লগইন রেজিস্ট্রেশন

পর্দা করতে বলা বেআইনী হলে নিজের সন্তাদেরকে নামাজ পড়তে বলাও বেআইনী

লিখেছেন: ' Mujibur Rahman' @ বুধবার, অক্টোবর ৬, ২০১০ (৯:০৩ অপরাহ্ণ)

সম্প্রীতি হাইকোর্ট থেকে পর্দার ব্যাপারে রায় দেওয়া হয়েছে তাতে মরম এই দবারায়,ধর্ম নিরেপক্ষ দেশে কাউকে কোন ধর্মীয় কাজে বাধ্য করা যাবে না। একজন মুসল্লি বললেন, তাহলে মুসলমানেরা তাদের সন্তাদেরকে নামাজ পড়তে বা রোযা রাখতে চাপ দিতে পারবেন না ।সত্য কথা না বলার জন্য শাস্তিও দিতে পারবে না। সকল ধর্মে মিথ্যা বলা পাপ । তাহলে কাউকে সত্য কথা বলার জন্য চাপ দেওয়াও বেআঈনী হবে কিনা? কোর্টে,’যা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না’-এ বিষয়টির কি হবে? চুরি করা মহাপাপ। আবার বেআইনী বটে। তাহলে ধর্মীয় রীতি আইনের মধ্যে ঢুকল কিভাবে? চিন্তা করুন, আইনের মধ্যে ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ কথাটির মূল্য কতটুকু থাকে?
আসলে ভাল -মন্দ, সত্য-মিথ্যা ইত্যাদির মাফকাঠি শুধুমাত্র সঠিক ধর্মের বিচারেই হয়ে থাকে। ধর্মই মানুষকে সভ্য হতে শেখায়।ধর্মই ব্যক্তিকে, সমাজকে,রাষ্ট্র তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য শান্তির বার্তা বয়ে আনে। সুতরাং ধর্ম ছাড়া সঠিক আইন কিভাবে হতে পারে ?

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৫১ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

১০ টি মন্তব্য

  1. আপনার কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না। আমি যতদূর জানি কোন প্রতিষ্ঠানে জোর করে পর্দা করান যাবেনা। আমি এটা সমর্থন ও করি। কোন শিক্ষা ছাড়া জোর করে বোরকা পরিয়ে আসল লাভের কিছুই হবেনা। আর ইসলামে হিজাবের বেলায় প্রথমত পুরুষদের দৃষ্টি সংযত করার কথা এসেছে। এটা যদি না থাকে শুধু কলেজ আসা যাওয়ার পথে বোরকা দিয়ে ঢেকে রেখে কী হবে? আমার ত মনে হয় হিজাব, ইসলাম পালন – এই জিনিষগুলির চর্চা পরিবারের মাধ্যমে শিখতে হবে, কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে না।

    হাফিজ

    @SlaveOfAllah,

    আমি যতদূর জানি কোন প্রতিষ্ঠানে জোর করে পর্দা করান যাবেনা। আমি এটা সমর্থন ও করি। কোন শিক্ষা ছাড়া জোর করে বোরকা পরিয়ে আসল লাভের কিছুই হবেনা।

    আমরা যখন কোনো মত দিবো তখন দেখতে হবে শরীয়ত কি বলে , আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ নয় । হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে “ধর্মীয় পোষাক” পড়তে বাধ্য করা যাবে না । সেটা যেখানেই হোক । এটার সাথে প্রতিষ্ঠান জড়িত নয় , যেকোনো জায়গায় কেউ কাউকে “জোড়” করলেই এই আইনের মধ্যে পড়বে ।

    ইসলামে পর্দা করা ফরজ । কারো অধিনস্হ কেহ থাকলে তার জন্য অবশ্যই “ফরজ” শরীয়ত সম্মত উপায়ে সেই ফরজ তার অধিনস্হদের মধ্যে বাস্তবায়ন করা । কারো মেয়ে সন্তান , স্ত্রী এবং অধিনস্হ দাস-দাসী থাকলে তাদের “নামাজ” , “রোজা” , “যাকাত” , “পর্দা” ইত্যাদি করানোর জন্য উপদেশ দেয়া এবং প্রয়োজনবোধে চাপ প্রয়োগ করা সম্পূর্ন শরীয়ত সম্মত ।

    “নামাজের” জন্য সন্তানকে মার দেয়ার হুকুম পর্যন্ত রয়ে গেছে ।

    “কোরআন” এবং “হাদিস” দ্বারা যেটাকে ফরজ বলা হয়েছে এবং সেই ফরজ এর জন্য প্রয়োজনবোধে চাপ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে , সেটাকে কেউ যদি নিষেধ করে তাহলে সেটা সম্পূর্ন কোরআন হাদিসের বিপক্ষে যাবে ।

    হ্যা , তবে অধিনস্হদের চাপ প্রয়োগ করার অর্থ এই নয়, রাস্তা দিয়ে কেউ যাচ্ছে তাকেও চাপ প্রয়োগ করতে হবে।


    কোন শিক্ষা ছাড়া জোর করে বোরকা পরিয়ে আসল লাভের কিছুই হবেনা। আর ইসলামে হিজাবের বেলায় প্রথমত পুরুষদের দৃষ্টি সংযত করার কথা এসেছে। এটা যদি না থাকে শুধু কলেজ আসা যাওয়ার পথে বোরকা দিয়ে ঢেকে রেখে কী হবে?

    আপনার এই যুক্তি অবান্তর ।পুরুষ আর মহিলা দুজনকেই পর্দা করতে হবে । পুরুষরা পর্দা করুক বা না করুক মেয়েদের পর্দা করতে হবে । এটা ফরজ । পুরুষদের সাথে মেয়েদের কেনো মেলালেন সেটা বোঝা গেলো না । কারো চরিত্ত ঠিক থাকুক বা না থাকুক , সে পরিবর্তন হোক বা না হোক তাকে পর্দা করতে হবে ।

    আপনার যুক্তিটা এমন , যতক্ষন পর্যন্ত আমার মন পরিস্কার না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত আমি “নামাজ” পরব না । এটা সম্পূর্ন হাস্যকর এবং ইসলাম বিরোধী যুক্তি ।

    ইসলামে যেসব ফরজ আছে সেগুলো পালন করতে হবে। তার মধ্যে পর্দা একটি ফরজ । কেউ পর্দা করার পরও তার যদি অন্যান্য দোষ থাকে , তাহলে তাকে বলতে হবে তুমি পর্দা কর সাথে সাথে অন্যান্য দোষত্রুটি সংশোধন করে নাও । তাই বলে এটা বলা যাবে না যে , যেহেতু তোমার এই দোষ আছে তাই পর্দা করে লাভ নেই ।

    সেহেতু কেউ নামাজ পড়ার পরও যদি ঘুষ খায়, চুরি করে , তাহলে তাকে বলতে হবে তুমি নামাজ পড় সাথে সাথে “ঘুষ” , “চুরি” ইত্যাদির মতো জঘন্য অপকর্ম পরিত্যাগ কর । তাই বলে থাকে এটা বলা যাবে না যেহেতু তুমি চুরি কর, ঘুষ খায় তাই নামাজ পড়ে লাভ নেই । এটা সম্পূর্ন অবান্তর কথা ।

    Mujibur Rahman

    @SlaveOfAllah,যে কোন প্রতিষ্ঠান তার নিজের নিয়ম আনুযয়ী চলবে। সে নিয়ম ইসলাম বিরুদ্বী হলে আমরা সেখানে পড়ব না বা যাব না। এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু আমি মূলত উল্লেখ করেছি যে যদি পরিবারের কাউকে পর্দা করা, নামাজ পড়ার চাপ দেন আর সে যদি তা অস্বীকার করে অথবা বেশী চাপ মনে করে কোর্টে আশ্রয় নেয় তখন অবস্থা কি দাঁড়াবে?
    আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটির ব্যখ্যা পরিষ্কার হওয়া উচিত। এর অর্থ কখনই ধর্ম বিরুদ্বিতা বা ধর্ম হীনতা বুঝায় না। সরকারি আইনে কোন ধর্মীয় নিয়ম না থাকুক কিন্তু কোন ধর্মের লোককে ঐ ধর্মের অন্য কেউ ধর্ম পালনে বললে তাকে তা না করার বিষয়ে প্রশ্রয় দেওয়া বা উৎসাহিত করা কি ধর্মনিরপেক্ষতা বুঝায়?

  2. ধর্ম নিরেপক্ষ দেশে কাউকে কোন ধর্মীয় কাজে বাধ্য করা যাবে না।

    এখানে সম্ভবত ধর্মীয় নয়, হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে “ধর্মীয় পোষাক” পড়তে বাধ্য করা যাবে না । যেটা সম্পূর্ন ইসলাম বিরোধী ।

    Mujibur Rahman

    @হাফিজ,আমি একমত। হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে “ধর্মীয় পোষাক” পড়তে বাধ্য করা যাবে না -যেটা সম্পূর্ন ইসলাম বিরোধী । মানে কোন এক ধর্ম বিরোধী- তাহলে আইন অনুযায়ি ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ হল ধর্ম বিরোধীতা।

    হাফিজ

    @Mujibur Rahman,তার অর্থ এটাও দাড়ায় , ধর্মীয় না হয়ে “অধর্মীয় , অশালীন , বাজে” যেকোনো পোশাক পড়তে বাধ্য করা যাবে , সেটা দোষের নয় ।

  3. @হাফিজ, আমি প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অজ্ঞতাবশত বলার জন্য যে হাইকোর্ট থেকে প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় পোশাক পরার বিরোধিতা করা হয়েছে। আমি এটা জানতাম না যে স্পষ্টত এটা বলা হয়েছে যে ‘কাউকে’ ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবেনা। এর আওতায় যদি পরিবার্ও চলে আসে তাহলে আমি আপনার কথা কে সমর্থন করি।
    পুরুষের হিজাবের কথা এ জন্যই তুললাম কারণ পুরুষের হিজাব এর প্র্যাকটিস টা চোখেই পড়েনা, এবং সমাজ, পরিবার এই বিষয়ে কোন গুরূত্বই দেয় না। আমার যুক্তি এমন ছিলনা যে, আমি মিথ্যা বলা না ছেড়ে নামায পড়া শুরু করব না, বরং আমি বলব, শুকর এর মাংস খাওয়া কে আমরা যেমন চরম কুফরি মনে করি, নামায না পড়া, মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকানোকেও একই সমান ঘৃণা করা উচিত।

    হাফিজ

    @SlaveOfAllah,

    পুরুষের হিজাবের কথা এ জন্যই তুললাম কারণ পুরুষের হিজাব এর প্র্যাকটিস টা চোখেই পড়েনা, এবং সমাজ, পরিবার এই বিষয়ে কোন গুরূত্বই দেয় না।

    সহমত ।

  4. মুসলিম নারীকে অবশ্য পর্দা প্রথা মেনে চলতে হবে।