জিহ্বার রক্ষণাবেক্ষণ করা – ৪
লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ মঙ্গলবার, মার্চ ২৩, ২০১০ (১১:২৫ অপরাহ্ণ)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আস সালামু আলাইকুম!
মূল: ইমাম নববী
[আগের লেখার ধারাবাহিকতায়, যেগুলো এখানে রয়েছে:
www.peaceinislam.com/muslim55/4733/
www.peaceinislam.com/muslim55/4942/
www.peaceinislam.com/muslim55/5043/ ]
একজন ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে গীবত থেকে রক্ষা করবে ?
এ অংশটি কুর’আন ও সুন্নাহর আলোকে নানা প্রমাণ সমৃদ্ধ ৷ কিন্তু আমি অল্প কিছু উদাহরণ এখানে উল্লেখ করব ৷ ফলে যারা সৌভাগ্যশালী তারা এ থেকে উপকৃত হবেন ৷ আর যারা সৌভাগ্যবান নন, তাদের নিকট যদি বিপুল পরিমাণে প্রমাণ উপস্থিত থাকে, তবুও তারা উপকৃত হবেন না ৷
এ অধ্যায়ের মূল লক্ষ্য হচেছ পাঠক যাতে পূর্ববর্তী অধ্যায়সমূহে উল্লিখিত গীবত থেকে বেঁচে থাকার পদ্ধতিগুলো নিজে অনুসরণ করেন এবং তারপর আল্লাহ তা‘আলার এ বাণী নিয়ে চিন্তা করেন :
“কেউ কোন কথাই উচ্চারণ করেনা, এটা (অর্থাৎ এই অবস্থা) ছাড়া যে, একজন প্রহরী (ফেরেশতা) তা লিপিবদ্ধ করার জন্য সদাপ্রস্তুত রয়েছেন ৷” (সূরা কাফ, ৫০:১৮)
এবং আল্লাহর বাণী :
“এবং তোমরা এটাকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছিলে, যদিও আল্লাহর নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয় ৷” (সূরা নূর, ২৪:১৫)
তার (পাঠকের) অবশ্যই পূর্ববর্তী অধ্যায়সমূহে বর্ণিত জিহবাকে সুরক্ষিত রাখার এবং পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকার পদ্ধতিগুলোর উপর চিন্তা করা উচিত ৷ প্রতিটি ব্যক্তিরই উচিত তার প্রত্যেকটি উক্তির সময় এগুলোকে সংযুক্ত ও কার্যকর করা যেমন (যে কোন কথা বলার আগে সে নিজেকে বলবে): ‘আল্লাহ তা’আলা আমার কাছে রয়েছেন’, ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’, ‘আল্লাহ আমাকে লক্ষ্য করছেন’ ৷
একদা এক লোক হাসান আল বসরীকে বললেন: “আপনি আমার গীবত করছেন ৷” তিনি বললেন, “আপনার পরিচয় কি যাতে আমি জানতে পারি, কার নিকট আমার সৎকর্মগুলো চলে যাচেছ ?”
এবং আবদুল্লাহ ইবন আল মুবারক বলেছেন: “আমি যদি কারো গীবত করতাম, তবে আমি আমার পিতামাতারই গীবত করতাম, কেননা তারাই আমার ভাল কাজগুলো পাওয়ার বেশী যোগ্য ৷”
(চলবে …….ইনশা’আল্লাহ্!)
আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ পাক আমাদের গীবত থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। আমিন।