চরখরিচা মাদরাসায় বিশাল ধর্মসভা অনুষ্ঠিত ঃ কওমী মাদরাসায় জঙ্গি নয়, আলেম তৈরি করা হচ্ছে ঃ হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ
লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ সোমবার, জুলাই ২৬, ২০১০ (৫:১২ অপরাহ্ণ)
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ বলেছেন, কওমী মাদরাসায় জঙ্গি নয়, আলেম তৈরি করা হচ্ছে। ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা চালায় তারা এদেশের মৌল ইসলামী ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বিভ্রান্ত্র গোষ্ঠী। ইসলাম মানব জাতির কল্যাণের ধর্ম, এখানে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। পাশ্চাত্যের দেশগুলো বুঝাতে চেষ্টা করছে কওমী মাদরাসাগুলো ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে। তিনি বলেন, কওমী মাদরাসায় যে জঙ্গি তৈরি হয় না, সে বিষয়টি তিনি সরকারকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন বলে আলেম সমাজকে আশ্বাস দেন।
তিনি আরো বলেন, আমার পরম শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান সাহেব জ্ঞানের সমুদ্র। আমি যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী তাঁর জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য তন্ময় হয়ে শ্রবণ করেছি। তাঁরমত সাধক পুরুষদের অক্লান্ত ত্যাগের বিনিময়ে এদেশের হাজার হাজার কওমী মাদরাসা ইসলামের সঠিক শিক্ষা অব্যাহত রেখেছে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুজিবুর রহমান ফকির বলেন, বিগত শতাধিক বছর ধরে দেশের কওমী মাদরাসাসমূহ ইসলামের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। যদি এ মাদরাসাগুলো না থাকতো, তাহলে এদেশে কোন মুসলমান থাকতো না। মন্ত্রী বলেন, হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান সাহেব উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম। তিনি আমাদের ময়মনসিংহের সন্তান। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
গত ৩০ জানুয়ারী শনিবার রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা জামিয়া মাহমূদিয়া আরাবিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মাহমূদুল হাসান সাহেবের সভাপতিত্বে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তারা এ কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যের শেষে চরখরিচা মাদরাসার নাম আংশিক পরিবর্তন করে “চরখরিচা জামিয়া মাহমূদিয়া আরাবিয়া” নাম প্রস্তাব করেন। উপস্থিত হাজার হাজার জনতার মুহুর্মুহ তাকবীর ধ্বনির মাধ্যমে তা সমর্থিত ও গৃহীত হয়।
উক্ত মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী জনাব রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, বালিয়ার পীর সাহেব হযরত মাওলানা গিয়াস উদ্দীন সাহেব, সাবেক সংসদ সদস্য গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের সেক্রেটারী জনাব এম এ হান্নান প্রমুখ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলান আনওয়ারুল হক সাহেব, মুহাদ্দিস মাওলানা ফজলুল করীম সাহেব ও চরখরিচা মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মাসরুর হাসান সাহেব। সভা পরিচালনা করেন জনাব নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী।
আমাদের দেশের ইসলামের এতই দৈন্যদশা যে এরশাদের মত লোকের সার্টিফিকেট লাগছে কওমি মাদ্রাসার বৈধতার জন্য। খুব দুঃখ লাগল।
মন্ত্রি সাহেব বোধহয় অহি পেয়েছেন। কওমি মাদ্রাসার প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলছি – কোন দেশে মুসলমান থাকবে কিনা তা আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে , মাদ্রাসার উপর নয়। উনার লজিক অনুসারে আমেরিকা-ইউরোপের বহু দেশে কোন মুসলমান থাকার কথা না। আর ভারতের এত দিনে একটি মুসলিম দেশ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
@আবু আনাস, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মহব্বতের দাবীতে বলছি। এটা এরশাদ সাহেবের সার্টিফিকেট প্রদান নয়, বরং কওমী মাদরাসার উলামায়ে কেরামের সহীহ ইলম ও আমলের প্রভাবের বাস্তব উদাহরণ। কারো প্রতি আক্রোশ নয়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, যে কারো একশ মন্তব্যের মধ্যে একটি মন্তব্য দ্বারাও যদি তাকে ভাল বলা যায় তাহলে ভালোর দিকটি বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন। আমীন।