ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন: মুসলিমদের করণীয় – শেষ পর্ব
লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ রবিবার, এপ্রিল ১১, ২০১০ (১১:৩৮ অপরাহ্ণ)
بسم الله الرحمن الرحيم
( আগের লেখার সূত্র ধরে, যেগুলো রয়েছে এখানে:www.peaceinislam.com/muslim55/5552/
www.peaceinislam.com/muslim55/5581/ )
আমাদের করণীয়
সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ সংক্রান্ত যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এজন্য যে, এতে নিম্নোলিখিত চারটি শ্রেণীর ইসলাম বিরোধী বিষয় রয়েছে:
১. শিরকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদি, চিন্তাধারা ও সংগীত
২. নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচারপূর্ণ অনুষ্ঠান
৩. গান ও বাদ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান
৪. সময় অপচয়কারী অনর্থক ও বাজে কথা এবং কাজ
এ অবস্থায় প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হচ্ছে, নিজে এগুলো থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা এবং বাঙালি মুসলিম সমাজ থেকে এই প্রথা উচ্ছেদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো নিজ নিজ সাধ্য ও অবস্থান অনুযায়ী। এ প্রসঙ্গে আমাদের করণীয় সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া যেতে পারে:
- এ বিষয়ে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হবে আইন প্রয়োগের দ্বারা নববর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
- যেসব ব্যক্তি নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কর্তব্য হবে অধীনস্থদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই নির্দেশ জারি করতে পারেন যে, তার প্রতিষ্ঠানে নববর্ষকে উপলক্ষ করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হবে না, নববর্ষ উপলক্ষে কেউ বিশেষ পোশাক পরতে পারবে না কিংবা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবে না।
- মসজিদের ইমামগণ এ বিষয়ে মুসল্লীদেরকে সচেতন করবেন ও বিরত থাকার উপদেশ দেবেন।
- পরিবারের প্রধান এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যে তার পুত্র, কন্যা, স্ত্রী কিংবা অধীনস্থ অন্য কেউ যেন নববর্ষের কোন অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়।
- এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী, সহকর্মী ও পরিবারের মানুষকে উপদেশ দেবেন এবং নববর্ষ পালনের সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করুন, এবং কল্যাণ ও শান্তি বর্ষিত হোক নবীজী(সা.)-এঁর ওপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবীগণের ওপর।
“এবং তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও, যার পরিধি আসমান ও জমীনব্যাপী, যা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহভীরুদের জন্য।” (আলে-ইমরান, ৩:১৩৩)
সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ সংক্রান্ত যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এজন্য যে, এতে নিম্নোলিখিত চারটি শ্রেণীর ইসলাম বিরোধী বিষয় রয়েছে:
১. শিরকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদি, চিন্তাধারা ও সংগীত
২. নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচারপূর্ণ অনুষ্ঠান
৩. গান ও বাদ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান
৪. সময় অপচয়কারী অনর্থক ও বাজে কথা এবং কাজ
সহমত ।
- এ বিষয়ে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হবে আইন প্রয়োগের দ্বারা নববর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
- যেসব ব্যক্তি নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কর্তব্য হবে অধীনস্থদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই নির্দেশ জারি করতে পারেন যে, তার প্রতিষ্ঠানে নববর্ষকে উপলক্ষ করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হবে না, নববর্ষ উপলক্ষে কেউ বিশেষ পোশাক পরতে পারবে না কিংবা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবে না।
- মসজিদের ইমামগণ এ বিষয়ে মুসল্লীদেরকে সচেতন করবেন ও বিরত থাকার উপদেশ দেবেন।
- পরিবারের প্রধান এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যে তার পুত্র, কন্যা, স্ত্রী কিংবা অধীনস্থ অন্য কেউ যেন নববর্ষের কোন অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়।
- এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী, সহকর্মী ও পরিবারের মানুষকে উপদেশ দেবেন এবং নববর্ষ পালনের সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন।
সম্পূর্ন একমত ।
নবষর্ষের অনুষ্ঠান দেখলে কারো মনে হবে না , এটা কোনো মুসলিম কান্ট্রি ।
@হাফিজ, মতামতের জন্য ধন্যবাদ! JazakAllahu Khair!
@হাফিজ ভাই, নিজেদের ঘর থেকেই শুরু উচিৎ।
@দ্য মুসলিম, JazakAllahu Khair!
@দ্য মুসলিম, বৈশাখের চেতনার নেপথ্য দেখুন:
কোরানের আয়াত খচিত গেট ধ্বংষ করেছে পহলা বৈশাখের আয়োজকরা। এই চেতনা তাহলে ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ আমাদের বোধ দান করুন।
সাহসী ও সময়োপযোগী
@হাসান আল বান্না, আপনারাও সাধ্যমত অন্যদের বোঝানোর চেষ্টা করুন – ৬৬:৬ আয়াত অনুযায়ী নিজেদের ঘর থেকেই শুরু করুন – তারপর ক্রমান্বয়ে বাইরের দিকে যাবেন ইনশা’আল্লাহ্!
দেশদ্রোহী পোষ্ট !!! প্রথম আলো আইলো বলে। বায়তুল মোকাররমের মরহুম খতিবের পিছনে একবার লাগছিল প্রথম আলো।
ইনশাআল্লাহ আমরা কাফের-মুশরেক ও তাদের তরিকার বিরুদ্ধে পাহাড়ের মত অটল থাকবো এবং নিজেদের মধ্যে সহনশীল হব।
আল্লাহ আমাদের কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
@মালেক_০০১, ব্যাপারটা বোধহয উল্টা ছিল – বেফাস কিছু ব্যাপার ঘটে গেলে, প্রচন্ড ইসলাম বিরোধী মতিউর রহমানও বাণিজ্য হারানোর ভয়ে খতিবের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিল – এবং মুসলিমদের মূলনীতি অনুযায়ী তিনি তাকে মাফ করেও দিয়েছিলেন!
আসসালামু আলাইকুম ভাই, ১২ তারিখ রাতে ঢাকা শহরকে অন্ধকারে রেখে মিরপুর স্টেডিয়ামে নাচ গান করা হল, আতশবাজি ফোটানো হল, এরা কতটা জালেম হলে এরকম কাজ করতে পারে?
@manwithamission, আল্লাহ যাদে ছাড় দেন তাদের এমনভাবে ধরেন যেন এরা আর কোন সুযোগ না পায়। আমরা ঘরে বসে রাগে হাত কামড়িয়েছি কিছু করতে পারিনি। এর বিচার আল্লাহ করবেন।
@manwithamission, সহমত । সারারাত অনেক বাসায় শিশুরা কষ্টে ঘুমাতে পারে না । আর এরা স্টেডিয়ামে এসব কাজের জন্য কারেন্ট দ্যায় ।
এখন সমস্ত ধরনের ফ্যাশন শো , মেরিল-প্রথম আলো শো সবগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে বন্ধ করে দেয়া উচিত ।
@manwithamission, জানতাম না তো – কি হয়েছে ওখানে?
@মুসলিম৫৫, এন এসসিসি ক্রিকেটের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান!
http://www.dailynayadiganta.com/2010/04/12/fullnews.asp?News_ID=205839&sec=9 এই লিংক থেকে খবরটি সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন।
শুভ নববর্ষ ১৪১৭
test comment
সুন্দর পোস্ট। আমাদেরকে নিষিদ্ধ আনন্দ থেকে দুরে থাকতে হবে ও অন্যদের বলতে হবে।
একইসাথে আমাদেরকে বিকল্প আনন্দেরও(শরীয়ত সম্মত) ব্যবস্থা করতে হবে।