লগইন রেজিস্ট্রেশন

রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মুসলিমদের সম্পৃক্ততা – ২

লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ শনিবার, মে ২২, ২০১০ (১২:৫৪ অপরাহ্ণ)

মূল: সেলিম মরগ্যান
[পূর্বে প্রকাশিতের পর.........]
এখন আসা যাক ইমামের যোগ্যতার প্রশ্নে ৷ প্রথমত তাঁর রাজনৈতিক ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে – শরীয়াহর জ্ঞান ৷ দ্বিতীয়ত তাকে অভিজ্ঞ হতে হবে ৷ অভিজ্ঞতা শব্দটির অবশ্য ব্যাপক অর্থ – তবে এর আওতায় এমন অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা আসবে, যার বলে তিনি মুসলিম জনসংখ্যার যাবতীয় বিষয়সমূহ সামলাতে পারবেন বা সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড সমাধা করতে পারবেন ৷ জনগণের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, কেবল তত্ত্বগত বিদ্যা থাকলে হবে না ৷ যেমন তিনি judge বা কাজীর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন ব্যক্তি হতে পারেন ৷ আমরা সবশেষে যে গুণটি উল্লেখ করবো সেটা হচেছ ঐ ব্যক্তির পরহেজগারী বা তাকওয়া ৷ কোন ব্যক্তিকে যদি তার নিজের ব্যাপারে বা নিজের শরীর নিয়েই বিশ্বাস করা না যায়, তবে তাকে গোটা উম্মার দায়-দায়িত্ব দিয়ে কিভাবে trust করা যায়! এখানে আরেকটা উল্লেখ করার মত ব্যাপার আছে ৷ কারো ভিতর যদি পরহেজগারী বা তাকওয়ার অভাব থাকে [কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে] তবে তা কিন্তু তাকে ইজতিহাদ করার ব্যাপারে অযোগ্য বলে সাব্যস্ত করে না ৷ কিন্তু যে ব্যাপারে তার অযোগ্যতা দেখা দেয়, তা হচেছ এই যে, তার ইজতিহাদ অন্যের জন্য গ্রহণযোগ্য হয় না ৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, কোন ব্যক্তি যিনি পরহেজগার নন, তিনিও এমন জ্ঞান অর্জন করতে পারেন যার বদৌলতে তিনি ইজতিহাদ করতে বা শরীয়াহর ruling deduce করতে পারেন ৷ কিন্তু তার চরিত্রের ত্রুটির জন্য তিনি একাই ঐ ইজতিহাদের ফলাফল বাস্তবায়ন করবেন – অন্য কারও উপর সেটা প্রযোজ্য হবে না [অর্থাৎ অন্য কারো তা মেনে চলার কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না]৷

এটা প্রয়োজনীয় নয় যে, যারা ইমাম নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখেন, সে সব ব্যক্তিরা সবাই কোন ব্যক্তির ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে অথবা এটাও অবশ্যকরণীয় নয় যে, ঐ ধরনের ব্যক্তিদের প্রত্যেকের সাথেই পরামর্শ করতে হবে ৷ ন্যূনতম কতজন প্রয়োজন হবে [অর্থাৎ কতজনের সম্মতি থাকলে কোন ব্যক্তিকে ইমাম নির্বাচিত বলে গণ্য করা হবে] সে নিয়ে স্কলাররা লেখা লেখি করেছেন ৷ কোথাও কোথাও ৪০ সংখ্যাটি শোনা যায় – আবার ওমর (রা.)-এঁর হযরত আবুবকর (রা.) কে বায়াত দেয়ার ঘটনা থেকে কেউ কেউ সেই সংখ্যাটাকে ১ বলেও মনে করেন ৷ তবে সত্যি কথা হলো, শরীয়াহ্‌তে এমন কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার সিদ্ধান্ত নেই ৷ তবে আমরা বাস্তবতা থেকে যা জানি, তা হচেছ এরকম যে, সবার সম্মতি যেমন লাগবে না, তেমনি কোন নির্দিষ্ট সংখ্যাও হতে হবে এমন কোন কথা নেই ৷ তবে ন্যূনতম এমন সংখ্যক স্কলার বা উলামা বা গুণিজনের সম্মতি থাকতে হবে [অর্থাৎ এমন সংখ্যক বায়াত নেবেন] যাতে ফিতনা এড়িয়ে যাওয়া যাবে বলে আশা করা যায় ৷ এটা সত্যি যে ওমর (রা.) প্রথমে আবু বকর (রা.) কে একাই বায়াত দিয়েছিলেন ৷ তবে স্কলাররা মনে করেন যে, আবু বকরের ইমামত কেবল ওমর (রা.) যখন বায়াত দেন তখনই প্রতিষ্ঠিত হয়নি – বরং তা প্রতিষ্ঠিত হয় যখন অন্য সাহাবীরা তাঁকে অনুসরণ করে এগিয়ে আসেন এবং নিজেরাও বায়াত দেন ৷ এটা এমনিতেও বোঝা যায় যে, ওমর (রা.) যদি মনে করতেন যে, একজনের বায়াতই যথেষ্ট, তাহলে তাঁর ঐ মিটিং এ যাবার কোন প্রয়োজন ছিল না ৷ তিনি আবু বকর (রা.)-এঁর ঘরে একা গিয়েই বায়াত দিতে পারতেন ৷

ইমামের গুণাগুণের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে দ্বীনের জ্ঞান ৷ প্রথম কয়েক শতাব্দীতে, যখন এসব নিয়ে অনেক লেখালেখি ও গবেষণা হয় – তখন স্কলাররা মনে করতেন যে, ইমামের একজন মুজতাহিদ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ শরীয়াহ্‌র সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে তাঁর স্বাধীন যোগ্যতা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ [অর্থাৎ সরাসরি source থেকে conclusion draw করার capability] ৷ দ্বিতীয় ব্যাপারটা হচেছ কাজকর্মের ব্যাপারে স্বনির্ভরতা ৷ এটাও ইজতিহাদের সাথে পাশাপাশি বিচার্য বিষয় ৷ কেননা ইমাম যদি ইজতিহাদ করতে অপারগ হন, তবে তাঁর স্বনির্ভরতা থাকবে না ৷ আর ইজতিহাদে সক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও, তিনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, তবে তাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে ৷ কেননা তিনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তবে, তিনি জ্ঞান ছাড়া কাজ করবেন – আর তিনি যদি জ্ঞান সমেত কাজ করতে চান, তবে প্রতিটি বিষয়ে তাঁর পরামর্শের জন্য অপরের শরণাপন্ন হতে হবে, যারা তাকে শরীয়াহর বিধি-বিধান ও শর্ত সম্বন্ধে বলে দেবেন এবং সেক্ষেত্রে তাঁর স্বাধীনতা থাকবে না ৷ এধরনের শাসনকার্য efficient হবে না ৷ যদিও ইমাম সবচেয়ে জ্ঞানীদের একজন হবেন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবার ও কাজ করার যোগ্য হবেন – তবু, তাকে অবশ্যই পরামর্শও করতে হবে ৷ রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর উচিত, স্কলারদের সাথে পরামর্শ করে শরীয়াহ মোতাবেক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো [অর্থাৎ শরীয়াহ্‌সম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো]৷

আমার কাছে মনে হয় ইমামের একটা প্রধান ভূমিকা হচ্ছে স্কলারদের মতামতগুলোকে একত্রীকরণ ৷ এটা সম্ভব নয় যে, তিনি সবার ভিন্ন ভিন্ন মতগুলোকে একটি মাত্র মতে পরিণত করতে পারবেন ৷ না, তা সম্ভব নয় ! কিন্তু পরামর্শের পরে তিনি যে মত দেবেন – সেটা সকলে মেনে নেবেন ৷ ওমর (রা.) যখন তালাকের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেন যে, কেউ যদি একবারেই তিন তালাক দিয়ে দেয়, তবে তার তিন তালাক দেয়া হয়ে গেছে বলে গণ্য করা হবে – তখন তিনি তালাকের বিধানের উদ্দেশ্যের [মাক্বাসিদ] ব্যাপারে গভীর জ্ঞানের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন – তখনকার পরিস্থিতির আলোকে ৷ তবু এমনটা হওয়াটা খুবই সম্ভাব্য যে, তিনি যাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন, তাদের কেউ কেউ ভেবেছেন যে, রাসূল (সা.) এর যুগে যেমন এক বসায় কেউ তিন তালাক দিলে, কেবল একবার তালাক দেয়া হয়েছে বলে গণ্য করা হতো তেমন থাকাটাই ভালো ৷ তবু ইমামের সাথে – যিনি একজন মুজতাহিদও ছিলেন – তাঁর সাথে তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত হতে হয়েছিল এবং সকলের উপস্থিতিতে একটা সম্মিলিত অবস্থানে পৌঁছাতে হয়েছিল, যার গুরুত্ব উপেক্ষা করা যায় না ৷ শরীয়াহর বিষয়াবলীতে ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থাকাটা ক্ষতিকর কিছু নয়, কিন্তু কর্তৃত্বশীল তেমন কারো উপস্থিতি ছাড়া মতপার্থক্য মারাত্মক [[fatal]] চেহারা ধারণ করতে পারে ৷ একতাবদ্ধকারী একজন ইমামের অনুপস্থিতি এমন একটা ব্যাপার, যা আক্ষরিক অর্থে গোটা উম্মাহকে অকার্যকর করে দিতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে সাধারণ মুসলিমদের একটা দিশেহারা অবস্থা হবে – তারা এখানে গেলে একরকম শুনবেন, আবার অন্যত্র গেলে অন্য রকম শুনবেন ৷ ইসলাম কেবল একটা আধ্যাত্মিক ব্যাপার নয় যে, আপনি এক ধরনের ভাবলেন এবং আমি অন্য ধরনের ভাবলাম তাতে কিছুই আসে যায় না ৷ কারণ আমাদের ধর্ম এমন নয় যা কেবল ভাবনা-চিন্তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ – প্রয়োগ পর্যন্ত যার কোন প্রভাব বা বিস্তৃতি নেই ৷ ইসলাম যেহেতু আমাদের জীবনের প্রতিটি কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেহেতু জীবন চলার পথে, আমাদের নানা রকম পরিস্থিতিতে ইসলামসম্মত এবং শরীয়াহসম্মত পদক্ষেপ কি হবে তা জানতে হবে ৷ এসব বিষয়ে আমাদের মতামত ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু কার্যকলাপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা এক হতে হবে ৷

স্কলারদের কাজে তারা যে শুধু ইমাম নির্ধারণের ব্যাপারটাই আলাপ করেন তা নয় – বরং ইমাম অপসারণের ব্যাপারেও তাঁরা আলোচনা করে থাকেন ৷ অপসারণের বিষয়টা দুধরনের হতে পারে: প্রথমত, এমন পরিস্থিতি যখন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই কোন ইমাম আর ইমাম থাকবেন না ৷ যেমন ধরুন তিনি যদি পাগল হয়ে যান বা মারাত্মক অদক্ষতার পরিচয় দেন ৷ দ্বিতীয়ত, আবার আরেক ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে যখন একজন ইমামের আচরন ধীরে ধীরে এমন পর্যায়ে পৌছেছে, যখন উম্মাহর মঙ্গলের জন্য তাঁকে অপসারণ করা প্রয়োজন ৷ আমরা এখানে কি পরিস্থিতিতে ইমাম অপসারণ করা প্রয়োজন, তার বিস্তারিত আলোচনায় যাবো না ৷ কিন্তু এখানে লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে যে, ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই স্কলাররা এমন একটা সংগঠিত সমষ্টির কথা ভেবেছেন, যারা প্রয়োজনে ইমামকে অপসারণ করবেন ৷ আরেকটা ব্যাপারে এই বিষয়ের উপর গবেষকদের ঐক্যমত রয়েছে: তা হচেছ এই যে, মুসলিম উম্মাহর ইমামকে কোন কারণ ছাড়া অপসারণ করা যাবে না ৷ এটা আধুনিক বিশ্বের শাসন পদ্ধতির চিন্তা-ভাবনার বিপরীতে যায় – যেখানে একজন শাসনকর্তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নেতা বলে বিবেচিত হন ৷ যার সময় কাল বা [fatal] শেষ হলে আরেকজন তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ ইসলামের স্কলারগণ মনে করেন একজন ইমাম [বা খলিফা] যতক্ষণ কার্যক্ষম এবং সুস্থ ততক্ষণ [কোন কারণ ছাড়া] তাকে অপসারণ করা যাবে না ৷ উপরন্তু এসব বিষয়ের উপর নিবেদিত রচনা বা বই-পুস্তক থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামের গণতন্ত্র বা নির্বাচনের কোন ধারণা নেই ৷ ইমামকে সাধারণ মানুষের পছন্দ/অপছন্দের বিষয় করে রাখা যাবে নাসেক্ষেত্রে তিনি স্বাধীনভাবে নিজ কর্তৃত্ব বলে কাজ করতে পারবেন না ৷ আর সেটা ইমামতের উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ করে দেবে [Popular হবার চেষ্টা করা হবে]৷ ইমাম যদি মানুষের ইচ্ছার দাস হন, তবে তিনি মানুষকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না ৷ সবাই তাকে অনুসরণ করবে, তিনি অন্যদের অনুসরণ করবেন না ৷ কিন্তু এর সাথে এই concept-এর কোন বিরোধিতা নেই যে, তিনি সকলের সেবা করবেন এবং অন্যের [বা দাসদাসীর] সেবা নেবেন না [He would serve, but he is not to be served]৷ তিনি উম্মাহর সেবা করেন এই অর্থে যে, তিনি নিজের জন্য ঐ পদে আসীন হননি বরং উম্মাহর হাল ধরতে তাকে বেছে নেয়া হয়েছে ৷ কিন্তু একই সময় তিনি উম্মাহর নেতৃত্ব দেন – সেটাকে অনুসরণ করেন না ৷

আরেকটা ব্যাপারে বেশীর ভাগ স্কলারই একমত: সেটা হচ্ছে এই যে, কোন যোগ্যতর ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও, অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে ইমাম বানানোটা অনুমোদিত নয় ৷ এটা যদি সম্ভব হয় যে, অপোকৃত অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে ইমামতের দায়িত্ব দেয়া যায়, তবে তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে, স্বল্প যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে বাছাই করা যাবে না ৷ ইসলামে দুজন ইমাম থাকাটা অনুমোদিত নয় ৷ কেননা আমরা The Imam বা গোটা মুসলিম উম্মাহর নেতার ব্যাপারে কথা বলছি ৷ এবং এমন অনেক হাদীস রয়েছে, যা দু’জন ইমাম হবার বিষয়কে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে৷ সুতরাং মুসলিম উম্মাহকে নিজের কর্তৃত্বের দায়িত্ব – একজন নেতার হাতে, অর্পণ করতে হবে ৷ অবশ্য সেটা তা করতে পারার সক্ষমতার উপর নির্ভরশীল ৷ যখন মুসলিম উম্মাহ তা করতে সক্ষম হবে, তখনই তারা নিজেদের জন্য একজন মাত্র ইমাম নির্ধারণ করবে এবং তার চেয়ে বেশী নয় ৷ তবে যে কোন অবস্থায়ই কোন মুসলিম জনগোষ্ঠী নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় থাকবে না ৷ যেমন এরকম যদি হয় যে, মুসলিম উম্মাহর উপর একজন একক ইমাম [The Imam] রয়েছেন ঠিকই – অথচ কোন কারণবশত কোন একটা মুসলিম সমষ্টি পর্যন্ত তাঁর আদেশ-নিষেধ পৌঁছুতে পারছে না, তবে ঐ জনসমষ্টি কিন্তু নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় এলোমেলোভাবে থাকবে না ৷ বরং স্থানীয় পর্যায়ে তারা নিজেদের জন্য নেতৃত্ব ঠিক করে নেবে ৷ তাদের এক সাথে ধরে রাখার কেউ নেই বা একতাবদ্ধ রাখার কেউ নেই, বা তাদের মাঝে যারা জুলুমকারী বা পাপাচারী তাদের নিরস্ত করার কেউ নেই – এমন অবস্থায় তাদের থাকাটা অনুমোদিত নয় ৷ তারা নিজেরা নিজেদের মত করে একজন যোগ্য নেতৃত্ব ঠিক করে নেবে যার কাছে তারা নিজেদের সমর্পণ করবে ৷ তা না হলে তারা বিশৃঙ্খল অবস্থায় এমন একটা পরিস্থিতিতে বসবাস করবে, যেখানে অনেক সংশয় এবং অনিশ্চয়তা দেখা যাবে – যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ৷ সে যাহোক যখন Al Imam-এর নিয়ন্ত্রণ কোন জনসমষ্টি পর্যন্ত পৌঁছায় না বা যখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করে যে Al Imam বলতে কেউ নেই – তখন কোন নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী নিজেদের উপর এমন একজন আমীর নিয়োগ করবে, যার কাছে তারা তাদের নিজেদের মতামত সমর্পণ করবে; মুহাম্মদ (সা.)-এঁর শরীয়াহর সাথে সঙ্গতি রেখে – তারা কি করবে বা কি করবে না সে সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে – যাঁর আদেশ তারা মেনে চলবে ৷ তবে মনে রাখতে হবে যে, ঐ ব্যক্তি Al Imam নন এবং এটা হচ্ছে একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা ৷ যেমন ধরুন রাসূল (সা.)-এঁর সময় বা খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে যাকাত সংগ্রহ করা হতো এবং বন্টন করা হতো ৷ আজ প্রায় কোথাও সেই ব্যবস্থা নেই বলে আমাদের কেউ হয়তো ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিজেই কাউকে খুঁজে তা দান করি ৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এটা একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা এবং এটা রাসূল (সা.)-এঁর দেখিয়ে দেয়া সঠিক পদ্ধতিও নয় ৷ আজ যদি আবার কেউ আমাদের সেই আদি ব্যবস্থাপনায় ফিরে যাবার ডাক দেন এবং তা বাস্তবায়ন করা যদি সম্ভব হয় – তাহলে আমরা কিন্তু বলবো না যে, না আমরা যে যার মত নিজেদের যাকাত আদায় করে যাবো! আমাদের বুঝতে হবে যে, মুহাম্মদ (সা.) মূল সুন্নাহর অনুপস্থিতিতে ওটা ছিল আমাদের একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা ৷ একই ভাবে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ঠিকই – কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আজ যদি আবার গোটা উম্মার নেতৃত্বে একজন ইমামের আবির্ভাব ঘটে, তবে তাঁকে সমর্থন করতে বা তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে আমাদের কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার উপায় বা অবকাশ নেই ৷

এরকম পরিস্থিতি – যখন এমনকি একটা এলাকাকেও একতাবদ্ধ করা সম্ভব হয়, উদাহরণ স্বরূপ আমরা এখন যেখানে (আমেরিকায়) বসবাস করি – তখন এই মূলনীতিগুলো যেখানেই এবং যখনই সম্ভব প্রয়োগ করা উচিত ৷ যেমন একটু আগে উল্লিখিত ভোটদানের বিষয়টার কথাই ধরুন ৷ আমরা যদি কোন কারণে কোন একটা নির্বাচনে ভোট দিতে যাই, তবে তার পূর্বে আমাদের একটা একতাবদ্ধ ফ্রন্ট হতে হবে ৷ [অর্থাৎ যার যার তার তার ভোটের প্রশ্নই ওঠে না]৷ আমাদের সিদ্ধান্ত শরীয়াহ্‌র উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে এবং তা আমাদের উলামা ও শায়েখদের [বয়োঃবৃদ্ধদের] পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া উচিত ৷ তবে আমরা যদি গোটা আমেরিকারকে একতাবদ্ধ করতে পারার মত কোন ‘আলেম নেতৃত্ব খুজে না পাই, তবু আমরা সবচেয়ে ভালো যতটুকু করতে পারি, সেটুকু করতে চেষ্টা করবো ৷ সেক্ষেত্রে হয়তো স্থানীয় পর্যায়ের একজন একক নেতৃত্বের অধীনে আমাদের মতামত ন্যস্ত করার চেষ্টা করবো ৷ কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষ্য তবু এটাই থাকতে হবে যে মুসলিম উম্মাহর একজন মাত্র ইমাম বা Al Imam-এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা ৷ সুতরাং সেই লক্ষ্যে কোন একটি [নিশ্চিত] পদক্ষেপ নিতে আমরা কখনো সংশয়ে ভুগবো না এবং গোটা উম্মাহর উপর একজন ইমাম প্রতিষ্ঠার কাজে আমরা যথাসাধ্য কাজ করে যাবো ৷

এরকম পরিস্থিতিতে স্থানীয় ইমামের উপর যে দায়িত্বগুলো বর্তায় সেগুলো হচ্ছে মানুষকে দ্বীনের প্রতি আহবান করা, দ্বীনকে সুরক্ষা করা [preserve], বিদ’আতের বিরোধিতা করা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যে সমস্ত সন্দেহের বা সংশয়ের সৃষ্টি করা হয়, অমুসলিম ভূমিতে এবং মুসলিম ভূমিতেও – সেগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে যাওয়া ৷ আবারো, সকল বিষয় ইমামতের দিকেই ফিরে যায় ৷ আমরা যখন মুসলিম সংস্থাগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখি – উদাহরণ স্বরূপ CAIR-এর মত একটা সংস্থার কথাই যদি চিন্তা করি এবং তারা যেসব কর্মকান্ডের আয়োজন করে থাকে সেসব নিয়ে যদি ভাবি ৷ যদি মুসলিম উম্মাহর একজন ইমাম থাকতেন ৷ তাহলে কিছু মুসলিম একসাথে মিলে কোন দাওয়াতী অনুষ্ঠান বা ভালো কাজের জন্য কোন প্রোগ্রাম করতে চাইলে বা ম্যাগাজিন বের করতে চাইলে, ইমাম আসলে সে সব কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না বা বাধা দেবেন না – যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা হারাম কিছুতে বা ক্ষতিকর কিছুতে সম্পৃক্ত হবে ৷ কিন্তু একটা অমুসলিম পরিবেশ ও প্রতিবেশে তেমন কিছু একটা করতে হলে তা কোন জ্ঞানী নেতৃত্বের অধীনে করা উচিত – নতুবা সেসব থেকে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে ৷ এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ইসলামী সেন্টারগুলো বিভিন্ন সময়ে ও পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্যোগে মিডিয়ায় গিয়েছে এবং নিজেদের ইসলামের প্রতিনিধি বলে উপস্থিত করেছে ৷ ভালো স্কলাররা যেহেতু মিডিয়ায় যেতে আগ্রহী নন, তাই যখন কোন কিছু ঘটে, তখন রিপোর্টাররা খবর সংগ্রহ করতে সেখানে হাজির হয় এবং মন্তব্য করার জন্য বড়জোর কোন মডার্নিষ্টকে হাতের কাছে পায় ও তাদের কাছ থেকে ইসলাম কি, সে ব্যাপারে ভ্রান্ত কিছু ধারণা লাভ করে ৷ সেজন্য যে কোন দাওয়াত বা প্রচারের প্রচেষ্টা, এদেশে অবস্থিত মুসলিমদের ভিতর থেকে জ্ঞানী নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত ৷

মুসলিমদের নেতাকে শরীয়াহ্‌র এবং ইসলামের স্কলার হতে হবে ৷ আর তা যদি দুষপ্রাপ্য হয়, তবে অন্তত তাঁকে এমন কোন পরহেজগার ব্যক্তি হতে হবে যাঁর জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে এবং যিনি জানবেন সঠিক জ্ঞান লাভ করতে কোথায় বা কার কাছে যেতে হবে ৷ তিনি দুর্বল হলে, তাঁর উচিত যে কোন সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ‘আলেমদের শরণাপন্ন হওয়া এবং নিজের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত না দেয়া ৷

সাধারণ মুসলিমদের ব্যাপারে এটা অবশ্যকরণীয় যে, তারা কি করবে এবং না করবে সে ব্যাপারে তারা যেন সবসময় স্কলারদের সাথে আলাপ করে নেয় ৷ তাঁরা হচ্ছেন ফতোয়া বা ruling-এর উৎস এবং ইসলামের “রাস্তায় নির্দেশনা ফলক” ৷ তাঁরাই হচ্ছেন এই উম্মার নেতৃত্ব এবং সত্যিকার অর্থে “উলিল আমর”৷ আর তাই মুসলিমদের নেতৃত্বে তাদের একজন থাকা উচিত বা আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যদি সম্ভব হয় তবে তাদের মাঝে যিনি শ্রেষ্ঠতম তাঁরই নেতা হওয়া উচিত ৷ আর যদি তা না হয়, তবে মুসলিমদের সকল ব্যাপারে এবং রাষ্ট্রের সকল ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য ইমামের উচিত জ্ঞানীদের এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের পরামর্শ নেয়া ৷ মুসলিমদের উপর যদি কোন ইমাম বা খলিফা না থাকেন, এমন কি আঞ্চলিক পর্যায়েও যদি কোন নেতৃত্ব না থাকেন, তবে কোন অঞ্চলের মুসলিমদের উচিত নিজেদের এই পদ্ধতিতে সংঘবদ্ধ করা ৷ একটা উদাহরণ হচ্ছে বিয়ের ব্যাপারে রাসূল (সা.) বলেছেন যে, কোন মহিলার যদি ওয়ালি না থাকে, তবে শাসক তার ওয়ালি হবেন ৷ এই একটা উদাহরণ থেকে বোঝা যায় যে, অসম্পূর্ণ হলেও এবং আদর্শ না হলেও, মুসলিম জনসমষ্টির নেতৃত্ব থাকাটা কত প্রয়োজন ৷ তাই যদি কোন খলিফা না থাকেন এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও যদি কোন নেতৃত্ব না থাকে, তবে আমাদের উচিত ছোট পর্যায়ে হলেও একজন নেতার পেছনে সংঘবদ্ধ হওয়া ৷ এটা ঠিক যে একজন ইমামের পিছনে কিছু লোক এবং অপর একজনের পিছনে কিছু লোক সংঘবদ্ধ হওয়ার পরিস্থিতিটা পছন্দনীয় নয় – কিন্তু তবু একদম সংঘবদ্ধ না হওয়ার মত বিশৃঙ্খল অবস্থার চেয়ে ভালো ৷ যদি কোথাও কোন শাসক বা ইমাম আদৌ না থাকেন, তবে স্কলাররা ঐ সমস্ত ব্যাপারগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, যেগুলোর জন্য নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়- যেমন বিয়ে বা যাকাত আদায় করার মত ব্যাপারগুলো ৷ কিন্তু প্রচেষ্টা থাকতে হবে যে, যত শীঘ্র সম্ভব ঐ মুসলিম জনসমষ্টিকে একজন নেতার অধীনে একত্র করতে হবে ৷

[উপরোক্ত আলোচনাটি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী ধর্মান্তরিত মুসলিম ইমাম সেলিম মরগ্যানের একটি বক্তৃতার অনুবাদ। সেলিম মরগ্যান ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা। শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে তিনি কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার। রিয়াদের “জামিয়াতুল ইমাম”-এ ইসলামের উপর পড়াশোনা করেছেন, সেখানকার “কুলিয়াতুশ শারীয়াহ্” বা “স্কুল অফ শরীয়াহ্”-তে - তাঁর বিশেষ বিষয় ছিল অর্থনীতি। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের Squaw Valley Islamic Settlement-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সেখানকার মসজিদের ইমাম। আরো জানতে দেখুন:
www.java-man.com/Pages/SVIS/index.html ]

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩৪৯ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

২৬ টি মন্তব্য

  1. আমেরিকান মুসলিমরা কি তাদের জন্য কোন একক ইমাম নির্বাচিত করার কোন উদ্যোগ নিয়েছে? নিয়ে থাকলে কিভাবে কি করছে? তাত্ত্বিক কথা তো সবাই জানি, কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি তো অনেক জটিল, সেখানে সবার গ্রহণযোগ্য একজন নেতা কিভাবে তৈরী করা যাবে?

    মুসলিম৫৫

    @নাজনীন,সাধ্য অনুযায়ী তো চেষ্টা করেছেন অনেকেই – যেমান Squaw Valley Islamic Settlement হচ্ছে তেমনই একটা প্রচেষ্টা – এই নথিটা দেখলেই বুঝবেন যে, এদের অনেকেই পৃথিবীকে আবার “সেই অন্ধকার যুগে” (নাউযুবিল্লাহ্) নিয়ে যেতে চাইছেন:

    http://www.java-man.com/Pages/SVIS/SVISByLaws.html

    নাজনীন

    @মুসলিম৫৫,আপনার দেয়া লিঙ্কটা দেখলাম। ইসলামের প্রথম যুগের মতো ঈমান-আকীদা গঠন করার প্র্ইয়াস নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। আমি দোয়া করছি এর সাফল্যের জন্য।
    কিন্তু আমার আরেকটু জিজ্ঞাসা আছে, এ সংগঠন যাকে আমির বানাচ্ছেন তাকে আমেরিকার কতভাগ মুসলিম আমির হিসেবে মানেন? মানে আমরা তো সারা মুসলিম জাহানের একজন নেতার কথা ভাবছি।
    সারা বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ইসলামী দল বা গ্রুপ আছে, যারা তাদের নেতাকেই আমির মানেন,আর কাউকে মানেন না। ফলশ্রুতিতে কি হয় জানেন? ইসলাম শুধু ভাগই হয়। এরপরও আমরা শুধু স্বপ্নই দেখতে থাকি গোটা মুসলিম উম্মাহর একজন মাত্র ইমামের। এটা যে কিভাবে হবে তা একমাত্র আল্লাহ্‌তাআলাই জানেন।

    মুসলিম৫৫

    @নাজনীন,দুঃখিত – ২ দিনের কিছু বেশী সময় আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। তাই আপনার জিজ্ঞাসার জবাব দেয়া হয় নি!

    তিনি (সেলিম মরগ্যান) তো বলেছেনই যে, যে পর্যন্ত The Jam’ah প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা সীমিত পরিসরে বিভিন্ন জায়গায় যে যেভাবে পারি, সংঘবদ্ধ থাকবো A jam’ah হিসেবে। গুণিজনেরা বলেন: আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আর আক্বীদাহ ও মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত এসব ছোট ছোট জামাত হবে পানির বিন্দুর মত – অনেক গুলো পানির বিন্দুকে একত্রিত করলে সেগুলো মিলে একটা বড় পানির patch হয় – সেগুলোর স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব থাকে না । তেমনি ইনশা’আল্লাহ্, কখনো “আল জামাত” প্রতিষ্ঠিত হবার প্রক্রিয়া শুরু হলে এসব ছোট ছোট জামাত, আল-জামাতে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই যে, হারানো আল-জামাত বা ইমামত বা খিলাফত পুনরুদ্ধারে আল্লাহর একটা portion আছে এবং থাকতেই হবে। আমরা কেবল আমাদের portion-টুকু ঠিক মত করার চেষ্টা করতে পারি – এবং আমরা যদি তা ঠিকমত করতে পারি, তবে তার সাথে ইনশা’আল্লাহ আল্লাহর portion-টুকু যুক্ত হয়ে সাফল্য আসবে যেমনটা আল্লাহ বলেছেন:
    “Allah has promised, to those among you who believe and work righteous deeds, that He will, of a surety, grant them in the land, inheritance (of power), as He granted it to those before them; that He will establish in authority their religion, the one which He has chosen for them; and that He will change (their state), after the fear in which they (lived), to one of security and peace: `They will worship Me (alone) and not associate aught with Me.’ If any do reject Faith after this, they are rebellious and wicked.” (Qur’an, 24:55)

    আমাদের portion বলতে, প্রথমত নিজের জীবনে তৌহীদ তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা, তারপর যার কর্তৃত্বাধীন যতটুকু রয়েছে ততটুকুতে তৌহীদ তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা – যেমন একজন গৃহকর্তা চেষ্টা করবেন তার পরিবারে দ্বীন তথা তৌহীদ প্রতিষ্ঠা করতে।

    সারা বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ইসলামী দল বা গ্রুপ আছে, যারা তাদের নেতাকেই আমির মানেন,আর কাউকে মানেন না। ফলশ্রুতিতে কি হয় জানেন? ইসলাম শুধু ভাগই হয়।

    এজন্যই ইসলামের নামে দল (hizb) করাকে না-জায়েয মনে করা হয় এবং আল জামা’আহ বা বিশ্ব মুসলিম জামাত ছাড়া আর কারো কাছে বাইয়াত দেয়াকে বিদ’আত মনে করা হয় । Jama’ah আর Hizb এক নয়। বিস্তারিতের জন্য দেখুন:

    http://www.islam-qa.com/en/ref/23320/allegience

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫,

    এ ব্যাপারে আমাদের পরশন এ কি কি দায়িত্ব আছে, দলীল সহ জানাবেন।

    আর হিজব না-যায়েয এ ব্যাপারে ও দ্য়া করে দলীল দিবেন।

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007,

    THERE ARE NO PARTIES IN ISLAAM

    By the Scholar of Hadeeth, Muhammad Naasirud-Deen al-Albaanee Translated by Muhammad al-Jibaalee [1] Source :TROID Publications

    This is a hadeeth of great value. It is a sign of the Prophethood of Muhammad (sallallaahu ’alayhi wa sallam), and that he provided the advice to this Ummah (nation). This Muslims are in great need for this hadeeth in order to end the dissension and partisanship that has divided, disunited, and weakened them. This has led to their enemies overpowering them, in conformation of the warning of Allaah the Mighty and Majestic:

    ‘‘Do not differ lest you lose and your power parts from you.’’ [Sooratul-Anfaal 8:46]

    ASKING ABOUT EVIL

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) reported: ‘‘The people used to ask the Messenger of Allaah (sallallaahu ’alayhi wa sallam) about the good things; but I used to ask him about the evil things, fearing that they may overtake me.’’

    THE FIRST EVIL AFTER ISLAAM

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘So I said, O Messenger of Allaah! We had lived in the times of ignorance (jaahiliyyah) and evil; then Allaah granted us this excellence which we are enjoying, and He has sent you. Will there be, after this excellence, any evil like that which has preceded?’’

    He replied:
    ‘‘Yes, O Hudhayfah! Learn the Book of Allaah and follow what is in it! Learn the Book of Allaah and follow what is in it! Learn the Book of Allaah and follow what is in it!’’

    I asked him, ‘What is the way for protection from it?’

    He replied: ‘‘The Sword!’’

    Qataadah (rahimahullaah) said: ‘‘This refers to the group who became apostates Islaam after the passing of the Prophet (sallallaahu ’alayhi wa sallam), during the rule of Aboo Bakr as-Siddeeq (radiyallaahu ’anhu).’’ [2]

    THE TAINTED GOOD

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘Will there be any good remaining after that evil and fighting?’
    He replied:
    ‘‘Yes, there will be a leadership and Jamaa’ah (group) accompanied with dirt (corruption). And there will be a treaty upon taint (hatred).’’
    I asked, ‘What is that dirt?’
    He replied:
    ‘‘Leaders following ways other than my Sunnah, and guided by other than my guidance. You will approve of some of their actions and disapprove of others. There will arise from amongst them men whose hearts are the hearts of devils in human bodies.’’

    I asked, ‘What is the tainted treaty?’

    He replied:
    ‘‘The hearts of many people will not go back to that (love) whereupon they had previously been.’’

    THE SECOND EVIL

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘Will there be any evil after that good?’ He replied:
    ‘‘Yes, there will be a blind and deaf fitnah (turbulence); callers to the gates of Hell. Whoever responds to their invitation, they cast him into it.’’

    I said, ‘O Messenger of Allaah (sallallaahu ’alayhi wa sallam), describe them to us.’
    He replied:
    ‘‘They are from our own skin and they speak our tongue.’’

    THE FITNAH IN THE PRESENCE OF THE CALIPH

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘O Messenger of Allaah (sallallaahu ’alayhi wa sallam), what do you command me with if that should happen during my lifetime?’’
    He replied:
    ‘‘If you find at that time a Caliph for Allaah upon the earth, then adhere to the Jamaa’ah of the Muslims and their Imaam. Listen to the leader and obey him, even if he whipped your back and took away your wealth – listen and obey.’’

    THE FITNAH IN THE ABSENCE OF THE CALIPH

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘What if they (the Muslims) did not have a Jamaa’ah, nor an Imaam?’
    He replied:
    ‘‘Desert all of those parties and run away over the earth. It would be better for you, O Hudhayfah, to die whilst you bite onto the branch of a tree, than to follow any of them.’’

    Al-Haafidh Ibn Hajar reported at-Tabaree as saying: ‘‘This hadeeth indicated that when the people divide into parties in the absence of a leader, no particular group should be followed. If one can, he should desert all the parties for fear of falling into evil.’’

    THE DAJJAAL
    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘What is next?’
    He replied:
    ‘‘Then the Dajjaal (anti-Christ) will come out.’’

    I asked, ‘What will he bring with him?’

    ‘‘He will bring with him a river of water and a fire. Whoever enters his river will lose his rewards and earn his burden (of sins). And whoever enters his fire will earn his reward and drop his burden (of sins).’’

    THE END

    Hudhayfah (radiyallaahu ’anhu) continued: ‘‘I asked, ‘O Messenger of Allaah (sallallaahu ’alayhi wa sallam), what comes after the Dajjaal?’
    He replied:
    ‘‘’Eesaa, the son of Maryam.’’
    I asked, ‘Then what will come?’

    He replied:
    ‘‘Then if a mare delivers, its colt will not be mounted until the Hour arrives.’’

    Footnotes:
    [1] This long and important hadeeth is included in Silsilatul-Ahaadeethus-Saheehah (6/2739) by al-Albaanee. It is a compilation of several reports recorded by al-Bukhaaree, Muslim, and Aboo ’Uwaanah, and Aboo Daawood, and others.
    [2] Related in al-Mirqaah (5/143)

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫, আলহামদু লিল্লাহ। হাদিসটি আমাদের জন্য খুবই উপযোগী।

    কিন্তু, আপনার নীচের কথার সাথে এর সমন্বয় কিভাবে হবে?

    “যে পর্যন্ত The Jam’ah প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা সীমিত পরিসরে বিভিন্ন জায়গায় যে যেভাবে পারি, সংঘবদ্ধ থাকবো A jam’ah হিসেবে। গুণিজনেরা বলেন: আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আর আক্বীদাহ ও মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত এসব ছোট ছোট জামাত হবে পানির বিন্দুর মত – অনেক গুলো পানির বিন্দুকে একত্রিত করলে সেগুলো মিলে একটা বড় পানির patch হয় – সেগুলোর স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব থাকে না । তেমনি ইনশা’আল্লাহ্, কখনো “আল জামাত” প্রতিষ্ঠিত হবার প্রক্রিয়া শুরু হলে এসব ছোট ছোট জামাত, আল-জামাতে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে।”
    তার মানে কি আহলে সুন্নাহ নাম থাকলে আমরা কোন নেতার অনুসরণ করতে পারবো? আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আর আক্বীদাহ ও মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত এসব ছোট ছোট জামাতের কি কোন নেতা/আমীর আছেন? যদি থাকেন, তাহলে তো তাদেরকেও এই হাদিস অনুযায়ী অনুসরণ করা যাবে না।

    দয়া করে explain করবেন।

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007, আপনার যদি এই লাইনে পড়াশোনা না থেকে থাকে, তবে এখানে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করার আছে – যা, টাইপ করে লেখা আমার জন্য অনেকটা “beyond the scope” বলা যায়। আপনাকে একটা বইয়ের নাম দিচ্ছি – দেখুন যোগাড় করে পড়তে পারেন কি না:

    নবীদের দাওয়াতী নীতি -মূল: Dr. Rabee al-Hadee al-Madkhali। অনুবাদ: শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ্

    এই বইখানি সিলেট থেকে প্রকাশিত – তবে ঢাকার বংশালে অবস্থিত “তৌহীদ পাবলিকেশনসে” পাওয়া যাবে ইনশা’আল্লাহ্। না পেলে আমাকে জানাবেন (ই-মেইলে)। আমি চেষ্টা করবো আপনাকে যোগাড় করে দিতে – অথবা আপনাকে এ বিষয়ে অন্য “reading material”-এর soft copy পাঠাতে চেষ্টা করবো ইনশা’আল্লাহ্!

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫,সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ছোট করে লিখে জানান।

    না হলে, সফট কপি হলে ও চলবে।

    আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007, আমার উল্লেখ করা বইটা থেকে নীচের লিংকের প্রথম ৫ টা segment গঠন করা হয়েছে।

    http://www.rabee.co.uk/

    ডাউনলোড করে সময় নিয়ে পড়ে দেখুন, অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, ইনশা’আল্লাহ!

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫, আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর আশা করছি।

    “এ ব্যাপারে আমাদের পরশন এ কি কি দায়িত্ব আছে, দলীল সহ জানাবেন।”

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007, আসলে এটাও ঐ বইটা পড়লেই পেয়ে যেতেন – তবু অল্প কথায় বলছি:

    আমরা নিজ নিজ জীবনে ইনশা”আল্লাহ্ তৌহীদ প্রতিষ্ঠা করবো এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকবো – তারপর নিজ পরিবেশ প্রতিবেশে সাধ্যমত তৌহীদ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবো এবং সেই লক্ষ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তাঁর সাহায্য চাইবো – দ্বীন প্রতিষ্ঠা মানে কিন্তু মূলত তৌহীদ প্রতিষ্ঠা। অনেকে “দ্বীন প্রতিষ্ঠা” মানে “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” মনে করেন – ব্যাপারটা তা নয় – “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা”, “দ্বীন প্রতিষ্ঠা”-র meansগুলোর একটা, in itself কোন end নয় । “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” না করা হলে যদি “দ্বীন প্রতিষ্ঠা” করা না যেত/হতো – তাহলে মাত্র ৫/৬ জন নবী ছাড়া তো বাকী সবাই ব্যর্থ (নাউযুবিল্লাহ্) – কিন্তু আসলে কি তাই? আল্লাহ্ তো তাদের সকলকে সফল বলেছেন বা তাঁর প্রিয় বান্দা বলে নিশ্চিত করেছেন। বৃহত্তর কল্যণের নামে আমরা কোন “হারাম” ব্যাপারে লিপ্ত হবো না। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় end এবং means দু’টোই শুদ্ধ হতে হবে – “শর্ট-কাট” নেয়া যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজের বুদ্ধি-বিবেকের উপর নির্ভর করে হারামে জড়িত হয়ে মনে করি যে “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” করে “দ্বীন প্রতিষ্ঠা” করে ফেলবো – তাহলেই ২৪:৫৫ অনুযায়ী জমিনে কর্তৃত্ব লাভের ব্যাপারে “আল্লাহকে ভয় করার” পূর্ব-শর্তটা ভঙ্গ হয়ে যাবে। “জনগণ সর্বভৌম” এই ঘোষণা সম্বলিত “ব্যবস্থার” আওতায় নিজেকে সম্পৃক্ত করে আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” করবেন, তাহলে আপনি “আল্লাহকে ভয় করার” পূর্ব-শর্তটা ভঙ্গ করলেন। তারপর মন্ত্রিত্বে গিয়ে অগণিত সুদী শিল্প-ঋণের কাগজপত্র সই করা থেকে শুরু করে, বিশেষ গোষ্ঠীর চুরীর সাথে সহ-অবস্থান অথবা বাধ্য হয়ে মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা বাঁচাতে “বিয়ার উৎপদনের লাইসেন্সে” সই করা ইত্যাদি সবই অননুমোদিত শর্ট-কাটের পর্যায়ে পড়বে। এখানে প্রশ্ন উঠবে যে, উল্লিখিত পদ্ধতিতে “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা”-র চেষ্টায় রত ব্যক্তিরা কি বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ্ সাহায়্য ছাড়া কিছুতেই “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” করা যাবে না? যদি তাই বিশ্বাস করতেন তাহলে কি আল্লাহর norms-এর বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করতেন?? না আল্লাহকে ভয় করতেন???

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫, আপনার লিংকটার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ পড়ে দেখবো।

    খিলাফার ব্যাপারে আসল প্রশ্নটা ছিলো “কিন্তু আমার আরেকটু জিজ্ঞাসা আছে, এ সংগঠন যাকে আমির বানাচ্ছেন তাকে আমেরিকার কতভাগ মুসলিম আমির হিসেবে মানেন? মানে আমরা তো সারা মুসলিম জাহানের একজন নেতার কথা ভাবছি।”

    তার উত্তরে আপনি বলেছিলেন, “তেমনি ইনশা’আল্লাহ্, কখনো “আল জামাত” প্রতিষ্ঠিত হবার প্রক্রিয়া শুরু হলে এসব ছোট ছোট জামাত, আল-জামাতে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই যে, হারানো আল-জামাত বা ইমামত বা খিলাফত পুনরুদ্ধারে আল্লাহর একটা portion আছে এবং থাকতেই হবে। আমরা কেবল আমাদের portion-টুকু ঠিক মত করার চেষ্টা করতে পারি – এবং আমরা যদি তা ঠিকমত করতে পারি, তবে তার সাথে ইনশা’আল্লাহ আল্লাহর portion-টুকু যুক্ত হয়ে সাফল্য আসবে…”

    এখন আমাদের portion বলতে আপনি বুঝিয়েছেন যে,
    – আমরা নিজ নিজ জীবনে তৌহীদ প্রতিষ্ঠা করবো এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকবো।
    – তারপর নিজ পরিবেশ প্রতিবেশে সাধ্যমত তৌহীদ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবো এবং সেই লক্ষ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে তাঁর সাহায্য চাইবো।
    – বৃহত্তর কল্যণের নামে আমরা কোন “হারাম” ব্যাপারে লিপ্ত হবো না। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় end এবং means দু’টোই শুদ্ধ হতে হবে – “শর্ট-কাট” নেয়া যাবে না।…তাহলেই ২৪:৫৫ অনুযায়ী জমিনে কর্তৃত্ব লাভের ব্যাপারে “আল্লাহকে ভয় করার” পূর্ব-শর্তটা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

    সারা মুসলিম জাহানের একজন নেতার/ আমীর / খলিফা পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরশন এ কি দায়িত্ব এইগুলিই?

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007, আপনাকে আগেই বলছি এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা এখানকার জন্য “beyond the scope”। আপনাকে পড়ার সামগ্রীরও সন্ধান দিয়েছি – তবু আপনি একটা “সহজ” উত্তরের জন্য কেন insist করে চলেছেন বুঝলাম না। অথচ, আমি প্রায় নিশ্চিতই জানি যে, আমি যে উত্তরই দিই না কেন তা আপনার মনঃপুত হবে না। আপনি দলিল চাইবেন, রেফারেন্স চাইবেন – সেজন্যই আপনাকে সরাসরি scholarly source-এর লিংক দিয়েছি।

    যাহোক্, আমাদের portion-টুকু space-time-এর variable – একেকটা দেশে এবং একেকটা যুগে একেক রকম হবে। আমি গত বেশ কয়েক মাস ধরে “খুরুজ ‘আলাল হুক্কাম” (“শাসকের কাছ থেকে বেরিয়ে যাওয়া” বা “শাসকের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহার করা” ) শীর্ষক বিষয়ে মাসিক ক্লাস করছি – মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে আসা ‘আলেমদের কাছে। আমি যা বুঝেছি, বাংলাদেশে আমরা খুব করুণ অবস্থার মাঝে রয়েছি – যা বৈশিস্ট্যগত দিক থেকে রাসূল (সা.)-এর মক্কা জীবনের খুব কাছাকাছি। এই অবস্থায় কেউ যদি সেধেও কোন ভালো মুসলিম বা ‘আলেমকে ক্ষমতা দিয়ে দিতে চায়, তবুও সেই মুসলিম বা ‘আলেমের উচিত হবে না ক্ষমতা গ্রহণ করা – কারণ তিনি এখন কিছুতেই এখানে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না – সেই পরিবেশ, প্রতিবেশ বা ক্ষেত্র এখানে মোটেই প্রস্তুত হয়নি। এমতাবস্থায় আপাতত ‘ইলম (তৌহীদভিত্তিক ও শিরক বিবর্জিত জ্ঞান অর্জন), ‘আমল (যথাসাধ্য সেই জ্ঞান অনুযায়ী জীবন যাপন) এবং দা’ওয়াহ – এর মাঝেই আমাদের কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রেখে বিশ্বাসীদের একটা sizable জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকতে হবে!

    deshibhai007

    @মুসলিম৫৫, Squaw Valley Islamic Settlement এর উদ্যোগটা ভালো।

    কিন্তু সেটা সবার গ্রহণযোগ্য নেতা নির্বাচনে কিভাবে সাহায্য করবে, বুঝতে পারছি না।

    আচ্ছা, কোরআন-হাদীস থেকে কি এ ব্যাপারে কোন গাইড লাইন পাওয়া যায় না? এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কেন শুধুমাত্র স্কলারদের ইজতিহাদের উপর নির্ভর করতে হবে?

    মুসলিম৫৫

    @deshibhai007,

    কিন্তু সেটা সবার গ্রহণযোগ্য নেতা নির্বাচনে কিভাবে সাহায্য করবে, বুঝতে পারছি না।

    না সেটা নেতা নির্বাচনে সাহায্য করবে না, তবে তার প্রতিষ্ঠাতার লেখা এই পোস্টটা – “রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মুসলিমদের সম্পৃক্ততা” – যা আমি অনুবাদ করে এখানে দিয়েছি, সেটা তা নিয়ে কথা বলে।

  2. আমার খুবই ভালো লাগে বিষয়টা দেখে যখন মানুষ কাফের থেকে মুসলিম হয় আর সত্যিকার ইসলামের ঝান্ডা হাতে নেয়,
    আমার দূখ লাগে তখন যখন দেখি মুসলিম তাকে সিচুয়েশনের ফাদে ফেলে দেয় এবং সেই সিচুয়েশনকে মৌলক ভেবে কুফরীর পথ বেছে নেয়।
    আমার তাই ভালো লাগে ” হে মুমিনরা তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ইসলাম ত্যাগ করে তবে আল্লাহর তাতে কিছু আসে যায় না, আল্লাহ অচিরেই এমন জাতিকে তোমাদের উপর বিজয়ী করবেন যারা তোমাদের মতো হবে না, …..” সেলিম ম্যরগানরে স্টাইল দেখে আল্লাহর এই কথাটাই মনে আসলো।

    মুসলিম৫৫

    @বাংলা মৌলভী, ধন্যবাদ! আমার সাথে তাঁর পরিচয় ১০ বছরেরও বেশী। সেলিম মরগ্যানের একটা ছোঁয়াচে রোগ আছে, যে সম্বন্ধে আপনাকে তথা এই ব্লগের সবাইকে একটু সাবধান করে দেয়া প্রয়োজন বোধ করছি – উনি গায়ের মুক্বাল্লিদীনদের একজন, সালাফী “মানহাজ” অনুসরণ করে থাকেন!

    আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন এবং নিজের “হাওয়া” ত্যাগ করে সত্যাসত্য জানার তৌফিক্ব দান করুন (সমালোচনা নয়, এটা একটা দোয়া – “আমার ব্লগে” কাফির, মুশরিক, নাস্তিক, বা কার্যত-কাফিরদের সাথে যুদ্ধে আপনাকে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি, তারই ভিত্তিতে এই দোয়া)।

    নাজনীন

    @বাংলা মৌলভী, আপনি ১০০ ভাগ ইসলাম একবারে পেতে চান, তাই আপনি ৭০-৮০ ভাগ ইসলামের শুরুটাকে সমর্থন করেন না, এতে করে কি হচ্ছে? শূন্য ভাগ ইসলামের নিচে আমাদের জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। মানুষের মন-মানসিকতা আপনি ১০০ ভাগ ইসলামের দিকে পরিবর্তন করবেন, তারপর ইসলাম শাসন ক্ষমতায় আসবে, এটা নিয়ে মধুর স্বপ্নই দেখা যাবে, সেটা বাস্তবে ঘটবে না। বরং কিছু ইসলাম যদি শাসনক্ষমতায় থাকে, তখন বাকীটুকু বাস্তবায়নের কাজ তরান্বিত হয়, ট্রায়াল এন্ড এরর বেসিসে এক সময়ে আল্লাহ্‌ চান তো পুরোপুরি ইসলাম আমরা কায়েম করতে পারবো। এটা হচ্ছে প্র্যাকটিকাল পদ্ধতি। আপনারা শুধু তাত্ত্বিক কথা নিয়েই থাকেন।

    deshibhai007

    @নাজনীন,
    ইসলামে নীতিগতভাবে ১০০ ভাগ ইসলাম না মেনে ৭০ ভাগ ইসলাম মানার কোন অপশন নেই। হয় আমরা পুরোটা মানবো অথবা পুরোটা মানার জন্য চেষ্টা করতে থাকবো। আমি দলীয় নীতির কথা বলছি, ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের অনেক গুনাহ/ ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আমরা দলীয়, মুসলিমদের জন্য পলিসি হিসেবে ৬০/৭০/৯৯ ভাগ ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিতে পারি না।

    আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কে মক্কার কাফেররা বিভিন্ন অপশন দিয়েছিলো। তারা ১ দিন আল্লাহর ইবাদত করবে আর তিনি ১ দিন তাদের উপাস্যের ইবাদত করবেন, সেটা না মানায় তারা নতুন অপশন নিয়ে আসে ১ সপ্তাহ বনাম ১ দিনের, তারপর ১ মাস বনাম ১ দিনের, তারপর ১ বছত বনাম ১ দিনের। রাসুল (সাঃ) সবগুলিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। সীরাত গ্রন্থগুলিতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পাবেন।

    তাই Ideology এর ব্যাপারে ইসলাম কোন ছাড় দেয় না।

  3. আপনি বাংলা মৌলভীকে সালাফী “মানহাজ”এর ব্যাপারে সাবধান করলেন। ব্যাপারটা আসলে কি একটু খুলে বলবেন প্লীজ? তাদের কোন কাজ কি শরীয়তবিরোধী?

    আপনি বাংলা মৌলভীকে সালাফী “মানহাজ”এর ব্যাপারে সাবধান করলেন। ব্যাপারটা আসলে কি একটু খুলে বলবেন প্লীজ? তাদের কোন কাজ কি শরীয়তবিরোধী?

    বর্তমান বিশ্বে নির্দিষ্ট মেয়াদের পর পর নেতা অপসারণের ব্যাপারটা এজন্যই আসে যে মানুষ এখন আর আগের মতো তাকওয়াসম্পন্ন হন না। একটু বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলেই স্বৈরতন্ত্র শুরু করে দেন। এই দেখুন আহমেদিনেজাদ, উনার বিরোধীতাকারীদের উনি ফাঁসীতে ঝুলাচ্ছেন। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরোধীতা যারা করে, তাদেরও ফাঁসীতে ঝোলানো বা কতল করা হয়। মাহাথির কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও, দেশের জন্য অনেক ভাল কিছু করলেও তারও কিছু সমস্যা ছিল। তাহলে মানুষের পছন্দ-অপছন্দ শোনার মতো ধৈর্য যদি নেতার না থাকে, তাহলে তারা কি আদৌ কল্যাণকর নেতা? আমাদের খলীফারা কিন্তু তা ছিলেন না। উনারা সমালোচনাকে পজিটিভলী নিতেন এবং নিজেদেরকে সংশোধন করতেন। উনাদের কাছে জনগণের সহজ যাতায়াত ছিল। যেকোন প্রয়োজনে নারী-পুরুষ সবাই তাদের কাছে যেতেন। আজকের যুগে সেটা কতটা সম্ভব?

    এখন প্রশ্ন হতে পারে জনগণ যদি এমন সমালোচনা করে যেটা ইসলাম বিরোধী, তাহলে কি করা? এক্ষেত্রে জনগণকে সঠিক ইসলামী জ্ঞান দেয়াটা জরুরী। তাদেরকে ইসলামের আলোকে বোঝাতে হবে যে তারা ভুল করছে। আবার অনেক সময় এমন হয় যে আসলে শাসকেরই ভুল, কিন্তু ক্ষমতার মোহের কারণে তিনি তা বুঝতে চাইছেন না। আগেকার সেই বিশুদ্ধ ইসলামী নেতা, যেমন ছিলেন ওমর(রাঃ), উনি বলতেন কেউ যদি আমার নামটা উচ্চারণ না করতো! – এরকম নেতা কোথায় পাবো। আবার উনারা কেউ কিন্তু খুব বেশিদিন ক্ষমতায় থাকেননি।উসমান(রাঃ) সর্বোচ্চ ১২ বছর ছিলেন, তাকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করা হলো। সেই যুগেই ঐ অবস্থা, আর বর্তমানে?????

    মুসলিম৫৫

    @নাজনীন, আমরা যখন ঢাকা কলেজে পড়তাম তখন, দু’টো গ্রুপে মারামারি লাগলে, অনেক সময়, তৃতীয় আরেকটি দল এসে দেখা যেত মধ্যস্থতা করার নামে বিবাধমান দু’টো গ্রুপের একটিকে ধরে রাখতো – আর সেই সুযোগে অপরটি, সেটিকে ইচ্ছামত উত্তম মধ্যম দিত। আপনি খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা – ক’দিন আগে ঠিক এই স্টাইলে, মাযহাব না মানা “গায়ের মুক্বাল্লিদীনদের” এই ব্লগে “সাইজ” করা হয়েছে – ব্লক,ব্যান, মন্তব্য মুছে দেয়া বা আটকে দেয়ার সাথে সাথে, মাযহাবী ভাইদের সাঁড়াশী আক্রমণ। আমার শ্রদ্ধেয় শুদ্ধ-পন্থী “বাংলা মৌলভী” ভাইও সেই “শুদ্ধি” অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। তারপর আবার সেলিম মরগ্যানকে যেভাবে praise করেছেন তা দেখে মনে হলো – তিনি যদি জানেন যে, সেলিম মরগ্যান একজন সালাফী স্কলার – তাহলে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে। কিছুটা রসবোধ থেকেই তাই আমার ঐ মন্তব্য।

    আসলে আমাদের আরো অনেক পড়াশোনা করা দরকার । আপনি যেভাবে মন্তব্য করছেন – ব্যাপারগুলো অত simple নয়। আমি জানি আপনি জামাতী ঘরানার মহিলা। জামাতীদের ভিতর পড়াশোনা এত কমে গেছে যে, তাদের দৃষ্টিশক্তি গ্লুকোমা রোগীর দৃষ্টির মত cylindrical হয়ে গেছে। তাদের দারুন আঁতেল সংকট চলছে – যে জন্য, অপছন্দ করলেও, তাদের steering-এর ভার ন্যস্ত রয়েছে শাহ্ আব্দুল হান্নানের মত মডার্নিস্টদের হাতে – তার ফল দেখতেই পাচ্ছেন: ব্যাঙ্ক, বীমা, ক্রুজ, খবরের কাগজ, টিভি অনেক কিছুই হয়েছে কেবল ইসলামই হয়নি – এভাবে ইসলাম হবারও নয়। ইমাম মালিকের একটা আসার রয়েছে যার সারাংশ এরকম: যা এই উম্মার প্রথম অংশকে পরিশুদ্ধ করেছিল, তাই এর শেষ অংশকেও পরিশুদ্ধ করবে।

    বাংলা মৌলভী

    @মুসলিম৫৫, মুসলিম ভাই আমি কিন্তু ব্লগের নয় ঢালাও ভাবে সকল আহলে যাহের বা আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধেও নয়, আমি মেরিনার-ম্যান উইথ মিশন এবং এ কাতারের অনেক লেখকের বেশির ভাগ লেখাতেই আমার সাপোর্ট দিয়েছি। এবং ঢালাও ভাবে ওয়াহাবিজ্যম বা যে কোন ইজম নিয়ে কোন তথ্য দিলে তা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্যও নয়। সৌদিয়াতে আমার একাধিক সৌদি এবং বংশগত আরব বা কোরাইশ বংশোদ্ভোত বন্ধু আছেন অনেকে ড. এবং আরো উচ্চতর গবেষণা ও অনেক গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত কিন্তু তাদের বেশির ভাগকেই আমি আহলে হাদীস বা সালাফীদের মতো কঠোর দেখিনি। এর অর্থ এটা নয় যে, তারা মালেকী মাজহাবের আমল করে বিধায় আমি মালেকী মাযহাবে মাজহাবন্তৃত হয়েছি, আহলে হাদীসদেরও অনেকে আছেন তাবলীগ জামাতে আসেন এবং মালফুজাত এ ইলিয়াস, হায়াতুস সাহাবা, ফাজায়েলে আমলের ব্যাপারে তাদের যথেষ্ঠ জ্ঞানও আছে, কিন্তু হাদীসের ত্বাত্বিক আলোচনা ছাড়া ঢালাও ভাবে এ দেশের দেওবন্দী-তাবলীগিদেরকে তারা কেউ ই গালি গালাজ করে না। যেটা আমি কতিপয় ব্লগারদের কাছে পেয়েছি।
    তাবলীগ জামাত, দেওবন্দী মানহাজ ও আক্বীদার বিষয় নিয়ে আমার সাথে প্রথম বিতর্কের সূচনা হয় মেরিনারের সাথে, ওনারা তথ্য উপাত্ত সহ ওনাদের জানামতে যে দোষত্রুটি দেখলেন এবং বল্লেন আমি তাবলিগী বা দেওব্ন্দীদের মধ্যে তার সত্যতা খুজে পাইনি। তাই প্রতিবাদ করেছি, এর অর্থ এই নয় যে, ঢালাও ভাবে সকলকে ওয়াহাবী, সালাফী, আহলে যাহের ও আহলে ফিতান স্যাবস্ত করবো।
    আল্লাহর হুকুম পরিষ্কার যে, তোমাদের আত্মীয় স্বজন এমনকি নিজেদের বিরুদ্ধে গেলেও স্বাক্ষীতে মিথ্যার আশ্রয় নিবে না, বা স্বাক্ষী গোপন করবে না।
    এই উপমহাদেশেরে ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে তাসাউফ ও সিলসিলার বিশেষ যোগসাষ থাকায় আপনি হুট করে এসে এগুলোকে অণ্যায় বলে দিলে তা কেউ মেনে নিবে না, আবার তাসাউফের নামে স্পষ্ট শির্ক কুফুর ও বিদাতে লিপ্ত হওয়াকে আমিও সাপোর্ট করবো না, এগুলোর চিকিত্সসার দরকার অবশ্যই আছে তবে ===> -মেরিনার – বা তার মত সালাফী স্টাইলে নয়, এবং তাদের যে স্টাইল তাতে আপনি কখনোই মাজার পুজারী, কাট্টা বেদাতী সমাজে কোন কথাই বলতে পারবেন না, বিশেষত দক্ষিনপূর্বাঞ্চলে, চট্টগ্রাম নোয়াখালী বরিশাল বা বৃহত্তর দক্ষিন অঞ্চলে আহলে হাদিসদের অস্তিত্ব একেবারেই নেই কিন্তু এখানে মাজারপূজাকে যারা খারাপ দেখেন তাদের বেশির ভাগই হলেন দেওবন্দী তাবলীগিরা। তারপরো কোন ইস্যু নিয়ে এই তাবলীগি দেওবন্দীদের পিছে (অযৌক্তিক বিশেষত আমার কাছে এবং তারা যদি আরো উত্তম মনপূত দলিল নিয়ে আসেন তবে তাদেরকে স্বাগত জানবো) এই কথিত সালাফীরা লেগে থাকেন তা আমার বোধগম্য নয়।
    কথিত সালাফী-বা আহলে হাদীসের অবস্থান সৌদিয়াতেও খুব প্রকট নয়, তা আমি আমার দীর্ঘ ও সৌদি ঘনিষ্টসূত্রতা থেকেই স্পষ্টই জানি। বিশেষত হানাফি মাযহাবকে তাদের যথেষ্ট রেসপেক্ট করে চলতে হয় যখন কোর্ট কাচারীর ও আন্তর্জাতিক শরয়ী বিষয়ের ব্যাপার আসে, তারপরেও মাযহাব বিদ্বেষ ও বিশেষ দলের পেছনা অযথাই সময় নষ্ট করে লেখালেখি করাটা আমি সময় ও মেধার অপচয়ই জানি। এসবের জবাবদিহীতা আল্লাহর কাছে করতে হবে।
    আমি ঐসব ভাই যারা এই অহেতুক কাজ নিয়ে সময় নষ্ট করেছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো আসুন এমন কিছু নিয়ে কাজ করি যা আমাদের বাস্তব জীবন ও যূগের চাহিদার সাথে মিলরাখে। খুচিয়ে খুচিয়ে জোড়া তালি দিয়ে দেওব্ন্দী-তাবলিগী-তাকলীদি নিয়ে লেখালেখি করে লাভ নেই। কারণ বাস্তবতা হলো কোন দেওবন্দি ই সর্বশ্বেরবাদ, পূনর্জন্ম, অদৃশ্যজ্ঞানের দাবি করেন না, বরং এ উপমহাদেশে যে মুসলিম সমাজে এসবের অমুলক ধারনা আছে তাদের সংশোধন ও প্রতিবাদই করে থাকেন দেওবন্দি ও তাবলিগি-তাকলিদী রা।

    নাজনীন

    @মুসলিম৫৫, ভাই, আপনারা ব্লগিং করেন ছদ্মনামে, আমি করি নিজের নামে। তাই আমাদের মনে হয় আরেকটু সতর্কভাবে কথা বলা দরকার।
    এসব জামাতী ঘরানা, সালাফী ঘরানা – এ টাইপ কথা শুনতে আমার ভাল লাগে না।
    আমি মুসলিম, ইট’স ওকে? আমি মনে করি এটাই শুধু আমাদের পরিচয় হওয়া দরকার।
    আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কোন লেখকের বই পড়ি, সে লেখক কোন ঘরানার সেটা দেখি না। আপনি কিছু বইইয়ের রেফারেন্স দেন, দেখবেন সেগুলোও পড়বো, কোন বাদ-বিচার নেই। লেখার মাঝে যতটুকু কোরআন-হাদীসের কাছাকাছি আছে বলে মনে হয় এবং সে সাথে বাস্তব দুনিয়ার বর্তমান সমস্যার সমাধানে কাজে লাগে, সে কথাগুলোকেই মানার চেষ্টা করি বা বলার চেষ্টা করি। মূল কথা কোরআন এবং বহুল প্রচারিত সহীহ হাদিস গুলোর বাইরে জটিল তেমন কিছুর ভিতরে আমি যাই না। বাপু, আমি সাধারণ মুসলিম, আমি তো কোন ফিকাহ্‌বিদ না যে ফতোয়া দিতে যাব।
    আর ব্লগে আমাদের সীমিত জানার ভিতরেই কথা বলার চেষ্টা করি। হ্যাঁ, আমাদের অনেক জানতে হবে, সেটা তো অবশ্যই। কিন্তু শুধুই জেনে জেনে বসে থাকবো আর আরেকজনকে শেখাতে থাকবো? আর কিছু করবো না? এই শেখাশেখির কাজ তো ১৫০০ বছর ধরেই চলছে, তবুও কেন আমরা অনেক মুসলিমরাই আবার গাফেল হয়ে পড়ছি? আমার মনে হয় এর একটাই কারণ, আমরা বেশিরভাগ মুসলিম শুধু ব্যক্তিজীবনের ইসলাম নিয়েই ব্যস্ত, সামগ্রিকভাবে এর প্রয়োগ নেই বলেই ইসলামের যে সৌন্দর্য সেটা বোঝা যায় না। তাই মানুষরা বিশেষ করে শিক্ষিতরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আর এই শিক্ষিত সমাজকে আগ্রহী করার চেষ্টাটাই হান্নান সাহেবের মতো কিছু মানুষ করছেন বলে দেখছি। আমি অনেক তাক্‌ওয়াসম্পন্ন মানুষ দেখেছি এরা নিজেরা অনেক পারফেক্ট, কিন্তু এমন ভারিক্কি চালে কথা বলে, এমন গম্ভীর, কথায় কথায় এতো দোষ ধরে, অমিশুক প্রকৃতির যে তাদের সাথে কথা বলতেই আর ভাল লাগে না। একারণে তারা ভাল হলেও সাধারণের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়না। কিন্তু রাসূল(সাঃ) কি তেমন ছিলেন? সব ধরণের মানুষই উনার সাথে খুব সহজে কথা বলতে পারতেন। আর হান্নান সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছেন যাদের সাথে মন খুলে কথা বলা যায়, অহেতুক শাসন করতে আসে না, নিজেদের ভারী ভারী জ্ঞান দিয়ে ভারী ভারী কথা বলে না। তাই অনেক তরুণেরাই যারা উনাকে চিনে, জানে, তারা উনার মতো মানুষকে পছন্দ ও শ্রদ্ধা করে।
    আচ্ছা, আমার একটা প্রশ্ন বা কৌতুহল আছে প্রবাসী মুসলিমদের কাছে। আমি নিজেও প্রবাসী এবং এক্ষেত্রে সন্দিহান। আমি যখন কোন ইসলামী অর্থনীতির বই পড়ি তখন সেখানে দেখি স্পষ্টতই সুদ হারাম এ কথা বলা আছে। আবার দেখুন, আপনার এ পোস্টেই বলা আছে, যারা আমেরিকার বাইরের মুসলিম, তাদের দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য আমেরিকায় স্যাটেল হওয়া ঠিক না। যারা ওইখানে জন্মেছে তারা বাধ্য হচ্ছে থাকতে তাই থাকা। আমার কথা হলো এটা কি ঠিক হচ্ছে? আমাদের তো হিজরত বলে একটা টার্ম আছে। শুধু আমেরিকাতেই না , যেকোন অমুসলিম দেশে অনৈসলামিক শাসনের অধীনে সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিতরে কেন মুসলিমরা থাকবে বা ইমিগ্র্যান্ট হবে? এটা কি সমর্থনযোগ্য? কিছুদিনের জন্য না হয় ট্রেনিং বা শিক্ষার জন্য যেতে পারে, কিন্তু সারাজীবনের জন্য কেন? তাদের জন্য কি কোন ইসলামিক দেশ নেই এ বিশ্বে? তাহলে যারা ঐসব দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে স্থায়ীভাবে থাকে, তাদেরকে আমরা কোন চোখে দেখবো?

    মনে কিছু নিবেন না, এটা রিয়েলী মাঝে মাঝে আমাকে ভাবায়। এটা ঠিক হচ্ছে কিনা?

    মুসলিম৫৫

    @নাজনীন,

    আপনার মতামত নিয়ে আমার কোন মতামত নেই। আপনি আপনার ঘরানার বাইরে আসতে পারেন নি – শুধু এটুকুই বলবো। তবে শেষে যা জানতে চেয়েছেন(?) তার উপর একটা আলোচনা দিলাম। কষ্ট করে পড়ে নেবেন।

    بسم الله الرحمن الرحيم

    In the tape series ‘Al-Hudaa wa An-Noor’ tape # 617, Al-Imaam Al-Albaanee was asked:

    “Residing in the lands of disbelief, like that is the question, the question is about this matter, and in addition to it the American people who are Muslims, the Americans who are originally Muslims, is it incumbent upon them to make hijrah from there?”

    Al-Imaam Al-Albaanee answered:

    “Is there any doubt about that? Because of these people He تعالى said:

    ألم تكن أرض الله واسعة فتهاجروا فيها

    ‘Was not the earth of Allaah spacious enough for you to emigrate therein’ (An-Nisaa: 97)

    However before your last question, the first part, what is it? I don’t know do you still insist on asking it that we answer it?”
    (The questioner) “I would be grateful if you were to answer.”
    (The Sheikh) “What?”
    (The questioner) “I would be grateful if you were to answer.”
    (The Sheikh) “I believe the first part of the question would be understood inclusively from answering the second part of it, however, perhaps from that which is best is to explain what has come in the Sunnah from the authentic hadeeths which warn the Muslim from taking the lands of disbelief as a homeland. There is in the science of Fiqh and Usool a Qiyaas called Al-Qiyaas Al-Awlawee. If the people of the land born and hereditarily (from there) when they embrace Islaam it is incumbent upon them to make hijrah to the lands of Islaam then more so the one who is on the opposite of that, being born in the lands of Islaam and raised and brought up, it is not permissible for him to travel, and I don’t say make hijrah, to the lands of disbelief. This is even more so.

    However, with that I say the hadeeths have come one after the other prohibiting the Muslim from traveling to the lands of disbelief. From that is the hadeeth which Abu Dawud transmitted in his Sunan on the Prophet صلى الله عليه و سلم that he said with the best form of expression:

    ‘Whoever is close together with the polytheist then he is like him.’ [Abu Dawud]

    And the being close together mentioned is mixing together, meaning living together. And other hadeeths have come emphasizing this meaning with the clearest wording. He عليه الصلاة والسلام says:

    ‘The Muslim and the polytheist, their fire is not to appear to one another.’ [Abu Dawu, Tirmidhi]

    The Muslim and the polytheist, their fire is not to appear to one another. This is an expression meaning that it is incumbent upon the Muslim that his residence be far away from the residence of the polytheist, because the Arabs from their custom is that they light the fire in front of their abodes, in front of their tents, so the fire appears to the one approaching from a distance. So it is as if the Messenger صلى الله عليه و سلم is saying to the Muslim; stay far away, stay far away as much as you can from having the disbelieving polytheist see your fire. The Muslim and the polytheist, their fire is not to appear to one another. A third hadeeth also emphasizes this, and it is his صلى الله عليه و سلم statement:

    ‘I am free from every Muslim who resides amongst the polytheists.’ [Abu Dawud, Tirmidhi]

    These are very clear texts that emphasize that it is not permissible for the Muslim to reside amongst the polytheists. And the wisdom in that is very clear. Not from the analogical stand point or the intellectual standpoint or experience wise, because this is a secondary matter with regards to the traditional texts. There are some hadeeths which it is possible to use as a basis to use as an answer to a question that could occur to some minds when they hear those hadeeths. What is the secret? What is the purpose? What is the wisdom of the prohibition from the Messenger عليه السلام of the Muslim from living together with the polytheist? There are two hadeeths suitable to mention as an answer to this question. The first is his صلى الله عليه و سلم statement:

    ‘The example of the righteous sitting companion is like the one who sells musk. Either he gives you some as a gift or you buy from him or you smell from him a good fragrance. And the example of the evil sitting companion is like the ironsmith. Either he is going to burn your clothes or you are going to smell from him an offensive smell.’ [Bukhari and Muslim]

    This is the Messenger of Allaah صلى الله عليه و سلم bringing forth an example for the sitting on a reduced scale. A reduced scale sitting, you sit with one person. So he is saying to you, if he is righteous then the example of him is like the one who sells musk, to the end of the hadeeth, or if he is evil then he is like the ironsmith. Either he is going to burn your clothes or you are going to smell from him an offensive smell. The second hadeeth which emphasizes the first hadeeth and the reality increases it in emphasis, it is what Al-Imaam Muslim transmitted and perhaps Al-Bukhaaree also in the Saheeh on the Prophet صلى الله عليه و سلم that he said:

    ‘A man from those before you killed ninety nine people then afterwards he wanted to make Tawbah (repentance) so he asked about the most knowledge of the people on earth, so he was directed to a Raahib. He then went to him and said to him, ‘I have killed ninety nine people so is there any Tawbah for me?’ He said, ‘You killed ninety nine people and you ask is there any Tawbah for you! There is no Tawbah for you.’ He then completed with him number one hundred. Then he continued to ask until he was directed to a person of knowledge.’

    Before hand he was directed to a Raahib, meaning an ignorant person engrossed in worship. So he gave a verdict with his ignorance so his outcome was that he added him to the murdered ones before him. The second time he was directed to a person of knowledge.

    ‘So he went to him and said to him, ‘I have killed one hundred people unjustly, is there any Tawbah for me?’ He said, ‘What prevents you from Tawbah? However, you are in an evil land so leave it to such and such town which its people are righteous.’ So he went to go to them, to the end of the hadeeth and it is well known inshaallaah.

    The highlight is that this person of knowledge has an understanding of the Fiqh of this hadeeth or these hadeeths, and this does not declare impossible that these hadeeths the Messenger عليه السلام narrated them to us, this does not prevent this from being from the understanding of the Prophets beforehand عليهم السلام because they all used to draw from one source of light (guidance). So therefore, this person of knowledge understands this reality, that the contaminated atmosphere it can infect the righteous person when he intermixes with it. This is an example from the stand point of diseases, the diseases that are contagious. And because of that it has come for this point the quarantine well known today and the Messenger صلى الله عليه و سلم has put in place his principle in the well known hadeeth:

    ‘If a plague occurs in a land and you are in it then don’t leave it, and if a plague occurs in a land and you are not in it then don’t enter it.’

    Like that. Therefore, the Messenger of Allaah صلى الله عليه و سلم when he prohibited the Muslims from taking the lands of disbelief as a homeland, that is only to protect their Aqeedah, their worship, their manners. So because of this he made it incumbent not upon the polytheists, this is an important matter also, rarely have I addressed it when I speak about the likes of this issue, the Messenger of Allaah صلى الله عليه و سلم or the wise legislator, not only made it incumbent upon the polytheists when they embrace Islaam that they make hijrah to the lands of Islaam, rather he made it incumbent upon the Bedouins to make hijrah from their nomadic life to their sedentary life. This, in it is a regard for the same meaning because the Messenger عليه السلام says in some of the hadeeths:

    ‘Whoever becomes a Bedouin he becomes harsh.’

    So when the Bedouin lives after being taught Tawheed and learning what is incumbent upon him for correcting his faith and his Islaam then he goes back to his nomadic area and lives there, he could be influenced by the harshness which is from the normal way of the Bedouins. So if the Messenger
    صلى الله عليه وسلم encouraged the Bedouins firstly to return to sedentary life, then he tied into that a legislative ruling, and it is that they don’t have any right to the spoils of war that the Muslims capture from fighting the disbelievers, then more so and more so and more so he makes it incumbent upon the Muslims to remain in their lands and that they don’t move to the lands of disbelief and polytheism and misguidance. Especially in these days because you know that the Jews and the Christians, even if they are misguided because of their going astray firstly from Tawheed which has reached them from their Prophets and again because of their denial of our Prophet صلى الله عليه وسلم, they with that used to be upon something of good manners and good character and so on. And he who is in my age group or close to it, he knows that the women of the Christians in the lands of Islaam, they used to cover with a covering better than many of the Muslim women today. The meaning of this statement is that the people of the book, sinfulness and immorality and nudity was not widespread amongst them the widespread way that the people of intellect, if there are people of intellect amongst them from the disbelievers, complain about in their lands. So because of that how can it be permissible for a Muslim to expose himself to this society contaminated by immorality and this decadence? This is what I have in response to that question.”

    Later on in the tape Al-Imaam Al-Albaanee said:

    “Here is a Shubhah that must be mentioned on this occasion and it is a deceptive Shubhah that many of the youths are deceived by. They say: ‘Yaa Sheikh, by Allaah, we here, religious freedom is more than that in our country.’ This from some angles is correct.

    However, I take them by surprise with the reality that they live in. I say to them: ‘Are you able to raise your voices with the Adhaan?’
    He says: ‘No.’
    I say: ‘Where is the freedom that you claim?’ Then I remind them of the long term. You, if you are fleeing with your deen, you cling, to the lands of disbelief, is it possible for you to conceive that you will be able to set up an Islamic state where you are in America, in France, and so on, except after centuries and long centuries?

    Which of the two affairs is more likely, that you return to your countries and work together with your brothers there to establish the Islamic society and the Islamic lifestyle from which springs the establishment of the Islamic state and ruling by Islaam, or is it more likely over there? No, by Allaah, they say, in the lands of Islaam it is more likely. Because changing those lands of disbelief to the likes of what the situation is in the Islamic lands requires centuries.

    Therefore you are living in delusions. You say: ‘We live in freedom greater than the lands of Islaam.’ This is a delusion and this is a fantasy. Yes you pray and you fast and so on, however, most of your fasting, most of your prayer is not in the legislated manner. Furthermore, put this regard aside, you hear from there problems which the youths are exposed to regarding marriage to some of the women of the people of the book, they claim, and having children afterwards, and the disputing when the woman divorces him, he did not divorce her, then his son or daughter remains with her not him and so on; Problems that we are constantly asked about. These don’t occur in the lands of Islaam. Due to that the reality which there is no doubt about is that it is not permissible for the Muslim today to live in the lands of disbelief. So if he is exiled from his land where he was born, it is allowed for him to move to another land from the lands of Islaam. This is what I recall or what I saw necessary to mention pertaining to examining this issue.

    (A questioner) Yaa Sheikh, concerning this issue they mention something close to what you mentioned, a Shubhah that the lands have become similar in sinfulness and immorality, the lands of Islaam and the lands of disbelief, and the (Islamic) rulings are not being enforced. So what is your opinion?

    (The Sheikh) We have said beforehand regarding sinfulness and immorality, it is not permissible to compare the lands of Islaam to those lands. As for regarding the rulings, correct, sadly, many of the Islamic rulings have been rendered void and have been abandoned. However, Qiyaas here is Qiyaas with the existence of the distinguishing factor because the lands of Islaam many of the rulings still exist in it upon Islaam and at the very least upon some of the Islamic madhhabs. As for there, only the Qaanoon (the man made law) exists there which has judicial power over all of them. So this also is a distortion. They want by it to justify what they are upon from the residing that opposes the Sharee’ah. Furthermore I also say, and as it is said: the speech is connected together, our Lord says in the Noble Qur’aan:

    ومن يتولهم منكم فإنه منهم

    ‘And whoever amongst you takes them as friends then verily he is one of them.’ (Al-Maa’idah: 51)

    What do you think, the one who lives in a land of disbelief, is he having Muwaalaah (befriending, showing loyalty, supporting etc.) for that land or showing enmity to it? I want to hear the answer from the doctor to loosen up the atmosphere a little bit…

    Whichever Muslim travels to a land of disbelief, is he having Muwaalaah for this land and its rulers or is he showing enmity?

    (The doctor) No he is not having Muwaalaah, the land and its rulers and its government he is not having Muwaalaah for them.

    (The Sheikh) He is not having Muwaalaah? Is he showing enmity?

    (The doctor) He is averse, not showing enmity, yes showing enmity, however he perhaps does not do any act of enmity, however he is averse to it.

    (The Sheikh) He is averse?

    (The doctor) Yes

    (The Sheikh) Then why does he take it as residence?

    (The doctor) Because of this need as you have mention.

    (The Sheikh) Na’am, in that case we say in response why… (A cut in the tape)

    (The doctor) Because of the need to resided there.

    (The Sheikh) However the need must prove to be true.

    (The doctor) No, No. I am saying because of what you mentioned. The answer to your question is what you previously mentioned. The answer to your question is the Muslim who resides in the lands of the disbelievers, is he having Muwaalaah for them or showing enmity to them. If you consider merely residing Muwaalaah this is another matter. If you are asking about the Muwaalaah of the heart, no the Muslim is not having Muwaalaah for them, normally, he resides but he is not having Muwaalaah for them. Meaning he does not love them, pardon me, he is averse to their ways.

    (The Sheikh) Pardon me, is Muwaalaah in the heart only or outwardly also?

    (The doctor) In the heart and outwardly.

    (The Sheikh) You intended in the heart.

    (The doctor) He is not having Muwaalaah for them. He is not pleased with what they are upon. He disapproves of that. He calls to the opposite of it. He does not implement it upon himself. Meaning Muwaalaah is not materialized. I don’t see it to be materialized. He remaining amongst them is forbidden. This is a matter. As for Muwaalaah, it is not clear that he is having Muwaalaah. It is possible that he reside amongst a people while he is averse to them, averse to what they are upon.

    (The Sheikh) Tayyib. He does not assist them, Yaa Ustaadh?

    (The doctor) Yes he assists in the general way of life in the dunyaa. Is this from Muwaalaah?

    (The Sheikh) Isn’t he upon their Qawaaneen (man made laws)?

    (The doctor) Yes they rule him by it.

    (The Sheikh) Tayyib. How is Muwaalaah? Muwaalaah is forbidden. How is it done?

    (The doctor) Even in the lands of the Muslims we rule by un-Islamic laws.

    (The Sheikh) pardon me, now let us finish with over there then we can come back to the lands of Islaam.

    (The doctor) He firstly is residing with them. They themselves have the ability with the rule of law. They implement it, he carries it out. He is not able to avoid it, even if some avoid some things however he carries out most of it. However the laws of disbelief being implemented upon him, it is forced upon him. Is this Muwaalaah? This is a question that applies even to the lands of the Muslims.

    (The Sheikh) No, No. It does not apply. Baarakallaah feek. However, I don’t know this jump, is it analogical, from the land of disbelief to the lands of Islaam.

    (The doctor) No, it is a jump, the jump Yaa Sheikh is because of an answer to the question. Is merely their laws being applied on them, the laws are applied so he complies with them upon these laws. Is this Muwaalaah? The answer, yes their laws are applied on him. This is the answer to the question. Is this Muwaalaah? You mentioned that this is Muwaalaah. So I say if this is Muwaalaah then all of us in all lands, un-Islamic laws are applied on us.

    (The Sheikh) They are not the same. Baarakallaah feek. I am going to say to you now as long as you continue to use Qiyaas. I say to you there is a very big difference. The Muslim he must have an abode, a place of shelter. He must have that. So he must have a land for this shelter, and this land it must either be a land, I don’t say Islamic now, let it be more specific than that beforehand, its residents are Muslims or another land its residents are disbelievers. So he chose to reside in the second land not the first, and another chose to reside in the first land. Is the example of the two the same?

    (The doctor) No they are not the same.

    (The Sheikh) Baarakallaah feek. That is what was thought. Because of that your Qiyaas of the land of disbelief with the Muslim land does not stand straight. Because the Muslim he must have as I have brought beforehand a place of shelter that he uses for shelter. Therefore, either this place of shelter of his is in a Muslim land or in a land of disbelief. So when he resides in a Muslim land, we say here going along with you, this one is forced to comply with this land in its rulings. However, I have said beforehand there is a difference between the rulings that are applied in the lands of Islaam and the rulings which are applied in the lands of disbelief even if it is five percent, ten percent whatever percentage. What is important is there is a difference. So this one who must have a place of residence and a residency, he is forced to live under these rulings. However, there is another difference. Now I bring forth for you an example for this land and that land. Regarding car insurance, in it as you know there are two types of insurance, compulsory insurance and voluntary insurance. Good, in some land he is forced to have the two types of insurance while in another land he is forced to have one type of insurance. The two lands in good and evil are similar, there is absolutely no difference, to bring the issue closer to comprehension. The Muslim chose the land in which the two types of insurance are forced on him. Is it said that this one is like the first one?

    (The doctor) No, he is not like that one.

    (The Sheikh) Therefore, Baarakallaah feek, it is necessary that the Muslim always takes into consideration that there is a difference. Let me mention an example, Muwaalaah, there is a difference in Muwaalaah. Muwaalaah is a must, like the Muslim who resides in the lands of Islaam and he pays many, many taxes and sales taxes. This one is excused. Where is he to go? Here it is not said to him:

    ألم تكن أرض الله واسعة فتهاجروا فيها

    ‘Was not the earth of Allaah spacious enough for you to emigrate therein’ (An-Nisaa: 97)

    As for that person who rules with a Qaanoon from beginning to end, he is a Kaafir, and every day, without exaggeration, at every interval changes enter it because it is from that which man has produced. The Qaanoon in the lands of Islaam is not like this in farness from Islaam. There is a difference in it be it small or large, this is not our subject. Therefore, we go along with you, the Muslim in the land of Islaam is having Muwaalaah, however, he is not able to do anything except this. This Muwaalaah is outward and it is not in the heart. As for there, it is in the heart and outward because he is able to escape from that by living in the lands of Islaam being forced to the likes of this bodily Muwaalaah not Muwaalaah of the heart. I hope that these matters are taken into consideration because the reality helps us to make the Muslims understand the Islamic rulings and so that they return to increasing the masses of their nation inside their land instead of increasing the masses of the disbelievers.

    I put forth a very simple example. The Muslim in the lands of Islaam, Allaahu Akbar…

    (I think there was a pause for the Adhaan)

    Perhaps you recall with me a hadeeth in the Sunan of Abu Dawud and others. A man entered and said: ‘As-Salaamu Alaikum.’ So he صلى الله عليه و سلم said: ‘Ten.’ A second man entered: ‘As-Salaamu Alaikum wa Rahmatullah.’ ‘Twenty.’ A third man entered. He said: ‘As-Salaamu Alaikum wa Rahmatullah wa Barakaatuh.’ He said: ‘Thirty.’ They said: ‘O Messenger of Allaah, so and so entered so you said ten,’ to the end. He said: ‘The first said As-Salaamu Alaikum so ten good deeds were recorded for him. The second added so twenty were recorded for him. The third, thirty. These good deeds that the Muslim acquires in the lands of Islaam, does he acquire them there? What do you think?

    (The doctor) No.

    (The Sheikh) This is a very small example. So now I say to you, another example very small. This example differs from one Muslim land to another Muslim land, rather, from a Muslim locality to another Muslim locality in the same land, from a Muslim locality to another Muslim locality, rather, from house to house. Is there something more reduced than this? Is there something smaller than this? There is not. How is this? A Muslim land, however, and from it is this land, you say to him: ‘As-Salaamu Alaikum.’ He says to you: ‘Marhabaa.’

    وإذا حييتم بتحية فحيوا بأحسن منها أو ردوها

    ‘When you are greeted with a greeting, greet in return with what is better than it or return it…’ (An-Nisaa: 86)

    He is not raised in an Islamic manner. I am coming closer home a little bit with some small examples. As-Salaamu Alaikum, wa Alaikum As-Salaam. However, in the smallest example he entered and said: ‘As-Salaamu Alaikum.’ He left and said: ‘As-Salaamu Alaikum’ going about and automatically good deeds are recorded one after another. Allaah knows best from twenty four hours how much the total of these good deeds is. Why? Because he lives in a Muslim Salafee atmosphere. He knows his عليه السلام statement:

    ‘When one of you enters a sitting then let him give Salaams, and when he leaves let him give Salaams, for the first does not have more right than the second.’

    This and other than it from the many examples that we have brought home to you the reality which we seek. It is not possible for you to see it in the lands of disbelief, never. And because of that we ask Allaah عز و جل to inspire our Muslim youths to return to the land of Islaam and that they learn the rulings of the Qur’aan and the Sunnah of the Messenger
    عليه السلام upon the methodology of As-Salaf As-Saalih and that they educate themselves and those they are close with upon this pure Islaam. And perhaps this much is enough inshaallaah. And all praise is due to Allaah Lord of all that exists.”

    Translated by: Abdullah MacPhee
    In Daarul-Hadeeth, Dammaaj

    নাজনীন

    @মুসলিম৫৫, আর আমি ব্লগে কথাবার্তা যা বলি এটা একান্তই আমার জ্ঞান থেকে নিজের চিন্তা-ভাবনা বা মতামত থেকে বলি, সেটা কারো সাথে মিলবে, আবার মিলবে না। আমার ভুল-ত্রুটির জন্য আমিই দায়ী। আল্লাহ্‌ যেন ভুল থেকে বাঁচায় আমাকে। এটা যেন মনে করা না হয় যে সেসব কথা সবকিছু জামাত ঘরানার বা হান্নান সাহেবের বা আর কারো হুবুহু মত। আমি আপনাদের কাছ থেকেও শিখি।