আমরা, বাংলাদেশের মুসলিমরা হয়তো জানিই না যে, কুর’আনে এমন একটি আয়াত রয়েছে! -১
লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ সোমবার, জানুয়ারি ৯, ২০১২ (১০:০১ অপরাহ্ণ)
لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آَبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُولَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُمْ بِرُوحٍ مِنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُولَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
Thou wilt not find any people who believe in Allah and the Last Day, loving those who resist Allah and His Messenger, even though they were their fathers or their sons, or their brothers, or their kindred. For such He has written Faith in their hearts, and strengthened them with a spirit from Himself. And He will admit them to Gardens beneath which Rivers flow, to dwell therein (forever). Allah will be well pleased with them, and they with Him. They are the Party of Allah. Truly it is the Party of Allah that will achieve Felicity. (Qur’an, 58:22)
যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে এমন কোন সম্প্রদায়কে তুমি পাবে না এমন লোকদেরকে ভালোবাসতে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধীতা করে – যদি সেই বিরুদ্ধচারীরা এমন কি তাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয় তবুও। এদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ দ্বারা তাদের শক্তিশালী করেছেন। তিনি তাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতসমূহে যার নিচে দিয়ে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এরা হল আল্লাহর দল। জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর দলই সফল কাম। (সূরা মুজাদালা, ৫৮:২২)
ব্লগের প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা,
হ্যাঁ, আমি উপরেরর আয়াতটির কথা বলতে চেয়েছি – আপনারা কি জানেন যে, কুর’আনে এমন একটি আয়াত রয়েছে? জেনে থাকলে, আপনারা কি ভেবে দেখেছেন এই আয়াতটির অর্থ কি – আল্লাহ্ আমাদের কি বলেছেন এই আয়াতটিতে? আমার ব্লগিং-এর বয়সঅনেকদিন হলো। “নীরস” বিষয় নিয়ে লিখি – তাই বলা যায় ব্লগের এক কোণে গুটি-সুটি ও সংকুচিত হয়ে পড়ে থাকি – ইংরেজীতে হয়তো বলতাম low profile থাকি। আমি মনে রাখতে চেষ্টা করি যে, একজন মুসলিম যদি আল্লাহর জন্য, আল্লাহর পথে কলম ধরে, তবে সে “মানুষের মনোরঞ্জন” করতে চাইবে না – তাদের “বাহ্বা” পাবার আশা করবে না। আপনারা কেউ যদি এমনও বলেন যে, “বাহ্বা” চাইলেই পাওয়া যায় না, যোগ্যতা থাকতে হয় – তাহলে আমার ব্যর্থতা ও দীনতা আমি মাথা পেতেই মেনে নেবো ইনশা’ল্লাহ্! তবু আপনাদের জানাতে ইচ্ছা করছে যে, কেবল message পৌঁছে দেয়াটাই আমি নিজের দায়িত্ব মনে করি – কেউ তা শুনলো কি না বা তাতে কারো উপর “আসর” পড়লো কি না – সেটা নিতান্তই আল্লাহর ব্যাপার বলে মনে করি। তবে messageগুলো সত্য ও সুন্দর করার চেষ্টা করি – সুন্দর করতে গিয়ে সত্যের সাথে আপোষ করাকে একেবারেই গ্রহণযোগ্য মনে করি না!
যাহোক আমি অখ্যাত ও অপরিচিত বলে, যারা “সুখ্যাত” – তাদের সুখ্যাতি অর্জনকারী পোস্টগুলো তো দেখতে বাধা নেই – আমি সন্তর্পণে সেগুলো দেখিও! একটা ব্লগে, এরকমই একটা “জনপ্রিয়” পোস্ট দেখে মনে হয়েছিল: ব্লগের সকল বিশ্বাসী মুসলিম ও মুসলিমাহকে জিজ্ঞেস করবো: আমরা বাংলাদেশের মুসলিমরা কি জানি যে, কুর’আনের সূরা মুজাদালায় এমন একটি আয়াত (৫৮:২২) রয়েছে, যেখানে আল্লাহ্ “আল-ওয়ালা ওয়া আল-বারাহ্”-কে ঈমানের শর্ত করেছেন??!! সেই সুবাদে এই লেখায় হাত দেয়া।
প্রথমেই, অনেকের কাছে চাইনিজ মনে হতে পারে, এমন অভিব্যক্তিটি পরিষ্কার করে নেয়া যাক। “আল-ওয়ালা ওয়া আল-বারাহ্” – কথাটার মানে সোজা বাংলায় বলতে গেলে: “কাকে ভালোবাসবো, আর কাকে ভালোবাসবো না” – সেই নির্ধারণ বোঝায়। এই আয়াতটি (৫৮:২২) শুরু হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে” বলে। আল্লাহ কুর’আনে যখন এই ধরনের অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন, তখন বুঝতে হবে যে, ব্যাপারটা ঈমানের শর্ত। আয়াতের মূল বক্তব্য হচ্ছে: যারা ঈমান এনেছে, তারা কখনোই এমন কাউকে ভালোবাসবে না যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সা.) বিরোধীতা করে (অর্থাৎ দ্বীন ইসলামের বিরোধীতা করে) – এমন কি বিরোধীতাকারীরা যদি তাদের বাবা-মা, ভাই-বোনও হয় তবুও – খুব simple কথা! না বোঝার কিছুই নেই। আর যদি তেমন কাউকে আপনি ভালোবাসেন, তবে আপনি ঈমানের শর্ত ভঙ্গ করলেন! উদাহরণসহ একটু খুলে বললে হয়তো পরিষ্কার হবে – হুমায়ূন আযাদকে কেউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধজীবী বললে বা মতিউর রহমানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ “পত্রিকা-সম্পদক” বললেও আমার কোন আপত্তি থাকবে না! কিন্তু তাদের আপন ভাইও যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তবে তাদের ঈমানের শর্ত হবে: দ্বীন ইসলামকে হেয়-প্রতিপন্ন-করা এসব লোককে ভালো না বাসা!!!
(চলবে ইনশা’আল্লাহ্!)
ভাল লেগেছে।
@Saifullah Mujaheed, ধন্যবাদ!