প্রসঙ্গ থাবা বাবা। আমার মনের কিছু অগছালো কথা।
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৩ (১২:৩১ অপরাহ্ণ)
যারা ৭১ এ আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার আমিও চাই, চাই তাদের ফাসি। কোন যুদ্ধাপরাধি যেন বাচতে না পারে।
কিন্তু যারা ব্লগার রাজিব কে শহীদের মর্যাদা দিয়ে দিচ্ছে, যারা রাজীবের জানাযা পড়েছে, যারা রাজিবকে ধর্মীয় রীতি মেনে কবর দিয়েছে তারা রাজিবের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কেননা রাজিব কখনো এগুলিতে বিশ্বাসি ছিলনা যা তার লেখা স্টেটাস দেখলে সহজেই অনুমান করা যায়।
যারা বলেন রাজিব বা নাস্তিক বিরুধী হলেই মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী। তাদের ধারণাটা নাস্তিকদের সাথে পুরাপুরিই মিলে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা রাজিবরা আমাদের ধর্ম, আমাদের প্রাণের প্রিয় নবীজি কে নিয়ে এমন এমন লেখা লিখেছে যে গুলি পড়লে কোন মুসলমানই ঠিক থাকার কথা নয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আনা বোকামি। কেননা মুক্তিযুদ্ধারা আল্লাহর নাম নিয়ে নামায পড়ে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এখনো আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধাদের মূখে দাড়ি, নিয়মিত নামায পড়তে দেখি। কিন্ত রাজিবরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ধর্মকে কটাক্ষ করতে দেখলে মুসলমান হিসেবে আমার অনুভূতিতে আঘাত লাগে।
সহীহ বুখারিতে রয়েছে ” মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যার হাতে মুহাম্মদের আত্তা সেই সত্তার কসম কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মুমীন হতে পারবেনা যতক্ষন না সে আমাকে ভাল বাসবে তার সন্তান, পিতা-মাতা, এমনকি তার নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি”
আমি ধর্মে বিশ্বাসি তাই রাসূলের প্রতি আমার ভালবাসাটাও তেমন। এরই প্রেক্ষিতে রাসূলরে প্রতি ন্যাক্ষারজনক কথা শুনলে নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে।
যারা শুধু মাত্র শাহবাগ চত্ত্বরে রাজিবরা (কিছু নাস্তিকরা) অংশগ্রহন করার কারনে তাদেরকে নিরলস সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, আমার মনে হয় তারা এ প্রজন্মের চেতনাকে কুলসিত করতেছেন। কারন শাহবাগ চত্ত্বরে হাজারো তরুণরা একত্রিত হয়েছে একটি মহান উদ্দেশ্যে “সকল যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের দাবীতে” সেখানে কিছু ধর্ম বিদ্ধেষি নাস্তিকদের কারনে তা কুলসিত হতে পারেনা।
কেহ যদি আমার বাবার হত্যাকারী হয়, আমার বোনকে অপমানকারী হয়, শুধু শাহবাগ চত্তরে আসার কারণে আমি তার পক্ষ নিতে পারবনা। তেমনি আমার ধর্মকে যে বা যারা কটাক্ষ করে যারা আমার নবীর ব্যাপারে ন্যাক্কার জনক মিথ্যা বলেছে, শুধু শাহবাগ চত্বরে আসার কারণে আমি তাদের পক্ষ নিতে পারিনা।
ধর্ম বিদ্ধেষিগণ ব্যতিত শাহবাগ চত্বরের সকল তরুণদেরকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট। মহান আল্লাহ যেন তোমাদের আখাংখাকে কবুল করে নেয়।
শহিদ একটি ইসলামী শব্দ।আর আল্লাহর রাস্তা জান-মাল কোরবান বা আল্লাহর দ্বীন জিন্দা রাখতে গিয়ে মারা গেলে শহিদ হয়।কিন্তু বগ্লার রাজিব তার বগ্লে সব সময় ইসলামের বিরু্দ্ধে,নবী-রাসুলদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেছে।যার দ্বারা সে নিজকে নাস্তিক প্রমান করছে।
আমি রাজিবের ব্যাপারে আগে কিছুই জানতাম না তাই তখন তার প্রতি কিছুটা সহনুভুতি ছিল।কিন্তু তাকে হত্যা করার পর তার লেখা গুলো যখন নেটে দেখতে পেলাম,তখন বুঝতে পারলাম কতবড় জানোয়ার হলে আল্লাহ-রাসুল-ইসলাম নিয়ে এতবড় কটুক্তি করতে পারে।আমার মনে কোন মুসলমান তার লেখা গুলো পড়লেও তার ঈমান চলে যাবে।আর তার লেখা পড়ার পর কোন মুসলমান তার উপর সামন্য সহনুভুতি দেখালে সে আর মুসলমান থাকবে না।আপনার যদি মনে চায় একটু গত ১৭.০২.২০১৩ ইং তারিখের পত্রিকা দেখে নিতে পারেন
রাজিব ইসলাম ধর্ম তথা নবী (সাঃ) কে নিয়ে কটাক্ষ করেছে এর বাস্তব প্রমান কি ?
নেট বা ব্লগের লেখা ডিলেট করে দিলে কিভাবে প্রমান করবেন ?
আমি অনেকের লেখায় পড়েছি রাজিবকে নাস্তিক প্রমানের জন্য অন্যরা বা জামাতের লোকেরা এগুল তার নামে সাজিয়েছে !
মুসাফির ভাই, আমি এম_আহমদ। একটি পুরানো লেখা আপনাদের ওখানে পোস্ট করেছি, তবে তা পেন্ডিং হয়ে আছে, কেউ হয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না। একটু দেখবেন।