খোদার কসম দ্বীন না থাকলে দুনিয়া থাকবেনা।
লিখেছেন: ' রাসেল আহমেদ' @ শনিবার, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১ (১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
জুমার নামাযের শেষে একটি চায়ের ষ্টলে গেলাম ইচ্ছা ১ কাপ চা পান করব। সাথে বন্ধু মুফতী এনামুল হক। ষ্টলে উপস্থিত হতেই এক জন বৃদ্ধ লোক যাকেই পাচ্ছেন চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। আমরা উপস্থিত হতেই চায়ের দাওয়াত। অনিচ্ছা থাকা সত্তেও গ্রহন করলাম। চা পান করতে করতে জানতে পারলাম ভদ্রলোকের নাম শফি উল্লাহ, বয়স ৯০ এর কাছাকাছি, বাড়ি নোয়াখালি জেলায়। তিনি আমাদের লক্ষ্য করে বলতে লাগলেন নাতীরা তোমরা হচ্ছ দ্বীনের দায়ী (আহব্বায়ক) এই কাজটা ঠিকমত আন্জাম (সম্পাদন) দাও। আমি সর্বদা দ্বীনের সাথে থাকার চেষ্টা করি। যুবক বয়সে ব্যবসা বাণিজ্য করার সময়ও নামাজ ঠিক মত আদায় করার চেষ্টা করেছি। তবুও আল্লাহর নিকট অনেক ভয় হয়, আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন কি না? আমি আমার ছেলেদেরকে বুঝাই বাবা তোরা নামাজ পড় কিন্তু তারা নামাজ পড়েনা। ভদ্রলোকের কন্ঠ ধীরে ধীরে ভারি হয়ে আসতেছে তিনি বলতে লাগলেন: আমিও বড় ব্যবসায়ি ছিলাম সেই সূত্রে তারা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। কিন্তু নামাজ পড়েনা তাদের কে আমি বুঝাই বাবা তোরা নামাজ পড় কেননা নামাজ ব্যতিত কোন কিছু কাজে আসবেনা। এক সময় কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন নাতীরা খোদার কসম দ্বীন না থাকলে দুনিয়া থাকবেনা। আমাদের ও মনটা ভারি হয়ে আসল ভদ্রলোকের আবেগময় কথা শুনে। এক সময় তার কাছ থেকে দোয়া চেয়ে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। অনেক দূর আসার পরও মনে হল আরও কিছু সময় যদি সেখানে থাকতে পারতাম, মনে হয় আরও কিছু গুরূত্ব পূর্ণ নসীহত শুনতে পারতাম। অনেক দূর চলে আসলাম কিন্তু বারবার মনে হচ্ছিল তার মায়াভরা কান্না ভেজা বাক্যটি “খোদার কসম দ্বীন না থাকলে দুনিয়া থাকবেনা”
অনেক দূর চলে আসলাম কিন্তু বারবার মনে হচ্ছিল তার মায়াভরা কান্না ভেজা বাক্যটি “খোদার কসম দ্বীন না থাকলে দুনিয়া থাকবেনা”