সবার রিযিকের দায়িত্ব সম্পূর্ণই আল্লাহর
লিখেছেন: ' pakhi52' @ মঙ্গলবার, মে ২৯, ২০১২ (৪:৫৭ অপরাহ্ণ)
লেখকঃ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান
প্রত্যেকটি প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন, তিনি জানেন তার কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সব কিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে ।’ -সূরা হুদ ঃ ৬ আয়াত।
তিনি আরও বলেন, ‘পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদেরকে উন্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।’ -সূরা আল বাকারা ঃ ২১২ আয়াত। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘বলুন, ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাশীল। তুমি রাতকে দিনের ভিতর প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভিতর প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভিতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসেব রিযিক দান কর।’ – সূরা আলে ইমরান আয়াত ঃ ২৬-২৭। আল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে পৃথিবীতে ঠাঁই দিয়েছি এবং তোমাদের জীবিকা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।’ – সূরা আল আরাফ আয়াত ঃ ১০। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রুযী প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। তারা পার্থিব জীবনের প্রতি মুগ্ধ। পার্থিব জীবন পরকালের সামনে অতি সামান্য বৈ নয়।’ – সূরা রা’দ ঃ ২৬ আয়াত
কোরআন শরীফে এসেছে ঃ ‘আমি ভৃপৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের জন্য তাতে জীবিকার উপকরণ সৃষ্টি করেছি এবং তাদের জন্যেও -যাদের অন্নদাতা তোমরা নও। আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমাণেই তা অবতারণ করি। সূরা-হিজর ঃ আয়াত ১৯-২১। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।’ – সূরা আশ শুরা ঃ আয়াত ঃ ১৯।
আল্লাহ রিযিক অন্বেষণ করে বের করে নিতে বলেন এভাবে, ‘তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে সুগম করেছেন, অতএব তোমরা তার কাঁধে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর। তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবন হবে।’ -সূরা আল-মূলক ঃ ১৫ আয়াত
আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’-সূরা আল জুমআহ ঃ ৯-১০ আয়াত
হাদিসে কুসীতে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘তাওরাত কিতাবে লিখিত আছে ঃ যে ব্যক্তি প্রত্যাশা করে তার আয়ু বৃদ্ধি পাক, ধনসম্পদ বর্দ্ধিত হোক-তার উচিত সে যেন আত্মীয় স্বজনদের সাথে সুস্পর্ক রক্ষা করে চলে। -হাকেম আব্বাস (রাঃ) সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসে কুদসীতে আরো বলা হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান, আমার এবাদতের জন্য সময় করে নাও। আমি তোমার বক্ষ প্রশস্ত করে দেব, তোমার দারিদ্র দূর করে দেব এবং যদি তা না করা তবে তোমার বক্ষকে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত করে দেব এবং তোমার দরিদ্র বন্ধ করব না।’ তিরমিযি ও বায়হাকি
হযরত রসূলে করীম (সাঃ) বলেন, ‘আহারের পূর্বে অজু দরিদ্রতা এবং আহারের পর অজু বাজে চিন্তা নিবারণ করে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘আহারের পূর্বে এবং পরে অজু দরিদ্রতা নিবারণ করে।’
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেননা, যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে। ..সূরা রা’দ ঃ আয়াত ১১