ইসলামহাউজের প্রবন্ধে “মনগড়া” হাদিস কেন ?
লিখেছেন: ' মুসলিম' @ সোমবার, মার্চ ৮, ২০১০ (১০:৪০ অপরাহ্ণ)
বিসমিল্লাহ।
ইসলামহাউজ ডট কমে মহিলাদের নিয়ে একটা লেখা ছাপা হয়েছে — “মুসলিম নারীর অবশ্যই পালনীয় কতিপয় আমল” নামে। এতে কিছু ভাল কথা আছে, এবং আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন। আবার কিছু বাড়াবাড়ি কথাও লেখা আছে।
একস্হানে বলা হয়েছে,
“ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রশ্ন করলেন মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম গুণ কনটি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন:
لايرين الرجال ولايرون هن
তারা পুরুষদের দেখবে না, আর পুরুষরাও তাদের দেখতে পাবে না। ”
এই হাদিসের (?) সপক্ষে লেখক কোন দলিল উল্লেখ করা থেকে বিরত রয়েছেন, যদিও প্রবন্ধের অন্য কয়েকটি হাদিসে তিনি ঠিক-ই দলিল উল্লেখ করেছেন। এর রহস্য কোথায়?
“রাসুলের (সা.) যুগে নারী স্বাধীনতা” বইটিতে স্পষ্টভাবে এই হাদিসকে “মনগড়া এবং স্বীকৃত ও নির্ভরযোগ্য কোন হাদীস গ্রন্থেই লিপিবদ্ধ নয়” বলে উল্লেখ করা আছে। আরো বলা হয়েছে “এ হাদীস কুরআন ও হাদীসের বহুল প্রচারিত বুনিয়াদী শিক্ষা এবং রসূল (সা:) ও খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের পরিপন্থী। নারী শিক্ষাকে হারাম করার জন্য হাদীস জালকারীগণ সুপরিকল্পিতভাবে এ হাদীসটি রচনা করেছেন। আর কুচক্রী মহল মুসলিম নারীদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা না করার অজুহাত হিসেবে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে একে ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে মুসলিম নারীদের মসজিদে জামায়াতের সাথে নামায পড়াও হারাম বলে আখ্যায়িত করেছে এবং ধর্মীয় ও সমাজ জীবনের সর্বত্রে থেকে তাদেরকে আলাদা রেখে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।”
ইসলামহাউজে প্রতিবাদ পাঠানোর সুযোগ থাকলে সেখানেই লিখতাম, কিন্ত “পাঠকের প্রতিক্রিয়া” জাতীয় কোন কিছু সেখানে দেখলামনা, তাই এখানেই লিখতে হলো।
আরও অনেক কিছুই লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্বল্পজ্ঞানী মানুষ হিসাবে আল্লাহকে ভয় করে বেশী কথা বলা থেকে বিরত থাকলাম। হে আল্লাহ, আমার নিয়ত কী – তা তুমি নিশ্চয়ই জান !!
“রাসুলের (সা.) যুগে নারী স্বাধীনতা” বইটিতে স্পষ্টভাবে এই হাদিসকে “মনগড়া এবং স্বীকৃত ও নির্ভরযোগ্য কোন হাদীস গ্রন্থেই লিপিবদ্ধ নয়” বলে উল্লেখ করা আছে
মুসলিম ভাই, এই বইতে উল্লেখ আছে তাই বলে এদের বক্তব্যই সঠিক সেটাও এত তাড়াতাড়ি বলা যাচ্ছে না । “রাসুলের (সা.) যুগে নারী স্বাধীনতা” বইটিতে অনেক চেষ্টা করে প্রমান করা হয়েছে মহিলাদের মুখ না ঢাকলেও হয় , এটা পর্দার মধ্যে পড়ে না । অথচ কথাটা ভুল ।
আরো বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের বই পড়ে আমার যেটা মনে হয়েছে , তা হলো মহিলাদের মুখ বা চেহারা পর্দার মধ্যে পড়ে । সাহাবীদের সময় , তাবেয়ী , এবং পরবর্তিকালে সবসময় মহিলারা মুখ ঢেকে রাখতেন । এটা ভিন্ন বিষয় এবং পরবর্তিতে আলোচনা করা যাবে।
আমার বক্তব্য হলো বইটি কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটা বিবেচনার দাবী রাখে ।
@হাফিজ,
নিকাবের উপর আপনি একটি লিংক দিয়েছিলেন আরো কয়েকদিন আগে। আমি অনুবাদ করে দেব বলেছিলাম। কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছিনা। যদি মনে থাকে তাহলে এখানে একটু দেবেন। সেদিন সময়ের অভাবে ভালো ভাবে পড়তে পারিনি। ধন্যবাদ।
@দ্য মুসলিম,
http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=0d243c005780c9c2862495adbbc85ff4
সত্য অন্বেষনকারীদের জন্য এই একটি আর্টিকেলই যথেষ্ঠ ।
@হাফিজ,
সালাম হাফিজ ভাই।নীচে জবাব দিয়েছি।
আর একটি কথা
“ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রশ্ন করলেন মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম গুণ কনটি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন:
لايرين الرجال ولايرون هن
তারা পুরুষদের দেখবে না, আর পুরুষরাও তাদের দেখতে পাবে না। ”
এই হাদিসটা সহিহ কিনা জানিনা। তবে এই বক্তব্য অন্যান্য হাদিস শরীফের সাথে সাংঘর্ষিক নয় । অন্য হাদিস শরীফে বলা আছে যার মুল বক্তব্য হোলো কেউ গায়রে মাহরেমের দিকে তাকাতে পারবে না । আপনি বোধহয় উম্মে মাকতুম (রা:) এর সেই বিখ্যাত হাদিসটি খেয়াল থাকবে , যেখানে উম্মুল মুমিনদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উম্মে মাকতুম (রা:) কে দেখতে নিষেধ করেছিলেন ।
@হাফিজ,
আমি এখন কোন মন্তব্য করতে পারবো না। কারন বিষয় ক্লিয়ার না। কঠিন ভাষায় একটি জিনিস বলতে চাই, কোন বিষয় হাদিসে না থাকলে, তার অর্থগত দিকে যতই, সুন্নাহ কাছা কাছি হোক না কেন কারো অধিকার নেই তা হাদিস বলে চালিয়ে নেওয়া, বিষয়টি অত্যান্ত কঠিন এবং ভয়ংকর, রাসূল সঃ যে ক্ষেত্রে যে ওয়ার্ড ব্যাবহার করেছেন, ঐ ক্ষেত্রে সম্পূর্ন ঐ শব্দ-ই ব্যাবহার করতে হবে কোন সিনোনিম ব্যাবহার করা যাবে না। এটি অত্যান্ত স্পর্শকাতর।
হাফিজ ভাই, ধৈর্য ধরে কথা বললে ভাল হয়। আল্লাহ পাক আমাকে মাফ করুন, আমি যা ভয় করতে ছিলাম তাই কিন্তু ঘটছে, আশা করি মুসলিম ভাইকেও ঐ দিকে পাঠাইবেন না। ধৈর্যর কোন বিকল্প নেই। যদিও আমিও একই ভুল করি।
@ফুয়াদ,
হাফিজ ভাই, ধৈর্য ধরে কথা বললে ভাল হয়। আল্লাহ পাক আমাকে মাফ করুন, আমি যা ভয় করতে ছিলাম তাই কিন্তু ঘটছে, আশা করি মুসলিম ভাইকেও ঐ দিকে পাঠাইবেন না। ধৈর্যর কোন বিকল্প নেই। যদিও আমিও একই ভুল করি।
ফুয়াদ ভাই, আপনার বক্তব্য আমার কাছে পরিস্কার না । কিসে ভয় পাচ্ছেন ?
@ফুয়াদ,
কঠিন ভাষায় একটি জিনিস বলতে চাই, কোন বিষয় হাদিসে না থাকলে, তার অর্থগত দিকে যতই, সুন্নাহ কাছা কাছি হোক না কেন কারো অধিকার নেই তা হাদিস বলে চালিয়ে নেওয়া, বিষয়টি অত্যান্ত কঠিন এবং ভয়ংকর, রাসূল সঃ যে ক্ষেত্রে যে ওয়ার্ড ব্যাবহার করেছেন, ঐ ক্ষেত্রে সম্পূর্ন ঐ শব্দ-ই ব্যাবহার করতে হবে কোন সিনোনিম ব্যাবহার করা যাবে না। এটি অত্যান্ত স্পর্শকাতর।
এটা তো অবশ্যই সত্য , যেটা হাদিস না সেটাকে কোনো ক্রমেই হাদিস বলে চালানো যাবে না । হাদিসকে অস্বীকার করা আর যেটা হাদিস না সেটাকে হাদিস বলে চালিয়ে নেয়া দুটোই কঠিন গোনাহের কাজ ।
@হাফিজ,
এই হাদিসটি গত দুই-তিন দিন আগেই কোথায় যেন পড়েছিলাম। কোন আর্টিকেলে বা অন্য কোথায়। পোষ্টটি পড়ার পর, সেখানে হয়তো রেফারেন্স দিয়ে থাকবে এই আশায় অনেক খুঁজলাম। কিন্তু ঠিক কোন বইতে পড়েছি তা মনে করতে পারছিনা।
আমি জানি আমার হাদিস পড়া এর সনদের পক্ষে কোন দলিল নয়, তারপরও শেয়ার করলাম।
@দ্য মুসলিম,
আমি বুখারি শরীফে যা পেয়ে ছিলাম তা নিচের হাদিসের সাথে মিলে না,
“কোনক্রমেই নারীরা পুরুষদের প্রতি তাকাতে পারবে না এবং কোন পুরুষও নারীর প্রতি দৃষ্টি নিপে করতে পারবে না।” আর রসূল (সা:) এ হাদীসটিকে এভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তিনি তাঁর কন্যাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, পিতা এবং সন্তানেরা যেহেতু পরস্পর পরস্পরের বংশোদ্ভুত, তাই তারা একে অপরকে দেখতে পারবে।
তবে বল্ড হরফে আমি যে অংশ দিয়েছি, তার নিকটবর্তী (তবুও বেশ, বেশকম আছে) একটি হাদিস দেখেছিলাম।
অতএব, দলিল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। যেহেতু লেখকের মতে
সেহেতু তারা না বুঝে এই কথা লেখে নি।
@ফুয়াদ,
একটি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করি।
আমি শুনেছিলাম যে, বইটি নাকি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। বইটির লিখক কে? কে বা কারা নিষিদ্ধ করেছিলো, এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবেন কি?
@ফুয়াদ,
হাদিসটি আমি কয়েকবার কয়েকটি বইতে পড়েছিলাম। একটি মনে আছে যে, ইমাম আযযাহাবী রঃ এর কবিরা গুনাহ নামক বইতে পড়েছিলাম মনে হয়। কিন্তু বইটি বর্তমানে আমার কাছে নেই। গত দুইদিন আগেও পড়েছিলাম, কিন্তু মনে করতে পারছিনা ঠিক কোথায় পড়েছি। সেহেতু না জেনে এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করছিনা, আর করা উচিত ও হবেনা। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
সালাম ফুয়াদ ভাই।
নাহ, আমার মাথা ঠান্ডা, আমি পড়াশোনা করেই পোস্ট লিখি। ভিন্নমতে সহজে বিচলিত হইনা। কেউ আমাকে “ঐদিকে পাঠাতে” পারবেনা
নীচে কিছু উত্তর দিয়েছি। আপনার মত আশা করছি।
@মুসলিম,
পেজের একদম নিচের অংশে যোগাযোগ করার লিংক দেয়া আছে। ঐ লিংক ব্যবহার করে যোগাযোগ করতে পারেন। তারপরও আমি এখানে লিংকটি দিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ।
কনটাক্ট ফর্ম।
@দ্য মুসলিম, ধন্যবাদ ভাই।
হাফিজ ভাই,
নেকাব নিয়ে তর্ক করার কোন ইচ্ছা আমার নেই, এই তর্কতো দেড় হাযার বছরের পুরোনো, নতুন আর কীইবা বলার আছে? আপনি আমার চেয়ে জ্ঞানী। আমি নিশ্চিত যে আপনি জানেন হানাফি মাদ্বহাবে, মহিলাদের মুখমণ্ডল ও হাতের পাঞ্জা এমনকি পায়ের পাতা আওরাহ-র অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং পুরনো বিষয় নিয়ে আর কাদা ঘাঁটাঘাঁটি নাই বা করলাম।
এব্যাপারে কেউ যদি সালাফি আলেম শেখ আলবানীর “নেকাব বাধ্যতামূলক নয়” লেখাটি পড়েন তাহলে দেখবেন তিনি কীভাবে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট নেকাবকে ফরজ বলার দাবীকে বাতিল করেছেন। কেউ যদি আরো পড়তে চান, তাহলে শেখ আহমাদ কুট্টির একটা লেখা পড়ুন।
হাফিজ ভাই,
আপনি কি ঐ হাদিসটির সাথে পরিচিত, যেখানে বলা হয়েছে হাবশীরা খেলছিল আর আয়েশা (রা.) তাদের খেলা দেখছিলেন, খোদ রাসুলের উপস্থিতিতে ?এর পরেও আমরা বলবো পুরুষের দিকে তাকানো হারাম ????
Sahih Bukhari :Volume 2, Book 15, Number 70:
Narrated Aisha:
Allah’s Apostle (p.b.u.h) came to my house while two girls were singing beside me the songs of Buath (a story about the war between the two tribes of the Ansar, the Khazraj and the Aus, before Islam). The Prophet (p.b.u.h) lay down and turned his face to the other side. Then Abu Bakr came and spoke to me harshly saying, “Musical instruments of Satan near the Prophet (p.b.u.h) ?” Allah’s Apostle (p.b.u.h) turned his face towards him and said, “Leave them.” When Abu Bakr became inattentive, I signalled to those girls to go out and they left. It was the day of ‘Id, and the Black people were playing with shields and spears; so either I requested the Prophet (p.b.u.h) or he asked me whether I would like to see the display. I replied in the affirmative. Then the Prophet (p.b.u.h) made me stand behind him and my cheek was touching his cheek and he was saying, “Carry on! O Bani Arfida,” till I got tired. The Prophet (p.b.u.h) asked me, “Are you satisfied (Is that sufficient for you)?” I replied in the affirmative and he told me to leave
হাফিজ ভাই,
আপনি উম্ম মকতুম (রা.) এর যে হাদিসটির কথা বলেছেন তা সকলের বিবেচনায় সহীহ নয়, এই হাদিস বর্ণনা করেছেন ‘নাবহান’ নামের একজন দাস, যার নামটিকে ইমাম আয-যাহাবী দুর্বল বর্ণনাকারীদের ব্যাপারে লিখিত বই আল-মুগনী তে তালিকাভুক্ত করেছেন।
অপরদিকে উম্ম মকতুম (রা.) কে নিয়েই একটি সহীহ হাদিস আছে [দেখুন সহীহ মুসলিম কিতাব ৯, হাদিস সংখ্যা ৩৫১৪ এবং ৩৫১৫] যেখানে রাসুল (সা.) ফাতেমা বিনত কায়েস (রা.) কে তাঁর তালাক-পরবর্তী ইদ্দত পালনের জন্য উম্ম মকতুম (রা.) এর বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন যে, উম্ম মকতুম যেহেতু অন্ধ সেহেতু ফাতিমা বিন কায়েস তাঁর মাথার কাপড় খুলে রাখলেও উনি তা দেখতে পাবেননা।
কাজেই প্রথমোক্ত দুর্বল হাদিসটি শেষোক্ত সহীহ হাদিসের মোকাবেলায় দাঁড়াতে পারেনা। এসম্পর্কে পড়তে চাইলে দেখুন..
হাদিসদুটো কপি করলাম:
Book 009, Number 3514:
Fatima bint Qais reported that her husband al-Makhzulmi divorced her and refused to pay her maintenance allowance. So she came to Allah’s Messenger (may peace he upon him) and informed him, whereupon he said: There is no maintenance allowance for you, and you better go to the house of Ibn Umm Maktum and live with him for he is a blind man and you can put off your clothes in his house (i. e. you shall not face much difficulty in observing purdah there).
——————————————————————————–
Book 009, Number 3515:
Abu Salama reported that Fatima bint Qais, the sister of al-Dahhak b. Qais informed him that Abu Hafs b. Mughira al-Makhzumi divorced her three times and then he proceeded on to the Yemen. The members of his family said to her: There is no maintenance allowance due to you from us. Khalid b. Walid along with a group of persons visited Allah’s Messenger (may peace be upon him) in the house of Maimuna and they said: Abu Hafs has divorced his wife with three pronouncements; is there any maintenance allowance due to her? Thereupon Allah’s Messenger (may peace be upon him) said: No maintenance allowance is due to her, but she is required to spend the ‘Idda; and he sent her the message that she should not be hasty in making a decision about herself and commanded her to move to the house of Umm Sharik, and then sent her the message that as the first immigrants (frequently) visit the house of Umm Sharik, she should better go to the house of Ibn Umm Maktum, the blind, (and further said: In case you put off your head-dress, he (Ibn Umm Makhtum) will not see you. So she went to his house, and when the ‘Idda was over, Allah’s Messenger (may peace be upon him) married her to Usama b. Zaid b. Haritha.
@মুসলিম ভাই,
তর্ক নয় , তবে কোনো বিষয় নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করতেই পারি । যদি আলোচনাই না করি তাহলে শিখব কিভাবে । আপনি শুধু এই লেখাটি পড়েন আশাকরি আমাদের সবারই উপকার হবে ।
http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=0d243c005780c9c2862495adbbc85ff4
@মুসলিম, আপনি ইউসুফ আল কারজাভীর রেফারেন্স দিয়েছেন । নিসন্দেহে উনি বড় আলেম । তবে একটি বিষয় আপনার সাথে শেয়ার করছি । বিষয়টি এখানে অপ্রাসংগিক হলেও বলছি , কেননা এতে আমাদের কারো মত গ্রহন/বর্জন করার আগে তার সমন্ধে একটি সম্যক ধারনা থাকলে ভালো হয় । কিছু কিছু বিষয়ে ওনার চিন্তাধারা বিশ্বের অন্যান্য আলেমগন মেনে নিতে পারেন নি ।। “মিউজিক সহ গান বাজনা” , “ছবি” উনি জায়েজ বলে থাকেন । এই দুটো হারাম হওয়া সম্বন্ধে অসংখ্য দলীল পাওয়া যায় ।
@হাফিজ,
পৃথিবীতে এমন কোন আলেম কি আছেন যাঁকে সবাই মেনে নিয়েছেন ??
না। এমন একজনও আলেম নেই। এই যে আপনি দেওবন্দি ঘরানার “আসক ইমাম” আলেমদের রেফারেন্স দিলেন, এখন বলুন দেওবন্দিরা কি আহলে হাদিস /সালাফীদের কাছে “সর্বজনস্বীকৃত”? এভাবে কোন ঘরানার আলেমই সর্বজনস্বীকৃত নন, শুধু শেখ কারাদাওয়ী কেন ? কারাদাওয়ী দলীল দিয়েই কথা বলেন, দলীল ছাড়া নয়।
হাবশীদের খেলা দেখার হাদিসটা মারেফুল কোরআনেও আলোচিত হয়েছে। আর আমিতো শেখ আলবানীর রেফারেন্স-ও দিয়েছি।
যাকগে, কেয়ামত পর্যন্ত কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবেই। হয়তো সেটাই আল্লাহর ইচ্ছা !
@মুসলিম,
পৃথিবীতে এমন কোন আলেম কি আছেন যাঁকে সবাই মেনে নিয়েছেন ??
এমন একজনও আলেম নেই। এই যে আপনি দেওবন্দি ঘরানার “আসক ইমাম” আলেমদের রেফারেন্স দিলেন, এখন বলুন দেওবন্দিরা কি আহলে হাদিস /সালাফীদের কাছে “সর্বজনস্বীকৃত”? এভাবে কোন ঘরানার আলেমই সর্বজনস্বীকৃত নন, শুধু শেখ কারাদাওয়ী কেন ? কারাদাওয়ী দলীল দিয়েই কথা বলেন, দলীল ছাড়া নয়।
ঠিক বলেছেন । এইক্ষেত্রে কোনো একটি ফতোয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ আলেম যেটা বলে থাকেন সেটাই আমি মেনে চলি । অধবা বলতে পারেন কারো ফতোয়া যখন দলীলের ভিত্তিতে বেশী শক্তিশালী হয় তাহলে সেটাই আমি গ্রহন করি ।
হাবশীদের খেলা দেখার হাদিসটা মারেফুল কোরআনেও আলোচিত হয়েছে। আর আমিতো শেখ আলবানীর রেফারেন্স-ও দিয়েছি।
হাবশীদের খেলা দেখার ঘটনা পর্দার আয়াত নাজিল হওয়ার আগের ঘটনা । পর্দার আয়াত নাজিল হয়েছিল খায়বর যুদ্ধের পর । হযরত সাফিয়া (রা:) এর বিয়ের সময়ও সাহাবীরা পর্দা করতেন না । তারপর যখন নাজিল হোলো তখন পর্দার সম্বন্ধে সচেতন হলেন ।
আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন ?
১) পর্দা কি ফরজ না ?
২) ছেলেরা মেয়েদের দিকে , মেয়েরা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে ?
আপনার কোনটাতে আপত্তি সেটা বললে আমার বুঝতে সুবিধা হোতো কোথার থেকে আলাপ করতে হবে ?
@হাফিজ,
ভাই আপনি কি কখনো ARYQTV দেখেছেন? অথবা দিগন্ত টেলিভিশন? খবরের সময় বা গজল পরিবেশনের সময় দেখা যায় সুন্দরী মহিলারা হিজাব পরে খবর পড়েন বা গজল পরিবেশন করেন। এটা কতটুকু ইসলাম সম্মত? আমরা কি সেই খবর দেখতে পারবো? যারা নিকাব কে ট্রেডিশন মনে করেন, তারা কি এই গেরান্টি দিতে পারবেন যে, সে অনুষ্ঠান গুলো দেখলে আমাদের জবাব দিহি করতে হবে না?
যে কোন নারীর দিকে প্রথম বার তাকানোর পর দ্বিতীয়বার তাকানো জায়েয নাই। এই বুখারী শরীফের হাদিসে এবং একটি হাদিসে কুদসীতে এসেছে। প্রশ্ন হলো এখানে কি মুখের দিকে তাকানোর কথা বলা হয়েছে? নাকি দেহের দিকে। অবশ্যই মুখের দিকে।
এখন প্রশ্ন হলো আমাদেরকে সাধারণত প্রায় ৮-১০ ঘন্টা বাহিরে কাটাতে হয় বিভিন্ন কাজে। যদি উপরোক্ত হাদিসের আমল করতে হয়, তাহলে আমাদের কে হয় ঘরে বসে থাকতে হবে, বা চোখ দুটিকে পকেটে নিয়ে ঘুরতে হবে। বর্তমান সময়ে রাস্তায় চলাচলের সময় নারীর দিকে চোখ না পড়াটা প্রায় অসম্ভব।
এই বিষয়টিকে তারা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
@দ্য মুসলিম,
যে কোন নারীর দিকে প্রথম বার তাকানোর পর দ্বিতীয়বার তাকানো জায়েয নাই।
এটাও কিন্তু অনিচ্ছাকৃত প্রথমবার । কেউ যদি মনে করে তার পাশে কোনো মহিলা দাড়ানো আছে , সেটা বোঝার পর প্রথম দৃষ্টিও জায়েজ নেই ।
অর্থ্যাৎ “অনিচ্ছাকৃত প্রথম দৃষ্টিকে ক্ষমা করা হবে” । ইচ্ছাকৃত প্রথম দৃষ্টিও নিষেধ ।
হানাফি মাজহাবে যেটা বলা হয়েছে “মহিলাদের মুখমণ্ডল ও হাতের পাঞ্জা এমনকি পায়ের পাতা আওরাহ-র অন্তর্ভুক্ত নয়। ” এটা নামাজের মধ্যে , পর পুরুষকে দেখানোর ক্ষেত্রে নয় ।
@হাফিজ, মুসলিম ভাই বোধহয়ে শুধুমাত্র যারা মুখমন্ডল খোলা রাখা জায়েজ বলেন তাদের দলীল পড়েছেন, সাথে সাথে যারা নাজায়েজ বলেন তাদের দলীলগুলো পড়লেও ভালো হতো ।
কী লাভ এসব তর্ক করে।
যে যেটা বুঝেন মানেন।
তবে খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন প্রবৃত্তির অনুসারী না হয়ে পড়ি।
এবার টপিকে আসি। [হিযাব/নিকাবের কথা আপাতত ভুলে যান]
“রাসুলের (সা.) যুগে নারী স্বাধীনতা” বইয়ের লেখক,
অনেকগুলো দাবি করেছেন, কিন্তু তার দাবির পক্ষে কোন রেফারেন্স দেন নাই।
একটা হাদিসকে জাল প্রমাণ করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সুতরাং লেখক কী যুক্তিতে বিশেষ কিছু হাদিসকে জাল বললেন, তার উল্লেখ করেন নাই।
সামগ্রিক বিচারে লেখাটিকে আমার কাছে খুব রেফারেন্সসমৃদ্ধ মনে হলো না, বরং দাবিসমৃদ্ধ মনে হলো।
@সাদাত, স্বাধীনতার ডেফিনিশন কি ?
@হাফিজ,
এই প্রশ্ন কেন ভাই?
আমি তো স্বাধীনতা নিয়ে কিছু বলি নাই!
@সাদাত, আসলে আপনাকে করা না , আমার নিজেকেই করা বা বলতে পারেন আপনাদের সাথে শেয়ার করা । ব্যক্তি কেন্দ্রিক স্বাধীনতার বিষয়টাই ধোয়াটে ।
আমি প্রবন্ধটি পড়েছি। কিন্তু প্রবন্ধকার ওটাকে হাদিস বলে দাবী করেননি। তাই তিনি এটা সম্পর্কে হাদিস শব্দটি ব্যবহার করেননি। হাদিস শব্দটির ব্যবহার আপনার পক্ষ থেকে হয়েছে। প্রবন্ধকারের পক্ষ থেকে নয়।
ইসলাম হাউজে প্রতিক্রিয়া পাঠানোর সুযোগ আছে। নীচে -আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন- এর উপর ক্লিক করলেই হবে।
@Abdullah shahid,
সালাম আলাইকুম।
ইসলামহাউজের ঐ প্রবন্ধের সম্পাদকের নাম আব্দুল্লাহ শহীদ, আপনার নামও তাই। সেজন্য ধরে নিচ্ছি, আমি সম্পাদক সাহেবের সাথেই কথা বলছি।
আপনি বলেছেন, “কিন্তু প্রবন্ধকার ওটাকে হাদিস বলে দাবী করেননি। তাই তিনি এটা সম্পর্কে হাদিস শব্দটি ব্যবহার করেননি।”
তাইয়েব। ভালো। মেনে নিলাম।
তাহলে এবার বলুন, ফাতেমা (রা.) কাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছিলেন? ফাতেমা (রা.) কার সাথে কথা বলছিলেন ? যদি স্বীকার করা হয় যে, রাসুলের (রা.) সাথে কথা বলছিলেন, তাহলে কি মন্তব্যটা হাদিসের অংশ হয়ে যায়না? রাসুলের (রা.) সাথে তাঁর কন্যার কথোপকথন, যা মুসলিমদের মাঝে প্রচারিত, তা কি হাদিস নয় ???
দেখুন, এতো কথা উঠতোনা যদি না অভিযোগ থাকতো যে, ফাতেমা (রা.)এর ঐ মন্তব্য একটি বানোয়াট হাদিসের অংশ। “হাদিস বলেতো দাবী করা হয়নি” – সেরেফ এই কথা বলে তো দায় এড়ানো যাবেনা!! হাদিস বলে দাবী করা হোক বা না হোক, ফাতেমা (রা.) এর কথিত মন্তব্যটি একটা (অভিযুক্ত) জাল হাদিসের অংশ বলেই তো প্রতিবাদ উঠেছে।
ফাতেমা (রা.) এর মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের মন্তব্য প্রকাশ করা হবে, অথচ কোনো দলীল থাকবেনা কেন ? জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
@Abdullah shahid,
এ বিষয়ে আমিও জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। কারন এর আগে আমিও এটি হাদিস হিসেবে পড়েছিলাম কয়েকবার। অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ