শ্রমিকের নিরাপত্ত্বার পাশাপাশি মালিকরাও নিরাপত্তা পাক
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬ (১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ)
কথা বলছিলাম টেম্পাকো ফয়েল অগ্নিকান্ড নিয়ে, এতজন শ্রমিকের মৃত্যুতে অন্যদের মতো আমিও শোকাহত। শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।
কিন্ত আমার প্রশ্ন হলো এভাবে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই সরাসরি মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়, তাহলে বাংলাদেশের শিল্পের ভবিষ্যত কি হবে? কোন ভরসায় একজন শিল্পপতি শিল্প উদ্দোক্তা হবেন? আমার ধারনা মতে একজন শিল্পপতির এতটুকু নিজের সম্পত্তি থাকে যে টুকু কোনো ব্যাংকে রেখে দিলে প্রফিট দিয়েই তার ফ্যামিলি সহ অন্যরা আঢ়ম্বরপূর্ণ জীবন কাটাতে পারবেন।
একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়, তাদের পরিবারের ভরনপোষনের ব্যবস্থা হয়। অন্যদের মতো আমিও জোরালোভাবে চাই শ্রমিকের অধিকার আরো দৃঢ় হোক। আমার জনা অনেক কোম্পানী শ্রমিকের বেতন ভাতা মাসের শুরুতেই প্রদান করে। যে তাজরিন গার্মেন্টস অগ্নি কান্ডের ফলে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আমরা এতো কথা বলেছি, সেই তাজরিন গার্মেন্টস ও নাকি তাদের শ্রমিকের বেতন বোনাস মাসের ১ তারিখেই প্রদান করত।
মালিক পক্ষের অবহেলায় যদি শ্রমিকের প্রাণ যায়/ ক্ষতি হয়, তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিত কিন্ত দুর্ঘটনা বশত যদি এক্সিডেন্ট হয় তাহলে মালিক হয়রানি বন্ধ করা হোক। একজন শিল্প উদ্দোক্তার তিল তিল করে গড়ে উঠা কারখানা কোন অবস্থায়ই তার জানা মতে তিনি ক্ষতি হতে দেবেন না। তার পরও যখন কোনো এক্সিডেন্ড এ তার সমস্ত স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় তখন তার মনের অবস্থাটা কি আমরা একটু অনুধাবন করতে পারি? (আমার মতে) আমাদের সকলের তার পাশে দাড়ানো উচিৎ, তাকে শান্তনা দেয়া উচিৎ, ভবিষ্যতে যেন আরো শক্তিশালি অবকাঠামো দিয়ে তার শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারে, ভূমিকা রাখতে পারে দেশের বেকারত্ব নিরসনে।
এদেশের শিল্প হোক সারা বিশ্বের কাছে মডেল। শ্রমিক ও মালিকরা পাক নিরাপত্ত্বা ও ন্যায্য অধিকার