ইসলামসম্মত পোশাকের ওপর ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের অভিযান
লিখেছেন: ' মুসলিম' @ বুধবার, অগাষ্ট ২৫, ২০১০ (৯:২৬ অপরাহ্ণ)
আদালতের রায়ের পর এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ জারি করেছে যে “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবেনা”। সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে যে —-
উদ্ধৃতি শুরু —– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা ও ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য না করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে। একই কারণে কোনো ছাত্রীকে নির্যাতন, হয়রানি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বোরকা কিংবা ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা এবং ছাত্রীদের খেলাধুলা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। বুধবার শিক্ষা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এসব আদেশ জারি করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে মর্মে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সরকারের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। ছাত্রীদের সুশিক্ষা ও মেধা বিকাশের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মে অংশগ্রহণে বাধা দেয়া কোনোক্রমেই কাম্য নয় বলে পরিপত্রে বলা হয়। পরিপত্রে বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এসব নির্দেশনা জারি করা হলো।
নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ড তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও পরিপত্রে সতর্ক করে দেয়া হয়।
————– উদ্ধৃতি শেষ
মাদরাসা এবং যেসব সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেয়েদের শালীন পোশাককে ইউনিফর্ম হিসাবে গণ্য করে তাদের ওপর বড় আঘাত আসছে বলে মনে হয়। প্রথমে সেকুলার মিডিয়া সুপরিচিত কিছু মাদারাসা ও ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রিপোর্ট ছাপাবে যে, সেখানে মেয়েদের ইসলামী পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারপর সরকার ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়রানি করবে। ষড়যন্ত্রের ছকটা এমনই মনে হচ্ছে। শালীন পোশাক পরাটা পবিত্র কোরআনেরই নির্দেশ। এখনতো ইসলামি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসাগুলো আল্লাহর ঐ নির্দেশ পালন করতে গিয়ে চরম প্রতিকুলতার মুখে পড়বে।
শুধু সরকার নয়, যেসব কথিত পীর ও “ওলামার” দল এই ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে, তাদের সকলকে একদিন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
মাদরাসা এবং যেসব সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেয়েদের শালীন পোশাককে ইউনিফর্ম হিসাবে গণ্য করে তাদের ওপর বড় আঘাত আসছে বলে মনে হয়। প্রথমে সেকুলার মিডিয়া সুপরিচিত কিছু মাদারাসা ও ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রিপোর্ট ছাপাবে যে, সেখানে মেয়েদের ইসলামী পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তারপর সরকার ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়রানি করবে। ষড়যন্ত্রের ছকটা এমনই মনে হচ্ছে। শালীন পোশাক পরাটা পবিত্র কোরআনেরই নির্দেশ। এখনতো ইসলামি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসাগুলো আল্লাহর ঐ নির্দেশ পালন করতে গিয়ে চরম প্রতিকুলতার মুখে পড়বে।
খুবই সত্য কথা বলেছেন, সহমত । চারিদিকের পরিস্হিতি দিনকে দিন প্রতিকুল হয়ে যাচ্ছে । ইসলামি অনুশাসন এর প্রতি একের পর এক আঘাত আসছে ।
ইহা ইহুদি- মোশরেকদের দেয়া prescription এর আর একটা ঔষধ – এখোন বলা হচ্ছে ইসলামী পোশাক পড়তে বাধ্য করা যাবে না; হয়তো এরপর এমন prescription বের হবে যাতে european দেশের মতো মেয়দেরকে ইসলামী পোশাক পড়তে নিষেধ করা হবে !
কালের কন্ঠের মত চরম ফাসিক পত্রিকা এক দিক দিয়ে ইসলামের নামে পাতা খুলে ইসলাম প্রচারের নাম করে ইসলাম ধ্বংস করছে আবার আরেকদিকে ইসলামিক পোশাকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছে। কুর’আন সুন্নাহর আদেশ দিয়ে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের ইজ্জত রক্ষা করায় তাদের কত আপত্তি। অথচ কখন এই রিপোর্ট আসলনা যে ঐ স্কুল/কলেজের মেয়েরা ইসলামিক পোশাক পড়ায় ইভ টিজিং এর হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে।
আমরা কাউকে বদদু’আ করিনা, কিন্তু ইসলাম নিজে মানতে পারেনা সেটা এক কথা কিন্তু অন্য কেউ মানছে তাতে বাঁধা দেবার দুঃসাহস যারা দেখায় তাদের আল্লাহ হিদায়াত দিক।
আর যারা বুঝে শুনে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, মিডিয়া-সরকার সব দিয়ে ইসলামের নাম মোছার চেষ্টা করছে তাদের উপর আল্লাহর লানত পড়ুক। তারা ধ্বংস হোক।
মাদ্রাসা চালানো হজুররা বোধহয় ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি – কোনখান দিয়া কি হইয়া গেল! তাদের সমীকরণটা সরল করে বুঝিয়ে দেয়া উচিত। সাথে সাথে ফরিদউদ্দিন মাসউদ শ্রণীর ‘আলেমদের জিজ্ঞেস করা যেতে পারে: তাদের ইসলাম কায়েম কতদূর এগুলো?
আপনাদের সকলের মতের সাথে আমি একমত। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।