নাস্তিরা আসলেই বেকুব, নাকি নিজেদেরকে বেশি বুদ্ধিমান ভাবেন?
লিখেছেন: ' রাসেল আহমেদ' @ সোমবার, মে ১৬, ২০১১ (১১:১৪ পূর্বাহ্ণ)
আমরা মুসলমান। আমরা বিশ্বাস করি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। পৃথিবীতে যত ধর্মের মানুষ আছেন প্রত্যেকেই সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী। কিন্ত শুধু মাত্র গুটি কয়েক নাস্তিকরাই সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী না, না কোন ধর্মে বিশ্বাসী।তারা বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম সম্পর্কে ভিবিন্ন ধরনের খারাপ মন্তব্য করে নিচে কিছু আলোচনা করলাম। আরিফ সাহেব নাম ধারী একজন এর বক্তব্য হল “এবং নব্য-নাস্তিক হলো ধর্মের কু-প্রভাবের বিরুদ্ধে যারা সচেতন” উনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ধর্মের কু প্রভাব কি? তাহলে উনার গুরুদের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া কয়েকটি মুখস্ত বুলি অর্থাৎ বাল্য বিবাহ, একাধিক বিবাহ, দাস প্রথা এমন দু একটি নিয়েই শুধু আলোচনা চালিয়ে যাবেন।(অবশ্য এগুলির ও প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি, জবাব আছে যে গুলি বিস্তারিত রেডি হওয়ার পর দেব ইনশাআল্লাহ)। অথচ ধর্মে বলা হয়েছে, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বে তাদের মজুরী দিয়ে দাও। যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তুমি তার সাথে সম্পর্ক গড়। যে তোমার উপর অত্যাচার করে তাকে তুমি ক্ষমা করে দাও। সে প্রকৃত মুমিন নয় যার প্রতিবেশি তার অনিষ্ট থেকে মুক্ত নয়। এমন হাজার হাজার নির্দেশ যে গুলি মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্টিয় জীবনে শান্তি বয়ে আনবে। এগুলি নিয়ে নাস্তিক দের কখনো আলোচনা করতে দেখবেন না। ” পৃথিবীর সৃষ্টির উৎস সম্পর্কে যেখানে বিজ্ঞান প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে কিভাবে এই মহাজগত্ আজকের অবস্থায় এসেছে, সেখানে অপ্রমাণিত অস্তিত্ব ঈশ্বরের কর্মফল হিসেবে জগৎ এসেছে, এধরনের বৃষ বিষ্ঠা যারা প্রচার করে, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।”
উনি নিজেও স্বীকার করেছেন বিজ্ঞান নতুন নতুন জিনিস আবিস্কার করতেছে। আবিস্কার করা আর সৃষ্টি করা এক জিনিস নয়। আজকের বিজ্ঞান গ্রহ-উপগ্রহ আবিস্কার করতেছে এগুলির ও একজন সৃষ্টি কর্তা আছেন। কেননা সৃষ্টি কর্তা ছাড়া কোন জিনিস সৃষ্টি হতে পারেনা। যেমন আমি যদি বলি নদীর কিনারে এসে দাঁড়ালাম, হঠাৎ করে দেখি একটি গাছ নিজে নিজেই কেটে নদীর কিনারায় আসল। অত:পর নিজে নিজেই কাঠ হল। নিজে নিজেই একটি নৌকা হল। অত:পর নদী পার হয়ে আমি জনাব আরিফ সাহেবের কাছে আসলাম। তো আমার মনে হয় জনাব আরিফ সাহেব নিজেও বিশ্বাস করবেন না। কেননা একটি নৌকা নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারেনা। অবশ্যই তার জন্য মিস্ত্রির প্রয়োজন আছে। তো সাধারণ একটি নৌকা যদি নিজে নিজে তৈরী হতে না পারে। তাহলে এই বিশাল পৃথিবী গ্রহ-উপগ্রহ কি ভাবে নিজে নিজে সৃষ্টি হবে। অবশ্যই তার জন্য সৃষ্টি কর্তা আছেন। “সেখানে অপ্রমাণিত অস্তিত্ব ঈশ্বরের কর্মফল হিসেবে জগৎ এসেছে, এধরনের বৃষ বিষ্ঠা যারা প্রচার করে, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।” অস্তিত্ব বলতে বুঝি যার একটি আকৃতি আছে যাকে দেখা যায়। জনাব আরিফ সাহেব যদি প্রশ্ন করা হয় মানুষের প্রাণ আছে কিনা? অবশ্যই বলবেন আছে। তো তিনি কয়দিন কয়জন মানুষের প্রাণ দেখেছেন? আসল কথা হল এমন তর্ক আগেও অনেক স্থানে হয়েছে শেষ পর্যায়ে নাস্তিক রা বলে আমরা শুধু ধর্মীয় গোড়ামির বিপক্ষে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করিনা। অথচ তারাই মহান সৃষ্টি কর্তাকে বার বার অস্বীকার করে।
@ Rasel ahmed,
Please see again “Headline”.
‘Nastira er jaigate mony hoy Nastikera hoby’.
ধন্যবাদ সঠিক বলেছেন।
আসলেই নাস্তিকরা বেকুব।