ক্রান্তিলগ্নে ইসলাম -৫
লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ মঙ্গলবার, জুন ২১, ২০১১ (৬:৫২ পূর্বাহ্ণ)
বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহিম
আস সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
…….পূর্বে প্রকাশিত লেখার সূত্র ধরে…..
গত সংখ্যায় আলোচনা করা “The Open Road of Islam” অধ্যায়ে মুহাম্মাদ আসাদ আরো বলেন: “We believe that Islam, unlike other religions, is not only a spiritual attitude of mind, adjustable to different cultural settings, but a self-sufficing orbit of culture and a social system of clearly defined features………………….. We have to discover the motive forces of both civilizations – the Islamic and that of the Modern West – and then to investigate how far a cooperation is possible between them.” (Page#15, Islam at the Crossroads – Muhammad Asad)
অর্থাৎ:“আমরা বিশ্বাস করি যে, অন্য ধর্মের মত, ইসলাম কেবলই একটা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গী নয়, যা কিনা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশ অনুযায়ী পরিবর্তনশীল – ইসলাম বরং একটা স্বনির্ভর ও পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থা।……..আমাদের দু’টো সভ্যতার চালিকাশক্তি সনাক্ত করতে হবে – ইসলামের ও আধুনিক পশ্চিমের – আর তারপর তদন্ত করে দেখতে হবে, উভয়ের ভিতর কতটুকু সহযোগিতা বা আদান-প্রদান সম্ভব।”
পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে যেগুলো কেবলই কিছু বিশ্বাস, দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গী – যেগুলো গ্রহণ করতে আপনাকে, বলতে গেলে, জীবনের কিছুই বদলাতে হয় না বা হবে না; বরং পরিবেশ-প্রতিবেশ অনুযায়ী সেগুলোই (ধর্মগুলোই) বদলে যায়। কিছু উদাহরণ দিলে হয়তো ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। আমি একসময় দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অঙ্গরাজ্যের এক ভদ্রলোকের সাথে প্রায় ৪/৫ মাস চাকুরী করেছি বিদেশী একটি কোম্পানীতে। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তিনি “লিঙ্গায়েৎ” গোত্রভুক্ত – যারা তাদের মৃতদেহকে পোড়ায় না বরং কবর দেয়। আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, মুসলিমদের সাথে দীর্ঘদিন সহাবস্থানের ফলে তারা মৃতদেহ চিতায় পোড়ানোর প্রথাটা ত্যাগ করেছেন। এছাড়াও আমি কর্মজীবনে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষজনের সাথে কাজ করেছি – তাদের সাথে মেলামেশা করতে গিয়ে বুঝেছি যে, এক অঞ্চলের পূজা-পার্বণ বা এমন কি দেবতারাও, অন্য অঞ্চলের মানুষদের কাছে অপরিচিত। সুতরাং, আসাদ উপরে যেমন বলেছেন, আমরা দেখছি ধর্ম হিসাবে “হিন্দু spiritual attitude”, বড় একটা দেশ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঝেই “different cultural settings”-এর সাথে adjust করে নিয়েছে। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, হলিউডের দু’জন নামকরা তারকা Richard Gere ও Julia Roberts শখের বশবর্তী হয়ে, যথাক্রমে, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন – কিন্তু এই নতুন ধর্মগুলো গ্রহণ করে তাদের কার্যত কিছুই পরিবর্তন করতে হয় নি – আগে যা করতেন, এখনো তাই করে চলেছেন। অথচ, কারো, ইসলাম গ্রহণ করে কি তেমন করার উপায় আছে? তৎক্ষণাৎ উদাহরণ হিসেবে দু’জন মিডিয়া ব্যক্তিত্বের কথা মনে পড়লো – Yusuf Islam ও Yvonne Ridley – দু’জনেই বৃটিশ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করতে গিয়ে বা করে, তাঁদের জীবনে কি আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা সর্বজনবিদিত! ইসলামের স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা ও মূল্যবোধ রয়েছে। ইসলাম গ্রহণ করে যে কাউকে সেই পরিধির মাঝে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে – তা না হলে বুঝতে হবে যে, তিনি আসলে ইসলাম গ্রহণ করেন নি – বরং কেবল একটা “নাম” গ্রহণ করেছেন!
তারপর আসাদ বলছেন যে, ইসলামী সভ্যতা ও আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতা – এই দু’টোর “চালিকা শক্তিগুলো” কি, তা আমাদের আবিষ্কার করতে হবে; আর তারপর ভেবে দেখতে হবে যে, এই দুই জগতের ভিতর কতটুকু আদান-প্রদান বা সহযোগিতা সম্ভব! আমি অনেক সময় হালাকাগুলোয় বলে থাকি যে, ধরুন আখাউড়া স্টেশনে দু’টো ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে – একটা ঢাকা যাবার অপেক্ষায়, আর অপরটি চট্রগ্রাম যাবার অপেক্ষায়। এই দু’টোর ভিতর কি race সম্ভব?? না, সম্ভব নয়!! কেননা দু’টো ট্রেনের গন্তব্য বা destination সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিপরীত! তারা উভয়ই যদি সর্বোচ্চ গতি সহকারে race বা দৌড় মনোবৃত্তি নিয়ে চলতে শুরু করে, তাহলে কি দাঁড়াবে? একে অপরের কাছ থেকে দূর থেকে আরো দূরে সরে যাবে। ইসলামী সভ্যতা ও আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতার গন্তব্য, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যও তেমনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিপরীত। আমাদের জীবন হচ্ছে আঁখেরাতমুখী – আর ওদের জীবন হচ্ছে দুনিয়ামুখী। আমাদের সকল কর্মে ideally আমরা আখেরাতের কল্যাণ বা মঙ্গল খুঁজবো আর ওরা খুঁজবে কেবলই পার্থিব লাভ!
এই পর্যায়ে মুহাম্মাদ আসাদ, কুর’আনের ঐ আয়াতটি নিয়ে আলোচনা করেন, যা মানুষের জীবনের purpose বা উদ্দেশ্য বলে দেয় – কেন আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করলেন:
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
“I have only created Jinns and men, that they may serve Me.” (Quran, 51:56)
অর্থাৎ: “আমি জ্বীন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি”
এরপর তিনি বলেন:
“If the object of our life as a whole is to be the worship of God, we must necessarily regard this life, in the totality of all it’s aspects, as one complex moral responsibility.Thus, all our actions,even the seemingly trivial ones, must be performed as act of worship; i.e. performed consciously as constituting a part of God’s universal plan……..It (Islam) teaches us, firstly, that the permanent worship in all the manifold actions of human life is the very meaning of this life; and, secondly, that the achievement of this purpose remains impossible so long as we divide our lives into two parts the spiritual and the material: they must be bound together, in our consciousness and in our actions into one harmonious entity.” (Page#20, Islam at the Crossroads – Muhammad Asad)
অর্থাৎ:“যদি, আমাদের জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদতই হয়ে থাকে, তাহলে এই জীবনের সবকিছুকে এবং সবদিককে একত্রে একটা একক মৌলিক নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে চিন্তা করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকল কর্মকান্ড, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে একদম সাধারণ মনে হয় সেগুলোও, ইবাদত হিসাবে সম্পন্ন করতে হবে – সচেতনভাবে এই ভেবে সম্পন্ন করতে হবে যে, এগুলো সবই আল্লাহর সার্বিক পরিকল্পনার অংশ।…….. তা (ইসলাম) আমাদের শিক্ষা দেয় যে, প্রথমত, মানব জীবনের বহুমাত্রিক কর্মকান্ডের সকলক্ষেত্রেই স্থায়ী ইবাদতই হচ্ছে জীবনের সত্যিকার অর্থ বা উদ্দেশ্য; দ্বিতীয়ত,(ইসলাম আমাদের এই শিক্ষাও দেয় যে,) আমরা যদি আমাদের জীবনকে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক এই দুইভাগে ভাগ করে নিই, তাহলে এই উদ্দেশ্য সাধন অসম্ভব হবে: বরং জীবনের ঐ দু’টো দিককে আমাদের চিত্তে ও আমাদের কাজে কর্মে একসাথে বেঁধে নিয়ে একটা সমন্বিত চেহারা দিতে হবে।”
উপরে উদ্ধৃত আয়াতটির অর্থ, গভীরতা ও পরিসর, অনেকেই অনেক সময় fathom করতে ব্যর্থ হন। আমরা যখন বহুল উদ্ধৃত এই আয়াতটি নিয়ে আলাপ করি, তখন অনেকেই একটু থতমত খেয়ে যান – তাহলে কি জীবনের সকল কর্মকান্ড পরিহার করে কেবল তসবীহ্ জপার মত কিছু করতে বলা হচ্ছে আমাদের! না, ব্যাপারটা সেরকম না। বরং বলা হচ্ছে, জীবনের দৈনন্দিন ও সাধারণ ব্যাপরগুলোতেও আমাদের আল্লাহর সন্তোষ্টির খোঁজ করতে হবে। একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা হয়তো পরিষ্কার হবে: ধরুন আপনার প্রতিবেশীর সাথে আপনার প্রতিনিয়ত দেখা হচ্ছে – আপনি তাকে হাসিমুখে “হাই-হ্যালো” বলেন, সামাজিক সৌজন্য হিসেবে। এই কাজটা আপনার সামাজিক সম্পর্ককে সতেজ রাখে সত্যি, কিন্তু এটা কোন ইবাদতের কাজ নয়। অথচ, এই ব্যাপারটাই যদি আপনি প্রতিবেশীর প্রতি আচরণের ব্যাপারে আল্লাহ্ বা তাঁর রাসূলের (সা.) নির্দেশের কথা স্মরণ রেখে সমাধা করেন, তাহলে সেটাই ইবাদত হয়ে যাবে; আপনি আপনার ভাইকে ইসলামের রীতি অনুযায়ী “আস সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু” বললেন – যা একাধারে একটা দোয়া ও ইবাদতের কাজে – আর, রাসূলের(সা.) ভাষ্য অনুযায়ী আপনার মুসলিম ভাইয়ের দিকে হাসিমুখে তাকানোও “সাদাক্বা” অর্থাৎ আবারো, ইবাদতের কাজ। এভাবে যখন জীবনেকে দেখতে শিখবো আমরা, তখন জীবনের প্রতিটি তুচ্ছ বিষয়ই ইবাদতে পরিণত হবে এবং সকল ক্ষেত্রেই আমরা আল্লাহর প্রতি সকৃতজ্ঞ আনুগত্য অনুভব করার ও প্রকাশ করার সুযোগ পাবো। তখনই আমরা বুঝবো টয়লেটে যাওয়া বা টয়লেট থেকে বের হওয়া (উপযুক্ত দোয়াগুলো সহকারে করলে), স্ত্রী সংসর্গ (আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞবোধ সহ, নির্দিষ্ট দোয়া সহকারে, স্ত্রীর হক ইত্যাদির কথা চিন্তা করলে), রাস্তা থেকে একটা কলার খোসা সরানো বা একজন মৃত মানুষের কবর দেয়ার প্রক্রিয়ায় তিন মুষ্টি মাটি ছুঁড়ে দেয়ার মত সকল আপাত সাধারণ কাজও আসলে ইবাদতের কাজ। আমরা বুঝবো: আমাদের সৃষ্টিই করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের জন্য, আমাদের গোটা জীবনটাই আল্লাহর, এর ছোট বড় সকল কমর্কান্ডই হচ্ছে আমাদের ইবাদতের ক্ষেত্র – আমরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের মত কতকটা “ঈশ্বরের” জন্য, আর কতকটা “সরকার বাহাদুরের” জন্য এমন ভাবে জীবনকে ভাগ করতে পারি না – অথবা, কতগুলো কাজ “আধ্যাত্মিক” বলে সেগুলোকে ইবাদতের কাজ মনে করে করলাম, আর উপার্জন বা রাষ্ট্রপরিচালনা ইত্যাদিকে “জাগতিক” কাজ মনে করে সেগুলো যেমন খুশী তেমনভাবে সমাধা করলাম, সেরকমও করতে পারবো না!
তারপর এই অধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য আরেকটি অংশে মুহাম্মাদ আসাদ বলেন:
“… Islam, which is not a religion of repression, allows to man a very wide margin in his personal and social existence, so that the various qualities, temperaments, and psychological inclinations of different individuals might find there own ways to positive development according to their individual predispositions.” (Page#22, Islam at the Crossroads – Muhammad Asad)
অর্থাৎ: “….ইসলাম, যা (মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে) অবদমনের ধর্ম নয়; ব্যক্তিগত ও সামাজিক কমর্কান্ডের বেলায় তা মানুষকে ভিন্নতার একটা প্রশস্ত অবকাশ দিয়ে থাকে – যেন বিভিন্ন গুণাগুণ, সহজাত পছন্দ/অপছন্দ ও মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতাভেদে, বিভিন্ন ব্যক্তি মানুষেরা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী নিজেদের জন্য ইতিবাচক ক্রমবিকাশের পথ খুঁজে পান।”
এই কথাগুলোকে কারো কাছে, এর আগে আলোচিত ব্যাপারগুলোর সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হতে পারে – কিন্তু একটু ব্যাখ্যা করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশা’আল্লাহ্। ইসলামে রাসূলের (সা.) কর্মকান্ডগুলোকেও আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়: ইবাদত ও ‘আদত বা অভ্যাস (এই বিভাজনকে আমরা যেন আবার “আধ্যাত্মিক” ও “জাগতিক” – এই বিভাজনের সাথে গুলিয়ে না ফেলি)। যেমন ধরুন রাসূল (সা.) আমাদের ডানহাতে খেতে ও পান করতে আদেশ করেছেন – খাওয়াটা যদিও সাধারণ দৈনন্দিন কাজ, তবু এভাবে খাওয়া বা পান করাটা ইবাদতের কাজে পরিণত হয়েছে/হবে এবং এর উল্টোটা, অর্থাৎ, বাঁ হাতে খাওয়া বা পান করাটা গুনাহের কাজ বলে গণ্য হবে – কারণ রাসূল (সা.) বাঁ হাতে খেলে বা পান করলে যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন! কিন্তু ধরুন তিনি খেজুর বা বার্লি খেতেন অথবা মরুভূমির উপযোগী বিশেষ কোন পরিধেয় পরতেন – সেসবও কি আমাদের জন্য ইবাদতের বিষয়?? না, তা নয় – ওগুলো বরং ‘আদত বা অভ্যাস। স্থান ও কাল ভেদে পরিবেশ ও প্রতিবেশের variable ব্যাপারগুলোর ব্যাপারে ইসলাম ভিন্নতার অবকাশ দিয়ে থাকে, যদি না সেগুলো ইসলামের বা শরীয়াহর কোন মৌলিক বিধানের বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ একজন ইন্দোনেশীয়ান লুঙ্গী ও কোর্তা পরলো, একজন পাকিস্তানী সালোয়ার/কামিজ পরলো, একজন নরওয়েজিয়ান ওভার কোট পরলো অথবা একজন সৌদী তোব পরলো – আপাতদৃষ্টিতে তারা কত ভিন্ন ভিন্ন চেহারার পোষাক পরলো অথচ তারা সবাই তথাপি ইসলামের dress code-এর আওতাভুক্ত পরিচ্ছদই পরলো। এই বিষয়টাকেই সম্ভবত স্কলাররা Unity through diversity বলে বর্ণনা করে থাকেন। সেজন্যই আপনি দেখবেন মাথার টুপি, হস্তশিল্প বা এমনকি মসজিদের ডিজাইন বা মিনারের আকৃতি ইত্যাদি সবকিছুই গোটা ইসলামী বিশ্ব জুড়ে কত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আসে – অথচ, তথাপি, এর সবই মুসলিমদের ঐতিহ্য বলে গণ্য হতে পারে!
[ইনশা'আল্লাহ্ চলবে.....]
চালিয়ে যান সাথে আছি।
@সত্যের সন্ধানী ১০০%,ধন্যবাদ!
ধন্যবাদ আপনার লেখা গুলি আমার ভাল লাগে।
@রাসেল আহমেদ, জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ!
@মুসাফির,
পরবত্তি লেখার আপেক্ষায় রইলাম ।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন ।