রামাদানে রোজা রাখা – ১
লিখেছেন: ' মুসলিম৫৫' @ বুধবার, অগাষ্ট ১১, ২০১০ (১২:৩৭ অপরাহ্ণ)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আস সালামু আলাইকুম
রামাদানে রোজা রাখা – ইসলামের ৫টি স্তম্ভের একটি।
আমরা ইনশা’আল্লাহ্ কয়েকটি পোস্টে এই ব্যাপারটা বিস্তারিত আলাপ করবো। তবে, আজ শুধু দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত, সাধারণ কিছু কথাবার্তা বলবো।
”রামাদানের পবিত্রতা রক্ষা করুন” বলে একটা স্লোগান প্রায়ই শোনা যায় বা এই লেখা সম্বলিত ব্যানারও প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এটা হালে কেবল একটা ”বাম্পার স্টিকার” বা সুন্দর বাক্যের স্টিকারে পরিণত হয়েছে। রামাদানে আসলে একমাসের “পবিত্রতা রক্ষার” যে প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন হয় (বা হবার কথা), তাই দিয়ে গোটা বছর সুন্দর, সুস্থ ও পবিত্র একটা জীবন যাপন করার ইচ্ছা হবার কথা এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করারও কথা। কিন্তু আমরা কি ব্যাপারগুলো বুঝি বা সেসব নিয়ে চিন্তা করি? আমাদের, বিশেষত, নাগরিক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উপর, রামাদানের প্রভাব কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে রামাদানের শেষে ঈদ উপলক্ষে নির্মিত ছায়াছবি, টেলিফিল্ম, বিশেষ নাটক, বিনোদোন অনুষ্ঠান ইত্যদির দিকে তাকিয়ে দেখাই যথেষ্ঠ। সেভাবে দেখলে, রামাদানকে, অশ্লীলতার “দৌড় প্রতিযোগীতা” শুরু হবার ঠিক আগের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, জিরিয়ে নেয়ার সময় বলে মনে হতে পারে।
অন্যত্র দেখেছি এই একমাস সময়কে অনেকটা “দ্বীন-শিক্ষার” একটা “প্রশিক্ষণ মাস” হিসেবে ধরে নিয়ে কেউ শুদ্ধ করে কুর’আন পড়তে শেখেন, কেউবা তারাবীতে রাতে যে অংশটা পড়া হবে – কুর’আনের সেই অংশটা অর্থসহ, দিনের বেলাই আগাম পড়ে রাখেন; এছাড়াও নানারকম সামষ্টিক কর্মকান্ডের আয়োজন বা ওয়ার্কসপের আয়োজন করা হয়। আমাদের দেশেও যে এসব একদম হয় না তা বলা যাবেনা – তবে জনসংখ্যার ৮৭% মুসলিমের পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে যতটুকু হবার কথা, সে তুলনায় তা অপ্রতুল।
somewhereinblog, “আমার-ব্লগ” বা “সোনার বাংলাদেশ” ব্লগকে যদি আমাদের দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর representative sample বলে ধরে নেয়া যায়/হয়, তাহলে আপনি দেখবেন/বুঝবেন যে, কি নিয়ে আমরা মেতে আছি। অন্য সবার কথা না হয় বাদই দিলাম, আমরা যারা ইসলামের ভিত্তিতে আমাদের জীবন গঠন করতে চাই বা যাপন করতে চাই, তারাই বা কি নিয়ে কথা বলছি বা কি সব আলোচনায় জীবনের মহা মূল্যবান সময় কাটিয়ে দিচ্ছি। আমার অত্যন্ত কাছের দুজন মানুষ, গত রামাদানে একেবারে সুস্থ ছিলেন তারা – আজ দুজনেই মৃত। আমরা কি করে নিশ্চিত হই যে, আমাদের জন্য বছরের পর বছর ধরে রামাদান আসবে- আর এবার না হোক, আগামীবার বা তার পরের বার আমরা নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নেবো!
আসুন আমরা আল্লাহর দ্বীনের সঠিক রূপ কি তা জানার চেষ্টা করি এবং সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি। আমীন।
আল্লাহ্ হাফিজ!
[লেখাটা পুরানো এবং সম্পাদিত]
লেখাটি সুন্দর হয়েছে , ধন্যবাদ ।
@ম্যালকম এক্স, ধন্যবাদ!
@হাফিজ,