লগইন রেজিস্ট্রেশন

কিছু কথা ………

লিখেছেন: ' মুসাফির' @ রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১২ (১০:১৫ পূর্বাহ্ণ)

দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না। আপনি যদি সত্যকারের মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে লেখাটি শেয়ার করতে ভুল করবেন না। “দেওয়ানবাগী পীর ” যার অনুসারীরা তাকে ইমাম মেহেদী হিসেবে মানে। তার কিছু কথা আজ আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম। এই ভণ্ডের দলের নাম “মুহাম্মদী ইসলাম” এই পীর নামক ভণ্ডটা একটা পথভ্রষ্ট । সে যা অনুসরণ করে কিংবা মুরিদদের যা ব…লে তা টাকা পয়সার উৎসব বলা যায় । কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে শয়তানরা । তার কিছু কথা সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে রাসুল সাঃ রওজায়ে আতহারে ময়লা আবর্জনায় শুয়ে আছেন তারপরে সে নাকি তা পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে। (নাউজুবিল্লাহ) অথচ স্পষ্ট হাদিস রাসুল সাঃ কে কেউ স্বপ্নে খারাপ অবস্থায় দেখলে বুঝতে হবে তার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। আবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার উপর তো হজ্জ ফরজ হয়েছে, কিন্তু আপনি হজ্জ করেন না কেন? সে বলল: জিবরাঈল আমার ঘরে কা’বা শরীফ নিয়ে আসে এবং আমি ঘরে বসেই হজ্জ করি। যেখানে রাসুল সাঃ মদীনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজ্জ করেছেন আর এই ভণ্ডটা ঘরে বসেই হজ্জ করে ফেলেন। এই পীর বাংলাদেশের ভণ্ডদের অন্যতম । সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবে অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে যে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তার কোন হিসাব দেয়া সম্ভব নয় । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এদের কাছে যায় । নিজে খেয়ে না খেয়ে এদের কাছে টাকা নিয়ে যায় । আর এই লোকটি মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা চেটে চেটে খায় আর ভুড়ি বানায় । কিছুদিন আগে তার একটা বইতে দেখি যাতে লেখা আছে যে, “চাদের শরীরে বাবার প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছে” যেখানে পৃথিবীর কোন মহামানবকে পর্যন্ত চাদের শরীরে দেখা যায়নি সেখানে বাবাকে দেখা গেছে । এই ভণ্ডটাকে নাকি আল্লাহর রাসুল বলেছেন যে, মোহাম্মদী ইসলাম নিয়ে আসার জন্য । ওদের কী বলবো? অনেক মানুষ তার পায়ে চুমু খেতে হয় । মেয়েদেরকে আলাদা কামরায় নিয়ে যাওয়া হয় খেদমতের জন্য । এখানে ভালো ভাবে দেখলে বুঝতে পারবেন ১টা লোক এই ভণ্ডকে সেজদা করছে। আপনারাই বলুন সেজদা কার জন্য??? সেজদা কি কোন মানুষের জন্য নাকি শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য???? এগুলোর নাম কি ইসলাম ? নাকি ইসলামের নাম নিয়ে ভণ্ডামী । নিম্নে আমি ধারাবাহিক ভাবে এই ভণ্ডটার কিছু বিশ্বাস তুলে ধরছি ১. সকল সৃষ্টি আল্লাহর সত্বার সাথে মিশেছিলো সৃষ্টির পূর্বে । ২. প্রত্যেক মানুষের ভেতরে আল্লাহর নূরের একটা খণ্ড আছে । ৩. রিয়াজত মুজাহাদার মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্বের সাথে মানুষ মিশে যেতে পারে । ( সূত্র: দেওয়ান বাগ থেকে প্রকাশিত -ধর্মীয় সংস্কার ) এসব দেখার পর এদেরকে মুসলমান বলা যায় ? সরকার মহোদয়ের কাছে আবেদন যেন এই ভণ্ডদের ব্যাপারে আপনারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন । হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করুণ । একটা জরুরী কথা : আমরা কেন বিভিন্ন পীর ফকিরের মুরিদ হব? আমাদের কাছে-কি আল্লাহর দেওয়া বানী, “কোরআন শরীফ” নেই? সেখানে কি কোন পীরের কাছে যেয়ে সিজদার কথা বলা আছে? বা কোন পীরের মুরিদ হওয়ার কথা বলা আছে? একটা কথা না বললেই না… আগামীকাল হাসরের ময়দানে কি সেই পীর আমাদের উদ্ধার করবেন না নবী করিম সাঃ আমাদের উদ্ধার করবেন? তাহলে আমরা রাসুলুল্লাহ্-র কথা না শুনে কেন এসব পীরদের মুরিদ হব? কেন আমাদের কস্টে অর্জিত টাকা গুলো বিভিন্ন ভণ্ডদের পিছনে নস্ট করব? অনেকের কাছে হয়তো কোন অসাধারন বা অলৌকিক শক্তি আছে, যেটাকে বলা হয় কুফরী করা। এই কুফরী করার মাধ্যমে অলৌকিক শক্তি হয়তো সে পায়, কিন্তু কোরআনে বলা আছে, নিশ্চয় কুফরী-কারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পাবে না….. তাই আসুন, আমরা যারা বিভিন্ন পীর-দের মুরিদ আছি, তারা সঠিক ইসলাম-কে জানি। সেজন্য আল্লাহর দেওয়া কোরআন এবং নবী করীম সঃ এর দেওয়া বুখারী শরীফ পড়ি। তাহলেই সত্যতা জানতে পারব। আর অন্ধকারের বেড়াজালে না থেকে একটু আলোর দিকে আসার চেস্টা করি। …….. আল্লাহ্ তুমি এসব বিপথগামী মানুষ গুলো-কে তোমার সঠিক রাস্তা দেখাও… আমীন। এই ভন্ডের একটা ভিডিও গানও শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=L1W5mj7VxAo
(ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত)

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩২৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৪ টি মন্তব্য

  1. সচেতনমুলক সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।আপনার সাথে আমিও দোয়া করছি ”আল্লাহ্ তুমি এসব বিপথগামী মানুষ গুলো-কে তোমার সঠিক রাস্তা দেখাও… আমীন।”
    কিন্তু মনে রাখতে হবে মুল্যবান জিনিসেরই নকল হয়।তাই মাথা ব্যথা হলে মাধা না কেটে চিকিৎসা করাই শ্রেয়।পীর অর্থ শিক্ষক।আমাদের সমাজে মাওলানা বা মক্কী-মাদানী নামের প্রচুর আলেম রয়েছেন যাদের অবস্হা আপনার বর্নীত পীরের চেয়েও ভয়াবহ।তাহলে আমরা সাধারন মানুস কি আলেম ওলামা বর্জন করবো ? যে ব্যক্তি কোন হক্কানী পীরের কাছে না গিয়েছে সে জানতেই পারবে না হিংসা ,অহংকার, রিয়া, এখলাছ(সঠিক নিয়ত) বা এহসান কি জিনিস।তাহলে এসব বদগুন থেকে সে কিভাবে সচেতন হবে বা কিভাবে অর্জন করবে এখলাস বা এহসান,যা না থাকলে কোন এবাদতই কবুল হবে না।ইমাম মালিক রঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি শরিয়ত বা ফিকহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন না করে শুধু তাসাউফ বা মারেফত অর্জন করলো সে নিশ্চিৎ কাফের ।কিন্ত যে ব্যক্তি তাসাউফ অর্জন না করে শুধু ফিকহ বা শরিয়া বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলো সে ফাসেক।এখন হক্কানী পীর ছাড়া আপনি তাসাউফ কিভাবে অর্জন করবেন ? ইমাম আবু হানিফা রাঃ, ইমাম মালিক রঃ, ইমাম বোখারি রঃ, ইমাম গাজ্জালী রঃ,আবদুল কাদির জিলানী রঃ এনারা প্রত্যেকেই পীর ধরেছেন। আপনি কি এনাদের সবার চাইতে বড় হয়ে গেলেন নাকি ? পরিশেষে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দান করুন আমিন।

    এম এম নুর হোসেন

    @দেশী৪৩২, সহমত। জাযাকাল্লাহ। (F) (F) (F)

    মুসাফির

    @দেশী৪৩২, ধন্যবাদ ভাই হক্কানী আলেমদের আমি কখনো অস্বীকার করিনা। তবে ভন্ডদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

  2. ইলমে তাসাউফের মূল কথা হলো আত্ম-পরিশুদ্ধি। ইলমে তাসাউফকে অস্বীকার করাটা বোকামী।

    ইমাম আবু হানিফা রাঃ, ইমাম মালিক রঃ, ইমাম বোখারি রঃ কাকে কাকে পীর হিসেবে নিয়েছিলেন? এটা কি কোন ভাই জানাতে পারবেন।

    তাহলে ইলমে তাসাউফ অস্বীকার কারীদের কাছে তা তুলে ধরা যাবে।

    সালাম।