লগইন রেজিস্ট্রেশন

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান ফতোয়া নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে:মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান

লিখেছেন: ' মাসরুর হাসান' @ শুক্রবার, এপ্রিল ৮, ২০১১ (১:০৬ অপরাহ্ণ)

গত ১৬/০৩/১১ ইং বুধবার কিশোরগঞ্জ তাড়াইলের দারুল উলূম কাসেমুল উলুম মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান দা. বা.। প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, ইসলাম এবং মুসলমান আজ নানামুখি চক্রান্তের শিকার। আজ দেখা যাচ্ছে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান ফতোয়া নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা ফতোয়াকে গালির শব্দ হিসেবে ব্যবহার করছে। ফতোয়া দানকারীকে ফতোয়াবাজ বলে গালি দেয়। অথচ ফতোয়া প্রদান করেছেন হযরতে রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাহলে ফতোয়াবাজ বলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালী দেয়া হচ্ছে, প্রকারান্তে আল্লাহকে গালী দেয়া হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি এ ধরনের ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার দুঃসাহস করবে না এদেশের সরকার। তবে আমরা জানি সরকারের উপর বিদেশীদের চাপ রয়েছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, যদি গদি রক্ষার জন্য আমেরিকা-বৃটেনের চাপে কোন ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে, আপনাদের গদি রক্ষা হবে না। আর যদি আল্লাহর ভয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের কখনো লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে না। যদি ক্ষমতার গদি চলেও যায় তবুও আপনারা মুসলমানদের অন্তরে অমর হয়ে থাকবেন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আপনাদের নাম। আরেকটা বিষয়ে হুশিয়ার করতে চাই যে, সারা বিশ্বের সব দেশের মতো আমাদের দেশেও কেউ রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ড করলে বিচারে তার শাস্তি হয় মৃত্যুদণ্ড। অতএব সারা পৃথিবীই তো আল্লাহর রাষ্ট্র। তাই এই রাষ্ট্রের কেউ যদি আল্লাহর সংবিধান তথা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড করে তাহলে অবশ্যই সে আল্লাহর আইন লংঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে বিবেচিত হবে এবং বিচারে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। জেনে রাখুন, আল্লাহর সাথে শত্রুতা করে কেউ বাঁচতে পারবে না। ফেরাউন, নমরুদ, কারুন, হামান, শাদ্দাদ, আবু জেহেল, এরা কেউ বাঁচতে পারেনি। আমাদের দেশর নিকট অতীতেও দেখা গেছে যে, কোন নাস্তিক রক্ষা পায়নি।
হযরত সেখানে অর্ধলক্ষাধিক শ্রোতার সামনে তিন ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।

বিবাড়িয়ার মজলিস
গত ১৫/৩/১১ ইং মঙ্গলবার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া তাজুল উলূম তাহাফফুযে খতমে নবুওয়াত মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন আমিরে দাওয়াতুল হক মুহিউস সুন্নাহ শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান দা. বা.। প্রধান অতিথির ভাষণে মুহিউস সুন্নাহ বলেন, দ্বীনের কাজ করার জন্য উদার ও সহনশীল হতে হবে। দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বিনম্র আচরণের মাধ্যমে। দায়ীর কোন কথায় যেন মানুষ কষ্ট না পায় এবং তার কথা থেকে যেন বড়ত্ব প্রকাশ না পায়।
আমরা শুধু কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি, কিন্তু কখনো কি তাদের কাছে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি? তারাও তো এক আল্লাহকে মানে। পার্থক্য শুধু, গোলাম আহমাদকে তারা নবী মানে। এই বিষয়টা আমরা মুহাব্বত ও দরদের সাথে বুঝিয়ে দিতে পারি। শত্রু বাড়ানোর চেয়ে বন্ধু বাড়ানো ভাল নয় কি?
সিলেট সফর
গত ২২ এবং ২৩ শে মার্চ দুইদিন ব্যাপী মজলিসে দাওয়াতুল হকের বিভিন্ন পোগ্রামে অংশ গ্রহণ করার জন্য সিলেট জেলা সফর করেন আমীরুল উমারা দা. বা.।
১৮/৩/১১ ইং রোজ শুক্রবার সকাল ৮ টায় হাজী হাবিবুল্লাহ সাহেবের বাড়ী ধানমন্ডীতে মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের মজলিসুল উমারার এক পরামর্শ সভা মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মজলিসে দাওয়াতুল হকের কাজকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে মতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের বিভিন্ন থানার আমির ও নায়েবে আমীরগণ।
১৯/৩/১১ ইং শনিবার কুতুবখালী যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ইসলামী মহাসম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহিউস সুন্নাহ দা. বা.। আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা রফিক আহমদ সাহেব, মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মতিঝিল ওয়াপদা মাদরাসা। বাদ এশা বিভিন্ন বিষয়ের উপর দিক-নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন মুহিউস সুন্নাহ দা.বা.। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বয়ান শেষে তিনি আখেরী মুনাজাত করেন
২০/৩/১১ ইং রবিবার দয়াগঞ্জ নূর মসজিদে বাদ মাগরিব নিয়মিত মাসিক ইসলাহী মজলিস অনুষ্ঠিত হয়। অতি জরুরী নছীহত পেশ করেন, মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান দা. বা.।
জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় হযরত আমীরুল উমারা
খতমে নবুওয়াতের প্রোগ্রামের শেষ করে হযরত তার পরিচালনাধীন জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় রাত দশটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বুখারী শরীফের দরস প্রদান করেন।
পরদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পুনরায় বুখারীর দরস প্রদান করেন।

দয়াপুর মাদরাসা
গত ২১/৩/১১ ইং সোমবার বাদ যোহর জামেয়া ইসলামিয়া ইমদাদুল উলূম দয়াপুর মাদরাসা মসজিদে আসাতিজায়ে কেরাম এবং ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান নসিহত পেশ করেন, শাইখুল ইসলাম মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান দা. বা.।
একই দিন বাদমাগরিব জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া জগতপুর কচুয়া রসূলপুর চাদপুর মাদরাসায় হযরত গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।
অতঃপর বাদ এশা মদিনাতুল উলূম মাদরাসা ভাটরা হাজীগঞ্জ চাঁদপুর বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৭০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৩.০০)

১ টি মন্তব্য

  1. আল্লাহ তায়ালা হযরতের হায়াতের মাঝে খুব বরকত দান করুন। (আমীন)