কবিতা- ভন্ড পীর
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ শনিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০০৯ (৪:০২ পূর্বাহ্ণ)
সম্প্রতি একটি মাসিক পত্রিকায় পেলাম কবিতাটি। ভালো লাগলো তাই তুলে দিলাম।
কি হৈল আখেরী কালে
ঝুটা পীরে শিক্ষা দিল গান-বাজনা জিকিরের তালে।
নামাজ রোজার নাই লেশ, গান বাজনা জিকিরে বেশ
অঙ্গে ঘটায় আজব বেশ, লুন্ঠন করে হাতের তালে।
নামাজ রোজা নাই করিল, দলিল মতে কাফির হৈল
ঈমান আমান সব হারিল ঝুটা পীরের ঠেকে জালে।
দল বেধে গান করা মানা, তালিতাল বাজায় কানা
শাস্ত্রেতে নিষেধ দেখেনা মত্ত হৈল লোভের মেলে।
বালক পীর কাম বেপারী, ছুটে আসে কত নারী
একে অন্যে মাশুকদারী, গোল ঘটায় সব এক মফিলে।
পীর বলে নাই আপন পর, আসা-যাওয়া কর বিস্তর
অপর নারী মাশুক ধর, মত্ত হয় সব বালক দলে।
‘নাউজুবিল্লাহ’ এই তরিকায়, শয়তান তথায় শীঘ্র যায়
দলে দলে নরকে যায়, বড় পীর লিখেন দলিলে।
জহুর বলে ব্যক্ত কথা, মনে কেন না পাও ব্যথা
খাজা মঈনুদ্দীনের বার্তা ‘মকুতুবাতে’ এসব মিলে।
মুল লেখক সূফী সাধক কবি সৈয়দ জহুরুল হুসেইন (রহঃ) ( ১৮৭৬ – ১৯৪২ মধুপুর-বাহুবল-হবিগন্জ)
আমাদের বুঝা উচিত, পীর অর্থ কি?
পীর শব্দটি যদি বাংলায় বলি, তাহলে হয়ঃ বৃদ্ধ, জ্ঞানি ইত্যাদি। তবে মানুষ বৃদ্ধ হলেই যে জ্ঞানি হবে এমন কোন কথা নেই।
আমরা সাধারণত পীর বলতে বুঝি এমন একজন লোককে, যার কাছে গেলে কিছু শিখা যায়। তবে পীরেরও থাকতে হবে সঠিক জ্ঞান বা সঠিক শিক্ষা। শিক্ষা দুই ধরনের হতে পারে যেমন দুনিয়াতে ভালো মন্দ বলে দুইটা কথা আছে ঠিক তেমন।
যদি আমরা পীরের কাছথেকে ভালো কিছু শিখতে পারি, তাহলে সে ভালো পীর, যেমনঃ ইসলাম, কুরান, সহিহ হাদীসের সত্য ও সঠিক জ্ঞান অর্জন করা ইত্যাদি।
কিন্তু যদি পীর আমাদেরকে খারাপ কিছু শিখায়,
যেমনঃ ইসলাম, কুরান, সহিহ হাদীসের সত্য কিছু গোপন করা বা বিরুদ্ধে যাওয়া, তাহলে তাকে ভন্ড পীর বলা যায়। আর আমরা এখনকার সমাজে এই ভন্ড পীর দের আনাগোনাই বেশি লক্ষ করে থাকি, ভালো পীরের সংখ্যা খুবই কম।
পীর হচ্ছে এমন একজন যে শিক্ষকের সমতুল্য আর মুরিদ হচ্ছে ছাত্র যে পীরের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। যদি কোন পীর ছাত্রকে ভুল শিক্ষা দেয় তাহলে তা পীরকেই বহন করতে হবে। আবার ছাত্র যদি বুঝেশুনে ভুল শিক্ষা গ্রহন করে কোন প্রতিবাদ না করে, তাহলে ছাত্র শিক্ষক বা পীর মুরিদ তারা দুজনেই সমান অপরাধী।
আপনার কবিতা খুবই ভালো লেগেছে, একেবারে বাস্তব সম্মত।