মানুষ আমাদের কাছে দ্বীন শিখতে আসবে আর আমরা শিখাবনা তা হতে পারেনা:মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান
লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১ (১:০২ অপরাহ্ণ)
মজলিসে দাওয়াতুলহক বাংলাদেশের আমির গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতীব মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন,আল্লাহ পাক শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্যই মানবজাতী কে সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ ছাড়া আর কারো এবাদত,কারো হুকুম,কোন সংবিধান পৃথীবিতে বিশেষ করে কোন মুসলিম দেশে চলতে পারেনা।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলাম শেষ করার ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন,এদেশের শতকরা ৯০শতাংশ মুসলিম জনতার গনতান্ত্রীক অধীকার ইসলামি সংবিধানের ব্যাবস্থা গ্রহন করুন।কাফেরদের ষড়যন্ত্রে পা দিলে মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবেসা।
তিনি বলেন, এদেশের মুসলিম জনতাকে যে যেভাবেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুকনা কেন,কোন দিন সফল হতে পারবেনা। এদেশের জনগন আলেম উলামা ভক্ত ও ধার্মীক,ইসলাম বিদ্বেসীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবালায় তারা আলেম উলামাগনের পাশে ছিল এবং থাকবে। মুসলিম জনগন আলেমদের ডাকে সারাদেয় বলেই যুগে যুগে কাফেরদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়েছে,শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিসে দেহলভীর একটি ফতওয়াই এদেশের ঘুমন্ত জনতাকে জাগিয়ে তুলেছিল,যার ফলে ইংরেজরা পালাতে বাধ্য হয়েছিল আর তখন থেকেই ফতওয়ার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যা এখন তাদের দালালরা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি ফতওয়ার ব্যাখ্যায় বলেন,মানুষ যেকোন কাজের জন্য সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ গ্রহন করে,রোগ হলে কোন চিকিৎসক ভাল,বাজারে গেলে কোন জিনিসটা ভাল পরামর্শ,জিজ্ঞাসাবাদ করে,এমনি ভাবে যখন মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে আলেমদের কাছে কিছু জানতে চায় আর তিনি তার জবাব দেন তখন তাকে ইসলামের পরিভাষায় ফতওয়া বলে।ফতওয়ার প্রয়োজন সব ধর্মাবলম্বীদেরই রয়েছে।সকল ধর্মেই ফতওয়া আছে শুধু নামের পার্থক্য।
তিনি বলেন,মানুষ আমাদের কাছে দ্বীন শিখতে আসবে আর আমরা শিখাবনা তা হতে পারেনা,আমরা সেই আবু যর গিফারীর অনুসারি যিনি বলেছিলেন আমার গলায় তরবারি রাখার পর টান দিয়ে কাটার মুহুর্ত টুকুর মাঝেও আমি একটি ফতওয়া দিয়ে যাব।
তিনি ফতওয়া সম্পর্কিত কিছু বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন,এগুলো অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজ,ইসলাম এটাকে সমর্থন করেনা।এর জন্য তারাই দায়ী।
তিনি আরো বলেন,বিচারপতির কাজ আইন অনুযায়ী ফায়সালা দেওয়া আর কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু সরকারের, কিছু গ্রম্য মাতাব্ব,জনগন বা বিচারপতির কার্যকর করার ক্ষমতা নেই,তেমনি শরীয়তের আলোকে মাসআলা-ফতওয়া বলে দেয়া মুফতীর কাজ, আর দন্ডবিধি সম্পর্কিত ফতওয়া যেমন;চুরি যিনা ইত্যাদীর দন্ড কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু মুসলিম সরকারের,সুতরাং অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজের খোরাযুক্তি দেখিয়ে ফতওয়া বন্দ্ব করা যাবেনা।
মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান গত ১৫-২-২০১১ মঙ্গলবার জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া চরখরিচা সদর মোমেনশাহী-এর বার্ষিক মাহফিলে এসব কথা বলেন। মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন,বর্ষিয়ান আলেমেদিন মাও:ইমদাদুল হক,পীরে কামেল আল্লামা রফীক আহমদ মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস দারুল উলুম মতিঝিল ঢাকা, পীরে কামেল আল্লামা আনওয়ারুল হক,বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা নেয়ামতল্লাহ-আল ফরিদী,মাও:আনওয়ারুল ইসলাম, মাও: ইউসুফ আলী প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন,বিচারপতির কাজ আইন অনুযায়ী ফায়সালা দেওয়া আর কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু সরকারের, কিছু গ্রম্য মাতাব্ব,জনগন বা বিচারপতির কার্যকর করার ক্ষমতা নেই,তেমনি শরীয়তের আলোকে মাসআলা-ফতওয়া বলে দেয়া মুফতীর কাজ, আর দন্ডবিধি সম্পর্কিত ফতওয়া যেমন;চুরি যিনা ইত্যাদীর দন্ড কার্যকর করার দায়ীত্ব ও অধিকার শুধু মুসলিম সরকারের,সুতরাং অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজের খোরাযুক্তি দেখিয়ে ফতওয়া বন্দ্ব করা যাবেনা।
সহমত ।
তিনি ফতওয়া সম্পর্কিত কিছু বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন,এগুলো অতি উৎসাহী কিছু গ্রম্য মাতাব্বরদের কাজ,ইসলাম এটাকে সমর্থন করেনা।এর জন্য তারাই দায়ী।
আল্লাহ তায়ালা হযরতের হায়াতের মাঝে খুব বরকত দান করুন। আপনাকে ধন্যবাদ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমীন।