নবীগন কবরে স্বশরীরে জীবিত manwithamission ভাইকে উৎসর্গিত।
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১ (৩:২২ অপরাহ্ণ)
নবীগণ কবরে স্বশীরে জীবিত, তা ছহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। কুরআনে এ সম্পর্কে সরাসরি এমন কোন আয়াত নেই, তবে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন।
وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاء عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ সুরা আল ইমরান আয়াত: ১৬৯
আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ
সুরা বাকারা আয়াত: ১৫৪
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
আর নবীগণ যেহেতু শহীদগণ থেকে আরো উচ্চ মর্যাদার অধিকারী সেহেতু এই আয়াত দ্বারা নবীগণও জীবিত থাকা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়।
তাকমেলা শরহে মুসলিম খন্ড নং৫ পৃষ্টা: ২৮।
নাইলুল আওতার খন্ড ৩ পৃষ্টা: ৮০।
বরং বরযখের এই জীবিত থাকার ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা শক্তি সম্পন্ন হলো নবীগণ অত:পর শহীদগণ।
মাআরেফুল কোরআন পৃষ্ঠা: ৮০।
২। হাদীসে বর্ণিত আছে,
عن أنس رض قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الانباء احياء في قبورهم
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণীত হুজুর সাঃ ইরশাদ করেন নবীগণ নিজ নিজ কবরে জীবিত।
মুসনাদে আবু ইয়ালা খন্ড:৩ পৃষ্ঠা৩৭৯ হাদীস নং ৩৪১২ (ছহীহ) হাইছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ২১১।
৩। হযরত আওছ ইবনে আওছ রা: সূত্রে বর্ণীত রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন তোমরা বেশী বেশী আমার উপর দরূদ পাঠ কর কেননা তোরাদের দরূদ আমার কিট পেশ করা হয়। ছাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল আমাদের দরূদ আপনার কিভাবে পেশ করা হবে? আপনিতো (দুনিয়া থেকে বিদায় নেবার পর) মাটির সাথে মিশে যাবেন। অতপর রাসূল সাঃ উত্তরে বললেন: আল্লাহ তায়ালা মাটির জন্য নবীগণের শরীর হারাম করে দিয়েছেন।
ইবনে মাযাহ শরীফ খন্ড: ২ পৃষ্ঠা ২৯১ হাদীস নং ১৬৩৭
৪। হযরত আবু দারদা রাঃ থেকে বর্ণীত রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন যে কেহ আমার উপর দরূদ পাঠ করে, সে তার দরূদ পাঠ করা থেকে ফারেগ হওয়ার সাথে সাথেই আমার কিট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন: আমি হুজুর সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম: মৃত্যুর পরেও? হুজুর সাঃ বললেন মৃত্যুর পরেও, কেননা আল্লাহ তায়ালা মাটির জন্য নবীগনের শরীর ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর নবীগণ জীবিত ও রিযিক প্রাপ্ত।
মুছনাদে আহমদ খন্ড: ৪ পৃষ্ঠা ৮ হাদীস নং ১৬১৬২
৫। হযরত আবু হুরায়রা রাঃ সূত্রে বর্ণীত রাসূল সাঃ বলেন: যে কেহ আমার উপর সালাম পাঠ করে আমি তার সালামের উত্তর দেই। কেননা আমি জীবিত, সালামের প্রতিউত্তর দিতে সক্ষম। আবু দাউদ শরীফ, খন্ড: ১ পৃষ্ঠা৩৯১ হাদীস:২০৪১।
৬। হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণীত রাসূল সাঃ বলেন: মেরাজের রাত্রিতে আমি মুসা আঃ এর কবরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন মুছা আঃ নিজের কবরে নামাজ রত ছিলেন।
মুসলিম শরীফ খন্ড: ৪ পৃষ্ঠা: ১৮৪৫ হাদীস নং ২৩৭৫
উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা একথা প্রমানিত হয় যে নবীগণ কবরে স্বশরীরে জীবিত। সালাম শুনা সালামের উত্তর দেয়া সহ অন্যান্য ইবাদত করতে তারা সক্ষম। তবে তাদের এ জীবিত থাকা সর্বক্ষেত্রে দুনিয়ার জীবনের মত নয়। দুনিয়ার যিন্দেগীর মত খানা পিনার প্রয়োজন হয়না। বরং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কুদরতী রিযিকের ব্যবস্তা করা হয়।
তাকমেলা শরহে মুসলিম খন্ড ৫ পৃষ্ঠা নং৩০
আওনুল মাবুদ খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ২৩১
মেরকাত খন্ড:৩ পৃষ্ঠা ৪১৫।
الله أعلم بالصواب
Ma-sha-Allah. Beautiful writing. Thankyou.
@hafes_alamin, you are welcome.
জাযাকাল্লাহ, খুব সুন্দর হয়েছে । আল্লাহ্ পাক আপনাকে কবুল করুন । (আমিন)
সূরা বাকারা ১৫৪নং আয়াত ও সূরা আল ইমরানের ১৬৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির এর তফসিরে
সুন্দর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দয়া করে সবাই পড়ে নিবেন। http://www.islamiboi.wordpress.com থেকে
pdf formate এ download করে নিতে পারবেন। তাহলে এই ‘জীবিত’ কথার আসল মানে বুঝা যাবে।
সংক্ষেপে: যারা আল্লাহর রাহে শহীদ তাদের আত্ত্বাকে বেহেস্তের সবুজ পাখীর শরীরে রাখা আছে এবং তারা
ইচ্ছেমত সেখানে বিচরণ করছেন।এই জন্যই তাঁদেরকে এখনও জীবিকাপ্রাপ্ত বলা হয়। কিয়ামতের দিনে
তাঁদেরকে (আত্ত্বাকে)পাখীর শরীর থেকে বের করে নিজের নিজের শরীরে রাখা হবে।
@Mujibur Rahman,
বেহেস্তে যারা যাবে সবাই ইচ্ছেমত সেখানে বিচরণ করবে ও জীবিকাপ্রাপ্ত হবে এর জন্য কোরআনে
বলার প্রয়োজন ছিলনা কারন তা সাভাবিক কিন্তু মারা যাবার পর কবরে জীবিকা পাওয়া বা
খাওয়া সাভাবিক নয় তাই কোরআনে বলা হয়েছে
আল্লাহ ভাল যানেন..। ধন্যবাদ সবাইকে
@jaran, আপনাকে ধন্যবাদ সহমত।
// কুরআনে এ সম্পর্কে সরাসরি এমন কোন আয়াত নেই// – মিথ্যা কথা।
“And We granted not to any human being immortality before you (O Muhammad); then if you die, would they live forever?” [al-Anbiya’ 21:34]
“Whatsoever is on it (the earth) will perish. And the Face of your Lord full of Majesty and Honour will remain forever”
[al-Rahmaan 55:26,27]
“Verily, you (O Muhammad) will die, and verily, they (too) will die” [al-Zumar 39:30]
@আবু আনাস, আপনাকে ধন্যবাদ। উপরোক্ত আয়াত গুলি রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়া বুঝায়। এ গুলি তো অপ্রাসঙ্গিক টেনেছেন, কেননা আমি কোথাও বলিনি যে রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেননি। আমার কথা হল রাসূল (সাঃ) কবরে স্বশরীরে জিন্দা। যে গুলি উপরোক্ত হাদীস সমুহ ও কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। আপনি কিসের মাঝে কি বললেন! তাও আবার অন্য একজনকে মিথ্যা প্রমাণিত করার অদ্ভুত চেষ্টা! ভবিষ্যতে বাংলায় মন্তব্য করবেন বলে আশা করি। আবাও ধন্যবাদ।
The Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) died and was buried in his grave, hence al-Siddeeq Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) said: “Whoever used to worship Muhammad, Muhammad has died, but whoever used to worship Allaah, Allaah is alive and will never die.”
@আবু আনাস, আপনাকে ধন্যবাদ। সিদ্দীকে আকবর এর উপরোক্ত কথা গুলি রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়া বুঝায়। এ গুলি তো অপ্রাসঙ্গিক টেনেছেন, কেননা আমি কোথাও বলিনি যে রাসূল (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেননি। আমার কথা হল রাসূল (সাঃ) কবরে স্বশরীরে জিন্দা। যে গুলি উপরোক্ত হাদীস সমুহ ও কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। আপনি কিসের মাঝে কি বললেন! তাও আবার অন্য একজনকে মিথ্যা প্রমাণিত করার অদ্ভুত চেষ্টা! ভবিষ্যতে বাংলায় মন্তব্য করবেন বলে আশা করি। আবাও ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। নবী আঃগণ জীবিত ও শহীদগণ জীবিত এই তথ্য পেশের মাধ্যমে আপনি কি তথ্য পেশ করতে চাচ্ছেন?
Question:21524
Some people believe that the Prophet Muhamamd [(peace and blessings of Allaah be upon him)] is “Shaheed” and is in BArzakh where he can hear us if we send ‘darood’ on him and also if we ask his ‘wasta’ [by virtue of his closeness to Allah]in praying to God.
Answer:
Praise be to Allaah.
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) is alive in his grave in the sense of the life of al-barzakh, so he enjoys the blessings that Allaah has prepared for him as a reward for his great good actions that he did in this world. But the life in the grave is not like the life of this world, or the life in the Hereafter. Rather it is the life of al-barzakh which comes in between his life in this world and his life in the Hereafter. Hence we know that he died as other Prophets and other people before him died. Allaah says (interpretation of the meaning):
“And We granted not to any human being immortality before you (O Muhammad); then if you die, would they live forever?”
[al-Anbiya’ 21:34]
“Whatsoever is on it (the earth) will perish.
And the Face of your Lord full of Majesty and Honour will remain forever”
[al-Rahmaan 55:26,27]
“Verily, you (O Muhammad) will die, and verily, they (too) will die”
[al-Zumar 39:30]
And there are other verses which also indicate that Allaah caused him to die. Moreover, the Sahaabah (may Allaah be pleased with them) washed him, shrouded him, offered the funeral prayer for him and buried him; if he had been alive in the worldly sense, they would not have done the same as is done for others who die.
Faatimah (may Allaah be pleased with her) asked Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) for her inheritance from her father (peace and blessings of Allaah be upon him) because she was convinced that he had died, and no one among the Sahaabah (may Allaah be pleased with them) differed with her concerning that. Rather Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) responded to her request by saying that nothing could be inherited from the Prophets.
The Sahaabah agreed unanimously to choose a khaleefah for the Muslims to succeed the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), and that was done with the appointment of Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) as khaleefah. If the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) had been alive in a worldly sense, they would not have done that. So this indicates that there was consensus among them that he had indeed died.
When the tribulations (fitan) and problems increased during the time of ‘Uthmaan and ‘Ali (may Allaah be pleased with them both), and before and after that, they did not go to his grave to consult him or ask him for a way out of those tribulations and problems, or the way to solve them. If he had been alive in a worldly sense, they would not have overlooked that when they were in such great need of someone to save them from the trials that surrounded them.
With regard to the soul of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), it is in the highest part of ‘Illiyyeen, because he is the best of creation, and because Allaah has given him al-waseelah which is the highest position in Paradise.
The life of al-barzakh is a special life. The Prophets and the shuhada’ (martyrs) are alive in al-barzakh as the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “The Prophets are alive and they pray in their graves.” (Narrated by al-Mundhiri and al-Bayhaqi who classed it as saheeh because of corroborating reports in al-Saheehayn.)
Allaah says (interpretation of the meaning):
“And say not of those who are killed in the way of Allaah, ‘They are dead.’ Nay, they are living, but you perceive (it) not”
[al-Baqarah 2:154]
This is a special life, the nature of which is known to Allaah. It is not like the life of this world in which the soul remains with the body.
The basic principle concerning the dead is that they do not hear the words of the living sons of Adam, because Allaah says (interpretation of the meaning):
“but you cannot make hear those who are in graves”
[Faatir 35:22]
Allaah confirmed that those whom he (the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)) was calling to Islam could not hear, by likening them to the dead. There is nothing in the Qur’aan or in the saheeh Sunnah to indicate that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) can hear every du’aa’ or call from human beings. Rather it is proven that the only thing that reaches him (peace and blessings of Allaah be upon him) is the blessings and salaams of those who send blessings and salaams upon him. This was narrated by Abu Dawood, 2041, with a hasan isnaad from Abu Hurayrah (may Allaah be pleased with him) who said that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “There is no one who sends salaams upon me but Allaah will restore to me my soul so that I may return his salaams.” This does not mean that he hears the words of the one who sends salaams. Rather it is possible that he comes to know of those salaams when the angels convey that to him. If we assume that he hears the words of the one who sends salaams, this is an exception from the general rule, as in the case of the dead hearing the footsteps of those who carry his bier, and as in the case of the slain kuffaar in the well at Badr who heard the call of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) when he said to them: “Have you found your Lord’s promise to be true? For we have found our Lord’s promise to be true.” (See Fataawa al-Lajnah al-Daa’imah, 1/313, 318, 321).
With regard to calling upon the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and asking him directly, this is the essence of shirk which the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) was sent to forbid and to fight against its people. For more details on the ruling on that, see Question no. 10289, 11402, 1439. We ask Allaah to bring the Muslims back to the right path. And Allaah knows best. May Allaah send blessings and peace upon his Prophet Muhammad and his family and companions.
Sheikh Muhammed Salih Al-Munajjid