এত সুর আর এত গান
লিখেছেন: ' আবু আনাস' @ রবিবার, এপ্রিল ১৮, ২০১০ (৯:২৩ পূর্বাহ্ণ)
১.
“ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা, এই মায়াবী রাত
আসেনি তো বুঝি আর জীবনে আমার…”
আজো স্পষ্ট মনে পড়ে আমার মা আমাকে বালিশে শুইয়ে মৃদুভাবে দোল দিচ্ছেন আর গান গাইছেন। অথবা যশোরের সে শীতের সকালের কথা – নরম বিছানায় ততোধিক নরম রোদে শুয়ে আছি; কানে ভাসছে যীশু দাসের গান “নাম শকুন্তলা তার…”। এর পরে বড় হতে লাগলাম, রিক্সাভাড়া বাঁচিয়ে কতজন কত কি কেনে – আমি কিনতাম গান। নিয়াজ মুহাম্মদ চৌধুরি, কুমার শানুর “পপ” হিন্দি, রিকি মার্টিনের “মারিয়া” বা লাকি আলির “সিফার”। উঠতি বয়স – নিজের ভালোলাগার উপর দন্ডি ঘোরাত স্কুলে আধুনিক হতে পারলাম কিনা, বন্ধুদের সাথে তাল মিলাতে পারলাম কিনা সে বোধ। আরো বড় হলাম – পুরনো বাংলা গান, রবীন্দ্র, নজরুল, গজল, ক্লাসিকাল আর সেমি ক্লাসিকে নিজের স্বকীয়তা খুঁজে পেলাম। ভাল লাগত এ.আর.রহমান আর জীবনমুখী। পাশ্চাত্য আমায় বেশি টানেনি। বড় জোর কান্ট্রি সংস, ডেনভার কি লোবো। গান শোনার সময় বিচার করলে আমাকে কেউ টেক্কা দিতে পারতোনা। গাইতামও না বাজাতামও না , কেবলই শুনতাম; নামায, ক্বুরান পড়া, খেলা আর ক্লাসে থাকার সময়টুকু বাদ দিলে বাকি প্রায় পুরো সময়টাতেই গান শুনতাম। পড়তে বসলে তো বটেই, ঘুমানোর সময়, ঘরে যতক্ষণ থাকতাম গানও চলতে থাকতো। সাইকেলে চড়ে ভার্সিটি যাচ্ছি – কানে গোঁজা গানের তুলো। ভারি অহংকার করে বলতাম – আমার কাছে ৩০ গিগাবাইট গান আছে – সব আমার শুনে শুনে বাছাই করা গান! এটা সে সময়ের কথা যখন আচার-অনুষ্ঠানেই আমার ইসলাম সীমিত হয়ে ছিল। পরে যখন ইসলামের স্বরূপ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা শুরু করলাম তখন প্রথম আমি আমার জীবন পরিব্যপ্ত করে থাকা সঙ্গীত নামক শিল্পটির সমস্যাগুলো অনুভব করতে লাগলাম।
২.
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী সবচেয়ে বড় গূনাহ হল শিরক অর্থাৎ আল্লাহর গুণাবলী, বৈশিষ্ট্য ও অধিকারের ভাগ অন্য কাউকে দেয়া। সুফিদের তথাকথিত মরমী গান হল এই শিরকের আড্ডা। যেই লালন শাহের নামে আমরা এক ঢোক পানি বেশি খাই সেই লালন সাঁই প্রচার করে গেছে –
“যেহিতো মুরশিদ, সেহিতো রসূল / এই দুইয়ে নেই কোন ভুল
মুরশিদ খোদা ভাবলে যুদা / তুই পড়বি প্যাচে।”
অথচ ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর দাস ও বার্তাবাহক”। আল্লাহ ও তার রসুল মুহাম্মদ (সাঃ) কখনোই এক নয় বরং দু’টো সম্পুর্ণ দু”টি ভিন্ন সত্তা এবং তাদের মধ্যে প্রভু-ভৃত্য সম্পর্ক ছাড়া অন্য কিছু নেই।
বাউল শাহ আব্দুল করিম বয়াতির একটি গান হল –
“শুধু কালির লেখায় আলিম হয় না মন রে/ কানা অজানা কে যে না জানে/
আল্লাহ নবী আদম ছবি /এক সূতে বাঁধা তিন জনে”
এ গান লালনের দ্বিত্ববাদকে ছাড়িয়ে ট্রিনিটিতে এসে ঠেকেছে।
বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে গানের প্রধান অবলম্বন “ভালোবাসা”। ভালোবাসার আতিশয্যে প্রায়ই ভালোবাসার বস্তুটিকে আল্লাহর জায়গায় বসিয়ে দেয়া হয়, হোক সে মানুষ কিংবা দেশ। “প্রথমত আমি তোমাকে চাই … শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই” – কোথাও কিন্তু আল্লাহর কোন অংশ নেই, খালি “তোমাকেই” এর জয়জয়কার। কেউ ভাবতে পারেন এই “তুমি” তো আল্লাহও হতে পারে। কিন্তু সুমন আল্লাহর কথা ভেবে এই গান বাঁধেননি, এ গান যারা গায় আর শোনে তারা আর যাই হোক আল্লাহকে খুশি করতে এ গান শোনেনা।
“ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা”- আমাদের অনেকেরই খুব প্রিয় একটা দেশাত্মবোধক গান। দেশাত্মবোধ মানুষের প্রকৃতিজাত একটা ব্যাপার, এটা মানুষের মধ্যে থাকবে তাই কাম্য। কিন্তু তাই বলে দেশের মাটিতে কপাল ঠেকাতে হবে কেন? গানটায় সম্বোধন করা হয়েছে কাকে? মাটিকে। এটা ঠিক আমরা মাটির উপর সিজদা করি কিন্তু সে জন্য দেশের মাটি শর্ত নয়, গোটা পৃথিবীর মাটিতে সিজদা করা যায়। সিজদা কাপড়ের উপর করা যায়, মার্বেলের উপর করা যায়; আল্লাহকে উদ্দেশ্য করলে পবিত্র যে কোন কিছুর উপরই সিজদা করা যায়। গানটাতে “তোমার পরে ঠেকাই মাথা” না হয়ে “তোমার কোলে রাখি মাথা” হতে পারত। কিন্তু রবিঠাকুর তা লেখেননি। কেন লেখেননি?
এই গানটা “বন্দে মাতরম” যুগের যেখানে মা/দেবী/দেশ একটা আরেকটার সাথে মিশিয়ে মানুষকে তাঁতিয়ে দেয়া হয়েছিল। আনন্দমঠের প্রথম সংষ্করণে ইংরেজ তাড়ানোর কথা থাকলেও প্রভুর দাপটে পরের সংষ্করণগুলোতেই ইংরেজের জায়গায় যবন তথা মুসলিম তাড়াতে কলকাতার বাবুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। বঙ্কিম যেখানে “বন্দনা”/উপাসনা বলে থেমে গিয়েছিলেন সেখানে রবিবাবু কিভাবে উপাসনা করা যায় তাই এ গানে গেয়ে গেছেন। এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা? আচ্ছা পরের লাইনগুলোও পড়ুন –
“তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে, তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ঐ শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা।”
শিরকের আরেকটি অফুরন্ত ভান্ডার হল হিন্দি গান। অনেক দিন হয়ে গেল হিন্দি গান শোনা হয়না, কিন্তু চলতি পথে মুফতে শোনা গানগুলার মধ্যে আমি যে পরিমাণ শিরকের খোঁজ পাই তাতে বলিউডের নেট শিরকের প্রোডাকশনের কথা ভাবতেও ভয় লাগে। “তুঝে রাবসে ভি জিয়াদা ভারোসা কিয়া” বা “ইয়া আলি, মদদ আলি” টাইপের চটুল গানে তো শিরক আছেই, বোম্বে ছবির “তুহি রে” এর মত কালোত্তীর্ণ গানেও “মওত ঔর জিন্দেগি তেরে হাতো মে দে দিয়া রে” বলে নিজের প্রেমিকার হাতে অবলীলায় আল্লাহর ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হয়েছে।
লতা-কিশোরের একটা গান আমার খুব প্রিয় ছিল এর অসাধারণ কম্পোসিশনের কারণে-
“কারভাটে বাদালতে রেহি সারি রাত হাম, আপ কি কাসাম… আপ কি কাসাম”
অথচ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা হারাম, তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
এই শিরক এত ভয়াবহ একটা পাপ যার সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন –
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপনকে ক্ষমা করেননা কিন্তু তিনি এর চেয়ে ছোট (পাপ) যাকে খুশি ক্ষমা করেন”
এর শাস্তি অনন্ত আগুন।
৩.
আধ্যাত্মিক গানগুলোর আরেকটি ভয়াবহ সমস্যা হল এগুলোতে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী অনেক আদর্শ প্রচার করে থাকে। যেমন “এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া এত যত্নে বানাইয়াছেন সাঁই” – গানটির পরতে পরতে কুফরি মতবাদ ছড়িয়ে আছে। আল্লাহ জ্বীন এবং মানুষকে যে তাঁর ইবাদাতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে – এই সত্যটাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বিভিন্ন বিভ্রান্ত দর্শনের সাহায্যে। “যেমনি নাচাও তেমনি নাচে, পুতুলের কি দোষ” – এই চিন্তাধারা মানুষের কর্মফল ও পরপারে জবাবদিহীতার মূলে কুঠারাঘাত করে। আবার “তুমি বেহেশ্ত তুমি দোযখ তুমি ভালো-মন্দ” – এই দর্শন সবকিছুতেই আল্লাহর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে প্রকারান্তরে আল্লাহর অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে। রবিবাবুও এ ধারণা প্রচার করে গেছেন এমন এক গানে যা আমাদের কাছে খুব নিরীহ মনে হয় – “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কি শত্তে ”। রবীন্দ্রনাথের পূজার গান আর নজরুলের শামা সংগীত বাদ দিলেও আমরা খুব ভালোবেসে শুনি এমন অনেক রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলগীতিতে ভুরি ভুরি শিরক আর কুফর ছড়িয়ে আছে।
“তারে এক জনমে ভালোবেসে ভরবেনা মন ভরবেনা” বাংলার সিনেমার খুব জনপ্রিয় এই গানে খুব স্পষ্টভাবেই হিন্দু-বৌদ্ধ দর্শনের জন্মান্তরবাদ প্রচার করা হয়েছে।
কাউকে যদি বলা হয় “তোমার বাবা খুব নিষ্ঠুর, মনে কোন দয়া-মায়া নেই”, তাহলে তেড়ে-ফুঁড়ে মারতে না গেলেও মনে ব্যাথা কি সে পাবেনা? আমরা দাবী করি আমরা মুসলিম অথচ পবনদাস বাউলের গান শুনি-শুনাই -
“দিন-দুনিয়ার মালিক খোদা, দিল কি দয়া হয়না? তোমার দিলকি দয়া হয়না?”
উদার মুসলিম হতে গিয়ে আল্লাহকে আর কত অপমান করব আমরা?
আমরা নিত্তদিন যে গানগুলো শুনছি তার শিরক আর কুফরের তালিকা করতে গেলে পিএইচডি করা লাগবে। আসলে ইসলামের মৌলিক জিনিসগুলো সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই কম। সে জ্ঞান থাকলে এই গানগুলোর ইসলামবিধ্বংসী রূপ আমাদের চোখে পড়ত।
৪.
অনেকের মনে হতে পারে আমি বাড়াবাড়ি করছি। অনেকে যুক্তি দেখাতে পারে গায়ক তো আর ঐ অর্থে গাইছেননা। আমরা মুখের কথায় মানুষকে বিচার করি, তার মনে কি আছে সেই খবর নেয়া দুরুহ কাজ। কেউ যদি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় তাকে অপমান করে একটা গান গায় তবে সে চাপাতির কোপ না খেলেও লাঠির বাড়ি যে খাবে তা নিশ্চিত এবং তার “আমি তো আসলে এটা ‘মিন’ করিনি” – এ জাতীয় কোন অজুহাতই ধোপে টিকবেনা। মনে যদি ভালো থেকেই থাকে তবে মুখে খারাপ কেন বলা?
আমি নিজেই দাবী করতাম যে আমি তো আর হিন্দি বুঝিনা, শিরকওয়ালা গান শুনলে আমার কেন পাপ হবে। যদি কোন উর্দু না জানা মানুষ সারাদিন “পাক সার জমিন সাদ বাদ” শুনে এবং জোর ভল্যুমে অন্যদেরও শোনায় তবে সে ঠিক কি জাতের বাঙ্গালী তা বিবেচ্য। তেমনই গান থেকে যদি কেউ শিরক-কুফরি শিক্ষা না নিয়েও থাকে বা শিরক/কুফরির নিয়ত না করেও থাকে তবুও সে আখেরে কিভাবে আল্লাহর কাছে পার পাবে তা ভাববার বিষয়। কারণ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত আছে যে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন -
“A person may speak a word, not realizing what he is saying, and he will fall because of it into the Fire further than the distance between the East and West.”
Bukhaari (5996) and Muslim (5304)
আমরা চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি কিন্তু তার মানে এই না যে তাহলে সমস্যাটা চলে যাবে। আমরা কোন কিছুকে শিরক আর কুফর বলে চিনতে পারছিনা মানে এই নয় যে সেটা শিরক বা কুফর নয়। আর শয়তানের পদ্ধতি এটাই যে সে খারাপ জিনিসগুলোকে আমাদের সামনে সুশোভিত করে তোলে। আমরা দেখেও দেখিনা, শুনেও শুনিনা – অন্য কেউ ভুলটাকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিলে গোস্বা করি।
৫.
আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন –
“আমার উম্মাতের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন কিছু মানুষ আসবে যারা ব্যভিচার, রেশমি কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে” (সহিহ বুখারি – ৫৫৯০)
বাদ্যযন্ত্র শুধু নিষিদ্ধই নয়, কোন মাত্রার নিষিদ্ধ তা এ হাদিস থেকে বেশ বোঝা যায়। আরো বেশি বোঝা যায় এ ভবিষ্যদ্বাণী কতটা সত্যি।
সুরা লুক্বমানের ষষ্ঠ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন –
“আর মানুষের মধ্য থেকে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহর পথ থেকে (মানুষকে) বিভ্রান্ত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে এবং তারা আল্লাহর প্রদর্শিত পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে; তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।”
এই “অসার বাক্য” এর মধ্যে যে গান-বাজনা অন্তর্গত তা সকল মুফাসসির একমত। খেয়াল করলে দেখা যায় এখানে আল্লাহ ভয়ংকর বা মর্মন্তুদ শাস্তির কথা বলেননি, বলেছেন অবমাননাকর শাস্তি। সারা পৃথিবীতে মুসলিমরা সঙ্গীত সাধনায় মত্ত থাকতে গিয়ে নিজেদের উপর লাঞ্চনা-গঞ্জনা আর অপমানের শাস্তি চাপিয়ে নিয়েছে।
৬.
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি – গান শোনা ছেড়ে দেয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু শিরক-কুফরি ভর্তি গানের সাথে কোন আপোষ থাকতে পারেনা। আর বাজনা আছে এমন গান শোনা ইসলাম সম্মত নয় একথা আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে। আমাদের মেনে নিতে হবে মিউজিক শুনে আমরা পাপ করছি, নয়তো রসুলের ভবিষ্যদ্বাণী করা দলে আমরা পড়ে যাব। আর যদি আমরা মেনে নেই এটি পাপ তবে সেটা ছাড়ার একটা চেষ্টা আমাদের মনে মনে থাকবে। নয়তো কোনদিনই গান বন্ধ করে মিশারির কন্ঠের ক্বুরান কিংবা ইউসুফ এস্টেসের একটা লেকচার শোনার সুযোগ আমাদের হবেনা।
আমি হাজ্বে গিয়ে আল্লাহকে বলেছিলাম তিনি যেন আমাকে গান থেকে মুক্তি দেন। হাজ্ব থেকে ফিরে এসে দেখলাম যেই আমি গান শোনা ছাড়া একটি দিনও কাটাইনি সেই আমার মধ্যে গান শোনার কোন ইচ্ছাই জাগেনা। এজন্য আমি বলি আমি গান ছাড়িনি, গানই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
আমাকে ছোটবেলায় মা বলতো, আজ ভাল করে পড়, পরীক্ষা শেষ করে কাল থেকে যত খুশি খেলবি। আমি দশ দিন খেলবো বলে একদিনের খেলা তুলে রাখতাম। আমি অনন্তকাল ধরে অজাগতিক অদ্ভুত সুন্দর সব সুর শুনবো বলে যেকটা দিন বাঁচি সে ক’টা দিন যদি বাজনাওয়ালা গান না শুনে কাটিয়ে দেই তাহলে কি খুব বোকামো করা হবে?
অনেক বড় পোষ্ট।
কোন দ্বিমত নেই। সহমত।