গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের জালে মোহন গঞ্জের ৩৬ জন ভিক্ষুক
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ শুক্রবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১০ (৪:০৬ অপরাহ্ণ)
দৈনিক আমাদের সময় ৯ডিসেম্বর পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে নেত্রকোনার মোহন গঞ্জ উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখা থেকে দারিদ্র দূর করতে ৩৬ সংগ্রামী সদস্যকে (ভিক্ষুক) ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছিল। তাদের একজন বিবি আয়েশা (৭০)। উপজেলার ১নং বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কচুয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তাকে ভিক্ষাবৃতি সরিয়ে আনতে এবং অর্থনৈতিক মুক্তির সপ্ন দেখিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ৫শ টাকা ঋণ দেয়। কিন্তু তিনি জানান ঋণে তার কোন উপকার হয়নি। তিনি আর জানান ‘কিস্তির চিন্তায় অহন রাইতে ঘুম আয়ে না’। প্রতি মঙ্গলবার তাকে কিস্তি দিতে হয়। ভিক্ষুক বিবি আয়েশা বলেন,‘বাবা, নিজে ভিক্ষা কইরা খাইতে পাই না কিস্তি দিমু কেমনে?’ গ্রামীণ ব্যাংকের কচুয়ারচর কেন্দ্রের সভানেত্রী জাহানারা বেগম কিস্তি আদায়ের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের সংগ্রামী সদস্য হিসেবে চিন্তিত শান্তি, পারুল, মোমিন, মিলনা, জজের মা সহ ৩৬ জন ঋণের কিস্তির ভয়ে প্রায়শই ঘরছাড়া অবস্থান করেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
কিছু পর্যালোচনা:
ব্যবসাকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন হালাল করে দিয়েছেন, আর সূদ কে করেছেন হারাম। ব্যবসার মাধ্যমে ধনীরও অভাব দূর হয় গবীবেরও অভাব দূর হয়। যেমন দরীদ্র কৃষকের টাকার অভাব, আবার ধনী বক্তির খাদ্যের জন্য চালের অভাব, এক্ষেত্রে চাল বেচাকেনার মাধ্যমে উভয়ের অভাবই দূর হবে। প্রক্ষান্তরে সূদের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি আরও ধনী হয় আর দরিদ্র ব্যক্তি হয় নি:স্ব। কিন্তু ড. ইউনুছ সাহেব গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রামে গঞ্জে সূদ ছড়িয়ে দিয়ে একদিকে দেখিয়েছেন ইসলামের বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি, অপরদিকে গ্রাম গঞ্জের দরিদ্র মানুষদেরকে করতেছেন নি:স্ব। যার অসংখ্য প্রমান পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রতিবেদনে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের কবলে পড়ে বহু পরিবার হয়েছে বসত ভিটা ছাড়া। উল্লেখিত প্রতিবেদনের দিকে লক্ষ্য করলে বিবেকবানদের বুঝতে সমস্যা হবেনা যে কি করে তারা বাংলার দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে ধোকা দিচ্ছে। মাত্র ৫০০টাকা ঋণ দিয়ে তাদেরকে নাম দেয়া হয়েছে ‘সংগ্রামী সদস্য’ তাদের কে দেখানো হয়েছে অর্থনেতিক মুক্তির স্বপ্ন। যা দেখে সে গ্রামের (কচুয়ারচর) বাসিন্দা মো: সাইদুর বলেন ’৫শ টাকায় দারিদ্র দূর করা অসম্ভব ব্যাপার। শুধু শুধু ভিক্ষুকদের কাঁধে ঋণের বোঝা বাড়ানো হল’। পরিশেষে বলব আমার মনে হয় ড.ইউনূছ সাহেবের গ্রামীণ ব্যাংক এদেশের দরিদ্র মুসলিম মহীলাদের রাস্তায় নামানো, ও দরিদ্রদের নি:স্ব করা ব্যতিত এদেশের জনগনের তেমন কোন উপকার করতে পারেনি।
সূদের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি আরও ধনী হয় আর দরিদ্র ব্যক্তি হয় নি:স্ব।