বৈধ ভালবাসা বনাম নিষিদ্ধ প্রেম
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ রবিবার, জানুয়ারি ৩১, ২০১০ (১১:২৬ অপরাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম।
চারটি অক্ষরের সমন্বয় খুব ছোট একটি শব্দ ভালবাসা যাকে আরবী ভাষায় মুহাব্বত ও ইংরেজী ভাষায় Love বলে। যার অর্থ হচ্ছে, অনুভূতি, আকর্ষণ, হৃদয়ের টান; যা মানুষের অন্তরে আল্লাহপাক সৃষ্টিগতভাবে দিয়ে দেন। সাধারণত ভালবাসা দুই ধরনের (১) বৈধ ও পবিত্র (২) অবৈধ ও অপবিত্র । বিবাহের পূর্বে আধুনিক যুবক-যুবতীরা যে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকেই অবৈধ ও অপবিত্র ভালবাসা বলে। আর পবিত্র ভালবাসা বলতে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা,স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা ইত্যাদিকে বুঝায়।
আল্লাহপাক আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা মাখলুক হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। অন্য কোন জীব জন্তুকে আমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেননি। এমনকি সর্ব শ্রেষ্ঠ আখেরী নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মত আমাদেরকে বানিয়েছেন। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত সর্ব প্রথম এই নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসা এবং আমাদের সর্বশেষ নবী ও হাবীবে রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসা। আল্লাহপাক কুরআন শরীফে এরশাদ করেন:
وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
যারা ঈমানদার মুমিন, তাদের অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ভালবাসা হবে সর্বাধিক প্রগাঢ়। সূরা আল বাকারা। (আয়াত সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন: কোন লোক পূর্ণ মুমিন হবে না যতক্ষণ না সে নিজের জীবন এবং পরিবার পরিজনের চেয়ে আমাকে বেশী ভালবাসবে। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ তার রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য তথা ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ভালবাসার অর্থ হচ্ছে তার সুন্নত ও আদর্শের অনুসরণ করা। আর যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতের বেশী অনুসরণ করবে তাতে বুঝা যাবে তার অন্তরের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি প্রেম-ভালবাসা অধিক গাঢ় এবং যারা নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করেনা, তাঁর শরীয়ত মানে না শুধু লোক সমাজে মুখে আশিকে রাসূল, আশিকে নবী তথা নবী প্রেমিক বলে দাবী করে প্রকৃত পক্ষে তারা আশিকে রাসূল নয়। তারা শয়তান-ধোকাবাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরায়, সে আমার উম্মত নয়। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে আমার সুন্নাতকে ভালবাসল, সে যেন আমাকে ভালবাসল, আর যে আমাকে ভালবাসল সে আমার সাথে বেহেশতে থাকবে।
আল্লাহ ও রাসূলের পরেই রয়েছে মাতা-পিতার প্রতি মহব্বতের ফযিলত। প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সাহাবারা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, মাতা-পিতাকে জীবিত পেয়েও তাদের সেবা-যত্ন করে যে জান্নাত খরিদ করেনি। এ ছাড়া মাতা-পিতার দুআ সন্তানের জন্য অনিবার্যভাবে কবুল হয়।
স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসার ফযিলত : হাদীস শরীফে আছে, স্বামী-স্ত্রী মহব্বতের সাথে আলাপ আলোচনা করা কথা-বার্তা বলা নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। অন্যথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে মহিলা (স্ত্রী) তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
সন্তানকে ভালবাসার ফযিলত : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ সন্তান ফাতিমাকে অত্যাধিক ভালবাসতেন। তিনি স্বীয় জবানে এরশাদ করেন, ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা, তাকে কেউ কষ্ট দিলে আমাকেই কষ্ট দেয়া হবে। নবীজির পাক জবানের বর্ণনায় ফুটে উঠে যে সন্তানকে ভালবাসা ছাওয়াবের কাজ।
পক্ষান্তরে আমাদের সমাজে বেগানা যুবক-যুবতীর প্রেম-ভালবাসার নামে যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি উত্তাল সাগরের উর্মিমালার মত বহমান রয়েছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ ও হারাম। বিবাহের পূর্বে এরূপ প্রেম-ভালবাসা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়, অবৈধ। ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী কোন যুবতী কোন অবস্থায় কোন যুবকের সান্নিধ্যে থাকতে পারেনা। উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। এতে তারা নিজেরা যেমনি কঠিন গোনাগার হবে, তেমনি তাদেরকে এই মেলামেশার সুযোগ দেয়ার কারণে তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাকদেরকে হাদীস শরীফে দাইয়ুস বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে, দাইয়ুস জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই এইসব ব্যাপারে সকলের কঠোরভাবে সাবধান হওয়া জরুরী এবং তা ঈমানের দাবী। আর এই অবৈধ ভালবাসার প্রতিরোধের জন্যই আল্লাহ নর-নারীকে দিয়েছেন পর্দার বিধান। এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ে পরিপূর্ণ রূপে পালন করলে সমাজে ঐ রকম অবৈধ ভালবাসার কোন অবকাশই থাকবে না। আমাদের সমাজের অনেকের আবার মন্তব্য যে, প্রেম-ভালবাসা নাকি বৈধ, তাদের উক্তি হল যে, প্রেম পবিত্র, ভালবাসা পবিত্র। তাদের এই সব কথা সম্পূর্ণ ভুল, নাজায়িয, অবৈধ, অপবিত্র এবং ইসলাম বিরোধী। ভালবাসা কখনও বৈধ হতে পারে না। বস্তুত: এ ধরনের প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক ইসলাম সাপোর্ট করে না। তবে হ্যা যে কেউ তার মনের মত জীবন সঙ্গীনী পছন্দ করে রাখতে পারে বটে। কিন্তু তাই বলে তার সাথে বিবাহের পূর্বে কোন রকম প্রেম-প্রেম খেলা শুরু করতে পারবে না। কেননা বিবাহের ইচ্ছা থাকলেও বিবাহ না করা পর্যন্ত এভাবে প্রেম-ভালবাসা করা গুনাহে কবিরা ও হারাম। এমন কি বিবাহের কথা পাকাপাকি হয়ে গেলেও আকদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন প্রেম-ভালবাসা জায়িজ নয়। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরই কেবল প্রেম ভালবাসা করতে পারে এবং তা পবিত্র ও ছাওয়াবের কাজ।
কিছুদিন আগে একজন মেয়ে, তার এক ক্লাসমিটের গল্প বললো এভাবে – তার সাথে দেখা হয়। ভাল-মন্দ আলাপের এক পর্যায়ে সে আমাকে এভাবে বলতে শুরু করল- জানিস সারিরা কিছুদিন আগে আমি নানার বাড়িতে গিয়েছিলাম, ওখানে আমার কয়েকজন খালাতো বোনের সাথে দেখা হয়। তাদেরকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠি। এই সেই অনেক গল্প হয়। তাদের মাঝে একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম কিরে মোহনা! বর কি তোকে দেখছে? তখন সে বলল, দেখছে মানে! আমাদের প্রতিদিনই ফোনে কথা হয়। আমি বললাম, এটা ঠিক হয়নি। জাননা- বিবাহের পূর্বে প্রেম করা নাজায়িজ, হারাম। তখন তারা সবাই হেসে উঠল, তাদের এই হাসির কারণ কি আমি বুঝতে পারলাম না। মোহনা বলল, আরে আমাদের বিয়ের সব কিছু ঠিক, এখানে আবার গুনাহের কি আছে। তাছাড়া যদি বিয়ের আগে প্রেম না করি, তাহলে একে অপরকে জানব কেমন করে। হঠাৎ অপরিচিত একজনের সাথে সংসার করব কেমন করে। তাছাড়া প্রেম-ভালবাসা পবিত্র, তখন সবাই এক সাথে বলল হ্যা। প্রেম ভালবাসা পবিত্র তাদের যুক্তি হল- ইউসুফ-জুলাইখা প্রেম করছেন। তিনি নবী হয়ে যখন প্রেম করলেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই প্রেম পবিত্র। আমি তাদেরকে অনেক বুঝালাম, তারা বলল, যদি সঠিক ও স্পষ্ট যুক্তি দেখাতে পারিস তাহলে আমরা তোর কথা মেনে নেব।
দেখলেন তো তাদের যুক্তি, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে তারা ইউসুফ-জুলাইখাকে দিয়ে যুক্তি ধরেছে। অথচ তারা জানেনা, ইউসুফ (আ:) এই ঘটনায় জড়িত কি না, জুলাইখার এই ভালবাসার রহস্য কি? কত বছর আগে জুলাইখা ইউসুফ (আ:) কে স্বপ্নের মধ্যে সান্নিধ্য লাভ করেছেন? তার ভালবাসা বর্তমান যুগের যুবক-যুবতীর প্রেম ভালবাসার মত কি না। আর এই না জানার জন্যই তারা প্রেম ভালবাসা পবিত্র বলে অবৈধ প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িত হয়ে অনেক তরুণ-তরুণীর জীবন অকালে ঝড়ে পড়ছে। তাদের লেখা-পড়ার ক্ষতি হচ্ছে, সময়ের অপচয় হচ্ছে। ¯^v¯’¨ নষ্ট হচ্ছে, সাজানো সংসার ভেঙ্গে চুরমান হচ্ছে, সবচেয়ে বড় কথা হল- ঈমানের জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, দীনদারিত্ব নষ্ট হচ্ছে। আসলে ভালবাসা বলতে যা বুঝায়-বর্তমান যুবক-যুবতীর এই ভালবাসা সেই ভালবাসা নয়। তাদের ভালবাসার মূল মিনিং হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় তাদের এই ভালবাসায় অভিভাবকদের সম্মতি থাকে না বিধায় তাদের মুখে চুনকালি দিয়ে পালিয়ে যায়। আবার কিছু দিন পরে যখন প্রেমের আবেগ নিশা টুটে যায়, তখন কালো মেঘের ছায়ার মত নেমে আসে নানাবিধ অস্বস্তি ও যন্ত্রণা। তখন তড়িৎ গতিতে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। তারা সর্বনাশা প্রেমে একুল-অকুল সবি হারায়।
তারা কি জানেনা! প্রেম কি? ভালবাসা কি? তার প্রতিফল কি? কেন জানবে না, হ্যা তারা জানে, প্রেম এক মরণাত্বক যন্ত্রণার নাম। একটি হৃদয় বিদারক সংক্রামক রোগ, যা অত্যন্ত ছোয়াছে বড়ই মারাত্মক এ প্রেম। যে একবার এ পথে পা বাড়িয়েছে সে কখনও সুখের ছায়া দেখেনি। কেননা তাতে রয়েছে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নারাজী। প্রেমের প্রধান উৎস হচ্ছে আবেগ আর প্রচন্ড এই আবেগই হচ্ছে প্রেমের চালিকা শক্তি। কিন্তু গভীর এই আবেগকৃত প্রেমের গভীরতা যখন থেমে যায়, তখন প্রেমের বদলে জন্ম নেয় মোহ। কচুপাতার পানির মত এক সময় এই মোহও ঝড়ে পড়ে। তখন স্বপ্ন সাধ, আশা, ভালবাসা সবই হয়ে যায় চুর্ণ। কেউ কেউ আবার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ প্রতিশোধ নেয় (এসিড, খুন বা যুবতীর বিবাহ ভঙ্গন) কেউ চিরকুমার থেকে যায়, কেউ করে আত্মহত্যা। আরে বাবা এত ভয়ক্ষর রাস্তার নামই কি ভালবাসা! তারপরও বুঝে আসে না কি করে যে বিনা বিবেচনায় আজকের তরুণ-তরুণীরা তা বরণ করে নেয়। যারা অবৈধ প্রেমের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে তাদেরকে বলছি এ হারাম পথে কেন নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান? খোদার পথে জীবন পরিচালিত হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ কর। যেখানে থাকবে না কোন অশান্তি, কোন কষ্ট, শুধু থাকবে সুখ আর সুখ, শান্তি আর শান্তি, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ভালবাসা বলতে যা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে ইসলাম বিরোধী। কিন্তু শত আফসোস হলেও সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিত ও সচেতন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা এই ভালবাসা নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। যার ফলে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে হাজারো জীবন। প্রতিনিয়ত এসিডে দগ্ধ হচ্ছে হাজারো নারী। আধুনিক বিশ্বে আধুনিক প্রেমের বেলায় এটি কি সত্য। তাই বলতে হয় এটা ভালবাসা নয় এটা মরণ নেশা।
ভালবাসার নামে দেশের ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে ধ্বংস ও নিঃশেষ এর দিকে টেলে দিচ্ছে। যার ফলে পরিবার, সমাজ সবই হচ্ছে কলংকিত, অধ:পতিত। যার জলন্ত প্রমাণ প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় চোখ ভুলালেই দেখতে পাই। তারপরও কি আমরা সে পথ থেকে ফিরে আসতে পারি না? সময় থাকতে তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি না? হ্যা ভালবাসা বড় মহৎ একটি গুণ। মহান আল্লাহপাক এই ভালবাসাকে একশত ভাগ করে নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখে মাত্র একভাগ সারা বিশ্বে সকল প্রাণী জগতে দান করে দিয়েছেন। যার দ্বারা মা সন্তানদেরকে ভালবাসে, স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসে, আত্মীয় স্বজন একে অপরকে ভালবাসে। বাকি নিরানব্বই ভাগ ভালবাসা মহান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। কিয়ামতের দিন তা দ্বারা তিনি স্বীয় বান্দাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করবেন। মহান আল্লাহ প্রেম-ভালবাসা নামক ধ্বংসাত্বক রোগের প্রতিরোধের জন্য পর্দাপ্রথা দিয়েছেন। এরই মাধ্যমে বাচানো সম্ভব হবে ব্যক্তি, পরিবার সমাজ এবং দেশকে রক্ষা করা।
আল্লাহপাক নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-
وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
তোমরা জাহেলী যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না। (আল-কুরআন) যারা অবৈধ ভালবাসাকে পবিত্র বলতে দুঃসাহস দেখান এবং বলেন প্রেম পবিত্র। শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন? তাদেরকে আবারও বলছি, এটা আপনাদের নিছক মুর্খতা ও সম্পূর্ণ অমূলক ভুল এবং ভুল ধারণা। অবৈধ ভালবাসা কখনো পবিত্র হতে পারে না এবং পবিত্র হবার কোন পথও নেই। যুবক ও যুবতীর ভালবাসা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম। এক মাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের পর পরই প্রেম-ভালবাসা পবিত্র হতে পারে। বিয়ের আগে তা পবিত্র নয়, হারাম ও কবিরা গুনাহ। যদি বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েও যায় তবুও এ কাজে লিপ্ত হতে পারবে না যতক্ষণ না আকদ হয়েছে। এমন কি আকদের পূর্ব পর্যন্ত প্রেম সংক্রান্ত গোপন চিঠি আদান প্রদান, দেখা-সাক্ষাত, ফোনে কথা-বার্তা বলা সবই নিষিদ্ধ, কবীরা গুনাহ।
তাই আমাদেরকে সঠিকভাবে বাচতে হলে দেশ, জাতি ও পরিবারকে বাঁচাতে হলে এই অবৈধ প্রেম ভালবাসার পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানদের সতর্ক হওয়া অতীব জরুরী। পরিশেষে বলব, যদি আমরা যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের শরীয়ত সম্মতভাবে বৈবাহিক বন্ধনের ভিত রচনা করি তাহলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতে সুখী হতে পারব। দেশ ও সমাজকে পাপাচার থেকে মুক্তি দিতে পারব এবং সামনে আগত প্রত্যেক শিশুকে সুন্দর ভবিষ্যত এবং কাঙ্খিত দেশ সমাজ ও পরিবেশ উপহার দিতে পারব। তাই আসুন, আমরা সবাই সচেতন হই এবং যুবসমাজকে সঠিকভাবে বাঁচার জন্য সুন্দর পথ দেখাই।
সমাপ্ত
প্রেম কি নিষিদ্ধ জিনিস ??
কাজী নজরুলের ভাসায় ” খোদার প্রমের সরাব তুমি .. আমায় দিও ভাই ..”
আল্লার সাথে প্রম কারা কি খারাপ ?
@ahmad2005,
প্রেম কি নিষিদ্ধ জিনিস ??
কাজী নজরুলের ভাসায় ” খোদার প্রমের সরাব তুমি .. আমায় দিও ভাই ..”
আল্লার সাথে প্রম কারা কি খারাপ ?
আসলে প্রেম বলতে আমরা শুধু দেহ কেন্দ্রিক বুঝি। কারন, এই প্রেমি বিশেষত ক্ষতিকর।
আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলকে যে মহাব্বত করবে না। তার জন্যে জান্নাত হারাম।
@জ্ঞান পিপাষু,
আসলে প্রেম বলতে আমরা শুধু দেহ কেন্দ্রিক বুঝি।
এটা আমাদের মানুষিকতার প্রবলেম ।
প্রেম জিনিসটা কি আমি একটু বেক্ষা চাই ।
@ahmad2005,
প্রেম জিনিসটা কি আমি একটু বেক্ষা চাই ।
ভালোবাসার সংজ্ঞাঃ ভালোবাসা সাধারণত একতরফাও হতে পারে বা দুই তরফাও হতে পারে। একজন আরেকজনকে ভালোবাসার জন্য এটা শর্ত নয় যে অপরজনও তাকে ভালোবাসবে। অপরজন তাকে ভালোবাসতেও পারে বা ঘৃণাও করতে পারে বা হয়তোবা কিছু জানেওনা। এধরণের ভালোবাসার উদাহরণ যেমন বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা, স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি।
প্রেমের সংজ্ঞাঃ কোন সম্পর্ক কে প্রেম নামে অভিহিত করার জন্য তাতে দুইজনের সম্মতি থাকা জরুরী। যদি একজন রাজী হয় এবং অপরজন রাজী না হয় সে ক্ষত্রে সে সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবেনা। বরং এভাবে বলতে হবে ওমুক ওমুককে ভালোবাসে। কিন্তু ওমুক ওমুককে প্রেম করে বলা যায়না।
স্রষ্টার সাথে প্রেম করার ক্ষেত্রে সম্পর্কটাকে “প্রেম” বলার জন্য উভয় পক্ষ হতে স্বীকৃতি প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায় তাহলে তাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে, যেমন শরীয়াত ইত্যাদি। তারপরই আল্লাহ তাকে ভালোবাসবে। যখন সে পরিষ্কার বুঝতে পারবে আল্লাহও তাকে ভালোবাসে তখন সে সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবে। সাধারণত সুফি সাধকরা সে ধরণের সম্পর্ক গড়তে পারেন কঠিন রিয়াজত ও মুজাহাদার মাধ্যমে।
@ahmad2005,
এটা আমাদের মানুষিকতার প্রবলেম । প্রেম জিনিসটা কি আমি একটু বেক্ষা চাই ।
ভাই আমার বাস্তব সম্মত কথা বলি। কারো বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার আগে আমি নিজেকে বিচার করি যেমনঃ এই আইনটা যদি আমার ক্ষেত্রে হয় তাহলে আমার কেমন লাগবে, এভাবে দেখার চেষ্টা করি, তবে তা কুরান হাদিস সম্মত ভাবে, কুরান হাদিসের বিরুদ্ধে গেলে আমার কথা বর্জন করুন। আমি স সময় মানি, যদি কোন কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে না যায়, তাহলে তা করা নিশেধ নয়।
আর আমার চেয়ে ভাল বলতে পারবেন দ্যা মুসলিম ভাই। তার দ্রিষ্টি আকর্ষণ করছি। ধন্যবাদ।
@ahmad2005,
আমি আমার সীমিত জ্ঞানে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছিঃ
আল্লার সাথে প্রম কারা কি খারাপ ?
ভালোবাসার সংজ্ঞাঃ ভালোবাসা সাধারণত একতরফাও হতে পারে বা দুই তরফাও হতে পারে। একজন আরেকজনকে ভালোবাসার জন্য এটা শর্ত নয় যে অপরজনও তাকে ভালোবাসবে। অপরজন তাকে ভালোবাসতেও পারে বা ঘৃণাও করতে পারে বা হয়তোবা কিছু জানেওনা। এধরণের ভালোবাসার উদাহরণ যেমন বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা, স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি।
প্রেমের সংজ্ঞাঃ কোন সম্পর্ক কে প্রেম নামে অভিহিত করার জন্য তাতে দুইজনের সম্মতি থাকা জরুরী। যদি একজন রাজী হয় এবং অপরজন রাজী না হয় সে ক্ষত্রে সে সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবেনা। বরং এভাবে বলতে হবে ওমুক ওমুককে ভালোবাসে। কিন্তু ওমুক ওমুককে প্রেম করে বলা যায়না।
স্রষ্টার সাথে প্রেম করার ক্ষেত্রে সম্পর্কটাকে “প্রেম” বলার জন্য উভয় পক্ষ হতে স্বীকৃতি প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায় তাহলে তাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে, যেমন শরীয়াত ইত্যাদি। তারপরই আল্লাহ তাকে ভালোবাসবে। যখন সে পরিষ্কার বুঝতে পারবে আল্লাহও তাকে ভালোবাসে তখন সে সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবে। সাধারণত সুফি সাধকরা সে ধরণের সম্পর্ক গড়তে পারেন কঠিন রিয়াজত ও মুজাহাদার মাধ্যমে।
@দ্য মুসলিম,
সাধারণত সুফি সাধকরা সে ধরণের সম্পর্ক গড়তে পারেন কঠিন রিয়াজত ও মুজাহাদার মাধ্যমে।
এটা কিভাবে ??
@ahmad2005,
ভাই, এটা সম্পূর্ণ অন্য বিষয়। এ ব্যপারে আলোচনা শুরু করলে আপনার বর্তমান প্রসঙ্গ হারিয়ে যাবে। অন্য কোন সময় আলোচনা করবো। তাসাউফ বিষয়টি আপনার প্রেমের প্রসঙ্গের ব্যপারে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই এ আলোচনা থাক।
তোমরা জাহেলী যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না
ঐ যুগে কি পরেম কোরতো, এখোনকার মোত?
যারা অবৈধ ভালবাসাকে পবিত্র বলতে দুঃসাহস দেখান এবং বলেন প্রেম পবিত্র।শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন?
শালিন ভাবে আবার পরেম কোরে কিভাবে একজোন ছেলে আর একজোন মেয়ে?
@জ্ঞান পিপাষু,
শালিন ভাবে আবার পরেম কোরে কিভাবে একজোন ছেলে আর একজোন মেয়ে?
এটাতো আপনিই ভালো জানার কথা। কারন গত পোষ্টেতো এ ব্যপারে ফতোয়া দিয়েছেন আপনি। লিখকতো তাদের কে মুর্খ জ্ঞান করেছেন যারা বলে যে, শালিনতার সাথে প্রেম করলে সমস্যা নাই।
ঐ যুগে কি পরেম কোরতো, এখোনকার মোত?
তারা প্রেম করতো। এখনকার মতোই হওয়ার কথা। যদিও মোবাইল ছিলোনা।
@দ্য মুসলিম,
আমি যে মুর্খ তা আপনি আজ বুঝলেন? আমার মনে হয় আরো আগেই বুঝেছিলেন কিন্তু বলেন নি। আমার জ্ঞানি ভাই।
এটাতো আপনিই ভালো জানার কথা। কারন গত পোষ্টেতো এ ব্যপারে ফতোয়া দিয়েছেন আপনি।
আমি জানি শালিন ভাবে প্রেম করা সম্ভব নয় বা খুব কঠিন, যেমন ৪ বিয়া করলে সম ব্যবহার করা কঠিন, তার পরেও আল্লাহ সরাসরি নিষেধ করেন নি। কিন্তু অনেক কারনে নিরুপায় হয়ে বড় ক্ষোতি এরাতে আপরা ছোট ক্ষতি হতে দেই, ঠিক সেই রকম।
তারা প্রেম করতো। এখনকার মতোই হওয়ার কথা। যদিও মোবাইল ছিলোনা।
তাহলে মোবাইল নিয়া একটা ফোতোয়া দেন দয়া করে?
@জ্ঞান পিপাষু,
একদম নিচে উত্তর দেয়া আছে। কষ্ট করে একটু নিচে নেমে পড়ে আসলে ভালো হয়।
মহান আল্লাহপাক এই ভালবাসাকে একশত ভাগ করে নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখে মাত্র একভাগ সারা বিশ্বে সকল প্রাণী জগতে দান করে দিয়েছেন। যার দ্বারা মা সন্তানদেরকে ভালবাসে, স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসে, আত্মীয় স্বজন একে অপরকে ভালবাসে। বাকি নিরানব্বই ভাগ ভালবাসা মহান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। কিয়ামতের দিন তা দ্বারা তিনি স্বীয় বান্দাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করবেন। মহান আল্লাহ প্রেম-ভালবাসা নামক ধ্বংসাত্বক রোগের প্রতিরোধের জন্য পর্দাপ্রথা দিয়েছেন। এরই মাধ্যমে বাচানো সম্ভব হবে ব্যক্তি, পরিবার সমাজ এবং দেশকে রক্ষা করা
এইটা কোন কিতাবে আছে । রেফারেন্স দেন plz ।
যারা অবৈধ ভালবাসাকে পবিত্র বলতে দুঃসাহস দেখান এবং বলেন প্রেম পবিত্র। শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন? তাদেরকে আবারও বলছি, এটা আপনাদের নিছক মুর্খতা ও সম্পূর্ণ অমূলক ভুল এবং ভুল ধারণা।
মূর্খ দেখেইতো জ্ঞানীর নেকট উপস্থিত হলাম । আর অমি কখনওই দুঃসাহস দেখতে আসিনাই .. সত্য জানতে এসেছি।
@ahmad2005,
এইটা কোন কিতাবে আছে । রেফারেন্স দেন plz ।
লিখাটা আমার সংগ্রহে ছিলো। তবে এ কথাটা আমি আগেও শুনেছি। রেফারেন্সের জন্য কিছুদিন সময় দিতে হবে।
মূর্খ দেখেইতো জ্ঞানীর নেকট উপস্থিত হলাম । আর অমি কখনওই দুঃসাহস দেখতে আসিনাই .. সত্য জানতে এসেছি।
কথাটা আপনাকে বলা হয় নাই। বরং তাদেরকে বলা হয়েছে যারা বলে যে প্রেম পবিত্র। শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন? ইত্যাদি।
@দ্য মুসলিম,
রেফারেন্সের জন্য কিছুদিন সময় দিতে হবে।
এই রেফারেন্স কি এই কালে পাওয়া যাবে? আগেও অনেক লেখা আপনি পোষ্ট করেছেন যার রেফারেন্স সয়ং লিখকও স্পষ্ট ভাবে দেয় নাই। তাই এতে সন্দেহ থাকাটাই সাভাকিক।
কথাটা আপনাকে বলা হয় নাই। বরং তাদেরকে বলা হয়েছে যারা বলে যে প্রেম পবিত্র। শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন? ইত্যাদি।
গিলি গিলি কি , তা জানেন না, কিন্তু তা নিয়ে ফতোয়া দিতে পারেন ভালো। শালিন ভাবে প্রেম কেমনে করে তগা আগে বলেন?
@জ্ঞান পিপাষু,
এই রেফারেন্স কি এই কালে পাওয়া যাবে? আগেও অনেক লেখা আপনি পোষ্ট করেছেন যার রেফারেন্স সয়ং লিখকও স্পষ্ট ভাবে দেয় নাই। তাই এতে সন্দেহ থাকাটাই সাভাকিক।
ইনশাআল্লাহ।
@দ্য মুসলিম,
তাহলে লেখক নিজে কেন দেন নাই পূর্ণ রেফারেন্স, বলতে পারবেন?
@জ্ঞান পিপাষু,
তাহলে লেখক নিজে কেন দেন নাই পূর্ণ রেফারেন্স, বলতে পারবেন?
কারন লিখক যে সময় লিখেছিলেন তখন তাদের মতো মহাজ্ঞানী ছিলেন না যারা আলিমদের সকল কথার জবাবদিহি চান। তারা পরিক্ষিত আলিম তাই তারা রেফারেন্স দেন না। আমরা মুর্খ, তাই রেফারেন্স চাই না। বরং কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে আলিমকে অহেতুক সন্দেহ না করে নিজে নিজে খোজার চেষ্টা করি। কারন জানা আমার জন্য ফরজ ছিলো, আর আমি সে দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারি নাই। তাই নিজের দূর্বলতাকে ঢাকার জন্য নির্লজ্জ ভাবে আলিমদের উপর নিজের পাপের বোঝা না চাপিয়ে নিজেও তা লাঘব করার জন্য সচেষ্ট থাকি।
যারা নিজে পড়ালিখার ধারও ধারেনা, জানার চেষ্টা যাদের মধ্যে নেই, যারা শুধু আলিমদেরকে পেরেশান করার জন্য প্রশ্ন করে, যারা আলিমদের লিখা বইকে চটি বই মনে করে, যারা আলিমগণের সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে তাদের কোন অধিকার নাই আলিমগণকে কোন ব্যপারে প্রশ্ন করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন।
(একটি ব্যক্তিগত প্রশ্নঃ আমরা অনেক সময় অনেক ধর্মিয় বই পড়ে থাকি। অনেক আলিমের লিখা পড়ে থাকি। এটা কি সম্ভব যে সবসময় সব আলিমের লিখা, বা সব হাদিসের রেফারেন্স ইত্যাদি মনে রাখা? হাজার হাজার শব্দের ভিড়ে সব কিছু হারিয়ে যায়, হয়তোবা শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিই মনে থাকে। কেউ কিছু বলতে চাইলে তাকে অহেতুক রেফারেন্সের নামে পেরেশান না করে বরং নিজে অন্য দলিল খোজার চেষ্টা করা কি ভালো নয়? ব্যক্তিগত ভাবে আমিও যা কিছু পড়ি সব কিছু লিখতে পারিনা আপনাদের রেফারেন্সের জেরার ভয়ে। অথচ হয়তো ঐ অংশটুকু কোন নির্ভরযোগ্য গন্হ থেকেই পড়েছিলাম এবং তাতে রেফারেন্সও দেয়া ছিলো। আমি জানি যদি রেফারেন্সের জেরার মুখে পড়তে হয় তখন হাজার হাজার পৃষ্ঠা খুজে বের করে এ নির্দিষ্ট বিষয়টির দলিল খুজতে হবে। তারচেয়ে বরং আমি বলতে চাই, “আমি চাইনা কেউ আমাকে আলিম বলুক, আর যারা প্রতি কথায় কথায় রেফারেন্স চায় তাদের মতো ছাত্রও আমার দরকার নাই। আল্লাহ তায়ালা এই ধরণের মানুষ থেকে আমাকে হেফাজত করুন। আমিন। “)
@দ্য মুসলিম,
sorry
@দ্য মুসলিম,
আমি খুবই দুঃখিত আমি মনেহয় আপনাদের মাঝে দন্দ লাগিয়ে দিয়েছি ।
@জ্ঞান পিপাষু,
কারন লিখক যে সময় লিখেছিলেন তখন তাদের মতো মহাজ্ঞানী ছিলেন না যারা আলিমদের সকল কথার জবাবদিহি চান। তারা পরিক্ষিত আলিম তাই তারা রেফারেন্স দেন না। আমরা মুর্খ, তাই রেফারেন্স চাই না। বরং কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে আলিমকে অহেতুক সন্দেহ না করে নিজে নিজে খোজার চেষ্টা করি। কারন জানা আমার জন্য ফরজ ছিলো, আর আমি সে দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারি নাই। তাই নিজের দূর্বলতাকে ঢাকার জন্য নির্লজ্জ ভাবে আলিমদের উপর নিজের পাপের বোঝা না চাপিয়ে নিজেও তা লাঘব করার জন্য সচেষ্ট থাকি।
যারা নিজে পড়ালিখার ধারও ধারেনা, জানার চেষ্টা যাদের মধ্যে নেই, যারা শুধু আলিমদেরকে পেরেশান করার জন্য প্রশ্ন করে, যারা আলিমদের লিখা বইকে চটি বই মনে করে, যারা আলিমগণের সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে তাদের কোন অধিকার নাই আলিমগণকে কোন ব্যপারে প্রশ্ন করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন।
বড় বড় লেকচার মাইরা নিজের দায় এরাবার চেষ্টা কইরেন না। আপনাদের মত আলিম অনেক আছে যারা উপরে আলিম আর ভিতরে শয়তানের দোশর। আপনি রেফারেন্স দিতে পারেন না আবার বড় বড় বুলি মারেন।
আগের কোণ আলেম কে কোথায় কি করছে তা আমার জানার দরকার নাই। হাদীসেই আছে দ্বীনের কথা যোগ্য লোক দিয়া যাচাই করে লইবে। তাই রেফারেন্স যথাযুক্ত ছাড়া এইসব ফালতু প্যচাল আপনি আপনার ডাইরিতে সংরক্ষন করে রাখেন , কাজে আসবে।
আম আগেও আপনাকে অনেক বার বলেছি, কিন্তু আপনি বলেছেন খুজতে, আমার এত খুজার সময় নাই, লিখা দিলে রেফারেন্স দিবেন যাতে লিখাটা সম্পুর্ন গ্রহনযগ্য হয়। শাক দিয়া মাছ ঢাকার চেষ্টা কইরেন না। আপনার মত অনেক আলেম দেখছি, কি আর বোলবো…………..
@জ্ঞান পিপাষু,
আমি খুবই দুঃখিত আমি মনেহয় আপনাদের মাঝে দন্দ লাগিয়ে দিয়েছি ।
@ahmad2005,
আপনি যদি জানার জন্য পোষ্টটি দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ওয়েলকাম। আর যদি নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য করে থাকেন তবে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হিদায়াত দিন। আমিন।
@দ্য মুসলিম,
আমি একান্তই জানার জন্য পোষ্টি করেছি , কারণ আজকাল অনেকেই এই বিষয়টিকে হালাল বানিয়ে ফেলেছে । তাই এটা নিয়ে পোষ্ট দেয়া যথার্থই ছিল। আজ যেমন আমি আসল সত্য জানতে পারলাম আসাকরি এর মধ্যমে আমার মতো আনেকেই তাদের মনের শঙ্কা দূর করতে পারবে।
@ahmad2005,
শুধু আপনি নয়, আমার নিজেরও উপকার হয়েছে। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আশা করি সবসময় আপনাকে পাশে পাবো। দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।
@ahmad2005,
আমি খুবই দুঃখিত আমি মনেহয় আপনাদের মাঝে দন্দ লাগিয়ে দিয়েছি ।
পরম সুখের উদ্দ্যানে সেই প্রবেশ করিবে, যার অন্তর পবিত্র।
আমাদের অন্তর যদি পবিত্র হয় আর অনেক ভুল ভ্রান্তি হয়, আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।
আল্লাহতো আমাদেরকে সাশ্তি দিতে চান না, তিনি আমাদের অনরটা চান। যেখানে আমাদের সবকিছু আল্লাহর জন্যেই হিবে।
তাই আমার মনে হয়না আমাদের আলোচনা বিথা যাবে। আপনি খুব সুন্দর বিষয় নির্বাচন করেছেন। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
কিছু বলার দরকার নাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়াত দিন।
@দ্য মুসলিম,
কিছু বলার দরকার নাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়াত দিন।
সজাতীর মায়া ত্যাগ করুন, দুনিয়ার সবার মায়া গ্রহন করুন, তাহলেই মুক্তি। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
আপনাদের মত আলিম অনেক আছে যারা উপরে আলিম আর ভিতরে শয়তানের দোশর।
আপনার এ কথা বলা ঠিক হয় নি । ব্যক্তিগত আক্রমন যদি এভাবে আমরা করি তাহলে আলোচনা না করাই ভালো ।
@হাফিজ,
আপনার এ কথা বলা ঠিক হয় নি । ব্যক্তিগত আক্রমন যদি এভাবে আমরা করি তাহলে আলোচনা না করাই ভালো ।
আমি ফাহাদ কি বল্লাম তা আপনি না ধরলেও চলবে, অন্তত কথাটা সত্য না কি সেটা যাচাই করে দেখুন। ধন্যবাদ।
@হাফিজ ,
কি আর বলবো ভাই। মাঝে মাঝে মনেই হয়না যে কোন ইসলামিক সাইটে লিখছি।
@দ্য মুসলিম,
তাই নিজের দূর্বলতাকে ঢাকার জন্য নির্লজ্জ ভাবে আলিমদের উপর নিজের পাপের বোঝা না চাপিয়ে নিজেও তা লাঘব করার জন্য সচেষ্ট থাকি।
যারা নিজে পড়ালিখার ধারও ধারেনা, জানার চেষ্টা যাদের মধ্যে নেই, যারা শুধু আলিমদেরকে পেরেশান করার জন্য প্রশ্ন করে, যারা আলিমদের লিখা বইকে চটি বই মনে করে, যারা আলিমগণের সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে তাদের কোন অধিকার নাই আলিমগণকে কোন ব্যপারে প্রশ্ন করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন।
আপনার এই লিখা পড়লে আপনার নিজেরকি মনে হয় যে, এইগুলি এইভাবে একজনকে বলা উচিত?
@জ্ঞান পিপাষু,
কোন নির্দেষ্ট ব্যাক্তির প্রতি আক্রমন করে লিখাগুলো লিখিনি, তাছাড়া কাউকে অপমান করাও এর উদ্দেশ্য নয়। বরং শুধু মনের ভাবই প্রকাশ করলাম।
@দ্য মুসলিম, কেন এই সাইটের ব্লগার কি আসমান ফুঁড়ে আসছে? আর প্রশ্ন অভিব্যক্তি প্রকাশ কি ইসলামের অভিধানে নেই।
যেখানে এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে বিভ্রান্ত বলে গালি দিয়ে থাকে সেখানে ব্লগে একটু আরটু তো মনক্ষুন্নতা আসবে।
@মুনিম,
সমস্যা হলো এতটা অভিজ্ঞ নই। ব্লগের জগতে এসেছি গত ৩ মাস হলো। শিখতে হয়তোবা আরেকটু সময় লাগবে।
@দ্য মুসলিম,
(একটি ব্যক্তিগত প্রশ্নঃ আমরা অনেক সময় অনেক ধর্মিয় বই পড়ে থাকি। অনেক আলিমের লিখা পড়ে থাকি। এটা কি সম্ভব যে সবসময় সব আলিমের লিখা, বা সব হাদিসের রেফারেন্স ইত্যাদি মনে রাখা? হাজার হাজার শব্দের ভিড়ে সব কিছু হারিয়ে যায়, হয়তোবা শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিই মনে থাকে। কেউ কিছু বলতে চাইলে তাকে অহেতুক রেফারেন্সের নামে…………………
যে ১০০% তথ্য সহ লিখতে পারবে সেই লিখবেম আপনারিযে লিখতে হবে এমনতো কথা নাই। না পারলে লিখবার দরকার নাই। আগে শিখেন জানেন এবং তথ্য খুজে বের করেন, তার পরে লিখেন, তা হলে তা১০০% গ্রহন যোগ্যতা পাবে।
এইটা আগের যুগ না , আগের দিনের অনেক কথা যা বর্ত্মানে ভূল প্রমান হয়েছে। তাই ১০০% নিশ্চিত হতে চাই।
অন্ধ ভাবে কাউকে যদি বিশ্বাস করতে হয় তাহলে তা শুধু আল্লাহ এবং রাসূলকেই, আর এর বাহিরে কাউকে নয়।
আর বর্তমানে রেফারেন্স ছাড়া কাউকে বিস্বাশ করা যায়, কিন্তু যাকে আমি চিনিনা জানিনা, তার কথা কিভাবে?
আমি আমার মাকে বিস্বাশ করি, কারন আমি যানি সে আমার ক্ষতি করবেনা, কিন্তু অন্য কাউকে তা পারিনা।
আর এজন্যে আমাকে যদি কাউকে বিস্বাশ করতে হয়, তাহলে অন্তত আমার মন সাক্ষ দিতে হবে, তানাহলে নয়।
আল্লাহ আপনাকে হেফাযত করুন আর আমাদের জন্যেও দোয়া কইরেন। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
সমস্যা আলেমগণের মধ্যে নয়। আত্মসমালোচনা করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
@দ্য মুসলিম,
সমস্যা আলেমগণের মধ্যে নয়। আত্মসমালোচনা করুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
সমস্যা আলেমগণের মধ্যে নয়। (সহমত)।
কিন্তু আলিম বলে নিজের ইচ্ছাকে কুরান হাদিস যারা বানিয়ে দেয় সমস্যা তাদের, তাদেরকে আলেম বললে সত্যি কারের আলিমগণকে ছোট করা হবে। ধন্যবাদ।
@জ্ঞান পিপাষু,
আমার লিখা যে কোন কিছু আপনি বর্জন করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়াত দিন।
@দ্য মুসলিম,
আমার লিখা যে কোন কিছু আপনি বর্জন করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়াত দিন।
এইসব ইমশনাল কথা বার্তা বলবেন না দয়া করে প্লীজ!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি আমার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলেছি। তার পরেও কেন এভাবে বলেন?
যুক্তি তর্ক আমাদের মধ্যে হতেই পারে। তাই বলে তাকে যুক্তি পর্যন্তন শেষ কোড়ে ফেলা উচিত।
এসব মনে রাখবেন না দয়া করে। আমি ক্ষমা চাচ্ছি আমার যেকোন ভুল ভ্রান্তির জন্যে।
@জ্ঞান পিপাষু,
আমি রাগ করিনি। তবে তর্ক করতে করতে কিছুটা ক্লান্ত। তাই আপাতত চুপ হয়ে আছি।
শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রেম।
স্বাভাবিক দুরুত্বে অবস্হান করে প্রেমঃ
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, দুরুত্ব রেখে প্রেম করলেতো সমস্যা হবার কথানা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করলে সমস্যা কি?
উত্তরঃ
উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়।
সুতরাং বোঝা যায় যে নিভৃতে বেগানা নারী পুরুষ এক সাথে নির্জন স্হানে বসা যায়েয নেই।
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রাঃ কে লক্ষ করে বলেনঃ “হে আলী তুমি একবার তাকাবার পর পুনর্বার তাকাবেনা। তোমার প্রথম দৃষ্টিপাত ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়বার নয়।”
অনেকেই মনে করেন যে কোন নারী হিজাব অবস্হায় থাকলে (মুখ ও কব্জি যদি খোলা থাকে) তখন বারবার তাকানোতে দোষ নেই। এই হাদীস থেকে আশা করি তারা শিক্ষা নিতে পারবেন।
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে সূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি)
এই হাদীস শোনার অনেকেই হয়তো বলতে পারে যে এখানেতো লালসার কথা বলা হয়েছে, আমরা তো লালসার মাধ্যমে এসব করবো না। বরং আমরা পবিত্র প্রেম করবো। তাদের উত্তর হলো যে, যাদের বিপরীত লিঙ্গের সাথে নিভৃতে এক সাথে থাকার পরও লালসার কোন চিন্হ প্রকাশ পায় না, তাহলে তাদেরকে মেডিকেল সায়েন্স এর ভিত্তিতে পুরুষ মহিলা বলা যাবেনা। তাদের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান ভিন্ন।
দেখা না করে শুধু কথা বলে প্রেম বা মোবাইলে প্রেমঃ
অনেকেই মনে করেন মোবাইলে কথা বললে তো ব্যভিচারের আশংকা অনেক কমে যায়। তাদের জন্য নিম্নোক্ত হাদীসটি আবার প্রণিধান যোগ্যঃ
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে সূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি)
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ব্যভিচার অনেক রকম হতে পারে। এবং প্রত্যেক ব্যভিচারই হারাম।
এছাড়া যদি প্রয়োজন মোতাবেক কথা বলতেই হয় সেক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায় কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কোরানে কালামের আয়াত প্রণিধান যোগ্যঃ
আল্লাহ পাক বলেনঃ “তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পরপুরুষদের সাথে কোমল কন্ঠে কথ বলবে না। তা হলে যার অন্তরে রোগ আছে, সে প্রলুব্ধ হয়ে পড়বে। তোমরা স্বাভাবিক ভাবে কথা বল।” (সুরা আহযাব-৩২)
অনেকেই বলতে পারেন যে আমরা প্রেম করলে তো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলবো। কন্ঠ কোমল করবোনা। তাদেরকে বলতে চাই, এই আয়াতের দ্বারা তাফসীর বিদগণ প্রয়োজনীয় কথা বার্তা ছাড়া অন্যান্য কথা বার্তা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন।
যেমন আল্লামা আলুসী রঃ বলেনঃ “ভিন্ন পুরুষদের কথার জবাব দেয়ার সময় তোমরা বিনয় ও নম্রতাপূর্ণ এবং নারীসুলভ কোমল ও নরম স্বরে কথা বলবেনা, যেমন করে সংশয়পূর্ণ মানসিকতাসম্পন্ন ও চরিত্রহীনা মেয়ে লোকেরা বলে থাকে।”
এছাড়া সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ এবং তাবে তাবেয়ীগণদের সময়ে বর্তমান সময়ের প্রচলিত ধরণের প্রেমকে জায়েয বলা হয়নি এবং কেউ করেনওনি। এছাড়া আলিমগণ এসকল দলিলের ভিত্তিতে এক যোগে এই ধরণের প্রেমকে হারাম বলেছেন। অনেকেই বলতে পারেন যে আমরা আলিম মানিনা, আমরা শুধু কোরান শরীফ এবং সিয়াহ সিত্তাহকেই মানবো তাদের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ কাছে হেদায়াতের জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছু করতে পারিনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন। আমিন
@দ্য মুসলিম,
অনেকেই বলতে পারেন যে আমরা আলিম মানিনা, আমরা শুধু কোরান শরীফ এবং সিয়াহ সিত্তাহকেই মানবো তাদের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ কাছে হেদায়াতের জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছু করতে পারিনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন। আমিন
দয়া কোরে কুরান এবং সহিহ হাদিছের আলোকে বলবেন কি, বিষেশ করে আমাদের কি মেনে চলা উচিত?
@জ্ঞান পিপাষু,
আমরা যে যার কর্মে জন্য স্রষ্টার নিকট জবাব দিহি করবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিদায়াত দিন। আমিন।
@দ্য মুসলিম,
@দ্য মুসলিম,
আমরা যে যার কর্মে জন্য স্রষ্টার নিকট জবাব দিহি করবো।
এটাকি আমার প্রশ্নের উত্তর? আপনারা পারেন বটে।
আপনার একটি কাজ ভাল লাগল না, যে হাদিস রেফারেন্স ছাড়া দেন। সহী নাকি হাসান কি না উল্লেখ করেন না। বাকি অংশ গ্যালারি থেকে দেখতে ছি। সময় নাই তাতে মাঠে নামতে পারব না
@ফুয়াদ,
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রাঃ কে লক্ষ করে বলেনঃ “হে আলী তুমি একবার তাকাবার পর পুনর্বার তাকাবেনা। তোমার প্রথম দৃষ্টিপাত ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়বার নয়।”
আবু দাউদ, সুনান, ২য় খন্ড, বৈরুতঃ দারুল ফিকর, তা.বি পৃ ২৪৬; মিশকাত, কিতাবুন নিকাহ পৃ ২৬৯।
পুরুষ যখন কোন মহিলার সাথে নিভৃতে অবস্হান করে, শয়তান তখন তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সেখানে অবস্হান নেয়।
তিরমিযি, তাবারানী।
@ফুয়াদ,
গ্যলারী থেকে নেমে না খেলতে পারেন। অন্তত মতামতটা দিয়ে যান।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পোস্ট । ফিচার করা হোক।
বিবাহের পূর্বে আধুনিক যুবক-যুবতীরা যে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকেই অবৈধ ও অপবিত্র ভালবাসা বলে। আর পবিত্র ভালবাসা বলতে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা,স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা ইত্যাদিকে বুঝায়।
সুন্দর বলেছেন ।
আমার পোস্টা গোগল সার্চে ১ নম্বরে আছে আমারটা ফিচার করা হক..
http://www.peaceinislam.com/ahmad2005/4028/
আমি মানলাম বিবাহপূর্ব প্রেম করা গুণাহ, আচ্ছা তাহলে মেয়ে ছেলে যদি একে অপরকে নাই দেখে তবে বিবাহ হবে কেমনে, যেহেতু বিবাহপূর্বে ছেলে মেয়ে একে অপরে না মাহরম। নাকি এক্ষে ত্রে শীথিলতা কোন আইন আছে।