ইসলাম শিক্ষা, ব্লগিং ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
লিখেছেন: ' আবু আনাস' @ বুধবার, জানুয়ারি ৬, ২০১০ (৯:০৮ পূর্বাহ্ণ)
আস-সালামু আলাইকুম, সকল প্রশংসা আল্লাহ’র জন্য, শান্তি অবতীর্ণ হোক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি। পরম করুণাময়-দয়াশীল আল্লাহ’র নামে শুরু করছি
প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা, ইসলাম কিন্তু আসলে ব্লগে শেখার জিনিস নয়,আপনি একজন প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন, আপনাদের সন্দেহ নিরসন করবেন এটাই প্রকৃত উপায়, কিন্তু সত্যকার আলিমদের অপ্রতুলতায় আমরা বাপদাদাদের থেকে পাওয়া ইসলাম ভুল জায়গা থেকে শিখছি। সুফি-ইরানি সাইটে গিয়ে বিশ্বাস করে কত মানুষ ঈমান হারিয়েছে আল্লাহ জানেন। ইন্টারনেট অনেক বড় ফিতনা – এটা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝব তত ভাল।
আমরা এই ব্লগ লিখছি একটা দায়বদ্ধতা থেকে। আল্লাহ যে আমাদের সঠিক পদ্ধতিতে ইসলাম শেখার তৌফিক দিয়েছেন তাঁর দায় মেটাতেই এখানে আসা। ইসলামের সঠিক দর্শন,আকিদা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই – মানা না মানা আপনাদের ব্যপার। যারা ভুল পথে অন্যদের নিয়ে যাচ্ছেন তাদের স্বরূপ দেখাতে চাই; তাদের ছোট করতে নয়, মানুষকে ভুল পথটি চেনাবার জন্য। এখন কেউ শিখতে এসে যদি দেখে জাকির নায়েকের মত যুক্তিবাদী মানুষকে কাফির বলা হচ্ছে, বা আজগুবি গল্প শোনানো হচ্ছে তাহলে সে কি শিখবে?
নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। ২-১১৯
আপন পালনকতা’র পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরুপে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায় । নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে ।১৬-১২৫
উপরে উদ্ধৃত আয়াতগুলো দাঈদের প্রতি উৎসাহ দিয়ে নাজিল করা হয়েছে যাতে কেউ সত্য বিমুখ হলেও দাঈরা নিরুৎসাহিত না হয়ে পড়েন। এ আয়াত সমূহ দ্বারা কোনভাবেই যার যা খুশি বলাকে, বিশেষ করে ইসলাম বিষয়ে, অনুমতি দেয়া হয়নি। ইসলামের মূলনীতি হল – ইলম,আমল,দাওয়া। যারা এক লাফে তৃতীয় স্তরে উঠে এসেছেন তাঁরা ইসলামের ক্ষতি করছেন লাভ নয়। আপনারা কি জানেন আরব বিশ্বে যারা আলিমদের কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষা করেন তারা সবাই তা প্রচার করতে পারেননা, প্রচারের আগে শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক ইযাযাত বা অনুমতি নিতে হয়?
ঘটনাঃ একজন আল্লাহভক্ত মানুষ কুরানের বাংলা অনুবাদ পড়ল – “আমি এই কিতাবে কিছুই বাদ দেই নাই” – সে বুঝল কুরানেই সব আছে হাদিসের দরকার নাই। সে তাঁর এই মতামত ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করল।
ক্ষতিঃ রসুলের কাছে আনীত বিধান অস্বীকার করে সে ইসলামের আওতার বাইরে চলে গেল।
মহাক্ষতিঃ সে আরো কিছু সংগীসাথী সহ বিপথগামী হল।
সঠিক সমাধানঃ শুদ্ধ তাফসীর/প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে বুঝে নেয়া যে কুরানের এই স্থানে কিতাব মানে লাওহে মাহফুয বুঝিয়েছে।
আপাতত সমাধানঃ এই মতবাদ প্রচারকারীকে সত্য বুঝান এবং মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত রাখা।
এইজন্য সৌদিআরবে সরকারের অনুমতি অর্থাৎ পরীক্ষিত আলিমদের রিভিউ ছাড়া কোন ইসলামি বই প্রকাশ করা নিষেধ, কোন ইসলামি সভা করা নিষেধ। এটা মানুষের কন্ঠ রুদ্ধ করার জন্য করা হয়নি, মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে করা হয়েছে।
একারণেই অন্যান্য সাইট থেকে ইসলামি সাইটে বেশি বিধিনিষেধ দরকার, নতুবা মিথ্যা প্রচারের দায়ভার কর্তৃপক্ষকেও নিতে হবে। আমি ব্লগ এডমিন্সট্রেশন সম্পর্কে খুব বেশি জানিনা তাই একটা প্রস্তাব করতে চাই – কাউকে সম্পুর্ণ ব্যান না করে কি তার পোস্ট করা বন্ধ করা যায়? তাহলে সে শিখতে পারল কিন্তু ভুল প্রচার করতে পারলনা।
আল্লাহ আমাদের সত্য জানার মানসিকতা দিন, সত্য মানার মানসিকতা দিন। আমিন।
প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা, ইসলাম কিন্তু আসলে ব্লগে শেখার জিনিস নয়,আপনি একজন প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন,
কে আপনাকে বলেছে যে, ইসলাম ব্লগে শেখার জিনিস নয়? ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন সাইট আছে ইন্টারনেটে যা দেখে সাধারন মানুষ ঈমান হারাচ্ছে। আবার অনেক সাইট আছে যেখানে ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন সাইট এর জবাব দেয়া হয় বা আলোচনা করা হয়।
আপনি একজন প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন,
এইখানে যারা আলেমগন আছে, তারাযে প্রকৃত আলিম না, এটা আপনি কিভাবে বুঝলেন?
আর নেটের বাহিরে যারা, তারা যে প্রকৃত আলিম, এ নিশ্চয়তা আপনি কিভাবে দিবেন?
উল্লেখ্যঃ আমরা সাধারনত বিভিন্ন আলেম গনদের কাছ থেকে ইসলামিক বিভিন্ন বিষয় শিখে থাকি, যা কালের বিবর্তনে অনেক কিছু ভুল প্রমান হয়েছে। আর এই ভুল প্রমানও করেছেন আলেমগনরাই। তাই এক ব্যাক্যে বলা যায় যে, ভাল মন্দ সকল সুবিধাই আছে নেটে, যে যেভাবে তা ব্যবহার করে এই আর কি। আর আমরা একজন লোক একজন দু’ জন আলেমের কাছে যেতে পারি, কিন্তু নেটে অনেক আলেমগন থাকেন বা একসাথে পাওয়া যায় । তাই সত্য মিথ্যা সহজেই প্রমান করা সম্ভব এখনে। বাকিটা আপনার জ্ঞান দিয়ে চিন্তা করেন। আমার মত করে আমি বলতে চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু ভাই, কেউ বলে নাই,নিজের চোখে দেখেছি মানুষকে শিয়া হয়ে যেতে।একজন মানুষ কোনটা ঠিক কোনটা ভুল যদি নাই জানে সে কিভাবে কোন সাইট ঠিক কোন সাইট ভুল? জবাব/যুক্তি সবার আছে – কাদিয়ানী, আহলে কুরান, আহমেদ ছফা, আরজ আলি মাতুব্বর সবার আছে – যে মনে কোন ছাপ পড়েনি সে মনে একবার ভুল ছাপ পড়লে তোলা মুশকিল। এ জন্যই বলেছি “ইন্টারনেট অনেক বড় ফিতনা”
“প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন” – কথাটা ঠিক ভাবে বলতে পারিনি, কথাটা হবে “প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে সঠিক পদ্ধতিতে শিখবেন”। আল জামিয়া ইসলামিয়া মদিনা, উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মত স্থান থেকে পড়াশোনা করে আসা অনেক আলিম দেশে আছেন, ইসলাম প্রচার করছেন, তাদের ডাকুন, তাদের কাছ থেকে শিখুন। আরবি শিখে নিন – ইমাম বুখারি, ইমাম তাবারি, ইমাম যাহাবি, ইবনুল কাইয়ুম, ইবনে তাইয়েমিয়া, ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম শাঙ্কাতি, ইমাম মালিক, ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল,ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল ওয়াহহাব, সালিহ আল ফওযান, সালিহ আল উসাইমিন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল আযীয বিন বায প্রমুখের লেখা পড়ুন- সঠিক ইসলাম জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
@আব্দুল্লাহ,
“প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন” – কথাটা ঠিক ভাবে বলতে পারিনি, কথাটা হবে “প্রকৃত আলিমের কাছ থেকে সঠিক পদ্ধতিতে শিখবেন”
আমি চাইলে আবার আপনার কথা ভুল প্রমান করতে পারতাম। আমার মনে হয় তার আর দরকার নেই। আগামীতে ঠিক ভাবে বলবেন এ কামনাই করি। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
ভাই জবাব দিয়ে কি করবো। আপনি তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
@দ্য মুসলিম,
ব্যক্তিগত কিছু কারনে মন দিল ভাল না। তবে মাঝে মধ্যেই এখাঙ্কার কিখাগুলি পড়ার চেষ্টা করি। দোয়া করবেন যাতে আগামতে ফিরে আস্তে পারি এবং আমার জ্ঞানের পিপাসা মিটাতে পারি। ধন্যবাদ।
“সৌদিআরবে সরকারের অনুমতি”
##> আল্লাহ সুবাহানাতালা আর তার রাসূল সঃ এর উপর ইমান এনেছি , সৌদি সরকারের উপর নয় ।
##> পরিক্ষিত আলেমের অনুমতি হইলে ঠিক আছে । তবে সে সৌদি সরকার নয়, আল্লাহ পাকের গোলাম হতে হবে । পরিক্ষা , পুর্ববর্তী আলেম কর্তৃক হতে হবে । সরকারের মর্জি মত নয় ।
আপনার কথা একেবারেই ফেলে দেবার নয়, তবে ৯৫শতাংশ । বাকি কথা হল কালের ধারাবাহিকতায় আলেম সমাজেরও দায়ত্ববোধ থাকা উচিত, যে যূগে কাগুজে লেখা লেখি মুখ থুবড়ে পড়ছে বাড়ছে তড়িত্সভ্যতা বা ইন্টারনেটের ব্যবহার সে যূগে আলেম সমাজকেও এই মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে।
@বাংলা মৌলভী,
কালের ধারাবাহিকতায় আলেম সমাজেরও দায়ত্ববোধ থাকা উচিত, যে যূগে কাগুজে লেখা লেখি মুখ থুবড়ে পড়ছে বাড়ছে তড়িত্সভ্যতা বা ইন্টারনেটের ব্যবহার সে যূগে আলেম সমাজকেও এই মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে।
আপনার এই কথার সাথে একমত পোষণ করি।
@বাংলা মৌলভী, ইনশাল্লাহ আমরা আমদের সন্তানদের সে রকম আলিম বানাব, শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার না।
@আব্দুল্লাহ, আল্লাহ সবাইকে প্রয়োজন মোতাবেক দ্বীনের জ্ঞান এবং তদনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন
@বাংলা মৌলভী, দুখিত জ্ঞান হাসিল এবং আমল হবে ।
আসলে ভাইজান। ব্লগে সবাই ইসলাম শিখার জন্য আসেনা। অনেক মুসলিমের শিখার বাইরেও অনেক বিষয় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করতে চায়। ব্লগে মূলত এই কারনেই আসে। বেশীরভাগ লোকেরই আপনার মত ধারনা আছে যে ব্লগে সব সময় অথেনটিক তথ্য থাকেনা যেমন চায়ের আড্ডাতেউ সব বিষয়ের ভিত্তি থাকেনা। ব্লগকে কেউ এনসাইক্লোপিডিয়া ভাবে না। যাদের অথেনটিক জ্ঞান দরকার তাদের আপনার পরামর্শের ভিত্তিতে ভালো আলিমের কাছ থেকে বা কোন এনসাইক্লোপিডিয়া থেকে জ্ঞান আরোহন করা দরকার।
কিন্তু ব্লগে ইসলাম নিয়ে কোন আলোচনা করা যাবে না এটা ঠিক না। ব্লগে যেমন মাঝে মাঝে ভূল তথ্য পরিবেশিত হয় তেমনি সমাজেও প্রচুর ভূল তথ্য চালু আছে আবার সব আলিমরাই সঠিক তথ্য দিতে পারেনা। কিন্তু সমাজে অর্থবহ আলোচনার দরকার আছে এবং ব্লগ সেটার শুরু করতে পারে। যেমন আপনার মতামতটা একটা গুরুত্বপুর্ন আলোচনার দাবী রাখে। যারা ইন্টারনেটে ব্লগ পড়ে তারা কেবল একটা সোর্স থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেনা তারা বিভিন্ন সাইটে যায় এবং ভালো মন্দের বিচার বিশ্লেষন করেই তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরও কিছু লোক বিপথ গামী হয়। যেটা সব সময়ই হচ্ছ বরংচ ব্লগ সাইট থেকে নয় ইউটিউব বা অন্যান্য ভিডিও সাইট/ পর্নো সাইট থেকেই এই ক্ষতি হয় বেশী। এতে আমাদের দুখঃ পেলেউ ছাড়া কিছুই করার নেই। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
@শামীম, যথার্থ বলেছেন। আল্লাহ আপনাদের মত মুক্তমনের তুরুণদেরকে সত্য মিথ্যা বুঝার যে তৌফিক দিয়েছেন এর আমি আল্লাহর কাছে লক্ষ লক্ষ শুকুর।
@শামীম,সহমত এজন্যই আমি ইন্টারনেটকে ফিতনা বলেছি, ব্লগকে নয়। কানার মনেই জানা, ইন্টারনেট এর ব্যবহার কারা কিভাবে করেন। আমার মত দুর্বল ঈমানের মানুষের জন্য এটাকে ফিতনা মনে হয়েছে।
ধন্যবাদ,কর্তৃপক্ষ সহ আমাদের সবাইকে সচেতন করার জন্য।আপনার লেখায় শিয়াদের সঙ্গে যদি সৌদি রাজপরিবারের সহায়তায় গড়া ওয়াহাবিজম ও সালাফিদের সম্পর্কে কিছু সচেতন করাতেন তবে আরো খুশি হতাম।কিন্তু তা না করে আপনি উদাহরন হিসেবে আমাদের সামনে সেই দেশের নাম উল্লেখ করলেন।সৌদি এক রাজপুত্র কয়েক বতসর আগে ইটালির এক অস্লীল টেলিভিশন চ্যানেলের শেয়ার ক্রয় করেছে।এ সংবাদ ইটালির সংবাদ পত্রে রাজপুত্রের ছবি সহ প্রকাশিত হয়েছিল। সৌদি কিছু রাজপুত্র প্রায়ই ইটালি সহ ইউরুপের বিভিন্ন দেশে বিড়াট বিড়াট ভিলা বাড়ি ক্রয় করেছেন এবং প্রায়ই এসব দেশে এসে সুন্দরী মহিলাদের উপভোগ করেন।আব্দুল ওয়াহাব হছ্ছে এই বাদশাহদের ইমাম।আপনিও ইমাম বোখারী, ইমাম মালিক এরকম বড় বড় আলেমের সঙ্গে তার নাম যুক্ত করলেন ? যে দেশের রাজপরিবারে ইসলাম পালনের যে অবস্হা ,সেখানে সাধারন মানুসের যে কি অবস্হা হবে তা ভাবতেই অবাক হতে হয়।তাদের বর্ননা দেয়ার জন্য অন্যান্য পাঠকদের অনোরোধ করছি।তবে আমি নিজ চোখে সৌদি আরবের শ্রমিকদের শোষন ও নির্যাতন দেখে এসেছি।বিচার চাইতে গেলে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।পরমকরুনাময় আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক বুঝ এবং তা সঠিক নিয়তে ও সঠিকভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
@Ibrahim,
আপনার লেখায় শিয়াদের সঙ্গে যদি সৌদি রাজপরিবারের সহায়তায় গড়া ওয়াহাবিজম ও সালাফিদের সম্পর্কে কিছু সচেতন করাতেন তবে আরো খুশি হতাম।
আপনাদের লিখা পড়ে মনে হলো যে আপনি ওহাবি বলতে তাদেরকে ন্যগেটিভ দিক চিন্তা করে বলেছেন। আপনকি বলতে পারবেন যে কোন বিশ্বাসের কারনে তাদের প্রতি এই ধারনা হলো?
@দ্য মুসলিম, এখানে কিছু পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ
@দ্য মুসলিম,
http://www.sunna.info/antiwahabies/wahhabies/
@Ibrahim, ভাই আপনি যেগুলো উল্লেখ করেছেন তা সত্য কিন্তু এটা ব্যক্তি বিশেষের ব্যপার রাষ্ট্রীয় নয়। আপনি যদি সেখানে গিয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় দেখেছেন রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম মানা হয় কিনা। আমাদের এক সেনাশাসকের বহুপ্রেমের কাহিনী আপনার জানা আছে কিনা জানিনা, আমার মনে আছে তখন ম্যাগাজিনে রগরগা এইসব কাহিনি আসত, অনেক ক্ষেত্রে ছবি সহ। তাহলে আপনার মত অনুসারে আমাদের দেশের সবার চরিত্র নিয়ে ভেবে আপনাকে অবাক হতে হবে। শ্রমিকদের শোষণ কে করেনা – মাহাথির মুহাম্মাদের দেশ মালয়শিয়ায় কি হয় আপনি জানেননা? আমাদের দেশের শ্রমিকদের কি অবস্থা জানেননা? আমাদের দেশে যে কাজ করে একজন শ্রমিক যা বেতন পান মধ্যপ্রাচ্যে তার চেয়ে নিশ্চয় বেশি পান দেখেই সেখানে যান। মালয়শিয়া,আমাদের দেশের এই শোষণের জন্য কি সরকার দায়ী, না আমরা, না আমাদের দেশের আলিমরা, না শিল্প মালিকরা? যাদের টাকা বেশী তাদের ইসলাম যে কম এইটা তো স্বাভাবিক, দেশ এখানে কোন ফ্যাক্টর না।
সৌদি আরবে কিছু পাপাচার হচ্ছে বিশেষত রাজপরিবারে এটা সত্য, কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্য কোথাও এমনভাবে ইসলাম পালন হয় না এটাই সত্য – অন্য কোন দেশের শাসনতন্ত্র-সংবিধান শুধু ক্বুরান এবং সুন্নাহ এমনটি নেই। তাই সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে আমরা তাদের মত বা তাদের চেয়ে ভাল হয়ে দেখাই।
ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সম্পর্কে আপনি হয়ত জানেননা বা ভুল জানেন। আপনি কি জানেন আমাদের দেশের তিতুমীর এবং হাজী শরীয়তুল্লাহ তাঁর শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন? দয়া করে http://www.islamhouse.com/pg/9661/books/2 – এই লিঙ্ক থেকে আমেরিকান স্কলার জামাল আল দিন জারাবোযোর The Life, Teachings and Influence of Muhammad ibn Abdul-Wahhaab এই বইটা পড়ে নিবেন। বইটি সুখপাঠ্য এবং অনেক মিথ্যার বিরুদ্ধে চরম আঘাত। পড়বেন প্লিজ।
@আব্দুল্লাহ, ধন্যবাদ।আপনিও নিচের লিনকটা দেখবেন ইনশাআল্লাহ
http://www.sunna.info/antiwahabies/wahhabies/
ইন্টারনেট অনেক বড় ফিতনা – এটা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝব তত ভাল।
ঠিকই বলেছেন! এইভাবে একদিন ফটো তোলা, রেডিও টিভিকেও ফিতনা বলাহত। এখনও কেউ কেউ বলেও থাকেন।
অথচ বিজ্ঞানের অন্য সাইডের সব নব আবিষ্কারের সব ফল ভোগ করতে দ্বিধা করছেন না। আমি একবার আলজাজিরা টিভিতে আপনার প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা শুনেছি যে বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ বলে ছিলেন যে, ইন্টারনেট যেমন ইসলামের উপকারও করবে আবার ক্ষতিও করতে পারে। উনি কিন্তু আপনার মত একদম রিজেক্ট করে দেন নাই।
ফুল তোলতে গিয়ে কাঁটার ভয়ে ফুল তোলা বন্ধ কতটুকু ইসলাম সম্মত একটু ভেবে দেখবেন কি? আমার তো আপনার মতো সৌদী আনুকুল্যে ইসলামী বিদ্যা পিঠে পড়ার সুভাগ্য হয়নাই। কিন্তু সেই ১৯৯৭ সাল থেকে ইহুদি খৃষ্টান ও অন্যান্য সাইট ও ইসলামী সাইটে ঘুরাঘুরি করে যা জানার ভাগ্য তা তো শুধু ইন্টারনেটের জন্য হয়েছে।
তবে এক শ্রেণী লোকের অসুবিধা তো হয়েছে সেই প্রমিথিউসের কাহিনীর মত! প্রমিথিউসকে তদান্তিন যাজকরা প্রাণদন্ড দিয়েছিল কেন তিনি সাধারণ মানুষকে আগুন জ্বালানো শিখিয়ে দিলেন? ধন্যবাদ।
@মুনিম, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্যের প্রাক্তন ছাত্র। ফিতনা শুধু ইসলামের ক্ষেত্রে না আর অনেক বিষয় মিলিয়ে, আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দিয়েছেন তাই পেরেছেন, বাংলাদেশের ISP গুলোর জরিপ অনুযায়ী ৯৫ভাগ ব্যবহারকার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোথায় যায় জানেন? আর বুয়েটের অনেক ছোট ভাইকে দেখেছি সচলায়তনের কল্যানে নামায ছেড়ে আধুনিক প্রগতিশীল মুসলিম হয়ে যেতে। এখন আপনি যদি আমার ছোট ভাই হতেন আমি বলতাম ইন্টারনেট দিয়ে তোমার ইসলাম শিখার দরকার নেই, যাদের নেই তাদের ব্যাপার আলাদা।
ভাই কাঁটাহীন অনেক ফুল আছে, যাদের গন্ধ বেশ, দেখতেও সুন্দর – এগুলো সেফ না?
একটু জ্ঞান দিয়ে যাই – মাফ করবেন – গ্রীক উপখ্যান মতে প্রমিথিউস দেবতা ছিলেন, তাকে দেবতারা শাস্তি দিয়েছিলেন। আমাদের আল্লাহ এর থেকে অনেক পবিত্র। আমাদের রসুল (সাঃ) সত্যিকার প্রগতি, বিজ্ঞান এর পক্ষে ছিলেন। আমিও তাকেই অনুসরণ করি কিন্তু ঘরপোড়া গরু তো, তাই সিঁদুরে মেঘে ডরাই।
@আব্দুল্লাহ,
আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্যের একজন প্রাক্তন ছাত্র, আলহামদুলিল্লাহ আপনারা জ্ঞানি লোক। কিন্তু আপনাদের কথা সুনলে মনে হয় আমাদের মত বিদ্যালয়ের আশে পাশে কখনো যান নাই। আসুন এবার আপনার কথা পিছনে কিছু বলার চেষ্টা করি।আপনি বলেছেন ISP গুলোর জরিপ অনুযায়ী ৯৫ভাগ ব্যবহারকার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোথায় যায় জানেন? আর বুয়েটের অনেক ছোট ভাইকে দেখেছি সচলায়তনের কল্যানে নামায ছেড়ে আধুনিক প্রগতিশীল মুসলিম হয়ে যেতে। এখন আপনাকে জিজ্ঞাস করি, আধুনিক প্রগতিশীল মুসলিম আবার কি? ইসলামকি আগে আধুনিক ছিল না? মুসলিম কাকে বলে, মুসলিম শব্দের অর্থ কি? আর বুয়েটের অনেক ছোট ভাইকে দেখেছি সচলায়তনের কল্যানে নামায ছেড়ে আধুনিক প্রগতিশীল মুসলিম হয়ে যাচ্ছে, আপনাকে বলি, ইন্টারনেট থেকে যারা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করছেন, ISP গুলোর জরিপ অনুযায়ী তারা মাত্র ৫%, তার মানে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবোহার করে কুপথে যাচ্ছ। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত আল্লাহ ভাল জানেন। এখন আপনাকে বলি, আগের চেয়ে ইসলামের প্রসার বাড়ছে না কমছে? আপনিকি জানেন ইন্টারনেট এর ভুলিকা এখানে কতটুকু মুখ্য? তথ্য প্রযুক্তি এখানে কত গুরুত্ব পুর্ন? তাহলে সেখ হাসিনাকে গিয়ে বলুন, দয়া করে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বানাবেন না, তাহলে যাও ৫% আছে, তারাও ভিত্তে যাইবো। আপনিকি আপনার ছোট ভাই কে দিয়ে সবাইকে বিচার করতে চান? এন্টারনেটের দোষ, আপনার ছোট ভায়েরা আরো কত যায়গায় যায়, সেই খবর দিনে কয়বার নেন, যানাবেন কি? আয যেখনে অমুসলিমরা তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসলাম, মুসলিমদেরকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে। সেখানে আপনার কথা হাস্যকরি বটে। আর কি বলবো, আপনার কথা নিয়ে যদি আলোচনা করি, তাহলে কয়েক ঘন্টাও কম হয়ে যাবে। আপোনারা জ্ঞানি লোক, আমার ভুল হলে তা সুধ্রে দিবেন বলে আশা রাখি।
আল্লাহ বলেনঃ হে মুমিনগন তোমরা পরিপুর্ন ভাবে দ্বীন ইসলামকে মেনে চল। নিশ্চই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা নং মনে নাই)
ধন্যবাদ।
@আব্দুল্লাহ, ইন্টারনেট সম্পর্কে যা বললেন আমি আপনার সম্পর্কে একমত। ইসলাম শিক্ষার জন্য শুধু ইন্টারনেট এর উপর ভরসা করলে চলবেনা।
@দ্য মুসলিম,
আসসালামু আলাইকুম।
ইসলাম শিক্ষার জন্য শুধু ইন্টারনেট এর উপর ভরসা করলে চলবেনা।
ইন্টারনেট এর উপর ভরসা বলতে আপনি কি বুঝেন, দয়া করে যানাবেন কি? তার পর আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো, ঈণশা আল্লাহ। ধন্যবাদ।
@দ্য মুসলিম,
আরেকটা কথা, আপনিযে বিভিন্ন সময় ইসলাম বিষয়ে এখনে বিভিন্ন লিখা দেন, তা কেন বা কিজন্যে?
ধন্যবাদ।