়ে জাতীয় মসজিদে একে অপরকে জুতাপেটা করেন
৪)যে দেশে আটরশী, দেওয়ানবাগী বা রাজারবাগীদের মত ভন্ডদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত থাকে
৫) যে দেশের মাজারের পুকুরের মৃত গজার মাছকে কাফন পরিয়ে দাফন করা হয়
৫) যে দেশে “ইফতা” হচ্ছে মাদ্রাসার একটা subject-এর নাম, যা পাস করলেই ১৮ বছর বয়স্ক তরুণ, ফার্সী ও ঊর্দু থেকে ইসলাম শেখা [নেড়ে আরবীতে কোন কিতাব পড়তে না পারা] যুবক নিজেকে অনায়াসে “মুফতি” বলে পরিচয় দেয়
৬)যে দেশের মাদ্রাসার পরীক্ষার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের টয়লেট থেকে মণকে মণ কুর’আন হাদীসের পাতার নকল-সমাগ্রী পরিস্কার করতে হয়
৭) যে দেশে মাদ্রাসার “ফাজিল” পাঠ্যসূচির পাঠ্য বই “আল আক্বাইদ আল ইসলামিয়া”য় শেখানো হয় যে, ইমাম আবু হানিফা স্বয়ং আল্লাহকে ৯৯ বার স্বপ্নে দেখেছেন
সে দেশে থেকে, কুয়াকে পৃথিবী জ্ঞান করা “সবজান্তা আধুনিক শিক্ষত মানুষেরা” যখন তুড়ি মেরে আলবানীর(রহ.) মত স্কলারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলতে চান যে, আলবানী(রহ.) ফিক্বের কি জানেন [অথচ আলবানীর লিখিত ফিক্বের কিতাব প্রথম প্রকাশিত হয় সেই ১৯৫৭ সালে, তাঁর মৃত্যুর ৪২ বছর আগে!!]- তখন একই সঙ্গে ভয় ও দুঃখ হয়। যে মুষিক পাহাড়ের অন্ধকার গর্তের কোণ খুজে বেড়ায়, সে পাহাড়ের বিরাটত্ব কখনো অনুভব করতে পারবে? আমি হয়তো ভুলে যাবো, তাই সকল পাঠকের জন্য আলাবানীর(রহ.) ফতোয়ার ছোট্ট একটা collection-এর লিংক তুলে দিচ্ছি, আপনাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকেই আপনারা দেখুন আলবানীর ফিক্বের জ্ঞান কেমন: abdurrahman.org/women/fatwaswomenalbani.html
আলবানী (রহ.) কোন ফেরেশতার নাম নয় – বরং ভুল-শুদ্ধ মিলিয়ে একজন রক্তমাংসের মানুষেরই নাম – তবে একজন বিশেষ মানুষের নাম। এর আগেও এমন অনেক বিশেষ মানুষ বা স্কলার জন্মেছেন, যারা তাদের এক জীবনে যে কাজ করে গেছেন, আপনার আমার মত লোকের কাছে মনে হবে যে, সেই কাজগুলো কেবল পড়তেই কয়েক জনমের প্রয়োজন। ইবন হাজাম, ইমাম নববী, ইবন হাজর আল আসক্বালানী এবং ইবন কাসীর হচ্ছে এরকম ক্ষণজন্মা কয়েকজনের নাম। তথাপি এদের সবারই ভুল ভ্রান্তি ছিল – ইমাম নববী(রহ.) ও ইবন হাজর আল আক্বালানীর (রহ.) তো [minor হলেও] আক্বীদার ত্রুটিই ছিল! তাতে কি তাঁরা আপনার আমার মত যদু-মধুর তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের বিষয় হয়ে গেলেন? তারা ইসলামের জন্য যা করে গেছেন, তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিমদের ইসলামে পথে চলতে সহায়তা করেছে।
আলবানীর (রহ.) কাজও, আমরা যাকে বলি mammoth – ২২০টিরও বেশী গ্রন্থ যার কোন কোনটির আবার রয়েছে বহু খন্ড। প্রায়ত সৌদী গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুল আজীজ বিন বায (রহ.) গত (ইংরেজী বিংশ) শতাব্দীর একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘আলেম – যাকে সারা বিশ্বের সকল মুসলিমগণ বিশেষ সম্মানের সাথে স্মরণ করেন। আলবানী (রহ.) সম্বন্ধে তাঁর মত দেখুন:
“এখনকার সময়ে, আকাশসমূহের ছায়াতলে, আমি ‘আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানীর মত কোন হাদীসের স্কলার দেখিনি।”
“I have not seen a scholar of Hadeeth under the shade of the skies like al ‘Allaamah Muhammad Naasir ad Deen al Albaanee in this time period.”
তাঁকে (অর্থাৎ বিন বাযকে) জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “এই শতাব্দীর মুজাদ্দিদ কে?” তিনি উত্তর দেন,” আমার মতে এই সময়ের মুজাদ্দিদ হচ্ছেন শায়েখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানীর – আর আল্লাহই সবচেয় ভালো জানেন।”
He was also asked: ‘Who is the Mujaddid (reviver) of this century?’ He replied: ‘In my opinion, the Mujaddid of this time period is Shaykh Muhammad Naasir ad Deen al Albaanee and Allaah knows best.’
দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আরেকজন সম-সাময়ীক দিকপাল হচ্ছেন মুহাম্মদ বিন সালিহ্ আল উসাইমিন(রহ.) - তাঁর ব্যাপারে জানতে শুরু করলে যে কারো হয়তো আমার মতই মনে হবে যে, তিনি তার এক জীবনে যত পাঠ্য-সামগ্রী লিখে গেছেন, তা শুধু পড়তেই আমার কয়েক জনম লাগবে। তিনি কি বলেছেন আলবানী(রহ.) সম্বন্ধে? চলুন দেখি:
“তিনি হাদীসের ব্যাপারে বিশাল জ্ঞানের অধিকারী – তা ইসনাদের ব্যাপার হোক অথবা মতনের ব্যাপারেই হোক। আল্লাহ্ তাঁর (আলবানীর) লিখিত কাজের মাধ্যমে অনেক লোককে উপকৃত করেছেন – জ্ঞানের বিষয়ে, পদ্ধতির ব্যাপারে এবং হাদীস-শাস্ত্রের ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করার বিষয়ে। মুসলিমদের উপর তাঁর বিশাল প্রভাব রয়েছে এবং সে জন্য সকল প্রশংসাই আল্লাহর প্রাপ্য।”
Al ‘Allaamah Muhammad ibn Saalih al ‘Uthamymeen(*), may Allaah have mercy upon him, stated:.
“…he possesses vast knowledge of Hadeeth, whether it is in the chains of narration or the understanding of the texts. Allaah has benefited many people through his written works, in terms of knowledge, Manhaj, and inclination to the knowledge of Hadeeth. He has had an enormous influence over the Muslims, and all praise is due to Allaah.”
আপনারা যদি হজ্জ বা উমরাহর জন্য সৌদী আরবে যান, আর সেই সুবাদে নবীর(সা.) মসজিদে, মদীনায়, নামাজ পড়তে যান – তবে দেখবেন যে, আব্দুর রাজ্জাক আল আব্বাদ বলে একজন স্কলার সেখানে বাদ-আসর দ্বীন শিক্ষার আয়োজনে “দারস” বা পাঠদান করেন। ইনি মদীনাহ্ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে “আক্বীদাহ্” – বিষয়ের অধ্যাপক। মাগরিবের পরে তিনি এবং তাঁর শ্রোতা/ছাত্ররা প্রায় সবাই গিয়ে আবার বসেন তাঁর বাবা আব্দুল মু্হসীন আল আব্বাদের আসরে, দ্বীন শিখতে। আব্দুল মুহসীন আল আব্বাদ মদীনাহ্ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন – যা সৌদী আরবে বা গোটা ইসলামী বিশ্বে অত্যন্ত সম্মানিত একটা পদ – যে পদে তাঁর আগে ছিলেন আব্দুল আজীজ বিন বায (রহ.)। তাঁকে বর্তমান বিশ্বে জীবিত স্কলারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাপের একজন মনে করা হয়। দেখুন তো তিনি আলবানী (রহ.) সম্বন্ধে কি বলেন:
“হাদীসের যত্নের ব্যাপারে এবং জ্ঞানের পরিধির নিরিখে আমি তার সমতুল্য (বা তার ক্যালিবারের) আর কারো কথা জানিনা। আমি বা আর যে কারো তার বই ছাড়া এবং সে সব থেকে উপকৃত হওয়া ছাড়া চলে না।”
Al ‘Allaamah ‘Abdul Muhsin al ‘Abbaad(***) stated:
“I do not know anyone of his caliber in this time period, in caring for Hadeeth and the extent of his knowledge. I or other than me cannot do without his books and benefiting from them.”
সোর্স:
www.studying-islam.org/articletext.aspx?id=1222
আলহামদুলিল্লাহ! আলবানির কুফর দেশ গমন নিয়ে একটা প্রশ্নোত্তর পড়েছিলাম। বুঝেছিলাম তিনি কি মাপের আলিম ছিলেন। আর উনার আচার কি ছিল সেটা নিয়ে একটা লেখা – এখানে
@মনপবন, JazakAllah Khair!
সমস্যাটা কোথায় জানেন? দোষ আলবানী রহ এর নয়, বরং আলবানীর ধুয়া তুলে মাযহাবীদের গালীদেয় এমন এক শ্রেনীর অবিবেচক লোকদের এদের কয়েকপ্রকার বাস্তবিক সমস্যা লক্ষ্য করুন:
১-দুটি সহিহ হাদিসে তারুজ বা স্ববিরোধী আমলের কথা আসলে তারা শাহওয়াত হিসেবে নিজেদের খেয়াল খুশী মত আমল করে।
এ ক্ষেত্রে মাযহাবীদের মাযহাব দর্শনের পেছনে যে হাদীস তারা উপস্থাপন করেন তা বর্তমান কিতাব হিসেবে সনদের ক্ষেত্রে জয়ীফ বলবেন। আসুন দেখা যাক জয়ীফ হাদীসের শরয়ী অবস্থান: হাদিস হিসেবে জয়ীফ হাদিসগুলো সত্য কিন্তু বর্ণনা হিসেবে রেওয়েতের ক্ষেত্রে তা দূর্বল এই দুর্বলতা হলো রাবীদের কিন্তু হাদীসের কোন দুর্বলতা নেই, এ কারনে সকল মুহাদ্দিসরা বিনাবাক্যবয়ে এগুলো হাদীস হিসেবে সমর্থন করেন এবং নীম্নক্ষেত্রে সমূহে তা বর্ণনায় কোন সমস্যা দেখেন না : ফাজায়েলের ক্ষেত্র, আখবার বা সংবাদ (যা মাসলা বা আমল সম্পৃক্ত নয় যেমন আখেরাত, কবর, হাশর কিংবা পূর্ববর্তী উম্মতদের কোন ঘটনা ইত্যাদির ব্যপারে)
তদুপরি ইমামদের যূগে সেই হাদীসের রেওয়েত এত দীর্ঘ ছিল না, যে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ততকালে সেই হাদিসের দূর্বলতা এসেছে, তাদের কাছে যখন হাদীসগুলো সহিহই ছিল তো তাদের সহিহ হাদিসের আলোকে কোন কাজের শরয়ী সিদ্ধান্তকে ফেকাহ বলে লিপিবদ্ধকরণটাও হাদিসের খেদমত বৈ?
২- যে সকল ক্ষেত্রে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রচলিত কোন আমলকে প্রমান করা যায় না সে ক্ষেত্রে আহলে হাদীসরা খেয়াল খুশী মতো সিদ্ধান্ত নিবেন নাকি প্রথম যূগের ব্যক্তিদের মত জ্ঞানীদের শরণাপন্ন হবেন?
যদি জ্ঞানীদের শরণাপন্ন হবার কথা আসে তবে আলবানী, জাউযী এবং আসকালানীদের যূগের চাইতে তাবেয়ী যূগে ফিরে যাওয়া হাদীস অনুকরণের ক্ষেত্রে অধিকতর সহজ।
একটি কথা লক্ষ্য রাখতে হবে হাদীস যারা লিপিবদ্ধ করেগেছেন তা কখনোই প্রথমযূগের ইমামদের ফিক্বহ শাস্ত্রকে উপেক্ষা করার জন্য নয়, আবার কেবল সেগুলোকেই তারা সহীহ বলে দিয়ে যান নি, যেমন আলবানী আর জাউযী রহিমাহুমুল্লাহ রাও তাদের গবেষণা এ জন্য করেন নি যে বোখারী আর মুসলিম রহিমাহুমুল্লাহ এর সংকলনে গলত ছিল। সিহাহ বা অন্যান কিতাব যদি লিপিবদ্ধ না হতো, মুসনাদ, মুয়াত্বা যদি লেখাই না থাকতো তবে আলবানীর এই সুযোগো থাকতো না যে এতগুলো হাদিসের কিতাব সে বিশ্লেষণ করে তা থেকে সিলসিলাতুল আহাদিস আলফুলানা আল ফুলানা বলবেন।
আরবীতে একটি কথা আছে: যুলুম হলো কোন বিষয়কে তার স্থানে না রেখে অন্য স্থানে রাখা, তাই সালাফী বা আহলে হাদীসদের এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
@বাংলা মৌলভী,
আপনি যে আ’লেম তা আমি জানি এবং আপনি যা সহ্য করে “আমার ব্লগে” সংগ্রম করেছেন, তাতে আমি অবাক হয়েছি আপনার ধৈর্য দেখে। আপনার প্রতি একধরনের শ্রদ্ধবোধও রয়েছে আমার – তবু বলবো আরো পড়াশোনা দরকার: দ্বীন এবং দুনিয়া উভয় ক্ষেত্রে। ব্লগে তর্ক-বিতর্ক একদম পছন্দ করতাম না আমি! কিন্তু এমনই বদনসীব সেই যে “ফারুক” দিয়ে যাত্রা শুরু করে এখনো চলছে জীবনের মহামূল্যবান সময় ক্ষেপনে অহেতুক তর্ক।
ড: আব্দুল্লাহ্ আল জাহাঙ্গীর “আহলে হাদীস” বা “সালাফী” নন – তিনি হাদীসের স্কলার! তার লেখা একটা বই আছে: হাদীসের নামে জালিয়াতী। পড়ে দেখবেন, ভালো লাগবে ইনশা’আল্লাহ!
১) যে দেশের জাতীয় মসজিদের খতিব মাজারপূজারী
২)যে দেশে জনৈক “পীরের” নামানুসারে মসজিদের নাম “গাউসুল আজম” [কোন মানুষকে "গাউসুল আজম" বলাটাই blatant shirk] হয়
৩)যে দেশে মুসল্লিরা “খতিব” ইস্যুতে জুম্মার সময়ে জাতীয় মসজিদে একে অপরকে জুতাপেটা করেন
৪)যে দেশে আটরশী, দেওয়ানবাগী বা রাজারবাগীদের মত ভন্ডদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত থাকে
৫) যে দেশের মাজারের পুকুরের মৃত গজার মাছকে কাফন পরিয়ে দাফন করা হয়
৫) যে দেশে “ইফতা” হচ্ছে মাদ্রাসার একটা subject-এর নাম, যা পাস করলেই ১৮ বছর বয়স্ক তরুণ, ফার্সী ও ঊর্দু থেকে ইসলাম শেখা [নেড়ে আরবীতে কোন কিতাব পড়তে না পারা] যুবক নিজেকে অনায়াসে “মুফতি” বলে পরিচয় দেয়
৬)যে দেশের মাদ্রাসার পরীক্ষার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের টয়লেট থেকে মণকে মণ কুর’আন হাদীসের পাতার নকল-সমাগ্রী পরিস্কার করতে হয়
৭) যে দেশে মাদ্রাসার “ফাজিল” পাঠ্যসূচির পাঠ্য বই “আল আক্বাইদ আল ইসলামিয়া”য় শেখানো হয় যে, ইমাম আবু হানিফা স্বয়ং আল্লাহকে ৯৯ বার স্বপ্নে দেখেছেন
সে দেশে থেকে, কুয়াকে পৃথিবী জ্ঞান করা “সবজান্তা আধুনিক শিক্ষত মানুষেরা” যখন তুড়ি মেরে আলবানীর(রহ.) মত স্কলারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলতে চান যে, আলবানী(রহ.) ফিক্বের কি জানেন [অথচ আলবানীর লিখিত ফিক্বের কিতাব প্রথম প্রকাশিত হয় সেই ১৯৫৭ সালে, তাঁর মৃত্যুর ৪২ বছর আগে!!]-
দুঃখিত, এ অংশটুকু কেমন যেন লাগলো!!!
@দ্য মুসলিম, ভাবলে আমারও কেমন লাগে – তবে মিথ্যা কথা থাকলে শুধরে দেবেন – সত্য উপস্থিত দেখলে “সামি’য়না ওয়া আতা’য়না” বলতে শিখেছি আজ অনেক দিন। এমনিতে, এসব পরিস্থতিতে, একটা কথা প্রায়ই মনে হয় – ইমাম শাফিঈ কারো সাথে তর্ক-বিতর্ক লাগলে একটা দোয়া করতেন: সত্য কথাটা যেন তাঁর opponent-এর মুখ থেকে বের হয় – তাতে সে সহজেই সত্য মেনে নিতে পারবে!
আপনি ভালো থাকবেন, ইনশা’আল্লাহ্!।
@মেরিনার,
কথাগুলো কতক মানুষের জন্য ঠিক। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এমনকি যারা আলবানী রঃ এর হাদীসের ব্যপারে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত আছে মনে করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়। দেশের সব মানুষকে যেন বলা হয়েছে, তাই মন্তব্যটুকু করেছিলাম। ডিফাইন করে দিলে ভালো হতো।
আপনিও ভালো থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
বুখারী শরীফের সকল হাদিসই সহীহ কিন্তু কোথাও এমন দাবি নেই যে, সকল সহীহ হাদিসই বুখারী শরীফে রয়েছে (ইহা একটি আলোচনামূলক মন্তব্য, আক্রমণাত্মক নয়)।
আল্লাহ আমাদের কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
@মালেক_০০১,
বুখারী শরীফের সকল হাদিসই সহীহ কিন্তু কোথাও এমন দাবি নেই যে, সকল সহীহ হাদিসই বুখারী শরীফে রয়েছে
সহমত।
আসসালামু আলাইকুম ভাই,
আমার মনে হয় একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে, ইবনে হাবীব নামক ঐ ব্লগারটি আমি না। আমি আপনাকে দুইটি ইমেইল পাঠিয়েছি পড়ে দেখবেন, আর ঐ ব্লগেও আমি বিষয়টি পরিস্কার করে বলে দিয়েছি।
@manwithamission, আলহামদুলিল্লাহ্! একটা গল্প আছে না – হারানো উট খুজে পেয়ে শুকরিয়া জানাতে গিয়ে খুশীর আতিশায্যে একটা লোক আল্লাকে বান্দা আর নিজেকে প্রভু হিসেবে সম্বোধন করে ফেলেছিলো – আমার প্রাপ্তির আনন্দ কেবল সেই আনন্দের সাথেই তুলনীয়!
@মেরিনার, নাসিরউদ্দীন আল বানী সম্মন্ধে আপনার কাছে একটু ভালভাবে জানতে চাই। তাই প্লিজ, প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে যদি একটু ক্লিয়ার করতেন…..
১. তিনি কোন কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করেছেন?
২. তার কয়েকজন ওস্তাদের নাম জানতে চাই।
৩. তিনি মুহাদ্দিস ছিলেন জানি তবে মুজতাহিদ ছিলেন কিনা?
৪. তিনি বুখারি ও মুসলিম শরিফের কিছু হাদীসকে গায়রে সহীহ মনে করেন, এটি কি সত্য?
৫. তিনি কোনো মাজহাবের অনুসরন করতেন কিনা নাকি ‘আহলে হাদিস’ বা ‘সালাফি’ ছিলেন?
৬. তিনি নিকাবকে জরুরী মনে করেন না, এটি কি ঠিক?
@মাহমুদ, আপাতত এই ৩টা নথি মন দিয়ে পড়ুন – অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে:
http://www.allaahuakbar.net/shaykhmurad.htm” rel=”nofollow”>http://www.studying-islam.org/articletext.aspx?id=1222
http://www.fatwa-online.com/scholarsbiographies/15thcentury/alalbaanee.htm
http://www.allaahuakbar.net/shaykhmurad.htm
যে গুলো একদম সহজে বলা যায় সেগুলো বলছি:
৬.ফরজ মনে করতেন না – তবে recommended মনে করতেন। পৃথিবীর অধিকাংশ স্কলারই তাই মনে করেন।
৫.জন্মগতভাবে তিনি হানাফী ছিলেন – পরে তিনি “সালাফী” মানহাজ অনুসরণ করতেন – “সালাফী” কোন দলের নাম নয় – বরং একটি methodology-র নাম।
৪.যদি ২/১টা হাদীসের তাহক্বীক করতে গিয়ে তেমন মন করেও থাকেন – তাতে কি হয়েছে? আলবানী, বুখারী, মুসলিম বা চার মাযহাবের ইমামগণ কেউই তো আর নবী-রাসূল নন – সবাই fallible human beings । ইসলামের নবি (সা.) ছাড়া তার উম্মতের আর সবাই fallible । মাত্রাতিরিক্ত ভক্তি আর ব্যক্তিপূজার প্রবণতা থেকেই শত শত মাযহাবের উৎপত্তি হয়েছিল – এখন কমতে কমতে ৪ টায় এসেছে। গোড়ামীও অনেক কমে এসেছে – এই তো সেদিনও ১৯২০ সালের আগে, মসজিদুল হারামে যে কোন সালাতের ৪টি জামাত হতো – ৪ মাযহাবী ইমামের অধীনে। এখন তো আলহামদুলিল্লাহ ১ জন ইমামের নেতৃত্বেই সব সালাত আদায় হয় – এটা একটা বিরাট সাফল্য। বিলাল ফিলিপস বা তার মত আরো অনেকেই স্বপ্ন দেখেন যে, ইনশা’আল্লাহ্, অচিরেই এমন একদিন আসবে যখন মুসলিম উম্মাহ্ unified fiqh-এ পৌঁছাতে পারবে !
৩।যে নথিগুলো পড়তে বলেছি সেগুলো পড়লে ইতিমধ্যেই নিশ্চয়ই জেনে গেছেন তিনি কতবড় মুজতাহিদ ‘আলেম ছিলেন । তিনি মুজতাহিদ ছিলেন কিনা এ প্রশান যারা জিজ্ঞেস করেন – হয় তারা জানেন না মুজতাহিদ কাকে বলে, অথবা তারা জানেন না আলবানী কে অথবা দু’টোই। তাঁর গবেষণার সবচেয়ে বড় স্বাভাবিক follow up হচ্ছে “মোল্লাতন্ত্র” তথা “ইসলামজীবী” ক্যারিয়ারের অবসান। “কিতাবে আছে” – বলে একটা আজগুবি গল্প ফাঁদা এখন difficult হয়ে গেছে।
২। আপনি কয়জন mainstream স্কলারের নাম জানেন? ধরুন আমি আপনাকে একটা তথ্য দিলাম; Shaykh Muhammad Raaghib aAt-Tabbaakh, a historian and hadith scholar, authorized him with an Ijaazah (certification) to teach his collection of narrations on trustworthy reporters, called “Al-Anwaar Al-Jaliyyah fee Mukhtasar Al-Athbaat Al-Halabiyyah”. আপনি কি বুঝলেন?
@মাহমুদ, আমি innocently ভেবেছিলাম আপনি সত্যিই কিছু information জানতে আমাকে প্রশ্ন করেছেন – পরে আপনার মন্তব্য দেখে বুঝলাম আপনি “ছিদ্রান্বেষণ” করতে প্রশ্নগুলো করেছেন। আপনাকে জ্ঞান দেবার মত জ্ঞানী আমি নই। আপনার মন্তব্যের sarcastic overtone-এর জন্য তা মুছে দিলাম। আশাকরি আল্লাহ্ আপনাকে ও আমাকে অহেতুক সময় নষ্ট করার শয়তানী plot থেকে রক্ষা করবেন!
@মাহমুদ, আপনার মন্তব্য আবারো মুছে দিয়েছি – অশালীন লাগলো বলে। তবে আপনার “ছিঃ মেরিনার!” বলে আমাকে ধিক্কার দেয়াটা মাথা পেতে মেনে নিচ্ছি এবং সবাইকে জানিয়েও দিচ্ছি – অর্থাৎ, আপনার কষ্টটা বিফলে যাচ্ছে না! আপনি ভালো থাকুন!!
আপনি যার কয়েকজন ওস্তাদের নাম জানতে চেয়েছিলেন, তার নামটা পর্যন্ত ঠিক মত লিখতে পরেন নি – দেখুন আপনি লিখেছেন: “নাসিরউদ্দীন আল বানী” – আসলে হবে: নাসিরউদ্দীন আলবানী – তাঁর পরিবার আদতে আলবেনিয়ার অধিবাসী ছিলেন বলে নামটা ওরকম। নামের শেষ অংশ “আল বানী” হবার কোন উপায় নেই!
ক্ষণজন্মা মানুষ যারা – তাঁদের ওস্তাদের নাম জানার চেয়ে, তাঁদের শিষ্যদের নাম জানাটা বেশী জরুরী। ইমাম আবু হানিফার কথাই ধরুন – তাঁর ওস্তাদের নাম ক’জন জানে? কিন্তু তাঁর শিষ্যদের নাম জিজ্ঞেস করুন – একদম সাধারণ একজন মুসলিমও হয়তো বলে দেবেন যে তাঁর প্রধান ২ জন শিষ্য ছিলেন মুহাম্মাদ ও ইউসুফ। মহান পুরুষেরা যার অনুসারী হন – “তিনি নিশ্চয়ই বড় মাপের” – এটা একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
আলবানীর ছাত্রদের নাম জেনে নিন:
১)Shaykh Rabee’ Ibn Haadee ‘Umayr al-Madkhalee
২)Sheikh Hamdi ‘Abdul-Majed as-Salafi
৩)Sheikh Muhammad ‘Eed ‘Abbasi
৪) Dr. Umar Sulayman al-Ashqar (রহ.)
৫) Sheikh Muhammad lbrahim Shaqrah
৬) Sheikh Muqbil bin Haadi al-Waadi’ee (রহ.)
৭)Sheikh ‘Ali Khushan
৮)Sheikh Muhammad bin Jamil Zeno
৯)Sheikh ‘Abdur-Rahman Abdus-Samad
১০)Sheikh Salim al-Hilali
১১)Sheikh Mashhur Hasan Al-Salman
১২)Sheikh Muhammad Musa Nasr
১৩)Sheikh Basim al-Jawabirah
এর মাঝে ১,৪,৫,৬,৮, ১০ ও ১১ নম্বরে যারা আছেন তাঁরা নিজেরাই জ্ঞানের একেকজন দিকপাল – আপনি এঁদের ক’জন সম্পর্কে অবহিত?
আমি সাধারণভাবে বাংলাদেশী সকল মুসলিম ভাইবোনকে এজন্যই কূপ থেকে বেরিয়ে পৃথিবী দেখার আহ্বান জানিয়েছি – আমাদের এই কূপটাই পৃথিবী নয় – অন্তত ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে তো নয়ই!!
@মেরিনার, আপনি ধৈর্য ধারন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কমেন্টটি মুছে দিয়ে আপনি অসততার পরিচয় দিলেন। আমার মন্তব্যগুলোর যুক্তিযুক্ত উত্তর হয়ত আপনি দিতে পারতেন (নাকি জবাব ছিলনা)।আপনার জবাবগুলোর(বিশেষ করে ২নং) sarcastic overtone এর ব্যাপারে কি বলবেন? ব্যাক্তির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভক্তি মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়, এই প্রথম দেখলাম। হয়ত এই কমেন্টিও মুছে দেওয়া হবে অথবা আমাকে ব্লক করবেন (আগাম ধারনা করতেই পারি) তবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমার ব্লগে আপনার কোন কমেন্ট মুছে দেওয়া হবেনা এবং ব্লকও করা হবেনা, যদিও আপনার কমেন্টগুলিতে sarcastic overtone থাকে কিম্বা শ্লীলতার সীমা ছাড়িয়েও যায়।
ইসলামের “ছিদ্রান্বেষণ”-এ যারা সদা তৎপর, আমরা কি তাদের যুক্তিযুক্ত জবাব দেইনা? নাকি অধৈর্য হয়ে তাদের কমেন্টগুলো মুছতে থাকি। একজন ইসলামের প্রকৃত দায়ী এই পরিস্থিতিতে কী করেন? আপনি যা করলেন তাতে আমি বিস্মিত, হতাশ!
ছি, মেরিনার ছি!