সতর্কতা
লিখেছেন: ' Raihan' @ শনিবার, মার্চ ১০, ২০১২ (১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লিখতে হচ্ছে যে, আজ আমাদের মুসলমান মা-বোনরা দোকান-পাট, রাস্তা-ঘাটে পরপুরুষের সাথে এমন ভঙ্গিতে আচার-আচরণ করে যা লক্ষ করলে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। আর এমন ভাবে কথা-বার্তা বলে যেন, সেই তার একজন অত্যন্ত আপনজন। মুসলমানিত্ব দূরে থাক, লজ্জা-শরম অনূভবের কিঞ্চিৎ পরিমাণ মানসিকতাও মনে হয় তাদের নেই। যার কারণে আজ নারীরা অপমান, লাঞ্চনা, ইভটিজিং ও ধর্ষণের মত অহরহ ঘটনার শিকার হচ্ছে। যেমন: সারাদেশে ১৩ মাসে ১ হাজার ২৮৫ টি ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো পুলিশ সদর দপ্তরের মে ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। (দৈনিক আমাদের সময়: ০১/০৮/২০১১ইংরেজী)
বর্তমানে আমাদের দেশে ধর্ষন, ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটা এক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে প্রতিদিন ২-৩টি ইভটিজিং ও ধর্ষনের ঘটনা চোখে পড়েই। আর তার প্রধান কারণ হচ্ছে যে, আল্লাহর প্রদত্ত নির্দেশ পর্দা বিধান না মানা। আর যখন হুজুররা পর্দার কথা বলে তখন তারা বেপরোয়া ভাবে বলে, এখন প্রগতীরযুগ-ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনাদের এসব ওয়াজের দিকে কর্ণপাত করার মত সময় আমাদের নেই। ইভটিজিং বা ধর্ষনের শিকার হওয়ার পর কি হুজুরদের কথা একটুও মনে পড়ে না? শত চেষ্টার পরও আমার কলমকে সংযত রাখতে না পেরে আমার এ লিখা। কারণ, মুসলিম মা-বোনদের পোষাক পরা দেখে আমার খুব দু:খ লাগে। তাদের এমন পোষাক পরার হেতু কি? পর্দাশীল কাপড় পরিধান করার মত সামর্থ কি তাদের নেই? না তারা এমন ব্যস্ত যে, পর্দাশীল কাপড় পরিধান করার মত সময় তাদের থাকে না? আজ নারীরা অফিস, আদালত ও রাস্তা-ঘাট ইত্যাদিতে এমন পোষাক পরিধান করে চলা-ফেরা করে বস্তুত ইসলাম যে, পোষাক পরিধান করে পিতা, ভাই, ছেলে, মামা, শ্বাশুর অর্থাৎ যাদের সাথে দেখা দেওয়া জায়েয তাদের সামনে পর্যন্ত যেতে নিষেধ করে।
আর অধিকাংশ মর্ডাণ কাপড় এমন পাতলা বা ছিপ-ছাপ হয়, যা পরিধান করার দরুন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পরিপূর্ণ দৃশ্যায়ন হয়। এমন পোষাক পরিধান করার অর্থ কি ছেলেদের আকর্ষণ করা নয়? অনেকে হয়তো এভাবে লিখার কারণে আমাকে আধুনিক মর্ডান যুগের প্রতিবন্ধককারী মনে করতে পারেন। কিন্তু কি করব পরিস্থিতি এভাবে লিখতে বাধ্য করল। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে তার হুকুম মতে চলার তৌফিক দান করুন। (আমীন)
ভাই প্রকৃত ঘটনা এর চেয়ে কতগুণ হতে পারে । আমার তো মনে হয় হাজার হাজার গুণ বেশি ।