তোমরা যা বলো, তাই বলো
লিখেছেন: ' মেরিনার' @ বুধবার, এপ্রিল ১৪, ২০১০ (৫:৪০ অপরাহ্ণ)
আর কেউ না হোক, তুমি তো আমার হৃদয়ের
রক্তক্ষরণ দেখতে পাও। এ হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় থেকে
যখন টপ টপ করে শেষ-প্রায় রক্তের কান্ত ফোটা ঝরে-
তুমি তা দেখ তো? তোমায় বোঝাতে পেরেছি তো
যে, তোমারই জন্য আমার চুপ থাকা, সকল লাঞ্ছনা-গঞ্জনা
মুখ বুজে সওয়া, নিজের লজ্জা অভিমান সব ভুলে যাওয়া।
অবুঝ এই তারুণ্যকে কে বোঝাবে:
আনন্দ আনন্দ বলে চেঁচালেই প্রশান্তি আসে না -
বরং অন্তসারশূন্য হৃদয় আরো একধাপ শূন্য হয়,
নিঃস্ব হয়, আনন্দের স্থপতিদের কারসাজিতে;
কেউ হয়তো সর্বস্ব হারায় বিবস্ত্র সেই বাঁধনের মত।
আহা, কে বোঝাবে ওদের, পরিণতিহীন এই উন্মাদনার
আয়োজনের পথ ধরেই ধর্ষিত হয় তিন বছররে শিশু -
সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পৌছানো অবোধ বালিকা প্রশান্তি খোঁজে
ম্যানিলা রশির আলিঙ্গনে। সকল কোলাহল শেষ হলে,
পান শেষের হ্যঙ্গওভারের মতই নেমে আসে
থক থকে নীল বিষন্নতা আর হু হু শূন্যতা।
কে বোঝাবে একদিকে বয়ে যাওয়া নদীর মত
ওদের উচ্ছলতাকে – কে বোঝাবে যে,
ভালোবাসা খুঁজতে হয় না, তোমার কাছে চাইতে হয়।
সকল ভালোবাসার নদী – তোমা থেকে শুরু হয়ে
তোমাতেই শেষ হতে হবে – তা না হলে, নদী বলে
ভুল হলেও ভালোবাসা মরিচীকা হয়েই রইবে।
ধানমন্ডি লেকের স্যুয়েজ মিশ্রিত পানি থেকে
ভালোবাসা উঠে আসে না – রূপকথার মৎসকন্যার মত।
বরং ভালোবাসা আসে কোটি কোটি আলোকবর্ষের ওপার থেকে।
তুমি সাক্ষ্মী আছো তো – আমি চেষ্টা করেছি
ওদের পিছু ডাকতে – ফিরিয়ে আনতে, সেখান থেকে -
যেখান থেকে আরেকটু গেলেই আর কারো বুঝি
কোনদিনই ফিরে আসা হয় না।
আর কেউ না হোক, তুমি তো জানো -
ওদের আমি তোমার জন্য কত ভালোবাসি!
আলহামদুলিল্লাহ।
কবিতাটি অনেক ভালো লাগলো।
@দ্য মুসলিম, আলহামদুলিল্লাহ! আপনার ভালোলাগা সবসময়ই আমার প্রেরণার একটা উৎস – আপনার attitude সব সময়ই ইতিবাচক! আপনি হচ্ছেন সেই সব মানুষদের একজন যারা একটা “অর্ধ-পূর্ণ” গ্লাস বর্ণনা করতে গিয়ে বলবেন যে “গ্লাসটি অর্ধেক ভরা”! আর আমার মত ইতর জনেরা বলবে “গ্লাসটি অর্ধেক খালি”! ভালো থাকুন – JazakAllahu Khair!
@তামীম,
পহেলা বৈশাখ নিয়ে “সামু”তে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম :
http://www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29133847” rel=”nofollow”> http://www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29133847
মুসলিম শরীরে কাফিরের brain নিয়ে চলাফেরা করা তরুণ/তরুণী “বাঙ্গালী মোছলমানরা” সাথে সাথেই আমার উপর হামলে পড়লো। ২/৩ টার গালিগালাজ ব্লক করলেও, বাকীগুলো রেখেই দিলাম। তখন আল্লাহকে সাক্ষ্মী রাখলাম – আমি কি জন্য কি করেছি তার।
ঐ পোষ্টে আপনার বিহেভ ভাল লেগেছে, কিন্তু এই পোষ্টে আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে আরও সহনশীল হলে ভাল হত। [যদিও আমি নিজেই মাঝে মাঝে সহনশীল থাকতে পারি না, তবে আমারো এটা একটা দোষ]। তারা অবুঝ, এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। তারা যেভাবে বললে বুঝতে পারত, হয়ত আমরা সেভাবে বলতে ব্যর্থ হয়েছি। আল্লাহ সুবহানাল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন।
@তামীম, আপনার কথাগুলো সত্যি – আর আমার কথাগুলোও কঠোর হলেও সত্যি – অর্থাৎ আজকালকার চৈত্র সংক্রান্তী, পহেলা বৈশাখ আর থার্টিফার্স্ট উদযাপন করা তরুণ/তরুণীরা আসলে মুসলিম শরীরে কাফিরের brain নিয়ে জীবন যাপন করছে। এরা নামে মুসলিম, কখনো rituals-এও মুসলিম – কিন্তু এদের মগজ কুফফারের দখলে।
আমাদের এই গুটি কয়েক ব্লগের ভাইরা মিলে সম্মিলিত ভাবে চলুক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার চেষ্টা । হয়ত আমরা অল্প কয়েকজন কিন্তু সেটা বড় কথা না । আমাদের সেদিকে দৃষ্টি দেয়াও ঠিক না । আমরা প্রতিদান চাইব আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে । সফলতা দেয়ার মালিক তিনি ।
আপনাকে এই লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
ধানমন্ডি লেকের স্যুয়েজ মিশ্রিত পানি থেকে
ভালোবাসা উঠে আসে না – রূপকথার মৎসকন্যার মত।
এখানে কি সুয়ারেজ বুঝাতে চেয়েছেন ?
@হাফিজ, JazakAllahu Khair for your understanding!
কথাটা ঠিকই আছে – বর্জ্য পদার্থকে বলা হয় sewage: refuse liquids or waste matter usually carried off by sewers ।
দেখুন: http://www.aolsvc.merriam-webster.aol.com/dictionary/sewage
@মেরিনার, হতে পারে , তাহলে হয়ত আমরাই ভুল উচ্চারন করে আসছি ।
@হাফিজ, না আপনারটা আরেকটা শব্দ – যার অর্থ হচ্ছে sewage নিষ্কাশন ব্যবস্থা [পাইপ লাইন ইত্যাদি]।