প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা কি আসলেই সূদমুক্ত?
লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ বুধবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১০ (১:০৯ পূর্বাহ্ণ)
আমাদের দেশে প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা আসলেই সূদমুক্ত বা শরীয়ত সম্মত কিনা এ ব্যাপারে উলামাদের সর্বসম্মত কোন সিদ্বান্ত পাওয়া যায়নাই।
ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার আলোচনা করলে পাকিস্তানের যেই বিশিষ্ট শ্রদ্বেয় মুফতী সাহেবের নাম আসে তিনি বাংলাদেশ সফরকালে বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, পাকিস্তানে আমরা সূদমুক্ত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুকরার চেষ্টা করছি তবে পরিপূর্ণ সম্ভব হয়নাই,আর বাংলাদেশের ব্যাপারে সিদ্বান্ত নেয়ার দায়ীত্ব স্থানীয় উলামাগনের।
এদিকে বিভিন্ন দলীল-প্রমানের পাশাপাশি উল্লেখিত মুফতী সাহেবের বক্তব্যকে সামনে রেখে এদেশীয় উলামাগনের একটি জামাত আমাদের দেশে প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আসলেই সূদমুক্ত বা শরীয়ত সম্মত মনে করছেন এবং বিভিন্ন ভাবে এর সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
অপরদিকে নেতৃস্থানীয় উলামায়ে কেরামের একটি বৃহৎ অংশ প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নিছক ধোকা মনে করছেন এবং এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়াকে হারাম ফতওয়া দিচ্ছেন।
ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুত্রধরে ইসলামি ব্যাংকের সাথে জরিত কয়েকজনের সাথে এবিষযে কথা বললে তারা সূদমুক্ত হওয়ার বিষয়টি এরিয়ে যান।তবে একজন স্পষ্ট ভাবে বলেন,দু একটি পদ্বতি শরীয়ত সম্মত,তার ভাষায় যেমন ডাক-ঢোল পিটিয়ে বলা হয় তেমন না”
এবিষয়ে একজন বিশিষ্ট আলেমের মত আমার কাছে অধিক যুক্তিসম্মত মনে হয়েছে।
আর তা হলো, ব্যাংকের সাথে নেতৃস্থানীয় কয়েকজন উলামায়ে কেরামের সরাসরি অংশগ্রহনের কারনে অনেকেই এটাকে শরীয়ত মাফিক মনেকরে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।যারা সতর্কতার জন্য তাওবা করতেন তারা এখন আর তার প্রয়োজনবোধ করছেন না।
তবে একদম হাল ছেড়েদেয়া যাবেনা,বরং নির্ভরযোগ্য আলেমদের তত্বাবধানে এর প্রয়াষ চালাতে হবে।আর জনমনের বিভ্রান্তি এড়াতে উলামাগনকে প্রকাশ্য অংশগ্রহন থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
সহমত।