কবিরা গুনাহ-৫ (যাকাত প্রদান না করা)
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ সোমবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০০৯ (৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
পবিত্র কোরআন এর দলিলঃ
- “আর যারা আল্লাহর দেয়া সম্পদে কার্পণ্য করে, তারা যেন একে নিজেদের জন্য মঙ্গলজনক মনে না করে বরং এটা তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যে সম্পদে তারা কার্পন্য করতো, কোয়ামতের দিন তা তাদের গলায় লটকানো হবে।” (সুরা আলে ইমরান-১৮০)
- “সেই মুশরিকদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ যারা যাকাত দেয় না। “(সুরা হা-মীম-সিজদা-৬৭)
- “যারা সোনা রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে খরচ করে না, তাদেরকে কঠোর শাস্তির সংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন এ সোনা রূপা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দিয়ে তাদের ললাটে, পিঠে, ও পার্শ্বদেশে দগ্ধ করা হবে, আর বলা হবে এগুলো সেসব সম্পদ, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা তোমাদের জমা করা সম্পদের স্বাদ গ্রহন কর।” (সুরা আততওবাহ-৩৪-৩৫)
- “আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। “(সুরা মুনাফিকুন-১০)
পবিত্র হাদিস এর দলিলঃ
- “সোনা রূপার অধিকারী যে ব্যক্তি তার হক আদায় করে না অর্থাৎ- শরীয়ত নির্দেশিত অংশ (যাকাত) দেয়না, কেয়ামতের দিন তাকে আগুনের বিছানা পেতে দিয়া হবে। অতঃপর সেই সোনা রূপা আগুনে উত্তপ্ত করে তার কপালে,পিঠে, ও উভয় পার্শ্বে দাগ দেয়া হবে। যখনই সে স্হান ঠান্তা হবে, তখনই আবার ছাপ মারা হবে। এভাবে দুনিয়ার জীবনের পন্চাশ হাজার বছরের সমান কেয়ামতের এক একটি দিনে, তাদের উপর এই শাস্তি চলতে থাকবে। যে পর্যন্ত না আল্লাহ বিচার কাজ শেষ করবেন। তারপর সে জান্নাত কিংবা জাহান্নামে যাবে।”(বোখারি, মুসলিম নাসায়ী)
- “সর্বপ্রথম তিন প্রকারের লোক জাহান্নামে যাবেঃ ১) স্বৈরাচারী অর্থাৎ শক্তির বলে ক্ষমতা দখলকারী শাসক ২) যাকাত অনাদায়কারী সম্পদশালী ব্যক্তি এবং ৩)দাম্ভিক দরিদ্র।” (ইবনে খুযাইমা ও ইবনে হেব্বান)
- “সেই সম্পদ একটি বিষধর সাপে রূপান্তরিত হয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরবে। অতঃপর তার দু’ঠোঁটে কামড়িয়ে ধরে বলবে-”আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার সন্চয়। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাআহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “আর যারা আল্লাহর দেয়া সম্পদে কার্পণ্য করে, তারা যেন একে নিজেদের জন্য মঙ্গলজনক মনে না করে বরং এটা তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যে সম্পদে তারা কার্পন্য করতো, কোয়ামতের দিন তা তাদের গলায় লটকানো হবে।”
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তোফিক দিন।
আল্লাহ হাফেজ।
২১৮ বার পঠিত
@হাফিজ,ধন্যবাদ।
কেউ যদি বলে আমি শুধু খাদ্য খেয়েই যাব, মলত্যাগ কখোনো করবোনা, তাহলে সে নিশ্চয়ই পেট ফেটে মরবে।
যে শুধু মাল কামিয়েই যায়, যাকাত দেয়না তার অবস্থাও ঐ রকমই। যাকাত শব্দের মূল অর্থই হলো “পরিশুদ্ধকরণ (পিউরিফিকেশন)।” খাদ্যের মাত্রাতিরিক্ত অংশ যেমন পেট থেকে বের করে দিতে হয়, নিসাবের অতিরিক্ত মালের অংশও তাই যাকাত হিসেবে প্রদান করে নিজেকে শুদ্ধ রাখতে হয়।