জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর কুরআন হাদীস রিরুধী ধারা সমুহ।(3)
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ বুধবার, এপ্রিল ২০, ২০১১ (১১:৪২ পূর্বাহ্ণ)
১৭.১ “মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সকল ক্ষেত্রে যেমন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ যে সমঅধিকারী তার স্বীকৃতি স্বরূপ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা।
এই ধারাটির পর্যালোচনা ১৬.১২ ধারার সাথে করা হয়েছে দেখুন
আলেম গণ ধারাটি নিম্নোক্তভাবে সংশোদিত হবে বলে মতামত দিয়েছেন।
মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সকল ক্ষেত্রে যেমন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নারী ও পুরুষের যে ন্যায্য অধিকার রয়েছে তার স্বীকৃতি সরূপ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা।
ধারা নং ১৭.২ “নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সনদ (CEDAW) এর প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
পর্যালোচনা:
Convention of the Elimination of all forms of Discrimination Against Women (CEDAW)
শীর্ষক আন্তর্জাতিক সনদ এর অনেক ধারা মুসলিম উম্মাহর বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতি বিরোধী। বিগত সরকার সমুহ এ সনদের আপত্তিকর ধারাসমূহের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট আপত্তি যোগসহ তাতে স্বাক্ষর করেছেন। পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, আলোচ্য “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি” উপরোক্ত সনদের আলোকেই প্রণয়ন করা হয়েছে।
উক্ত ধারাটিতে সরাসরি “সিডও” বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসলামী ক্ষেত্রে ইসলাম বিরুধী সেক্যুলার ও পশ্চিমা সভ্যতা সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে রচিত।
উল্লেখ্য “সিডও” সনদের আর্টিক্যাল নং ২ এর মূল বিষয় হলো জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতার বিধান প্রতিষ্টা করা এবং সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বৈষম্যমূলক নিয়মনীতির বিলোপ সাধন। গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় নারীনীতি মালা ২০০৮ এর মত ২০১১ তেও প্রায় সব ক্ষেত্রে “সিডও” ২ নং আর্টিক্যালকে সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ ও বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন বর্তমান নীতিমালায়।
১। ১৬.১ এ বলা হয়েছে। “বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রীয় ও গণ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্টা করা।”
২। নারী পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করা”
৩। রাজনীতি, প্রশাসন, ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে, আর্থ-সামাজিক কর্ম কান্ড, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এবং পারিবারিক জীবনের সর্বত্র নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্টা।
৪। ১৭.১ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সকল ক্ষেত্রে যেমন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ যে সমঅধিকারী তার স্বীকৃতি স্বরূপ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা। সহ আরোও অনেক ধারা উপধারায় “সিডও” কে সুকৌশলে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই নারী নীতিমালার দ্বারা কুরআনের সুস্পষ্ট ও সুনির্ধারিত উত্তরাধিকার বন্টনের আইনকে নীতিগতভাবে বাতিল করার পায়তারা করা হয়েছে । কেননা সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার, সমানঅধিকার প্রতিষ্টা এবং সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ বাক্যের মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত উত্তরাধিকারী আইনও যে অন্তর্ভূক্ত তাতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোন অবকাশ নেই। যা আল কুরআনের সূরায়ে নিসার ১১, ১২, ১৩, ১৪, ও ৩৮ নং আয়াত এর বিরুধী। (এ ব্যাপারে বিস্তারিত আরও সামনে আলোচনা হবে।)
প্রস্তাব: আলেমগণ উক্ত ১৭.২ ধারাটিকে সম্পোর্ণ রূপে বিলোপ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। (চলবে)
১ম পোষ্ট দেখুন।
বাংলাদেশ সিডও সাক্ষর করেছে ধারা ২ সংরক্ষণ রেখেই, কুরআন ও সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক বলেই। সেটা এখনো বলবৎ আছে।
@নাজনীন, তাহলে ধারা ১৭.২ কি বলা হল? “নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সনদ (CEDAW) এর প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। এখানে বলা হয়নি ধারা ২ নং সংরক্ষিত। বরং ডালাও ভাবে বলা হয়েছে (CEDAW) এর প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। আশা করি বুঝেছেন।
http://www.mowca.gov.bd
আপনি নিজে কি নারীনীতিটি পুরোপুরি পড়েছেন? না পড়ে থাকলে ১ম লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে পড়ে নিন, সেখানে নারীনীতির ধারাগুলো বলার আগেই সিডও নিয়ে বলা আছে, এবং বাংলাদেশ এর কোন কোন ধারা সংরক্ষিত রেখে সাক্ষর করেছে তাও বলা আছে.
http://www.un.org/womenwatch/daw/cedaw/reservations.htm
এছাড়া আপনি উপরের এই লিঙ্কে গিয়ে আর সব মুসলিম দেশ সিডওর কোন কোন ধারা সংরক্ষণ করেছে তাও জানতে পারবেন.
@নাজনীন, সময় করে পড়ব। ধন্যবাদ।
[...] ১ম পোষ্ট দেখুন। সূত্র http://www.peaceinislam.com মূল লেখক: মুফতী [...]