আল্লাহর সামনে সবাই নত হলে দেশে সংকট থাকবে না: মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান
লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ শুক্রবার, জুলাই ২২, ২০১১ (১০:১২ অপরাহ্ণ)
দেশের সাধারন মানুষ, শিক্ষিত অশিক্ষিত আলেম ও ধর্মপ্রাণ নাগরিক সকলে নিজেদের ভুলত্রুটি থেকে তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসলে দেশের সংকট কেটে যাবে। সকল দল ও মতের নেতা নেত্রীরা দম্ভ-অহংকার ও লোভ-লালসা ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর সামনে নত হলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে। আল্লাহর উপর ঈমান-বিশ্বাস, ভরসা ও আস্থা ৯০% মানুষের অন্তরে আছে, এর বহিঃপ্রকাশ সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, আইন-আদালত ও নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিকদের জীবনে ঘটতে হবে। খতমে বুখারীতে দুআ কবুল হয়। সামনে রমযান, তওবা ও দুআ কবুলের মওসুম, বঙ্গভবন, সংসদ, সচিবালয় থেকে পাড়া মহল্লা গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত সকল মানুষ তওবা করে, আল্লাহর নামের জিকির করে, প্রাণখুলে আল্লাহকে ডাকলেই রাষ্ট্রের উপর, দেশ ও জাতির উপর আল্লাহর রহমত নাজিল হবে। বড়, ছোট সবাই খোদাদ্রোহিতা থেকে ফিরে আসুন। সংশোধনী আনুন। যে সর্বনাশ করেছেন তা সংশোধন করুন। আল্লাহ খুশী হবেন। ক্ষমা করবেন। রাষ্ট্র ক্ষমতা তারই দান। যাকে ইচ্ছা দেন, যার কাছ থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন। আল্লাহকে নারাজ করে কেউ সফল হতে পারবেন না। মসজিদ-মাদরাসা, কুরআন-সুন্নাহ, হাফেয-আলেম, হাজী, গাজীদের এ দেশে আল্লাহকে খুশি না রেখে কেউ সাফল্য ও জনপ্রিয়তা পাবে না। সবাই দুআ করেন। তওবা করেন। দম্ভ ত্যাগ করেন। দেশ ও মানুষকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসেন।
গতকাল বাদ মাগরিব যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসার খতমে কুরআন ও খতমে বুখারী উপলক্ষে আয়োজিত দস্তারবন্দী অনুষ্ঠানে মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল, মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা মাহমূদুল হাসান সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৪শতাধিক আলেম, মুফতী ও হাফেযকে পাগড়ি পরিয়ে দেয়া হয়। এতে রাজধানীসহ সারাদেশের বিপুল সংখ্যক উলামা-মাশায়েখ, সুধী ও দীনদার নাগরিকগণ শরিক হন। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যান কামনা করে বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
যাইতে চাইছিলাম কিন্ত মনেই ছিলনা।