লগইন রেজিস্ট্রেশন

ফতওয়ার প্রয়োজন সব ধর্মাবলম্বীদেরই রয়েছে: মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান

লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ রবিবার, জুলাই ২৫, ২০১০ (৯:০২ পূর্বাহ্ণ)

মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতীব মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,এদেশের মুসলিম জনতাকে যে যেভাবেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুকনা কেন,কোন দিন সফল হতে পারবেনা। এদেশের জনগন আলেম উলামা ভক্ত ও ধার্মীক,ইসলাম বিদ্বেসীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবালায় তারা আলেম উলামাগনের পাশে ছিল এবং থাকবে।
তিনি আরো বলেন,মুসলিম জনগন আলেমদের ডাকে সারা দেয় বলেই যুগে যুগে কাফেরদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়েছে,শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিসে দেহলভীর একটি ফতওয়াই এদেশের ঘুমন্ত জনতাকে জাগিয়ে তুলেছিল,যার ফলে ইংরেজরা পালাতে বাধ্য হয়েছিল আর তখন থেকেই ফতওয়ার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যা এখন তাদের দালালরা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি ফতওয়ার ব্যাখ্যায় বলেন,মানুষ যেকোন কাজের জন্য সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ গ্রহন করে,রোগ হলে কোন চিকিৎসক ভাল,বাজারে গেলে কোন জিনিসটা ভাল পরামর্শ,জিজ্ঞাসাবাদ করে,এমনি ভাবে যখন মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে আলেমদের কাছে কিছু জানতে চায় আর তিনি তার জবাব দেন তখন তাকে ইসলামের পরিভাষায় ফতওয়া বলে।ফতওয়ার প্রয়োজন সব ধর্মাবলম্বীদেরই রয়েছে।সকল ধর্মেই ফতওয়া আছে শুধু নামের পার্থক্য।
তিনি বলেন,মানুষ আমাদের কাছে দ্বীন শিখতে আসবে আর আমরা শিখাবনা তা হতে পারেনা,আমরা সেই আবু যর গিফারীর অনুসারি যিনি বলেছিলেন আমার গলায় তরবারি রাখার পর টান দিয়ে কাটার মুহুর্ত টুকুর মাঝেও আমি একটি ফতওয়া দিয়ে যাব।
তিনি ফতওয়া সম্পর্কিত কিছু বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন,এগুলো অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজ,ইসলাম এটাকে সমর্থন করেনা।এর জন্য তারাই দায়ী।
তিনি আরো বলেন,বিচারপতির কাজ আইন অনুযায়ী ফায়সালা দেওয়া আর কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু সরকারের, কিছু গ্রম্য মাতাব্ব,জনগন বা বিচারপতির কার্যকর করার ক্ষমতা নেই,তেমনি শরীয়তের আলোকে মাসআলা-ফতওয়া বলে দেয়া মুফতীর কাজ, আর দন্ডবিধি সম্পর্কিত ফতওয়া যেমন;চুরি যিনা ইত্যাদীর দন্ড কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু মুসলিম সরকারের,সুতরাং অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজের খোরাযুক্তি দেখিয়ে ফতওয়া বন্দ্ব করা যাবেনা।
মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান সম্প্রতি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী তাতীবাজার ইসলামিয়া মাদরাসা,মিরপুর দারুর রাশাদ,জামিয়াতুস সুন্নাহ শিকারী কান্দা মোমনেশাহী,দারুল উলুম বানিয়ার চালা গাজিপুর,দারুল উলুম দত্তপাড়া নরসিংদী সহ একাধীক মাদরাসার মাদরাসার খতমে কোরআন ও খতমে বুখারী উপলক্ষে আয়োযিত ওয়াজ ও দোওয়ার মাহফিলে এসব কথা বলেন।

কোরআনের শিক্ষা ছাড়া সমাজ সংশোধন সম্ভবনা: মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান
মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,আল্লাহ পাক মানুষ সৃস্টি করে হাত পা অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও রুহ দিয়েছেন এবং এগুলোকে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য পবিত্র কোরআন দিয়েছেন।মনব জাতির সকল প্রয়োজন,সর্ব প্রকার সমস্যার সমাধান এতে রয়েছে।কোরআন সব যুগের সকল স্তরের মানুষের জন্য অনুসরনীয়।যারা তার অনুসরন ছেড়ে দেয়,কেয়ামতের দিন তাদের হাত পা অঙ্গ-প্রতঙ্গই তাদের বিরুদ্বে মহান আল্লাহর কাছে সাক্ষী দেবে।মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান ৩-৭-২০১০ ইং বাদ এশা দারুল উলুম তালতলা খিলগাও ঢাকা এর ফারেগীন ছাত্রদের পাগরী প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোওয়র মাহফিলে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখছিলেন। মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ।
হযরত মহিউস সুন্নাহ ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে বলেন, ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআনের শিক্ষা ছাড়া সমাজ সংশোধন সম্ভবনা।
হযরত মহিউস সুন্নাহ ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে বলেন, ইসলামী শিক্ষা তথা কোরআনের শিক্ষা ছাড়া সমাজ সংশোধন সম্ভবনা।কোরআন না বুঝলেও শুধু তেলাওয়াত করলেই তার বরকতে অন্তরে শুদ্বি আসে।
কওমী মাদরাসা সম্পর্কে তিনি বলেন,ভারতের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসারী এসব কওমী মাদরাসা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে,আমেরিকা-লন্ডনেও রয়েছে,সেখানে কেও এর পিছু নেয়না,বরং জেলখানার কয়েদীদের সংশোধনের লক্ষে মাদরাসায় পড়া আলেমদের নিযুক্ত করা হয়।
সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত এলমে দ্বীন
মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,মানবজাতিকে তার আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক যেই মর্যাদা দান করেন তার মাঝে সর্ব শ্রেষ্ঠ এলমে দ্বীন।আল্লহ পাক যাকে পছন্দ করেন কেবল তাকেই এই নেয়ামত দান করেন তাই এই নেয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।জাহেলের কথা শুনে নিজ দয়ীত্ব ছারা যাবেনা।
তিনি আরো বলেন,কোরআন হাদিস সাহাবায়ে কেরাম ও আইম্মায়ে মুজতাহিদীন এই চার মিলে ইসলাম,একটাকেও বাদ দেয়ার সুযোগ নেই।যারা হাদিস মানার নামে সাহাবায়ে কেরাম ও আইম্মায়ে মুজতাহিদীন কে অস্বিকার করে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,বুখারী, পবিত্র কোরআনের শরীফের পরেই যার স্থান, তার লিখক বুখারী শরীফের ভিতর কোরআন হাদিস সাহাবায়ে কেরাম ও আইম্মায়ে মুজতাহিদীন এই চারটাকেই উল্লেখ করে এদিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
হযরত মহিউস সুন্নাহ৬-৭-২০১০ ইং সিরাজ গঞ্জ মাছুম পুর আহমদ জান জামিয়া আশরাফুলমাদারিসের ফারেগীন ছাত্রদের পাগরী প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোওয়র মাহফিলে এসব কথা বলেন।
মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহবুবুল হক কাছেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে রাজশাহী রেল কলোনি মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুস সালাম,মাওলানা রুহুল আমীন সহ স্থানিয় উলামাগন বক্তব্য রাখেন।
আমাদের অর্থনিতীতে উলামাগনের বিরাট অবদান রয়েছে
মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতীব মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,আমাদের দেশের নব্বই ভাগ জনগন মুসলিম,হাফেজ আলেম মুফতীর দেশ,সারা বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এজন্য আমাদের ব্যপক পরিচিতি রয়েছে,সম্মান রয়েছে। তারা মুসলিম বিশ্বে ইমামতি,দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে এবাদতের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আমদানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।তাই আমাদের সম্মান, পরিচিতি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্বি ধরে রাখতে তার উৎস এসব মাদরাসার বিরোধিতা নয়,সহযোগিতা করা উচিৎ।
তিনি ৬-৭-২০১০ ইং মঙ্গলবার সিরাজ গঞ্জ খুকনী মদিনাতুল উলুম মাদরাসার ফারেগীন ছাত্রদের পাগরী প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোওয়র মাহফিলে এসব কথা বলেন।

ইসলামী জঙ্গীবাদ বলে কিছু নেই
মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,দো জাহানের কামিয়াবীর একমাত্র পথ কোরআন-সুন্নাহর অনুসরন করা।
তবে কোরআন-সুন্নাহর অনুসরন করতে চাইলে অনেক বাধার সম্মুখিন হতেহয় উল্লেখ করে
তিনি বলেন,ধর্ম বিদ্বেসীদের তরফ থেকে বাধা আসবে,মুর্খ বলা হবে,অসামাজিক বলা হবে,ইসলামের নাম নিলেই জঙ্গী অপবাদ দেওয়া হবে।ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদের কোন সম্পর্ক নাই,ইসলামী জঙ্গীবাদ বলে কিছু নেই,এটা ইসলাম কে কুলষিত করার একটা পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।
মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান গত ২৯-৩০ জুন মঙ্গলবার মাদারিপুর ফরিদপুর বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলার একাধিক মাদ্রাসার খতমে বুখারী মাহফিল ও মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের ইজতিমায় এসব কথা বলেন।
তিনি পবিত্র কোরআনের মর্যাদা পরিপূর্ন ভাবে রক্ষার আহবান জানিয়ে বলেন,আমরা বুখারী শরীফ সম্পর্কে বলি পবিত্র কোরআন শরীফের পর সবচেয়ে বিশুদ্ব গ্রন্থ,অর্থ্যা কোরআন শরীফ এক নাম্বার আর বুখারী শরীফ দুই নাম্বার,কিন্তু কাজে কর্মে আমরা বুখারী শরীফকে প্রধান্য দিয়ে আসছি। খতমে বুখারী উপলক্ষে জাকজমকপূরর্ণ অনুষ্ঠান হয়,হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় কিন্তু খতমে কোরআনের নামই নেওয়া হয়না এটা পবিত্র কোরআন শরীফের প্রতি অবমাননা,তাই সতর্ক হওয়া উচিৎ। খতমে কোরআন আগে এবং খতমে বুখারী পরে করা উচিৎ।
মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান গত ২৯ জুন দুপুরে ঢাকা থেকে বরিশাল ও ঝালকাঠীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।পথিমধ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় অবস্থিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসার খতমে কোরআন ও খতমে বুখারী মাহফিল,ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় অবস্থিত জামিয়া ইকামাতুস সুন্নাহ মাদ্রাসার খতমে কোরআন ও খতমে বুখারী মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন।পরেরদিন ৩০ জুন বরিশাল পৌছে প্রথমে জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত উলামা সম্মেলনে অংশগ্রহন শেষে বাজার রোডস্থ খাজা মইন উদ্দীন চিশ্তি মাদ্রাসার খতমে কোরআন ও খতমে বুখারী মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন।এরপর ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে প্রথমে মাদরাসা মহিউস সুন্নায় আল্লামা মাহমুদুল হাসান এর শুভাগমন উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য রাখেন।সবশেষে ঝালকাঠির তালগাছিয়া খানকায়ে আশ্রফিয়ায় অনুষ্ঠিত মজলিসে দাওয়াতুলহক ঝালকাঠি শাখার ইজতিমায় অংশগ্রহন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২২৯ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

৩ টি মন্তব্য

  1. তিনি বলেন,ধর্ম বিদ্বেসীদের তরফ থেকে বাধা আসবে,মুর্খ বলা হবে,অসামাজিক বলা হবে,ইসলামের নাম নিলেই জঙ্গী অপবাদ দেওয়া হবে।ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদের কোন সম্পর্ক নাই,ইসলামী জঙ্গীবাদ বলে কিছু নেই,এটা ইসলাম কে কুলষিত করার একটা পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।

    সহমত ।

  2. পবিত্র কোরআনের মর্যাদা খতোমে বাড়ে না- বাড়ে সঠিক ভাবে জীবনের প্রতিটিক্ষেত্রে মেনে চললে। তদ্রপ সহীহ বুখারী খতম উপলক্ষে জাকজমকপূরর্ণ অনুষ্ঠান একটি ‘শোবিজ’। ইসলাম ধর্মে শোবিজের কোন স্থান না থাকাই ভাল। সঠিক ভাবে পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীস বাস্তব জীবনে মেনে চলাই হবে আসল কাজ। তেমনি ধর্মের নামে বিভিন্ন দিবস (২ ঈদ ছাড়া) পালন করা ইসলাম কতটুকু সমর্থন করে তা ভাবার বিষয়। শয়তান কামনা করে, যাতে আমরা ধর্মের নামে কতকগুলি অসার কাজে সদা ব্যস্থ থাকি। আল্লাহ তালা আমাদের শয়তানি কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দিক -আমীন।

  3. পবিত্র কোরআনের মর্যাদা শুধুমাত্র খতোমে বাড়ে না- বাড়ে সঠিক ভাবে জীবনের প্রতিটিক্ষেত্রে মেনে চললে।