ঈদ মুবারক
লিখেছেন: ' rabiul' @ মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০ (৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
ঈদ মুবারক
বিশুদ্ধ হাদীস অনুযায়ী পবিত্র ঈদের দিনে করণীয়
১. রমযানের শেষদিনের সূর্যাস্তের পর থেকে ঈদের জামায়াতে ঈমাম উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত হাট-বাজার, মসজিদ ও বাসগৃহে পুরুষদের স্বশব্দে এবং নারীদের নিঃশব্দে এই তাকবীর বলা –
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হাম্দ
অথবা ‘আল্লাহু আকবার’ তিনবার বলা যেতে পারে, যেমন –
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হাম্দ
২. পুরুষদের জন্য তো অবশ্যই, উপরন্তু সম্ভাব্য সকল নারী ও বুঝমান ছেলে-মেয়েদেরও ঈদের জামায়াতে অংশ নেয়া। এমনকি প্রাকৃতিক অসুস্থতা নিয়েও নারীরা ঈদগাহে যাবেন এবং দূরে অবস্থান করে খুত্বাহ শুনবেন এবং ঈদের জামায়াত প্রত্যক্ষ করবেন।
৩. ঈদের জামায়াতের প্রস্তুতি হিসেবে গোসল করা। সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৪. সাধ্যমত সবচেয়ে সুন্দর পোষাক পরা। সবসময়ের মতো নারীরা এক্ষেত্রে অবশ্যই পর্দা ও শালীনতা মেনে চলবেন।
৫. ঈদের মাঠে যাবার আগে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়া।
৬. ঈদের জামায়াতে ঈমামের আগমনের আগেই মুসুল্লীদের উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করা।
৭. পায়ে হেঁটেই তাকবীর পড়তে পড়তে ঈদের মাঠে যাওয়া এবং অন্য পথে ফিরে আসার চেষ্টা করা।
৮. ঈদের সালাতে ঈমাম প্রথম রাকা’তে সূরা আল-আ’লা (৮৭) ও দ্বিতীয় রাকা’তে সূরা আল-গাশিয়া’হ (৮৮) তিলাওয়াত করবেন অথবা সূরা আল-ক্বাফ (৫০) প্রথম রাকা’তে এবং দ্বিতীয় রাকা’তে সূরা আল-ক্বামার (৫৪) পড়তে পারেন।
৯. ঈদের জামায়াত মাঠেই আয়োজন করা উচিত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীনগণ সবসময় এটি করেছেন।
১০. অগত্যা যদি মসজিদেই ঈদের জামায়াতের আয়োজন হয়, তবে সেখানে উপস্থিত হয়ে দু’রাকা’ত ‘তাহিয়াতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করে নেয়া। মাঠের ক্ষেত্রে এটি অপ্রযোজ্য।
১১. ঈদের জামায়াতে যাবার আগেই সম্পূর্ণ ফিত্রা (যাকাত-আল-ফিত্র) প্রদান করে দেয়া।
১২. সালাত শেষে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ বিনিময় করা এবং কোলাকুলি করা। নির্মল ও শোভনীয় আনন্দ করা।
১৩. ঈদের দিনকে নির্দিষ্ট করে কবর যিয়ারত করার কোনো বিধান নেই।
১৪. বরাবরের মতো ঈদের দিনও অবশ্যই নারী-পুরুষের সাক্ষাৎ ও আচরণে পর্দা ও শালীনতা বজায় রাখা।
১৫. মনে রাখতে হবে, ‘ঈদ’ প্রচলিত অর্থে তথাকথিত কোনো লাগামহীন উৎসবের নাম নয়। মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর গুনাহ মাফের এই খুশীর দিনে আমরা যেন আল্লাহর অপছন্দনীয় কোনো কাজে জড়িয়ে না পড়ি।
সূত্র: ইসলাম-কিউ-এ.কম
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।
শিক্ষনীয় পোষ্ট। ঈদের আগে পড়তে পারলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
@দ্য মুসলিম
ধন্যবাদ।
আমি পোষ্ট করেছিলাম ১১ সেপ্টেম্বর। মডারেশনে দেরী হয়েছে।