ইসলাম বিরুধি সিনেমা
লিখেছেন: ' রাসেল আহমেদ' @ বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২০, ২০১১ (৮:৩২ অপরাহ্ণ)
বাংলাদেশের মিডিয়ার অন্যান্য শাখা-প্রশাখার মতো ফিল্ম জগতেও জায়নবাদি ইসরাইলী শকুনদের নজর পড়েছে। মোসাদ-বান্ধব হিসেবে পরিচিত সাপ্তাহিক ব্লিটজ সম্পাদক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ও তার সাংগপাজ্ঞরা এবার বানাচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধী ছবি ব্ল্যাক (Black) । গত ডিসেম্বর ২০১০ শুরু হওয়া এই ছবি এবছরে মুক্তি পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ছবির মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, শরীয়া আইন, জিহাদ, বোরখা, পাথর ছুড়ে মারা, বহু বিবাহ, বাল্যবিবাহ এসবের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে জনমত গঠন করা।
কিভাবে করা হচ্ছে?
ব্লাক সিরিজে সাতটি ছবি বানানো হবে, যার মুল লক্ষ্য হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামী শরিয়া কিভাবে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে তা তুলে ধরা। এই মুভির প্রধান ভাষা বাংলা হলেও ইংলিশ, হিন্দি, ফ্রেন্স, উর্দু সহ বিভিন্ন ভাষায় সাব টাইটেল করে সারা বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব ছড়িয়ে দেয়া হবে। ছবিতে নায়িকা হিসেবে থাকছে শতাব্দি। প্রখ্যাত সংগিত শিল্পী যেমন রুনা লাওয়া, এন্ড্রকিশোর, এস আই টুটুল, ফকির শাহাবুদ্দিনও এ ছবিতে গান গাইবেন।
কি আছে এই সিনেমায়?
শান্তিগ্রাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম। পয়ত্রিশ বছর আগে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্নের লোকজন বেশ শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু কয়েক দশক থেকে পুরো গ্রামে ইসলামপন্থিদের ইসলামী কর্মকান্ড ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মসজিদ-মাদ্রাসার হুজুরদের প্রভাবও দিন দিন ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা নিজেরাই শরীয়া আইন চালু করে জনগনের জীবন যাত্রা বিভিষীকাময় করে তুলেছে।
মোল্লারা গ্রামের পুরুষদের একাধিক বিবাহে উতসাহ দিচ্ছে। এভাবে একাধিক স্ত্রী যাদের আছে তারা সেই সব স্ত্রীদের সাথে দাসীর মতো আচরন করছে এবং সেই একাধিক স্ত্রীদের কৃষিকাজ সহ নানা কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু যখন কোন মহিলা অসুস্থ হচ্ছে, তখন তাকে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এই অজুহাতে যে হাসপাতালগুলো শয়তানের আড্ডা খানা মনে করা হচ্ছে যেখানে নারি-পুরুষ পর্দা ছাড়াই অবাধে মেলামেশা করে। গ্রামে মোল্লা ও মাতব্বরদের সম্বয়ে শরিয়া কমিটি করে দোররা মারাসহ বিভিন্ন শারিরীক শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিয়মিত।
এই গ্রামেই বাস করে কিছু বাউল সম্প্রদায়ের লোক। এরা মুলত হিন্দু ও সুফি মুসলিম গোত্রের মানুষ।
বাউলরা ধর্মের সম্প্রীতির বানী শুনাতো। গ্রামের উগ্র ইসলামপন্থিদের প্রভাবে তাদের জীবনেও নেমে আসে বিভিষীকা। মোল্লারা তাদের আল্টিমেটাম দেয়, হয় মুসলিম হও না হয় এই এলাকা ত্যাগ করো। এদিকে গ্রামে ইসলামী এনজিও দের প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধিপায়। তারা হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহনের জন্য আর্থিক প্রলোভন দেয়, ঋন দেয়। তাতে কাজ না হলে ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ দেয় । এতেও কাজ না হলে ঐসব অমুসলিম পরিবারের যুবক-যুবতি ছেলে মেয়েদের অপহরন করে জোরপুর্বক ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করে। এবাবে একদিন দেখা যাচ্ছে, গ্রামটি অমুসলিম শুন্য হয়ে গেল। ব্লাক সিনেমায় দেখানো হচ্ছে কিভাবে জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া শরীয়া আইন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে সাথে সাথে সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়কে নির্মুল করছে।
ছবিতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশি নায়িকা শতাব্দি
ছবিটি নিয়ে নায়িকা শতাব্দি বলেন, ” ছবির স্ক্রিপ্ট খুবেই ভালো লেগেছে আমাকে। শোয়েব চৌধুরী ও তার দলের মত আন্তর্জাতিক মানের টিমের সাথে কাজ করতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত সন্মানের । ভালো ছবির জন্য এধরনের একটি টিম খুবেই দরকার। আশাকরি ছবিটি দেশে ও বিদেশে আলোচিত হবে”। উল্লেখ মডেল কাম নায়িকা শতাব্দীর এটিই প্রথম ছবি।
কিছু পর্যালোচনাঃ
১। শরিয়া আইনঃ বর্তমানে অমুসলিম এবং মুসলীম নামধারী শয়তান দের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হচ্ছে শরিয়া আইন, তাদের উদ্দেশ্য হল যদি কুরআন হাদীসের সমন্নয়ে গড়া শরিয়া আইন তুলে দেয়া যায় তাহলে দুনিয়াতে মুসলমানরা শুধু মাত্র নামেই বেচে থাকবে। তাদের কাজে কর্মে কোন ইসলামী কালচার থাকবেনা। আর মুসলিম নামধারী শয়তানদের শরিয়া আইন নিয়ে মাথা ব্যাথার কারণ হল, যদি শরিয়া আইন না থাকে তাহলে তাদের মনে যে ধরনের অপরাধ করতে চায় তারা তা করতে পারবে।
(ক) শরিয়া আইনের বিধান হচ্ছে হত্যার বদলে হত্যা। তথাকতিত মুসলিম নাম ধারী শয়তান রা এটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে চেচামেছি করেন। অথচ মহান আলস্নাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন “হত্যার বদলে হত্যার মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন নিহিত রয়েছে হে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়”। আজ খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় মানুষ হত্যার মত জঘন্য অপরাধ অহরহ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্ত কয়টি খুনের বিচার হচ্ছে তা বাংলার মানুষের নিকট আজ স্পষ্ট। প্রায়ই দেখা যায় মানব রচিত আইনের ফাক ফুকর দিয়ে রাগব বোয়ালরা পার পেয়ে যায়। অথচ এড়্গেত্রে যদি শরিয়া আইনের বাস্তব প্রয়োগ থাকত তাহলে হত্যার মত জগন্য অপরাধের সাহস মানুষ দেখাত না। এদেশের মানুষ দেখেছে এম পির মিছিলে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি, প্রত্যড়্গ্য করেছে এম পি সাহেবের পিস্তলের গুলিতে নিরিহ জনগণের প্রাণ কেড়ে নেয়া। বিশ্ব বিদ্যালয়ে সোনার ছেলেদের অস্ত্রের মহড়ায় সাধারণ ছাত্র-অভিভাবকরা আজ ভীত। যদি শরিয়া আইনের বাস্তব প্রয়োগ থাকত তাহলে সোনার ছেলেদের দিয়ে অবৈধ ফায়দা নেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেত। তইি মুসলিম নামধারী শয়তানেরা আজ শরিয়া আইনের বিপড়্গে, নিজেদের কুকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
(খ) শরিয়া আইনের বিধান হচ্ছে চুরের হাত কেটে ফেলা। আমার এক সাথি আমাকে বললেন যদি এই আইনের যতাযত প্রয়োগ হয় বাংলাদেশে নাকি অর্ধেকের বেশি মানুষের হাত কেটে ফেলতে হবে। তিনি যুক্তি দেখালেন বাংলাদেশের মন্ত্রি-এম পি থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান-মেম্বার রা সরকারী মাল চুরি করেন । আবার বেসরকারী ভাবে অনেকেই নিজেদের অবস্থানে থেকে চুরিতে লিপ্ত।
আমি তাকে বললাম অতীতে যদি এই আইনের প্রয়োগ থাকত তাহলে বর্তমানে চুরির বিস্তার এত হতনা, আর যদি বর্তমানে আলস্নাহর এই আইন সরকার চালু করেন তাহলে চুরির মত জগন্য অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।
আর বাস্তবতা হল তাই, চুরির অপরাধে যদি প্রকাশ্যে চোরের হাত কেটে দেয়া হয় তাহলে চুরির মত জঘন্য অপরাধ করার মত সাহস হতনা।
শরিয়া আইনের বিধান হল এমন, যেমন কোন ব্যক্তির শরীরের কোন অঙ্গ পঁচে গেল অভিজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ দিলেন তার সে অঙ্গটি কেটে ফেলতে হবে। এমতাবস্থায় তার উক্ত অঙ্গটি কেটে ফেলাই উত্তম নতুবা তার সমস্ত শরীরেই পচন ধরতে পারে। যারা এই সহজ সমিকরণটি বুঝতে পারেনা। তারা হয়ত ইসলাম ধর্মের চরম বিদ্বেষি নতুবা নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতাত্র করাই তাদের লড়্গ্য। (চলবে)
এরা জ্ঞানপাপী। এদেরকে প্রতিহত করতি হবে।
@Shah Shajedur Rahman, ঠিক বলেছেন, এদেরকে প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ।
@Shah Shajedur Rahman, তারা বধির মুক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। সূরা বাক্বারা: আয়াত-১৮।
এখনই প্রতিবাদ জানাতে হবে, এর আলেম এগিয়ে আসা জরুরী।
@eagle, ঠিক বলেছেন।
এদের প্রতিহত করার উপায় বার করতে হবে।
@Mujibur Rahman, ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
@Mujibur Rahman, মুসলিমদের একটি শক্তিশালী মিডিয়া দরকার । এর বিকল্প নেই ।
পরিচালক সোয়েব চৌধুরীর পরিচয় কি ? এগুলো ট্রেস করা উচিত ।
@ম্যালকম এক্স, সহমত। সোয়েব চৌঃ পরিচয় বিস্তারিত দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
kiso akta kora dorkar but kibava?
@hamidul,মুসলিমদের একটি শক্তিশালী মিডিয়া দরকার ।
@ম্যালকম এক্স, সহমত।
ara shaitan ! La hau la oala porly ara dur hoby na. Shokto haty protihoto korty
hoby. ara Allahor dushmon.
@hafes_alamin, এদের প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিৎ। ধন্যবাদ।
@rasel ahmed, সালাম বাদ, রাহবার আগে থাকলে ভালো হয়!
শুরুতেই জানানোর জন্য ধন্যবাদ,আমাদের মুরুব্বীগন কাজ শেষ হওয়ার পর মুখ খুলতে শুরুকরেন।এর পর প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন করতে করতে শত্রুরা শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে নেয়।আমাদের এবং আমাদের মুরুব্বীগনের আরো সচেতন হওয়া দরকার।
@মাসরুর হাসান, সহমত ।
@মাসরুর হাসান, আপনাকে ধন্যবাদ।
@মাসরুর হাসান, সত্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র প্রকৃত মুসলমান কেন সহ্য করে?যারা সহ্য করে তারাও পাপী।আমাদের ইসলামী বিপ্লবের সময় এসে গেছে।আমরা এখন এই বিপ্লবের দাঁড়প্রান্তে যদিও তা আমরা জানিনা।ইহুদী ও তার দোসরদের চরমভাবে প্রতিহত করতে হবে।যে জাতি শয়তান থেকেও নিকৃষ্ট তারা হল ইহুদী জাতি।
@lipu_001, আপনাকে ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য ,ধন্যবাদ ।
পূর্ণ শরীয়াহ্ প্রতিষ্ঠা করাই মুসলিমের কাজ। “এবং তোমরা নেকী ও তাকওয়ার কাজে পরস্পর সহযোগিতা করো আর গোনাহ ও ধৃষ্টতায় পরস্পর সহযোগিতা করো না।” আল-কুরআন।
@mzh_faridi, আপনাকে ধন্যবাদ।
ইসলাম ও মুসলমানদের ধবংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ । মুসলমনেরা আর কতদিন চুপ করে বসে থাকবেন। আসুন সকলে মিলে প্রতিহত করি । শয়েব চৌধুরি গংরা অভিশপ্ত ইহুদিদের দালাল ।এদের ফাঁসি দিতে হবে ।
@M M NOUR HOSSAIN, এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
এরা মুসলমান নামের কলঙ্ক। এদের প্রতিহত করতে হবে।